বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৭

পৃথিবীতে পাসপোর্ট লাগেনা একমাত্র রাণী এলিজাবেথের

ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ পৃথিবীর যে প্রান্তেই যাননা কেন তার সঙ্গে থাকে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী। থাকে মণি মুক্তার মতো বহুমূল্যের রত্ন। এমনকি তার সঙ্গে তার পোষা কুকুর করজিসের জন্যও থাকে বিশেষ খাদ্য। তবে, যে জিনিসটি কখনোই থাকেনা তা হলো পাসপোর্ট। কারণ পৃথিবীর কোথাও কোন সীমান্ত অতিক্রমণে তার পাসপোর্ট লাগেনা।

রাণী এলিজাবেথ ছাড়া যে কোন মানুষকেই পৃথিবীর কোন না কোন স্থানে পাসপোর্ট ব্যবহার করতেই হবে। এমনকি সে যদি রাণী ছাড়া ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্য যে কোন সদস্যও হয়। কিন্তু কি এর কারণ?

জানা গেছে, যতো ব্রিটিশ পাসপোর্ট ইস্যু করা তার সবই রাণীর পক্ষ থেকে। এ প্রসঙ্গে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের ওয়েবসাইটে লেখা আছে, ‘রাণী যখন বিদেশে ভ্রমণ করেন তখন তাঁর কোন পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই। মেরুণ রঙের ব্রিটিশ পাসপোর্টে দুটি রাজকীয় অস্ত্রের প্রতিকৃতি খোদাই করা আছে। আর লেখা আছে যে, ব্রিটেনের মহিমান্বিত রাণীর পক্ষ থেকে পাসপোর্টধারী ব্যক্তিকে গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।’

সুতরাং যেখানে স্বয়ং রাণীই ব্রিটিশ পাসপোর্ট ইস্যু করেন এবং পাসপোর্টধারী ব্যক্তির দায় গ্রহণ করেন সেখানে তার নিজের দায় নিয়ে কারো কোন প্রশ্নই থাকতে পারেনা। তবে, রাণী ছাড়া ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্য যে কোন সদস্যকেই বিদেশ ভ্রমণে পাসপোর্ট বহন করতে হবে। এমনকি এটি রাণীর স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গের জন্যও প্রযোজ্য।

এছাড়াও একই কারণে পৃথিবীর কোথাও রাণী এলিজাবেথের কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সেরও প্রয়োজন নেই। 

মিথ্যা আজ প্রতিষ্ঠিত, সত্য আজ নির্বাসিত !


আমরা যে সত্য বলি না—তা নয়। তবুও আমাদের সত্য বলার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের আরও সত্য বলার অভ্যাস করতে হবে। আজকাল আমরা চারপাশে যে সত্য দেখছি, তা একেবারে অপ্রতুল আর অপর্যাপ্ত। 

মিথ্যা এখন আমাদের চারপাশে দোর্দণ্ড-প্রতাপে রাজত্ব করছে। অনেকে আবার এখন খুব স্টাইল করে মিথ্যা বলছে। আর রীতিমতো মিথ্যাচর্চা আর মিথ্যা বলার অভ্যাস গড়ে তুলছে। মিথ্যা এখন অনেকের কাছেই ভালো লাগে। মিথ্যা নাকি সুস্বাদু। তাই, একটি শ্রেণী এখন পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা বলার ঐতিহ্য গড়ে তোলার অপচেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষগণ শত অভাবের মধ্যেও মিথ্যা বলতেন না।

 আর তারা শতসহস্র কষ্ট সহ্য করেও সত্য বলার অভ্যাস ধরে রেখেছিলেন। আর এখনকার কিছু মানুষ এতো প্রাচুর্যে বসবাস করার পরও মিথ্যাকে ভালোবেসে আলিঙ্গন করছে।
মিথ্যা এখন অনেকেই বলে। কিন্তু সে সহজে স্বীকার করবে না। এখন যে রীতিমতো তুখোড় মিথ্যাবাদী সেও স্বীকার করবে না যে সে মিথ্যা বলে। স্বার্থের জন্য আজকাল অসংখ্য মানুষ ভয়ানক নির্লজ্জ হয়ে উঠছে আর তারা চশমখোরের মতো প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে মিথ্যা বলে যাচ্ছে। 

মিথ্যা বলে এখন অনেকের কাজ হচ্ছে। তাই, এরা খুব আয়েশ করে মিথ্যা বলছে। মিথ্যায় এখন খুব পসার। আর মিথ্যাবাদীর এখন খুব দাম।
সত্যবাদীরা এখন প্রায় নির্বাসিত। তাদের অবস্থা এখন ভয়ানক নাজুক। আজকাল অফিস-আদালতে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, উপাসনালয়ে মিথ্যা বলার বিরাট প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

 আর অনেকের মিথ্যা বলা দেখে মনে হয়: এরা বুঝি দুনিয়াতে মিথ্যাই বলতে এসেছে। এমনই একটা সময়ে সত্যাবাদীরা খুব চাপের মধ্যে পড়ে রীতিমতো খাবি খাচ্ছে। সমাজের অবস্থা এখন নিজের চোখে দেখছি, আর ভাবছি: এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভবিষ্যতে কী হবে?
অনেক ক্ষেত্রে আজ মিথ্যাবাদীর ভয়ে সত্যবাদী পালিয়ে বেড়াচ্ছে। মিথ্যাবাদীর পক্ষে লোকবল বেশি। আর সত্যবাদী গলাফাটিয়ে কিংবা তারস্বরে চিৎকার করেও দুই-চারজন লোকও জোগাড় করতে পারবে কিনা সন্দেহ। 

মিথ্যার ঢোল আজকাল আপনা-আপনি বাজছে। এমন মুহূর্তে সত্য বলতে অনেকেই ভরসা পায় না। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে: সত্যই আমাদের আরাধনা। কষ্ট হলেও সত্য বলতেই হবে। আর আমাদের সত্য বলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

মো:মেহেদী হাসান।
হিসাবরক্ষক।
(পেট্রলিয়াম কর্পোরেশন)।



শনিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৭

রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রান বিতরণে জিসাস চেয়ারম্যান রানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশের প্রতি সম্মান জানিয়ে জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) অন্যতম সহ-সভাপতি জনাব আবুল হাশেম রানা গত ৯ অক্টোবর রোহিঙ্গাদের মধ্যে নগদ অর্থ ও ত্রান বিতরণ করেন। ত্রান বিতরণ কালে সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান হালিমা খান লুসি, জিসাস কেন্দ্রীয় নেতা মো: আবদুল্লাহ, চিত্রশিল্পী শওকত জাহান, জিসাস কক্সবাজার জেলা শাখার সমন্বয়ক লিয়াকত আলী খান সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০১৭

রানা তসলিম উদ্দিন আবারো লিসবনের কাউন্সিলর নির্বাচিত

ডেস্ক রির্পোট ।। রানা তসলিম উদ্দিন আবারো লিসবনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি তার ফেইসবুক স্টাটাসে বলেন,
এবারের ভোটেও আমরা সোস্যালিস্ট পার্টি থেকে জয় লাভ করেছি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে আমি বাংলাদেশীদের প্রতিনিধি হয়ে আবারো লিসবন সান্তা মারিয়া মাইওরের কাউন্সিলর হয়েছি। সু-দীর্ঘ একমাস ব্যাপী আপনারা যারা আমার সাথে ছিলেন, যারা সোশ্যাল মিডিয়াতে সার্বক্ষণিক পাশে থেকে লাইক, কমেন্ট, ও উপদেশ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন, যারা সরাসরি বিভিন্ন মিটিং, র‍্যালি ও গণসংযোগে ছিলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হৃদয়ের টানে, ভালোবাসায় যারা শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও দোয়া করেছেন, বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে যারা প্রচার ও গনসংযোগ স্থাপন করেছেন, সর্বোপরি যারা সোস্যালিস্ট পার্টিকে ভোট দিয়ে আমাদেরকে কে প্রতিনিধি বানিয়েছেন, সকলের প্রতি রইলো আমার হৃদয়ের আপ্লূত ভালোবাসা, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।


সকল ক্ষমতার উৎস মহান আল্লাহ্‌ রাব্বুল আলামিন, আর পর্তুগালে আমার সাফল্যের উসিলা আপনারাই। আপনাদের দোয়া আর ভালোবাসা না থাকলে হয়তো এই দুর্গম পথ অতিক্রম করা কখনোই সম্ভব হতোনা। তাই আপনাদের সকলের কাছে আমি চির কৃতজ্ঞ।
তৃতীয় বিশ্বের একটি গরীব দেশের বিত্তহীন একজন সাধারন মানুষ আমি। ইউরোপের রাজনীতি কিংবা কোন পজিশন আমার জন্য প্রয়োজনীয় নয়। 

কিন্ত ১৪৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের একটি ভুখণ্ড ও লাল সবুজের একটি পতাকাকে ইউরোপিয়ান রাজনীতিতে প্রকাশ করার মানসে আজকের এই প্রচেষ্টা। বিগত ২৭ বছরে যেখানেই গিয়েছি, যত মানুষের সাথে পরিচিত হয়েছি, আমি ব্যাক্তি ছিলাম নগন্য। আমার ভাষা, আমার কৃষ্টি, আমার সংস্কৃতি, আমার পতাকাই ছিল আমার পরিচয়। তথা আমার দেশই ছিল আমার মাথার উপরে। আমি বহন করেছিলাম একটি জাতির পরিচয়। যতদিন বাঁচবো ততদিন যেন আপনাদের সাথে নিয়ে এই দায়িত্ব পালন করে যেতে পারি স্রষ্টার কাছে তাই কামনা করি।

পর্তুগালে আসার পর থেকে এই লিসবনে আপনাদের পাশেই ছিলাম এবং আশা ও বিশ্বাস রাখি আগামী যতদিন বাঁচবো, আপনাদের পাশে এই লিসবনেই থাকবো ইনশাআল্লাহ্‌। সকলের মঙ্গল কামনায়, আগামী দিনের পথ চলায় সার্বিক সহযোগিতার প্রত্যাশা কামনা করি। সকলে সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন ইনশাআল্লাহ্‌ আবারো কথা হবে।