শুক্রবার, ২২ মে, ২০২০

তালুকদার বাড়ি _সুমন আখন্দ


তালুকদার বাড়ি

তালুকদার বাড়ি
সুমন আখন্দ

সেই শান বাঁধানো পুকুর-ঘাট
বিরাট গম্বুজের মসজিদ,
মোটা দেয়ালের বড় বাড়ি!
শেষ শ্রাবণের কোন দিনে কাটা হয়েছিল নাড়ি
সেই আঁঠাল মাটি আজও আমার মুখে,
সেই স্মৃতি-গন্ধ্যা সন্ধ্যা আজও জেগে ওঠে বুকে
ধান-কাউনের উঠোন ভরা তালুকদার বাড়ি!

চড়ুই. শালিকের ঝগড়া লাগা চিলেকোঠা
সামনেই মাঠের মতো বিশাল ছাদ,
পাচিল ঘেরা ছাদে ছোট-বড় ছায়াদের ছুটোছুটি
আজ মনে পড়ার পুকুরে ডুব দেই, সাঁতার কাটি!
সেই তিল-তিশির রোদ-শুকানো আজও আমার দুপুর-ঘুমে
ঘুম আসে না, চোখের পানিতে পাতা হয়ে যায় ভারি
কৈ-শিং-শোল ভরা পুকুরের তালুকদার বাড়ি!

একটা শিকড় হয়েছে অনেক ঘর
দরজার কাচারি-ঘর অব্যবহারে হয়েছে পর,
হারিকেন-কুপির আলো মরা মরা
তবু বকধরা ঘুমে নামতা পড়া
অনিচ্ছায় অযু করা, নিয়মিত নামাজ পড়া
বসন্তের মতো বিদায় নিয়েছিল তালুকদারী!
তবু মাথা উঁচু করা তালুকদার বাড়ি!

সেই সিঁদুরে আম, কোমফা আম
শিউলি-শেফালী, চামেলী-এমেলী
ভুলে যাওয়া আরও কত ফুলের নাম
আমি নেই, হারিয়েছি, হারিয়ে গিয়ে আবার ফিরেছি
ফিরেছি, সেই পাকা-দেয়ালের গোরস্থানে, বেহেস্ত যেখানে
খালপাড়ের খেঁজুর গাছটায় রসে ভরে গেছে হাঁড়ি
কত জনের, কত মনের মনিকোঠায় তালুকদার বাড়ি!

সেই আরামে বাওয়া লিচু গাছ
গাছে দোল-দোল দোলুনী,
মক্তবে সুরা ভুলে গেলে হুজুরের পিটুনি
নানার আদর, খালা-মামাদের স্নেহ, মায়ের বকুনী,
বৌচি-কানামাছি, ফুলটোক্কা, এক্কা-দোক্কা
পেকে গেছে দাঁড়ি, তবু কি ভুলতে পারি
আমার এবং আমাদের প্রিয় তালুকদার বাড়ি!




শাহজাহান আলীর কবিতা_সঙ্গী







মোঃ শাহজাহান আলী

সঙ্গে রে তুই নিবি যারে
                       সেই হবে তর সঙ্গী,
আগে থেকেই ভেবে বুঝে
                        দেখবি তাহার ভঙ্গি।
সঙ্গী তরে দিতে পারে
                         নতুন এক জীবন
যদি তাহার সঙ্গ ধরে
                        থাকিস সারাক্ষণ।
সঙ্গীটা তর ভালো হলে
                        হবিরে তুই খাটি!
সঙ্গীটা তোর মন্দ হলে
                         সব করিবে মাটি।
জীবন্টাকে করতে হলে
                          পরিশুদ্ধ পরিস্কার;
মনের মত সঙ্গী একটা
                         করে নে জোগাড়।
যে জন তোমার দূর করিবে
                          মনের আধার অন্ধকার,
সেই তোমার পরম বন্ধু
                           উত্তম সঙ্গী তোমার ।


মঙ্গলবার, ১২ মে, ২০২০

সহজা-সরলা _সুমন আখন্দ


সহজা-সরলা
দুটো প্রিয় পাখি
দুটো প্রিয় ফুল
এক জোড়া দুল,
তুলি দিয়ে আঁকি!

দুটো প্রিয় বই
দুটো প্রিয় চারা
এক জোড়া তারা,
হাসি খুশি খই!

সহজা-সরলা
দুটো প্রিয় গান
দুটো প্রিয় মাস
এক জোড়া হাঁস,
হই চই ফান!

দুটো প্রিয় রুম
দুটো প্রিয় ফোক
এক জোড়া চোখ,
চোখ জুড়ে ঘুম!

সহজা-সরলা
দুটো প্রিয় চেরি
দুটো প্রিয় শুরু
এক জোড়া ভ্রæ,
টম এন্ড জেরি!

দুটো প্রিয় ঘুড়ি
দুটো প্রিয় চাঁদ
এক জোড়া ছাদ,
উঠে যাই, উড়ি!

সহজা-সরলা
দুটো প্রিয় ছবি
দুটো প্রিয় ঘড়ি
এক জোড়া পরী,
ঘোরাফেরা হবি!

দুটো প্রিয় ফুড
দুটো প্রিয় রঙ
এক জোড়া সঙ,
রাগে লাগে গুড!

সহজা-সরলা
দুটো প্রিয় ফল
দুটো প্রিয় গদি
এক জোড়া নদী,
পানি টলমল!

দুটো প্রিয় নাম
দুটো প্রিয় ছুটি
এক জোড়া ঝুঁটি,
ডান আর বাম!

দেশটা বুঝি তোদের -এম রেজাউল করিম রকি

দেশটা বুঝি চোরের হাতে,
থামাতে চুরি নাই রে মানা!
ইচ্ছে মতো ই করছে রাতে,
মোদের বুঝি চোখ টি কানা!

চাল চুরি ও গম চুরি তে,
দেখিয়ে দিলো হরেক খেল,
তেলা মাথায় তেল যে দিতে
খাটের তলায় জমায় তেল।

কি পেয়েছিস মদন কাকু?
দেশটা বুঝি তোর একার!
লাইভে এসে পাগলা টা'কু
মার লো বউ ঠিক সীমার।

মারছে কেউ মরছে কেউ,
করছে মিছিল কাটা পায়ে।
করোনা কে করছো হেয় ও
ঘুরছে মৃত্যু নিজের ছায়ে।

নেতার হায়া ছাড় লো কায়া,
চুরি তে নেই শরম তাই!
পুকুরে সে চাল ডুবাইয়া
খাটের তলে তেল লুকাই।

বাঁচবি কিরে এসব করে?
পড়বি ধরা ঠিক সময়ে।
ছাড় দে রবে,ছাড়বে নারে!
মরবি ওরে যাতন সয়ে।

রচনাকাল:-১৬/০৪/২০২০ খ্রিস্টাব্দ।
পুরুত্যাখালী, চকরিয়া,কক্সবাজার।