তরুণ বয়স থেকে সে শিল্পকলা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও সাংগঠনিক কাজে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এরই মধ্যে কাজের মধ্যে দিয়ে সুধী সমাজ ও জাতীয় পর্যায়ে সকলের নজর কেড়েছেন।
অলি মাহমুদ সম্পাদিত শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক “বাংলা দর্পণ” পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার জন্যে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছে এই টগবগে তরুন।
সেই সাথে শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রকাশনায় তার সৃজনশীল কর্মকান্ড ধারাবাহিক ভাবে অব্যাহত রয়েছে। তরুণ সংগঠক হিসেবে সামাজিকও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে ইতোমধ্যে সফলতার পরিচয় রেখে চলেছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলা বিষয়ে অর্নাস ও মাস্টার্স সম্পন্ন করার পর দেশের বাইরে ও দেশে একাধিক শিল্পকলা বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহন করা ছাড়াও বিভিন্ন প্রদর্শনীতে তিনি অংশগ্রহণ করেন। শিল্পকলার প্রতি অগাধ ভালোবাসা থেকেই সংস্কৃতির পথে তার এই পথচলা শুরু। অলি মাহমুদ এক প্রতিভার নাম যার অসামন্য গুণের দ্বারা শিল্প, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সমাজের মধ্যে অসাধারণ সমন্বয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
নিজ জেলা নরসিংদী ছাড়াও বি-বাড়িয়া,কিশোরগন্জ,গাজীপুর,নারায়নগন্জসহ দেশের ভিবিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ১৭ টির উপরে ভাস্কর্য ও স্মৃতিস্তম্ভের ভাষ্কর হিসেবে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে চলেছেন। এই তরুণ ভাস্করের কর্ম এরই মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে সমাধৃত হয়েছে।তাঁর উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য হলো বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর নগরে "বাংলার ঈগল",নরসিংদী জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনে "সেবাবৃত্ত", জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে জনবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ ইত্যাদি।
জেলা শহরের প্রথমবারের মতো একক চিত্র প্রর্দশণী করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ও সেই সাথে জাতীয় শিল্পাঙ্গনে নিজ প্রতিভার উজ্জল স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
প্রত্রিকা প্রকাশের পাশাপাশি এই তরুণের আরেকটি সুজনশীল কর্ম হলো বইয়ের প্রচ্ছদ আঁকা।
নতুর প্রজন্মের তরুণ প্রতিভা অলি মাহমুদের স্বপ্ন বাংলাদেশের শিল্প, সাহিত্যকে আন্তজার্তিক পর্যায়ে আরো বেশি বর্ণিল ও সমৃদ্ধ করে তোলা। আর সেই লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছেন এ অদম্য তরুণ। আজ এই তরুণের জন্মদিনে তাঁর সমৃদ্ধ আগামীর প্রত্যাশা করছি।