রবিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৯

লন্ডন প্রবাসী কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের একক কবিতা পাঠের আসর



গত ১৬ই আগস্ট সোমাবার প্রাকৃত প্রকাশের উদ্যোগে কবি ফাহমিদা ইয়াসমিনের একক কবিতা পাঠের আয়োজন করা হয়। কবি মামুন সুলতানের সভাপতিত্বে গল্পকার মিনহাজ ফয়সলের সাবলীল উপস্থাপনায় কবি সাবিনা আনোয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন কবি ফাহমিদা প্রবাসে জীবন যাপন করলেও দেশের প্রতি রয়েছে গভীর মমত্ববোধ। তার কবিতায় যেমন প্রেমের কথা আছে তেমনি দেশের কথাও আছে।  তার কবিতায় এক ধরনের ভালো লাগা আছে। কবির কাব্যচর্চা  যেন অব্যাহত থাকে এই আশাবাদ উপস্থিত সকলেই ব্যক্ত করেছেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কবি এম মোশাহিদ খান। কবির কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন ছড়াকার দেলোয়ার হোসেন দিলু,কবি শফিকুল ইসলাম সোহাগ, কবি মোশাররফ হোসেন সুজাত, কবি জুবের আহমদ সার্জন, কবি নাসিম আহমদ লস্কর, কবি কামরুল ইসলাম বুলবুল,  কবি জেনারুল ইসলাম,কবি সাইফ মুহাম্মদ খালিদ, মুকিত খান,ও মাহবুবর রহমান।

বঙ্গবন্ধু স্মরণে খেলাঘরের সাহিত্য বাসর অনুষ্ঠিত




জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমান স্মরণে খেলাঘরের বিশেষ সাহিত্য বাসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার সেমিনার হলে ১৭ আগষ্ট, শনিবার বিকাল ৪টায় শিশুদের পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে কেন্দ্র করে স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, স্মৃতি চারণ ও শিশুরা সংগীত পরিবেশন করে। খেলাঘর কেন্দ্রী কমিটির সম্পাদক সৌমেন পোদ্দর’র সঞ্চালনায় স্বগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন খেলাঘর কেন্দ্রী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রুনু আলী।

খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারপার্সন প্রফেসর মাহফুজা খানম’র সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে  শিশুসাহিত্যক আখতার হুসেন, কবি কাজি রোজী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক ড. সেলু বাসিত, কবি অসিম সাহা, সুরকার সেলিম রেজা, অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস, ড. তপন বাগচী, ড. মামুন সিদ্দিকী শিশু, ড. শাহদৎ হোসেন নিপু, ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ, স্যামসন বুড়ন প্রমুখ। এছাড়া এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পী ড. কাজি মোজাম্মেল হক, রথিন চক্রবর্তী, খেলাঘরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ, জহিরুল ইসলাম জহির, খেলাঘর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিনের কর্মী, ভাইবোন ও অভিভাবকসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
উপস্থিত কবি সাহিত্যকদের মধ্যে আলোচনা ও স্বরচিত লেখা পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা নূরুদ্দিন শেখ, রমজান মাহমুদ, ডা: আতিয়ার রহমান, এম আর মনজু, সব্যসাচি পাহাড়ি, সাংবাদিক ও খেলাঘর সংগঠক রহমান মুস্তাফিজ, কনক বিশ্বাস, জাহানারা জানি, তাহাজুল ইসলাম ফয়সাল, জহিরুল ইসলাম স্বপন, সাদিকা আল দৃষ্টিসহ  নবীন প্রবীন লেখদের আরও অনেকে।
বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে আবৃত্তি পরিবেশন করে মাসুম আজিজুল বাসার, তৌহিদ রিপন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ খেলাঘরের শিশু-কিশোর ভাইবোনেরা। আয়োজনে শিশু প্রতিনিধি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য রাখে মুনাজ্জা আলীম।

শুক্রবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৯

'রাজাকার' এখন লজ্জার নয় গৌরবের নাম: সুস্ময় শরিফ

ছোটবেলা থেকেই ‘রাজাকার’ শব্দটিকে আমি চরম ঘৃণা করতাম, আমার চরম অপছন্দের শব্দটি ছিল ‘রাজাকার’। আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন রাজাকার শব্দটি শোনামাত্রই আমি রেগে যেতাম আর আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যেত। ভাবতাম, যদি রাজাকারকে কখনো কোথাও পাই তাহলে তাকে ধোলাই করবো। এমনই ঘৃণিত আর অপছন্দের শব্দ ছিল ‘রাজাকার’। কিন্তু বর্তমানে আমরা যে সময়ে, যে অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি, এ সময়ে রাজাকার একটি বিউটিফুল শব্দ। 
কেননা আজ যাদের রাজাকার খেতাব দেয়া হচ্ছে আদৌ তাদের বয়স ৪০ হয়নি। না তারা ৭১ এর যুদ্ধ দেখেছে, না তারা যুদ্ধাপরাধী! তারা কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত না। আজ যাদের রাজাকার খেতাব দেওয়া হচ্ছে, তারা সবাই ধার্মিক-আদর্শবান। তারা সবাই দেশকে ভালবাসে, দেশের পক্ষে কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা সুদ খায়না ঘুষ খায়না, তারা কারো দালালি করেনা।
আজকের রাজাকারের সংজ্ঞা হল, “সীমান্তে ভারত একের পর এক হত্যাকান্ড চালাচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রতিবাদ করা, ফেলানি হত্যার বিচার চাওয়া, দেশে লুটপাট, চুরি-ছিনতাই, ধর্ষণ, শেয়ার বাজার লোপাট নিয়ে মুখ খোলা, ভোটাধিকার চাওয়া, তিস্তা সমাধান চাওয়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধে সুষ্ঠু সমাধান চাওয়া,দিনে-দুপুরে মা-বোন ধর্ষিতা হচ্ছে, খুন হচ্ছে তার প্রতিবাদ করলেই দেয়া হয় ‘রাজাকার’ খেতাব।
রাস্তায় লাশের মিছিল চলছে কিন্তু নিরাপদ সড়কের দাবি করলেই সে রাজাকার। দাড়ি রাখা, ইসলামি পোশাক পরিধান করা, নামাজ-রোজা করলে পাচ্ছে রাজাকার খেতাব। আজ চামড়া শিল্প, পাটশিল্প, পোশাক শিল্প ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে কথা বললেই বনে যাচ্ছে রাজাকার। মোটকথা, যাবতীয় অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাকে রাজাকার বলে”।
অপরদিকে যে চুপ থাকে সে বনে যায় দেশপ্রেমিক। দেশে শান্তি থাক বা না থাক, ন্যায়বিচার না থাক, ভারতীয় মাদকে দেশ ডুবলে ডুবুক, শেয়ার বাজার ছয়লাপ তাতে অসুবিধা কি? চুপ থাকলেই দেয়া হচ্ছে দেশপ্রেমিকের সীলমোহর, পাচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা। আজ যে মাদকাসক্ত, নেশা করে রাস্তায় পরে থাকে, ভিনদেশিদের পা চেটে যাচ্ছে যারা তারাই হলো দেশপ্রেমিক।
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সাহেবের একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, ভিনদেশি সংগঠনগুলো কিভাবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার মিশনে নেমেছে, কিভাবে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের নীলনকশা তৈরি করছে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য। আর এই বিষয়ে যদি কেউ কথা বলে, তখন সে হয়ে যায় রাজাকার, জঙ্গি।
মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক যারা কোনো অপরাধ করেনা, যারা দেশ-সমাজ নিয়ে চিন্তা করে, দাড়ি-টুপি আছে নামাজ-কালাম ঠিকমত আদায় করে, ঘুষ খায়না দুর্নীতি করেনা তাদেরকেও আজ ভাল মানুষ হিসেবে পরিচয় দেয়ার কোনো উপায় নাই। তারাও পেয়েছে ‘রাজাকার’ বা ‘জঙ্গি’ খেতাব। তার কারণ, তাদের অনেকেই রাজনীতি করেনা, আবার কেউ করলেও কোনো নেতার গোলামি করেনা। কারো পা চাটেনা। কোনো নেতার কাছে তারা করুণা চায়না। তারা সাহায্য চায় আল্লহর কাছে। অতএব তারা রাজাকার, জঙ্গি।
আজকে আমরা যে অবস্থানে আছি, সেখানে যদি কেউ চুপ থাকে তবে সে দেশপ্রেমিক আর বাধা দিলে রাজাকার। দেশের যারা অভিভাবক, যারা দেশের দায়িত্বে আছেন তারা যখন অন্যায়ে জর্জরিত, তখন কেউ কোনো কথা বলতে পারবেনা। বললে সে রাজাকার। 
কাস্মীরের মুসলিমদের উপর গণহত্যা চালাচ্ছে ভারত আর বাংলাদেশের মুসলিমসহ ৯৫% মানুষ যেখানে কাস্মীরের স্বাধীনতা কামনা করছে সেখানে মুসলিম নামধারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, আমরা ভারতের পাশে থাকবো। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ৯৫% মানুষ সবাই রাজাকার। কেউ পারবেনা কাশ্মীর নিয়ে কথা বলতে। পারবেনা কেউ মানবতার পক্ষে থাকতে। যদি কেউ কাস্মীরের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাহলে তাদের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নিজেকে দেশপ্রেমিকের পরিচয় দেয়ার ব্যর্থচেষ্টাও করেছেন র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ।
সুতরাং আমি মনেকরি, বর্তমান সময়ে রাজাকার হওয়া অনেক সম্মানের ব্যাপার, অনেক যোগ্যতার ব্যাপার। আজকের রাজাকাররাই পারে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়তে। ‘রাজাকার তোমরা গৌরবিত, তোমরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক’।

মঙ্গলবার, ৬ আগস্ট, ২০১৯

সামাজিক সংগঠন প্রয়াসের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠিত


জহিরুল ইসলাম:সামাজিক সংগঠন প্রয়াসের  উদ্যোগে “গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান” বৃক্ষরোপন কর্মসূচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঘোড়াদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে  প্রয়াসের সাংগঠনিক সম্পাদক মারজানুল হকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক  দেওয়ান হেমায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াসের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ডা.লুৎফা হক লাভলী।
আরো  অতিথির হিসেবে উপস্থিত  ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয় ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অতিথিরা  সুপারি, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, নীম, জাম গাছসহ ইত্যাদি বিভিন্ন রকম চারাগাছ   রোপন করেন।
এই সময় প্রয়াসের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল ইসলাম,মেহেদী হাসান,ফয়সাল, আলমঙ্গীর,তামান্নাসহ সকল সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলো। 

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০১৯

বাস্তব জীবনের গল্পে বন্ধুদের ভালোবাসা: রাজীব শীল জীবন

চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় পরপর তিনদিন স্কুলে যায়নি। ক্লাসের বন্ধুবান্ধবীরা খোঁজ নিয়ে জানল আমি অসুস্থ। যদিও তৃতীয় দিন একটু ভালো লাগলেও মা যেতে দেয়নি। কী আর করা ঐ দিন দুপুর গড়িয়ে বিকেল শুরু হলে রাস্তায় বেরুলেই দেখলাম কিছু পরিচিত মুখ আসছে। দৌড় দিয়ে ঘরের বাঁশের তৈরি বানানো মাছার উপর অসুস্থ রোগীর মতো শুয়ে পড়লাম এবং মাকে বললাম আমার স্কুলের বন্ধুরা দেখতে আসতেছে। মা একটু এগিয়ে গিয়ে ওদেরকে নিয়ে আসল।

পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, চায়ের পাতা, চিনি নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগী আমাকে ওরা দেখতে আসল। আমার চারপাশে প্রিয় বন্ধু জনি, ইয়াসমিন, টিটু, সরোয়ার, নয়ন, তন্মম, রহমত, পারভেজ, মৌসুমী, তসলিমা, বাচা  ডাক নাম মাহফুজ, সাহিদ, সবাই বসল এবং মাথায় হাত দিয়ে বন্ধুত্বের থার্মোমিটারে ছোঁয়া দিয়ে মাপল জ্বর আছে কিনা। সকলের হাতের স্পর্শে শরীর মন যেনো এক বন্ধনের ঔষধ পেল, সকলের টলমল চোখের ভাষা দেখে মনে জানান দিল কত প্রেম বন্ধুদের ভালবাসায়।

দারিদ্রতার সাথে প্রতিনিয়ত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল আমাদের পরিবারটি। চোখ ভেজা ভালবাসার জলে ওরা শেখাল বন্ধুত্ব আগে দারিদ্রতা দূরে। মা মুড়ি এবং চিনির শরবত বানিয়ে সবাইকে খেতে দিল। তখন এর থেকে ভালো খাবার দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের ছিল না। ওদের কাছ থেকে ক্লাসে কী কী পড়া হয়েছে, পরের দিন কী পড়া আছে নোট করে নিলাম, এরপর তারা যাওয়ার সময় মাকে বলে কোনকিছু প্রয়োজন হলে তাদের জানাতে বলে এবং আমাকে ঠিকমত ঔষধ খেতে বলে বন্ধুত্বের আলিঙ্গনে।

সেই ছোটবেলার বন্ধুরা এখন কেউ কেউ কৃষিকাজ করে, কেউ গ্রামের দোকানদার,অনেকেই শিক্ষিকা,
কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ প্রবাসী, কেউ সরকারি চাকুরী আবার কেউ নামকরা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরীরত। ক্লাসে অনেকেই বলত আমি ডাক্তার হতে পারব, কেউ কেউ বলত ইঞ্জিনিয়ারই হবো না হয় শিক্ষক হবো, কেউ বলত ব্যারিস্টার।

এখন সময়ের আবর্তনে পরিবার ও বন্ধুদের দেখা সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে দেশান্তরী। প্রতিদিন বিলাসবহুল শহরে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে, বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও ধনীর দুলালদের সাথে পাঠদান এবং দামি রেস্টুরেন্টে খেলেও ছোটবেলার পকেট থেকে বন্ধুদের সাথে মুড়ি বের করে খাওয়া, গরম গরম বেকারির বিস্কুট, কেক ভাগ করে খাওয়ার মতো স্বাদ পাই না। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চেনা অচেনা অনেকে বন্ধু হিসেবে আসলেও সেই সোনালী দিনগুলোতে বার বার ফিরে যেতে চাই কিন্ত সময়গুলো ফিরে না।

সেদিনের চতুর্থশ্রেণীর কচি মনগুলোর ভালোবাসায় আজো সিক্ত হই। সেদিন প্রতিবেশী অনেকেই এসে জিজ্ঞেস করেছিল ওরা কেনো এসেছিল? মনে মনে নিজেকে বলেছিলাম আর এখনো বলি আমাদের বন্ধুদের ভালোবাসা।
বন্ধু তোদের খুব মনে পড়ে, তোদের ভালবাসা আজো বহন করে পথ চলি, তোরা হৃদয়ে আছিস, থাকবি বন্ধুত্বের অটুট ভালবাসায়। স্কুল কলেজ, ভার্সিটির বন্ধুদের অনেক স্মৃতি আজ চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়।