আমি সাহিত্যিক নই
সাহিত্যের ধারেকাছেও আমার বিচরণ নেই।
আমি কবি নই
গুছিয়ে কবিতা লেখা,ছন্দের মারপ্যাঁচ বোঝা, আমার কম্ম নয়।
আমি লেখিকাও নই
প্রতিবাদী ভাষা আমার আসেনা কোনকালেই।
আমি ধর্ষিতাকে কলমের গোড়ায় দাঁড় করাতে পারিনা।
মোমবাতি জ্বালিয়ে মিছিলে যোগ দিতে পারিনা।
কি লাভ করে??
পাতার পর পাতা ভরে কলমের কালি শেষ করেও শেষ পর্যন্ত লাভ টা কি হয়?
অপরাধী রা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াবে।
তাদের শাস্তি দেয়া এই কলমের কম্ম নয়।
রোজ ধর্ষণ নিয়ে কত লেখালেখি হয়
ধর্ষকেরা কত লেখকের জন্ম দেয়।
কত লেখকের কলম প্রতিবাদে গর্জে ওঠে ।
সবিতো ওই দুদিনের খোরাক।
সকালে উঠে খবরের কাগজে হামলে পড়ে
খোরাক খোঁজে।
বড় বড় চোখ করে অপরাধ খোঁজে,
নতুন নতুন ধর্ষিতা দের খোঁজে।
যৌতুকের অভাবে পুড়ে যাওয়া নিথর শরীর খোঁজে
না পেলেই যেন মন কেমন করে ।
সকাল বেলা একটা ধর্ষণ কিংবা খুন কিংবা
বধু নির্যাতনের খবর না পেলে জলখাবার টা ঠিক জমে ওঠেনা।
লেখকদেরও কলম চলেনা আর পাঠক দেরও মন ভরেনা।
আড্ডাবাজ দেরও আড্ডা জমেনা।
মোটকথা দিনে একটা রসালো খবর ছাড়া বিনোদন অসম্ভব।
এই সমাজ কে প্রতিনিয়ত খোরাক জুটিয়ে
হিসেব মত অপরাধীরাও সমাজ সেবামূলক কাজেই নিজেদের ব্যাস্ত রাখে।