কবিতা হিজড়া কবি ফেরদৌসী খানম রীনা
অামাদের এ সমাজে দেখি
কত হিজড়া,
এ সমাজের বঞ্চিত,
অবহেলিত তারা।
এক বিধাতার সৃষ্টি ওরা,
মানুষ রূপে গড়া।
তবু ওদের জীবনে নেই শান্তি,
দুঃখ-বেদনায় ভরা।
মানুষ হিসাবে তাদের ও
অাছে বাঁচার অধিকার।
সবখানে ঘুরে বেড়ায়,
করে সবার কাছে অাবদার।
চায় টাকা নইলে যাবেনা,
বসে থাকে একমনে।
কেউ দেয় কেউ দেয় না
হতাশা তাদের জীবনে।
জন্মসূত্রে ওরা মানুষ,
কোন মা-বাবার সন্তান।
শারীরিক বৈষম্যতার জন্য,
তারা হয় অপমান।
অামরা যদি তাদের প্রতি
হই একটু সদয়।
তবেই খুশি হবে হিজড়ারা,
বাচঁতে পারবে এ দুনিয়ায়।
হিজড়া হয়ে ওদের মনে,
অাছে কত দুঃখ!
সারা জীবন বয়ে কত যাতনা!
পায়না কোন সুখ।
তাই মনের দুঃখেই গান গায়,
মাঝে মাঝে নাচ দেখায়,
করে হাসি তামাসা,
সবাইকে হাসায়।
কেউ পরে শাড়ি অার চুড়ি,
কানে পরে দুল।
নিজেদের নাড়ী সাজাতে
করে না ভুল।
বিধাতা ওদের সৃষ্টি করেছেন,
এমন রূপে।
ছেলেও না মেয়েও অাশ্চর্য
এক কারুকার্যে।
মানুষ হিসেবে ওদের যদি
দেই একটু অাধিকার।
তবে খুশি হবে হিজড়ারা,
সাধ জাগবে বাঁচার।
হিজড়াদের অবহেলা না করে,
দিতে হবে কর্মসংস্থান।
কাজ শিখিয়ে যোগ্যতা বাড়িয়ে,
দিতে হবে তাদের সম্মান।
তবেই হিজড়ারা থাকবে ভালো,
হবে না লাঞ্চিত।
সমাজের কেউ ভাববে না,
ওদের অবাঞ্চিত।