শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭

পিছে নয়, সৎসাহস থাকলে সামনে এসে বলবেন

আমার ওপর ঈর্ষা থেকে ওদের মনে জন্ম নেবে ক্ষোভ। সেই ক্ষোভ থেকে অনেকেই আমার নামে গীবত রটিয়ে বেড়াবে, আমি যা করিনি বলিনি তাই বলে বেড়াবে, আমার সম্পর্কে নানা মিথ্যা কথা বানিয়ে বলবে, আমার উঠতে বসতে হাঁটতে শুতে দোষ খুঁজবে।

ওরা সংঘবদ্ধভাবে আমার পিছে লাগবে। ওরা চায় আমাকে অশান্তিতে রাখতে, যাতে আমি আমার কাজ করতে না পারি, এগিয়ে যেতে না পারি। আমি এগিয়ে গেলে ওদের ক্ষতি! এমনকি ওরা সুযোগ পেলে আমার সর্বোচ্চ ক্ষতি করতেও পিছপা হবে না, আমি জানি। আর আপনি আমার প্রকৃত বন্ধু হলে, আমার বিশ্বাস আপনি ওদের বানানো কথা বিশ্বাস করবেন না।

 কোনো কিছু জানার থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে সন্দেহ থাকলে সরাসরি আমার কাছেই জানতে চাইবেন, আমি খুশি হবো। আর এই যে আপনি, যিনি আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে বেড়াচ্ছেন, আপনার কথার ভিত্তি থাকলে বা সৎসাহস থাকলে পিছে না বলে সামনে এসে বলবেন।
.
দুনিয়ার অধিকাংশ নির্ভেজাল নিরীহ গুণী মানুষই একা। তারা অন্যের সম্পর্কে বাজে কথা বলে বেড়ান না, এত সময় তাঁদের নেই। পরচর্চা করার চেয়ে ঐ সময়টা অন্য কোনো গঠনমূলক কাজে লাগানো ভালো বলে মনে করেন তাঁরা। তাঁরা শুধু নিরবে কাজ করে যান। আর খারাপ লোকগুলো সবসময় সংঘবদ্ধ থাকে। যার যোগ্যতা যত অল্প, তার আড়ম্বর তত বেশি।
.
আমার কাছে, পরচর্চা তেলবাজি আড্ডাবাজির চেয়ে মুভি দেখা বই পড়া অথবা লেখালেখি করাকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বা ভালোলাগার কাজ বলে মনে হয়। তাই বলে আমাকে দুর্বল ভাববেন না। মাথায় রাখবেন, আপনার চেয়ে হয়তো অনেক বেশি বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে আমি এসেছি, একা লড়তে আমি অভ্যস্ত। এখন আমাকে যেমন দেখছেন, আগেও আমি এমন ছিলাম, আগামীতেও থাকবো, আমার পূর্বপুরুষও এমনই ছিলো।

উচিত কথা বলবেন, বন্ধু হতে চাইবেন, বন্ধু হবেন, আপনার জন্য আমি জীবন দিতে পারি। কিন্তু অন্যায্য কথা বলে বা কাজ করে আপনি পার পাবেন না, এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকুন।

এবং, আমাদের চিন্তা-ভাবনায় পরিবর্তন আনতে হবে। আমাদেরকে কাজ করতে হবে। অন্য যে গুণী মানুষটি কাজ করে অনেক পরিশ্রম করে এগিয়ে যাচ্ছে, আপনি তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা না করে, তার সম্পর্কে বাজে কথা না বলে, তার চেয়ে বেশি পরিশ্রম করে কী করে তাকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায়, সেটা ভাবুন। সবাই এভাবে ভাবলে এবং কাজ করলে দেশটাও এগিয়ে যাবে।

মোঃ মেহেদী হাসান।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট
সম্পাদক,আমাদের বাংলাদেশ ডট নেট। 

মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৭

সিঙ্গাপুরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে বাংলাদেশি এক ডজন শ্রমিক

সিঙ্গাপুরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার ১২ বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিক। বেতন না পেয়ে তারা না পারছেন দেশে আসতে, না পারছেন সিঙ্গাপুরে থাকতে। এসব বাংলাদেশির প্রতিজনের পাওনা কয়েক হাজার সিঙ্গাপুরী ডলার। কিন্তু তাদের নিয়োগকারী এসজেএইচ ট্রেডিংয়ের শাহজাহান এ দাবিকে অস্বীকার করছেন। বাংলাদেশি এসব শ্রমিকের দুর্ভোগকে ইংরেজিতে ‘লিম্বো’ দিয়ে আখ্যায়িত করেছে সিঙ্গাপুরের অনলাইন দ্য স্ট্রেইটস টাইমস। লিম্বো শব্দে অর্থ হতে পারে নরক যন্ত্রণা। তার মানে এসব বাংলাদেশির দুর্ভোগকে স্ট্রেইটস টাইমস নরক যন্ত্রণা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এসব শ্রমিকের মধ্যে কয়েকজন হলেন আমিনুল (৪৬), হাসান মেহেদি (৪৬), সাইজুদ্দিন (৪৮), জামান (৪৬), কাদির (৪৭), শফিকুল (৩৭), মোহাম্মদ লিটন (৪৫) ও মনিরুল ইসলাম (২৯)। প্রথমে বেতনভাতা না পাওয়া এ শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন দাবি করে এ বছরের প্রথম দিকে সিঙ্গাপুরের মানবসম্পদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করা হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হওয়ার পর যুক্ত হয় ট্রাইপার্টিট এলায়েন্স ফর ডিসপুট ম্যানেজমেন্ট। তারপর এ বিষয়টি চলে যায় এমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মামলার সুরাহা হয়নি। যেহেতু কর্তৃপক্ষ এ মামলাটি দেখাশোনা করছে তাই বাংলাদেশি এসব শ্রমিকের অন্য কাজের অনুমোদন আপাতত বন্ধ। তারা অন্য কোথাও কাজে যোগ দিতে পারছেন না। এজন্য নিজেদের খরচও জোগাড় করতে পারছেন না। এ অবস্থায় তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়। তারা এখন মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষা করছেন। দ্য সানডে টাইমস গত শুক্রবার এমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস ট্রাইব্যুনালে শুনানির পর এমন ৮ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। তাদের বেশির ভাগেরই বয়স ৪০ এর কোটায়। তারা বলেছেন, তাদের সঙ্গে কোম্পানির মাসে ১৬০০ ডলার বেতনের চুক্তি হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে ওভারটাইমের বিল। কিন্তু তাদের বেতন দেয়া হয়নি। তাছাড়া কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে, তাদের যে কাজের বিপরীতে যে স্লিপ দেয়া হয়েছে তা ভুয়া। তারা বলেছেন, সিঙ্গাপুরে পৌঁছার পর তাদের জালান সুলতানে অবস্থিত শাহজাহানের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেতনের ফাঁকা ভাউচারে তাদের আঙুলের ছাপ দিতে বলা হয়। যারা তা দিতে অস্বীকৃতি জানান তাদের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করার হুমকি দেয়া হয়। বলা হয় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু এমন ঝুঁকি নেয়া তাদের অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়নি। কারণ, তারা সিঙ্গাপুরে যেতে প্রায় ৭০০০ ডলার পর্যন্ত ঋণ করেছেন। এদের একজন হাসান মেহেদী (৪৬)। তিনি ১২ই জানুয়ারি সিঙ্গাপুরে পৌঁছেন। তার পরিবারের ৯ সদস্যের তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার দাবি এসজেএইচ ট্রেডিং কোম্পানিতে তার বেতনের ১৬৯১০ ডলার বাকি। এর সঙ্গে রয়েছে ওভারটাইমের বিল। তাকে যখন বেতনের ফাঁকা ভাউচারে আঙুলের ছাপ দিতে বলা হয় তখন তিনি কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি আঙুলের ছাপ দিতে পারবেন না। মেহেদী বলেন, আমার সামনে ঝুঁকি ছিল। আমি ভীত হয়ে পড়েছিলাম। কারণ, সিঙ্গাপুরে আসতে আমাকে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। প্রতি মাসে এ জন্য ব্যাংকে আমাকে দিতে হয় ৬০০ ডলার। যদি আমি ওই সময় ওই ফাঁকা ভাউচারে স্বাক্ষর না করতাম তাহলে আমাকে তারা ফেরত পাঠাতো বাংলাদেশে। তাই ওই ভাউচার ফাঁকা থাকলেও তাতে আমি সই, স্বাক্ষর দিই। এসব শ্রমিক বলেছেন, কোম্পানিতে তাদের বস ফাঁকা ভাউচারে পরে লিখে দিয়েছে যে, তাদের পূর্ণ বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। তাই এসব ডকুমেন্টকে শাহজাহান প্রমাণ হিসেবে দেখাতে পারেন। কিন্তু তাও যদি তিনি প্রমাণ হিসেবে দেখান তাতেও তার গরমিল ধরা পড়ে। কারণ, এসব শ্রমিককে মাসে ১৬০০ ডলার বেতন দেয়ার শর্তে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ‘ভুয়া’ ভাউচারে দেখানো হয়েছে এর চেয়েও অনেক কম। মেহেদী হাসান বলেছেন, তাকে জানুয়ারি মাসে দেয়া হয়েছে ২১০ ডলার। ফেব্রুয়ারিতে দেয়া হয়েছে ৩০০ ডলার। মার্চে দেয়া হয়েছে ১৮৭ ডলার। এপ্রিলে দেয়া হয়েছে ১৬৭.৭৫ ডলার। কিন্তু তার পর মে, জুন, জুলাই তিন মাস পেরিয়ে গেছে। আমাদের ১০ সেন্টও বেতন দেয়া হয়নি। কেন বেতন দেয়া হচ্ছে না এটা শাহজাহানকে জিজ্ঞেস করেন মেহেদী। ফলে এরপরের দিন ১১ই জুলাই তার ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে দেয়া হয়। অন্য শ্রমিকরা বলেছেন, তারা অল্প পরিমাণ অর্থের বিপরীতে বেতনের ভাউচারে স্বাক্ষর করেছেন। এর পরিমাণ ৫০ ডলারের মতো। কিন্তু ওই ৫০ ডলারের স্থানে তিনি ১৬৫০ ডলার লিখে নেন পরে। সিঙ্গাপুরের একাউন্টিং অ্যান্ড কর্পোরেট রেগুলেটরি অথরিটির রেকর্ড অনুযায়ী এসজেএইচ ট্রেডিং প্রতিষ্ঠা করা হয় ২০১৫ সালের মার্চে। এর মালিক দু’জন বাংলাদেশি। তাদের একজন এমএ আহমেদ। তিনি বসবাস করেন ঢাকায়। অন্যজন মিসেস সুমাইয়া জাহান। তিনি বসবাস করেন উডল্যান্ডস হাউজিং বোর্ডের একটি ফ্লাটে। এ বিষয়ে টেলিফোনে স্ট্রেইটস টাইমস যোগাযোগ করে শাহজাহানের সঙ্গে। তখন তিনি নিজেকে কোম্পানির ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দেন। সুমাইয়া জাহান তার মেয়ে এবং স্ত্রী লুৎফর নাহার কোম্পানির পরিচালক। শ্রমিকদের কম বেতন দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাহজাহান। তিনি বলেছেন, আমার কাছে এ বিষয়ে প্রমাণ আছে। উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমান শাহজাহান (৫৩)। ১৯৯৮ সালে সেখানকার একজন স্থায়ী অধিবাসীতে পরিণত হন। তিনি বলেছেন, তার নির্মাণ ও নবায়ন বিষয়ক কোম্পানিতে ১৩০ জন শ্রমিক কাজ করেন। তাদের মাত্র ১৩ জন এমন অভিযোগ করেছেন। তার ভাষায়- তারা আমার নামে কলঙ্ক লেপন করতে চায়। এ সময় তিনি বলেন, যদি সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ এসব শ্রমিককে বেতন দেয়ার নির্দেশ দেয় তাহলে আমি তা দিয়ে দেবো। ওদিকে বাংলাদেশি এসব শ্রমিকের অনেকেই শুক্রবার দ্য সানডে টাইমসকে বলেছেন, তাদের হাতে অর্থ না থাকার কারণে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারছেন না। শাহজাহান বলেন, গেলাং রোডে একটি শপহাউজে শ্রমিকদের জন্য রান্না হয়। ওই স্থানে কিছু শ্রমিকও বসবাস করেন। তিনি বলেন, আমি তাদের মানসম্মত খাবার দিই। আমার নিজের জন্য রান্না করা খাবার তাদের দেই। আমার জন্য এসব খাবার রান্না করেন আমারই শ্রমিকদের একজন। আমি তো তাদের পাঁচ তারকা হোটেলের খাবার খাওয়াতে পারবো না। শাহজাহানের দেয়া তথ্যমতে গেলাংয়ে লরোং ১৩ তে ওই শপহাউজ দেখতে যান দ্য সানডে টাইমসের সাংবাদিক। এ সময় তারা দেখতে পান, তরকারি ও ভাত রান্না হচ্ছে। যেখানে রান্না হচ্ছে তা দু’টি টয়লেটের পাশেই। ভাত রান্নার দুটি বড় পাত্র কালি আর ময়লায় কালো হয়ে গেছে। তরলীকৃত গ্যাসের ট্যাংক রাখা রান্নাঘরের এক কোণে। প্লাস্টিকের একটি বাস্কেটে রাখা চাল। আলু রাখা বস্তায়। তার সঙ্গেই ২০ জোড়ার বেশি জুতো। এ সময় সাংবাদিকরা সেখানে দেখতে পান ১২ জন শ্রমিককে। তাদের একজন নিজেকে শুধু ফোরম্যান হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ওই জায়গাটিতে মাত্র ৮ জন মানুষ থাকা যায়। বাকি যারা আছেন তারা বেড়াতে গিয়েছেন।

♦সূত্র :দৈনিক মানবজামিন। 

শনিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৭

বিআইজেএফ সভাপতি আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন


দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) নতুন সভাপতি আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ এবং সাব্বিন হাসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০১৭-১৮ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন নিউজ এবং সাব্বিন হাসান টেক ওয়ার্ল্ড বিডিতে কর্মরত।

শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার মোস্তাফা জব্বার।

তারা ছাড়াও কার্য-নির্বাহী পরিষদে সহ-সভাপতি পদে টেক ওয়াের্ল্ডর নাজনীন নাহার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সকালের খবরের তরিকুর রহমান বাদল, প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক পদে প্রিয় ডটকমের মিজানুর রহমান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ পদে সিনিউজের গোলাম দস্তগীর তৌহিদ, কম্পিউটার বিচিত্রার ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইমরাদ তুষার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং নির্বাহী সদস্য পদে মাসিক কম্পিউটার বার্তা খালেদ আহসান ও বণিক বার্তার সুমন আফসার নির্বাচিত হন।

এবারে মোট ভোটার ছিলেন ৬৬ জন। সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছিলেন আমাদের সময়ের ওয়াশিকুর রহমান শাহীন যিনি পেয়েছেন ১৩ ভোট, কম্পিউটার জগত থেকে রাহিতুল ইসলাম রুয়েল ২০ ও আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ ২৯ ভোট।

প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় আগেই সহ-সভাপতি পদে নাজনীন নাহারকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছিল।
এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে সমকালের হাসান জাকির ১০, নয়া দিগন্তের নাজমুল হোসেন ২১, সিনিউজের নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব ৭ ও সাব্বিন হাসান ২৪ ভোট পেয়েছেন।

যুগ্ম সম্পাদক পদে তারিকুর রহমান বাদল ৩৭ ও এনামুল করিম ২৫ ভোট, প্রকাশনা ও গবেষণা সম্পাদক পদে মোস্তাফিজুর রহমান সোহাগ ২৯ ও মিজানুর রহমান সোহেল ৩৩, কোষাধ্যক্ষ পদে গোলাম দস্তগীর তৌহিদ ৪৩ ও খন্দকার শাহরিয়ার হাসান ১৯, সংগঠনিক সম্পাদক পদে ইউসুফ চৌধুরী ১৭ ও ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইমরাদ তুষার ৪৫ এবং নির্বাহী সদস্য পদে সোহেল রানা ২৫, খালেদ আহসান ৩৬, খালিদ সাইফুল্লাহ ১৬, মাহবুবুর রহমান ২১ ও সুমন আফসার ২৬ ভোট পেয়েছেন।


শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

একজন গণমানুষের উপাচার্য-অলি মাহমুদ


vc sir
বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর হয়ত স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার।আর সেই বিশ্ববিদ্যালয় যদি হয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাহলেত আর কোনো কথাই নেই। তারওপর বিষয়টি যদি এমন হয় সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক যদি তাঁর ছাত্রদের মতই সাধারণ জীবনাচরণে অভ্যস্ত হয় তাহলে বিষয়টা কেমন দাঁড়ায়? শিরোনাম দেখে অধিকাংশ পাঠকের নিশ্চয় বুঝার বাকি থাকবেনা কাঁর কথা বলছি। জ্বি আমি অধ্যাপক ড. আবুল আহসান মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন সিদ্দিক স্যারের কথা বলছি। যিনি ছাত্র- শিক্ষক আর অভিভাবকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সাধারন মানুষের সাথে মেশার এবং তাদের কথা মনোনিবেশ করে শোনার অফুরান ইচ্ছাশক্তি অর্জন করেছেন।তিনি সাধারন কর্মচারী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার ছাড়াও সমাজের প্রতিটি শ্রেণীপেশার মানুষের অকৃত্রিম বন্ধুতে রুপ নিয়েছেন। তাঁর ডায়রীতে দিন আর রাত বলতে কিছু নেই;সকাল আর বিকেলের কোন তফাৎ নেই ; সন্ধা কিংবা গভীর রাতের মাঝে কোন অমিল নেই। সকাল সাতটা টা থেকে রাত তিনটা এখানে সময়ের অনেক তফাৎ শুধুমাত্র একটা জায়গায় মিল তা হলো প্রতিটি মুহুর্তে তিনি কাজের মাঝে আছেন। হয় কোন ছাত্রের সমস্যার কথা শুনছেন, না হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে ভাবছেন অথবা সমাজের অন্যকোন শ্রেণীপেশার মানুষের কথা শুনছেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো ভোরের কাচা আলো সকালে পরিণত হয়,সকালের আলো দুপুরে,দুপুর বিলিয়ে পরে পড়ন্ত বিকেলে, বিকেলের আলো মিশে যায় সন্ধার লগ্নে, সন্ধা থেকে গভীর রাত হয় কিন্তু মানুষটির মুখে কখনো বিরক্তির ছাপ খুজে পাওয়া যায়না। তিনি এতে পরম আনন্দ পান শুধুমাত্র তাই নয় যাঁরা স্যারের কাছে যান তাদের অধিকাংশই বিনা কাজে স্যারকে ভালোবেসেই যান। অন্যের কথা শুনা যদি শিল্প হয়ে থাকে তাহলে আরেফিন সিদ্দিক স্যার নিঃসন্দেহে জগতের শীর্ষ শ্রবণশিল্পী। এরকম মানুষ সত্যি পৃথিবীতে বিরল। যিনি শুধু ধৈর্য সহকারে শুনেন এবং পারতপক্ষে কথা কম বলার চেষ্টাই করেন না বরং সমাধানেরও চেষ্টা করেন। এ পৃথিবীতে বলার মানুষের অভাব নেই কিন্তু অপরের কথা শুনার মত মানুষের বড়ই অভাব।এক্ষেত্রে আরেফিন সিদ্দিক স্যার সম্পূর্ণ ভিন্ন। কথাগুলো হয়ত অনেকের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে কিন্তু বাস্তব সত্য হলো স্যার এরকমই মানবিক একজন মানুষ। কাছে থেকে যাঁরা দেখেছেন তারাই শুধুমাত্র আরেফিন স্যারের দৃড়তা ও পাথর চোখের দৃষ্টি উপলব্ধি করেছেন। যে দৃষ্টিতে তিনি সব মানুষকে সম মূল্যয়ন করেন। আমি নিজ থেকে যা দেখেছি, নিজের চোখে যা দেখেছি তাই বলেছি। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র ছিলাম।ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান স্যারের কাছে গেলেই হাত পা কেপে ওঠতো আর উপাচার্যতো বহু দূরের কথা। পক্ষান্তরে আরেফিন সিদ্দিক স্যার সম্পূর্ণ উল্টো। স্যারের সামনে গেলে সাহস বাড়ে, মনে শক্তি পায়। স্যারের সাথে প্রথম পরিচয়টা যদিও লেখালেখির মাধ্যমে এবং সেটা আমার কলেজ জীবনে। তখনো একজন উপাচার্য কি এবং তাঁর সময়ের মূল্য কেমন তা ভালোভাবে বুঝে ওঠেনি। ঐসময়ে স্যারের কাছে বসে থাকতাম মিনিটের পর মিনিট ঘন্টার পর ঘন্টা আর এখন যখন কিছুটা বুঝতে শিখেছি উপাচার্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়;এখন আর এতটা সময় নেই না ঠিকই কিন্তু স্যারের কাছে এসে বসে থাকার অভ্যাসটা রয়ে গেছে। এটাকে আমি আমার অভ্যাস বলছিনা,এটা আমার বদঅভ্যাস। কারন সময় অসময় না বুঝে স্যারের কাছে গিয়ে বসে থাকি।নিজের সাথে প্রতিঙ্গা করেছি মানুষটি যেখানেই থাকুক আর আমি যতদিন বেঁচে থাকবো আমার সব বদঅভ্যাস পরিবর্তন করলেও আরেফিন স্যারের কাছে কারনে অকারনে আসার বদঅভ্যাসটা জিইয়ে রাখবো।মানুষটির কাছে কিছু চাইনি,কখনো কিছু চাইবোনা, শুধু চাই স্যারের কাছে বিনা নোটিশে আসা- যাওয়ার সিলমোহরটা কারন এখানেই যে আমার সুখ, এখানেই আমার বিশ্বাস, আরেফিন সিদ্দিক স্যারেই আমার প্রাপ্তি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তথা এদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে বহুজনের নামের পাশে উপাচার্য যোগ হয়েছে কিন্তু আরেফিন সিদ্দিক স্যার একজনই। তিনি বিরল। সবার চেয়ে আলাদা। সর্বসাধারনের ভালোবাসার ভান্ডার। আরেফিন স্যারকে যারা ভালোবাসেন তাঁরা অকারনেই ভালোবাসেন, কোনো প্রয়োজনে নয় অপ্রয়োজনে ভালোবাসেন। আর এটাই স্যারের বড় এবং একমাত্র অপরাধ। কিছু মানুষ আরেফিন স্যারের মত হতে চাই,স্যারের মতই করে সাধারন মানুষের ভালোবাসা পেতে চাই আর যখন না পায় তখন স্যারের পেছনে কুছায়া হয়ে ঘুরে বেড়ায় কিন্তু তারা জানে না স্যারের শক্তি কোথায়? আরেফিন স্যারের বড় শক্তি হলো স্যারের সততা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে নাকি লবিং প্রয়োজন হয় কিন্তু অনেকে হয়ত জানেন না আরেফিন স্যারের লবিং কে?আরেফিন সিদ্দিক স্যারের লবিং- এর নামও সততা। অার এ সততা বলেই আজ সাধারন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সর্ব সাধারনের কাছে অসাধারন একজন সত্যিকারের মানুষ।সেই সাথে একজন সফল গণমানুষের উপাচার্য
ভাস্কর ও লেখক: অলি মাহমুদ, সম্পাদক, বাংলা দর্পন