আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরছে না। পর্যাপ্ত গাছ থাকায় রোদেরও উত্তাপ নেই। তারপরেও ছাতা। ছাতার নিচে এক জোড়া তরুণ-তরুণী চলছে অশ্লীলতা। ২০ এপ্রিল সকালে নরসিংদী ড্রিম হলি ডে পার্কে গিয়ে ছাতার নিচে এমন বেশকিছু তরুণ-তরুণীকেই দেখা গেল।স্থানীয়রা জানালেন, শুধু ওই দিনই নয়, এ দৃশ্য প্রতিদিনের। সকাল-দুপুর-বিকেল সব সময়ই এ চিত্র দেখা যায় পার্কে। নরসিংদী শহরের ভদ্রা এলাকার এ পার্কটি ‘ভদ্রা পার্ক’ নামেই পরিচিত। এই পার্কটির অনেক সুন্দর নাম হলেও পার্কটির ভেতর এমন অশ্লীলতা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয়রা বলছেন, পার্কটিতে এখন আর অন্য কেউ যান না। যারা এসব দুষ্কর্মের আসর বসান, কেবল তারাই যান। কর্তৃপক্ষের অন্তরালে চলতেছে এসব অশ্লীল কার্যক্রম।শুধু তাই নয়, পার্কটির পর্যাপ্ত পরিমান নিরাপত্তা থাকলেও, দূর-দূরান্ত থেকে আসা স্কুল, কলেজ, মাদ্রসার তরুণ-তরুণীরা এই পার্কে এসে বিভিন্ন অশ্লীল কর্মকান্ডে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩৭ একর জমির উপর অবস্থিত ড্রিম হলিডে পার্কটি ২০১১ সালের ৩১শে আগস্ট জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পার্কের অশ্লীলতার কারণে তারা বহুতল ফ্ল্যাটের জানালা সব সময় বন্ধ রাখেন। জানালা খুললেই পার্কের ভেতরের অশ্লীলতা চোখে পড়ে। এসব অপকর্মে পার্কের দায়িত্বরত নিরাপত্তা কর্মীরাই সহায়তা করেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
নরসি২০ এপ্রিল পার্কটিতে গিয়ে এখানে-সেখানে ঝোপঝাড়ের আড়ালে তরণ-তরণীদের অশ্লীলতা চোখে পড়ে। ক্যামেরা দেখে পার্কের এক নিরাপত্তা কর্মী এগিয়ে এসে বলেন, ক্যামেরা আছে ভালো। কোনো ছেলে-মেয়ের ছবি তুলবেন না।পার্কে ঘুরতে আসা ইসরাত জাহান তন্নী (১৯) নামে একজনকে পার্কের অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে জানান, পার্কে এসে লজ্জায় মরি! এমন বেহাল অবস্থা আগে জানলে ঢুকতাম না।
বর্তমানে ড্রিম হলিডে পার্কের এই অশ্লীলতার কারণে অনেক তরণ-তরুণীরা প্রতিনিয়ত এখানে আসছে এবং বিভিন্ন খারাপ কর্মকান্ডে নিজেদেরকে জড়িয়ে ফেলছে। খোজঁ নিয়ে আরো জানা যায় যে, পার্কটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হওয়ায় তীব্র যানজট সহ বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ জনগণ।