ব্যথার জলে খেয়া ভাসিয়ে
পৌঁছে গিয়েছি তোমার বুকের পারঘাটায়
গোমতী ধলেশ্বরীর বাঁধ ভেঙে
ভাঙা বেড়া কুঁড়ে ঘর হাঁকরে
মনস্তাপের গোলকধাঁধায় ।
বিকাশ গায়েন ডেকে যায়
বাঁশির সুরে
উঠে দাঁড়িয়ে পড়লাম যখন
ভাঙা আঙিনায়,
এই যে রাখলে দূরে ঠেলে
সমুহ বিনাশ মুছে,
অন্তসারহীন পৃথিবীতে ।
কেবল হোঁচট খেয়ে ইউক্যালিপটাস গাছ,
বিষণ্ণ ঝোপ ঝাড়
অযত্নে খোলা খোঁপা ।
শেষ কথা শেষ ছোঁয়া কবে যেন
ধারাপাত মনে নেই ঠিক;
আদরের মত পাগল
কেমন আছে ঠোঁট দুটো ?
ছুঁয়ে যাও জন্ম তিলক
বুকের মাঝখানে স্পর্শ ঘ্রাণে ।
ধুসর কুয়াশায় মোড়া
মনসিজে আকরিক ডুবলে
অনন্ত কুয়োর জলে ।