এঞ্জেল নিপা'র এক গুচ্ছ কবিতা
নারী সত্ত্বা
নারী সুহাসিনী নারী মহীয়সী
নারী মমতার পথ,
নারী সাহসীনি নারী পুষ্পশশী
যুদ্ধ জয়ের রথ।
একটি নারী একটি পৃথিবী
মিলেমিশে একাকার,
নারী সত্ত্বায় প্রশান্তি যেমন
তেমনই হাহাকার।
নারী মানে মায়ের রূপে
ঈশ্বর আসা ভবে,
নারী প্রেমে বাগান সৃষ্টি
ক্রোধে ধবংস তবে।
নারী মা, নারী বোন,
নারী প্রেয়সী রূপে,
নারী ফুল, নারী যোদ্ধা
জীবন নামের ঝোপে।
নারী কবির লেখার প্রেরণা
নারী বুদ্ধিমত্ত্বা।
কবিতার মাঝে খুঁজে পাবে
হাজার নারীসত্ত্বা।
শরীর সাজাই-
নিমগ্ন মন চুরি যায় সারাক্ষন,
জীবন জুয়ায় বাজি ধরে।
অহেতুক মিথ্যে আলাপনে প্রলুব্ধ ,
জীবনকে করে তোলে কৌতুক।
যে যার মত নিঃসংকোচে বলে যায়।
নির্বোধ আমিত্বের দায় ভার কাঁধে তুলে,
হিংসার ফাঁদে।
খোলা আকাশের কাছে স্বপ্ন গুলো
দাও দেখো কত রঙে খেলে।
বৈরী বাতাসের কাছে সপে দাও আঁচল,
টেনে তোলে করে নাজেহাল।
উন্মাদ শরীর দেখো তোমার চোখের
কি জিজ্ঞাসায়।
তারায় তারায় খচিত স্বপ্ন গুলো,
জ্যোৎস্নার আলোর বিলাসিতায় রচিত।
এখনো বসে আছি কাব্য কথায় ধ্রুপদী
চেতনা বহির্ভূত সন্দিহান।
সমাজের কাছে পরাভুত,
আমার ইচ্ছার দায় ভার।
এ পুরুষ শাষিত সমাজে,নিজেকে করে তুলে
ক্রিতদাসী, আপন জীবন প্রবাহে উদাসী।
এখনো আমি স্বপ্ন কুড়াই,
অন্যের ইচ্ছার আধুলিতে,
ছুড়ে ফেলে আমার ভিক্ষার থালাতে।
অন্যোর ইচ্ছায় শরীর সাজাই রূপবতী।
তুমি আছো বলে আমি
হাত বাড়িয়ে দাও
আমি তোমার কাছে যাবো,
আঁখি পল্লবে এঁকেছি মেঠোপথ
গোধুলীর আলোয় ধুলোমাখা আলতা
রাঙা পায়ে নুপুর পরিবেষ্টিত
ভালোবাসার সীমানা ছুঁয়ে দেবো কাছে এসে,
তুমি যতো দূরেই থাকো না কেন
তোমার কাছে যাবোই ।
-
নীরবে জাগরণে প্রকাশ্য গোপনে
ক্ষতবিক্ষত হৃদয় আমার
প্রতীক্ষার তিন প্রহর সময় পেরিয়ে
পৌঁছে গেছে তোমার তুমিতে,
তাই আমি এখন তুমি হয়ে গেছি ।
কেন দূরে থাকো, হুম ?
বাড়িয়ে দাও হাত,
আমি তোমার কাছে যাবো।
-
সূর্যের জ্যোতির মতো অবিকৃত উদ্ভাসিত প্রেম
ধ্বনিত সেতারার আলোর বলয়ে
স্বপ্ন বুনি,
আমার ভিতরেও একটা আকাশ আছে
যা জগৎকে জিঙ্গেস করে জেনে নিয়েছি
প্রাক্কালেই,
প্রেম আছে বলেইতো পৃথিবী আছে
যেমন তুমি আছো বলে আমি আছি চিন্ময় ।
হ্যালো প্রিয় ,শুনতে পাচ্ছো?
হাত বাড়িয়ে দাও
আমি তোমার কাছে যাবো।।