আবুল কালাম আজাদ, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি: শীত আসে, সেই সঙ্গে হাজির হয় পিঠা উৎসব। শীতকে আমরা বরণ করে নিই এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। প্রবাসেও বিভিন্ন শহরে পিঠা নিয়ে উৎসবেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রবাসেও নর-নারীরাও এই আয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না।
বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরই পিঠা উৎসব করে থাকে সিডনির ল্যাকেম্বায় প্রবাসী বাংলাদেশি উইমেন এসোসিয়েশন (পিবিডাব্লিউএ) সংগঠন। পিঠা উৎসবের আয়োজন ছিল গত ৬ জুলাই সিডনি ল্যাকেম্বার চার্চ কনফারেন্স রুমে।
শীতের মজাদার প্রচলিত পিঠার মধ্যে চিতই, পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, পাকন, নারকেল পিঠা, ভাঁপা পিঠা, ঝাল পিঠা, মেরা পিঠা, নারকেলের গুরের নাড়ু বানিয়েছেন কেউ কেউ। কেউ আবার নকশা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, চালের রুটি, সেমাই পিঠা, ক্ষীরপুলি পিঠা তৈরি করেছেন।
এছাড়াও স্পন্স রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, সূজীর পোয়া পিঠা, হ্নদয় হরণ পিঠা ও রকমারী পিঠার সমাহার ছিল। বেশীর ভাগ পিঠাই স্থানীয় গৃহিনীরা নিজের হাতে তৈরি করেছিল। পিঠা ছাড়াও বেশ কয়েকটি শাড়ি চুড়ির স্টল ছিল। অনুষ্ঠানটিতে স্থানীয় শিল্পীদের গান পরিবেশন করা হয়। সকাল এগারোটায় শুরু হয়ে পিঠা উৎসব চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
স্থানীয় গৃহিনীরা নিজের হাতে তৈরি করে নিয়ে এসেছিলেন এসব পিঠা । ‘প্রবাসী বাংলা’ আয়োজকদের মধ্যে ছিল ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনা। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই মেলা আয়োজন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন ফয়জুন পলি এবং পিঠা উৎসবের সহযোগীতায় ছিলেন ফারহানা মোস্তফা, ফেরদৌস সুলতানা ও আমেনা খাতুন।