নরসিংদীর শিবপুর থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয়দানকারী মকবুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত প্রায় ৯টায় শিবপুর বণ্যার বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ীরা আরো জানান, রাতে তারাবি নামাজের সময় ও আইপিএল খেলা চলাকালীন যখন মানুষ নিশ্চুপ হয়ে যায়, ঠিক সেই মুহুর্তে ৮/১০ জনের একটি মুখোশধারী চক্র মকবুলের দোকানে এসে মকবুলকে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং একটি হাতও কেটে ফেলে। এসময় আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিবপুর উপজেলার তাতারকান্দি গ্রামের আব্দুল মতলিব মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতো। পাশাপাশি বণ্যার বাজারে একটি ফ্লেক্সি ও বিকাশের দোকান পরিচালনা করতো। এই ব্যবসার অন্তরালে পুলিশের সোর্সই ছিল তাঁর প্রধান কাজ।এই কথাগুলো জানান বণ্যার বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। আর পুলিশের সোর্স হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিত এলাকার যুবকদের। আর এতে পুলিশকে মোটা অংকের বিনিময়ে রক্ষা পেতে হতো। একারণে হত্যাকাণ্ডও ঘটতে পারে বলে জানালেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী আরো জানান, মকবুল অনেক আগে থেকেই এলাকায় চুরি ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিল। যার কারণে একাধিকবার জেলও খেটেছে।মকবুল পুলিশের সোর্স ছিল না বলে অস্বীকার করে শিবপুর থানা পুলিশ বলছেন, সে আগে খারাপ থাকতে পারে। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা আমরাও শুনেছি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কে কে জড়িত থাকতে পারে সেই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া মকবুল ২০০৫ সালে চাঞ্চল্যকর তুফাচাঁন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ছিল। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন জেল খাটার পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে বন্যার বাজারে দোকান দেয়।খবর পেয়ে রাতেই শিবপুর মডেল থানার এস আই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।