কাব্যগ্রন্থ "চাঁদেরও কিছু বিষাদ ছিলো" নিয়ে বইমেলায় আসছে ঢাবির দুই তরুণ।
ফখরুল হাসান ঃ-
তাজওয়ার রিজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে । ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে। এটা তার ২য় কাব্যগ্রন্থ। বইয়ে আরো একজন কবির কবিতা আছে। উনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে পড়েন। গত বইমেলায় তাদের দুজনের একটি বই বেরিয়েছিল "কবিতা কিংবা মধ্যরাতের প্রলাপ"নামে। বইটি অনেক প্রশংসা কুড়িয়েছিলো। এবারও সেই দুজন মিলেই নতুন চিন্তা চেতনা নিয়ে দ্বিতীয় বইটা করে ।
চাঁদ, জ্যোৎস্না মোটামুটি সবারই খুব প্রিয়। এমনকি প্রচন্ড অর্থলোভী কর্মচারীটিও হুট হাট গভীর রাত্রে চাঁদের দিকে তাকায়। জ্যোৎস্নার মধ্যে খুব অদ্ভুত একটা ব্যাপার আছে, মোবাইলের ফ্ল্যাশলাইট জ্বালিয়ে তা পাওয়া যায় না৷ তবে এই অনিন্দ্য সুন্দর সবসময় দূর থেকেই উপভোগ করা যায়, কিন্তু কখনো কাছে যাওয়া যায় না। আবার হয়তোবা যায়, নীল আর্মস্ট্রং একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছিলেন, কিন্তু তিনি গিয়ে দেখলেন সেখানে খালি খটখটে পাথর। জ্যোৎস্নাকে ধরতে গিয়ে খালি মাটি পাথর এর স্বাদ নিয়ে ফিরে এলেন।
প্রতিটি মানুষও এরকম চাঁদের মত। দূর থেকে খুব সুন্দর, চমৎকার, হাসিখুশি। দূর থেকে দেখতেই ভালো লাগে। কিন্তু কেউ যদি বেশি কাছে চলে যায়, তবে দেখবে অন্ধকার কূপ, এক বিরাট শূণ্যতা, তীব্র বিষাদ। এই বিষাদের কথা আমরা জানি না, হয়তো জানতে চাইও না। গভীর নিশীথে নিবিড় জ্যোৎস্নায় গাঢ় অন্ধকার যখন জীবন্ত হয়ে ওঠে, তখন চাঁদেরও যে কিছু বিষাদ থাকে, তা আমরা জানতে পারি না।
কখনোই পারি না।
"চাঁদেরও কিছু বিষাদ ছিলো"
কাব্যকারঃ তাজওয়ার রিজন ও নিলয় সাঈদ
প্রকাশনীঃ এক রঙ্গা এক ঘুড়ি।
পাওয়া যাবেঃ অমর একুশে বইমেলা ২০১৯