বুধবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮


বাংলাদেশেও দুর্নীতি দমন কমিশন রয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন সময় দুর্নীতি দমনের জন্য নানা তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়ে থাকে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো-
সে দুর্নীতি দমন কমিশন ও তদন্ত কমিটির মধ্যেই দুর্নীতিঅনুপ্রবেশ করে।ফলে পুনরায় দুর্নীতি শুরু হয়ে যায়।সেটা দমন করার জন্য আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়,দেখা যায় তার ভিতরেও আবার দুর্নীতি প্রবেশককরে।এভাবে অপ্রতিরোধ্য গতিতে দুর্নীতির পরিধি ক্রমেই বিস্তীর্ণ হতে থাকে।এতে সমস্যা আরও জটিল হতে থাকে,প্রয়োজনীয় সমাধানের কিছুই হয় না।হবেই বা কিভাবে?আসল সমাধানের আশ্রয় না নিয়ে অন্য দিকে ছুটাছুটি করা হচ্ছে।
অথচ এ সমস্যার প্রকৃত ও আসল সমাধান হচ্ছে আল্লাহভীতি ও তাকওয়া।যা একজন মানুষকে খাঁটি, সত্যনিষ্ঠ বানাতে সক্ষম।তাকওয়া ও আল্লাহভীতির মত মহৎ গুণ মানুষের মধ্যে কিভাবে তৈরী হবে?

সুপ্রিয় পাঠক!
এপ্রসঙ্গে আপনাদের সম্মুখে একটি ঘটনা পেশ করছি।
একদা হযরত ওমর রাঃ সফরে বের হলেন।পথ চলতে চলতে এক জায়গায় গিয়ে দেখতে পেলেন,জনৈক রাখাল বকরী চড়াচ্ছেন।রাখালকে সম্বোধন করে তিনি বললেন,আমাকে এক পেয়ালা দুধ পান করাবে?
রাখাল বলল, আপনাকে দুধ পান করাতে পারা আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল।কিন্তু দুঃখজনক হল-এসব বকরীর মালিক আমি নই এবং কাউকে দুধপান করানোর জন্য মালিক আমাকে অনুমতি দেয়নি।
হযরত ওমর রাঃ এর অব্যাস ছিল তিনি ঘুরে ঘুরে প্রজাসাধারণেরর অামানতদারী ও ঈমান আমলের বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে পরীক্ষা করতেন।সেমতে তিনি রাখালের অামানতদারী পরীক্ষা করার জন্য বললেন,আচ্ছা আমি তোমাকে কিছু টাকা পয়সা দেই,বিনিময়ে তুমি আমাকে এই দুধল বকরীটি প্রদান করবে।এতে দুটি সুবিধা-এক,আমি দুধ পান করে ক্ষুদা নিবারণ ও এর দুধ খেতে পারবো।দুই, তুমি কিছু টাকা কড়িরও মালিক হলে।বকরীটির ব্যাপারে মালিক তোমাকে জিজ্ঞেস করলে বলবে,একটি হিংস্র প্রাণী তাকে খেয়ে পেলেছে।হযরত ওমর রাঃ এর কথা শুনে রাখাল বলল   ياهذا فاين الله ؟
হে আল্লাহর বান্দা!তাহলে আল্লাহ কোথায়?
তিনি তো সবকিছুই দেখছেন।একজন সাধারণ রাখালের এরূপ মনোভাব ও আর্লাহভীতি দেখে
হযরত ওমর রাঃ বললেন,তোমার মত মানুষ যতদিন পৃথিবীর বুকে থাকবে, ততদিন এর কোনো অকল্যান হবে না।

মহান আল্লাহ আমার সকল গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছেন,আমার সবকিছুই দেখছেন,সবসময় এরূপ চিন্তা অন্তরে জাগরুক রাখাই আল্লাহভীতি ও তাকওয়ার মূল কথা।তাইতো মহান আল্লাহ তা'য়ালা পবিত্র কুরআনে তাকওয়ার নির্দেশ দেয়ার সাথে সাথে বলে দিয়েছেন,জেনে রাখ তোমাদের সকল কৃতকর্ম সম্পর্কে মহান আল্লাহ সম্যক অবগত আছেন-
আল্লাহ তা'য়ালা বলেন-
واتق الله ان الله خبير بما تعملون.

আল্লাহকে ভয় কর,অনন্তর মহান আল্লাহ তোমাদের সকল কৃতকর্ম সম্পর্কে খবর রাখেন।সূরা হাশর-১৮

আল্লাহ তা'য়ালা সবকিছু দেখেন এবং সব বিষয়ে আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে আল্লাহর কাছে।
এ চিন্তা মানুষের মধ্যে তাকওয়া ও অাল্লাহভীতি সৃষ্টি করে আর সে আল্লাহভীতিই মানিষকে যাবতীয় পাপাচার থেকে মুক্ত রাখে।
তাকওয়া অর্জনের আরেকটি পন্থা,,
আগামী পর্বে ১৯-০১-২০১৮

ধারাবাহিক চলবে-ইনশা আল্লাহ্

শুক্রবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৮

কবি কামাল আহমেদ এর কবিতা বাংলাদেশ


♥বাংলাদেশ
- কবি কামাল আহমেদ

তুমি নদীমাতৃক, তুমি মায়ার প্রতীক
তুমি শহীদের স্লোগান আদেশ
তুমি রক্তিম পথিক, তুমি ভাষার প্রেমিক
তুমি আমার প্রিয় বাংলাদেশ।
তুমি সবুজ সমাহার, তুমি মার্চের কালো আধার
তুমি ৭১এর প্রথম ডিসেম্বরের শেষ
তুমি স্বপ্নের বাহার, তুমি ভালবাসার পাহাড়
তুমি লাল সবুজের বাংলাদেশ।
তুমি মায়ার বাঁধন, তুমি ৯টি মাসের সাধন
তুমি আমাদের গর্ব স্বদেশ
 তুমি লক্ষ শহীদের মরণ, তুমি উজ্জলতার নতুন ধরন
তুমি  হৃদয়ে আকা আমার বাংলাদেশ।

আলোকিত তারুণ্যের প্রতীক অলি মাহমুদের আজ জন্মদিন



নিজস্ব প্রতিবেদক: অলি মাহমুদ। জন্ম ৫ জানুয়ারি। রত্নভূমি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদীর তীরবর্তী ধুকুন্দী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মবিশ্বাসী, নিষ্ঠা, দৃঢ় চিত্তের এক তরুণ অলি মাহমুদ।

তরুণ বয়স থেকে সে শিল্পকলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংগঠনিক কাজে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এরই মধ্যে কাজের মধ্যে দিয়ে সুধী সমাজ ও জাতীয় পর্যায়ে সকলের নজর কেড়েছেন।

অলি মাহমুদ সম্পাদিত শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক “বাংলা দর্পণ” পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে এই টগবগে তরুন। 

সেই সাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রকাশনায় তার সৃজনশীল কর্মকান্ড ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রয়েছে। তরুণ সংগঠক হিসেবে সামাজিকও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে ইতোমধ্যে সফলতার পরিচয় রেখে চলেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলা বিষয়ে অর্নাস ও মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর দেশের বাইরে ও দেশে একাধিক শিল্পকলা বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহন করা ছাড়াও বিভিন্ন প্রদর্শনীতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। শিল্পকলার প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই সংস্কৃতির পথে তার এই পথচলা শুরু। অলি মাহমুদ এক প্রতিভার নাম যার অসামন্য গুণের দ্বারা শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সমাজের মধ্যে অসাধারণ সমন্বয় করতে সক্ষম হয়েছেন।


নিজ জেলা নরসিংদী ছাড়াও বি-বাড়িয়া,কিশোরগন্জ,গাজীপুর,নারায়নগন্জসহ দেশের ভিবিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ১৭ টির উপরে ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভের   ভাষ্কর হিসেবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে চলেছেন। এই তরুণ ভাস্করের কর্ম এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে সমাধৃত হয়েছে।তাঁর উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগরে "বাংলার ঈগল",নরসিংদী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে "সেবাবৃত্ত", জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে জনবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি।
জেলা শহরের প্রথমবারের মতো একক চিত্র প্রর্দশণী করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ও সেই সাথে জাতীয় শিল্পাঙ্গনে নিজ প্রতিভার উজ্জল স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
প্রত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি এই তরুণের আরেকটি সুজনশীল কর্ম হলো বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকা।
নতুর প্রজন্মের তরুণ প্রতিভা অলি মাহমুদের স্বপ্ন বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্যকে আন্তজার্তিক পর্যায়ে আরো বেশি বর্ণিল ও সমৃদ্ধ করে তোলা। আর সেই লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন এ অদম্য তরুণ। আজ এই তরুণের জন্মদিনে তাঁর সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যাশা করছি।