শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

রায়পুরা থানার দুই পুলিশের বিরুদ্ধে দফতরে অভিযোগের পাহাড়

সাইফুল ইসলাম রুদ্র, নরসিংদী :
নরসিংদীর রায়পুরা থানার পুলিশদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার, চাঁদাবাজি, চেইন অব কমান্ড অমান্যসহ বিস্তর অভিযোগ। সদর দফতরের শত চেষ্টা সত্ত্বেও তেমন পরিবর্তন হয়নি আচরনগত সমস্যারও। টাকা না পেয়ে নির্যাতন, সাধারণ মানুষকে হয়রানি ও শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে এ বাহিনীর কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে।
তেমনি রায়পুরা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসআই তারেক চন্দ্র শীল এবং সেকেন্ড অফিসার আল-মামুন এর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো সঠিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে না।এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কারণে পুরো বাহিনীর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। এই দুই পুলিশ সদস্যের একের পর এক অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় অন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ক্রমেই অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে।রায়পুরা থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসআই তারেক চন্দ্র শীল এবং সেকেন্ড অফিসার আল-মামুন রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা রফিকুল ইসলামকে গত ২২/১১/২০১৭ তারিখ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৩০ লক্ষ টাকা চাঁদার জন্য অমানসিক, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে রফিকুল এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাদেরকে সে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করলেও তারা রফিকুলের কাছ থেকে আরো ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করে।এক পর্যায়ে রফিকুল অতিষ্ট হয়ে পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে রায়পুরা থানার এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা এসআই তারেক চন্দ্র শীল এবং সেকেন্ড অফিসার আল-মামুন এর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে সঠিক কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় রফিকুল আতঙ্কে জীবন-যাপন করছে। বর্তমানে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে পালিয়ে থাকছে।ঠিক এমনভাবে বিগত সময়ে রায়পুরা থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে না সঠিক কোন পদক্ষেপ। আর এর ফলে নরসিংদী জেলার ২৪ টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ পড়ছে বিপদে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, নরসিংদীর সবগুলো থানার মধ্যে রায়পুরা থানাতেই সবচেয়ে বেশি অপরাধ কার্য চলছে।এই থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পর্কে একই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন রফিকুলের অভিযোগ সম্বন্ধে জানতে চাইলে বলেন, পুলিশ সুপারের নিকট রফিকুলের অভিযোগ সংক্রান্তে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ সুপারের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(আরও বিস্তারিত আসছে)
Share: