চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় পরপর তিনদিন স্কুলে যায়নি। ক্লাসের বন্ধুবান্ধবীরা খোঁজ নিয়ে জানল আমি অসুস্থ। যদিও তৃতীয় দিন একটু ভালো লাগলেও মা যেতে দেয়নি। কী আর করা ঐ দিন দুপুর গড়িয়ে বিকেল শুরু হলে রাস্তায় বেরুলেই দেখলাম কিছু পরিচিত মুখ আসছে। দৌড় দিয়ে ঘরের বাঁশের তৈরি বানানো মাছার উপর অসুস্থ রোগীর মতো শুয়ে পড়লাম এবং মাকে বললাম আমার স্কুলের বন্ধুরা দেখতে আসতেছে। মা একটু এগিয়ে গিয়ে ওদেরকে নিয়ে আসল।
পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, চায়ের পাতা, চিনি নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগী আমাকে ওরা দেখতে আসল। আমার চারপাশে প্রিয় বন্ধু জনি, ইয়াসমিন, টিটু, সরোয়ার, নয়ন, তন্মম, রহমত, পারভেজ, মৌসুমী, তসলিমা, বাচা ডাক নাম মাহফুজ, সাহিদ, সবাই বসল এবং মাথায় হাত দিয়ে বন্ধুত্বের থার্মোমিটারে ছোঁয়া দিয়ে মাপল জ্বর আছে কিনা। সকলের হাতের স্পর্শে শরীর মন যেনো এক বন্ধনের ঔষধ পেল, সকলের টলমল চোখের ভাষা দেখে মনে জানান দিল কত প্রেম বন্ধুদের ভালবাসায়।
দারিদ্রতার সাথে প্রতিনিয়ত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল আমাদের পরিবারটি। চোখ ভেজা ভালবাসার জলে ওরা শেখাল বন্ধুত্ব আগে দারিদ্রতা দূরে। মা মুড়ি এবং চিনির শরবত বানিয়ে সবাইকে খেতে দিল। তখন এর থেকে ভালো খাবার দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের ছিল না। ওদের কাছ থেকে ক্লাসে কী কী পড়া হয়েছে, পরের দিন কী পড়া আছে নোট করে নিলাম, এরপর তারা যাওয়ার সময় মাকে বলে কোনকিছু প্রয়োজন হলে তাদের জানাতে বলে এবং আমাকে ঠিকমত ঔষধ খেতে বলে বন্ধুত্বের আলিঙ্গনে।
সেই ছোটবেলার বন্ধুরা এখন কেউ কেউ কৃষিকাজ করে, কেউ গ্রামের দোকানদার,অনেকেই শিক্ষিকা,
কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ প্রবাসী, কেউ সরকারি চাকুরী আবার কেউ নামকরা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরীরত। ক্লাসে অনেকেই বলত আমি ডাক্তার হতে পারব, কেউ কেউ বলত ইঞ্জিনিয়ারই হবো না হয় শিক্ষক হবো, কেউ বলত ব্যারিস্টার।
এখন সময়ের আবর্তনে পরিবার ও বন্ধুদের দেখা সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে দেশান্তরী। প্রতিদিন বিলাসবহুল শহরে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে, বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও ধনীর দুলালদের সাথে পাঠদান এবং দামি রেস্টুরেন্টে খেলেও ছোটবেলার পকেট থেকে বন্ধুদের সাথে মুড়ি বের করে খাওয়া, গরম গরম বেকারির বিস্কুট, কেক ভাগ করে খাওয়ার মতো স্বাদ পাই না। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চেনা অচেনা অনেকে বন্ধু হিসেবে আসলেও সেই সোনালী দিনগুলোতে বার বার ফিরে যেতে চাই কিন্ত সময়গুলো ফিরে না।
সেদিনের চতুর্থশ্রেণীর কচি মনগুলোর ভালোবাসায় আজো সিক্ত হই। সেদিন প্রতিবেশী অনেকেই এসে জিজ্ঞেস করেছিল ওরা কেনো এসেছিল? মনে মনে নিজেকে বলেছিলাম আর এখনো বলি আমাদের বন্ধুদের ভালোবাসা।
বন্ধু তোদের খুব মনে পড়ে, তোদের ভালবাসা আজো বহন করে পথ চলি, তোরা হৃদয়ে আছিস, থাকবি বন্ধুত্বের অটুট ভালবাসায়। স্কুল কলেজ, ভার্সিটির বন্ধুদের অনেক স্মৃতি আজ চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়।
পাউরুটি, বিস্কুট, দুধ, চায়ের পাতা, চিনি নিয়ে জ্বরে আক্রান্ত রোগী আমাকে ওরা দেখতে আসল। আমার চারপাশে প্রিয় বন্ধু জনি, ইয়াসমিন, টিটু, সরোয়ার, নয়ন, তন্মম, রহমত, পারভেজ, মৌসুমী, তসলিমা, বাচা ডাক নাম মাহফুজ, সাহিদ, সবাই বসল এবং মাথায় হাত দিয়ে বন্ধুত্বের থার্মোমিটারে ছোঁয়া দিয়ে মাপল জ্বর আছে কিনা। সকলের হাতের স্পর্শে শরীর মন যেনো এক বন্ধনের ঔষধ পেল, সকলের টলমল চোখের ভাষা দেখে মনে জানান দিল কত প্রেম বন্ধুদের ভালবাসায়।
দারিদ্রতার সাথে প্রতিনিয়ত অন্তরঙ্গ সম্পর্ক ছিল আমাদের পরিবারটি। চোখ ভেজা ভালবাসার জলে ওরা শেখাল বন্ধুত্ব আগে দারিদ্রতা দূরে। মা মুড়ি এবং চিনির শরবত বানিয়ে সবাইকে খেতে দিল। তখন এর থেকে ভালো খাবার দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের ছিল না। ওদের কাছ থেকে ক্লাসে কী কী পড়া হয়েছে, পরের দিন কী পড়া আছে নোট করে নিলাম, এরপর তারা যাওয়ার সময় মাকে বলে কোনকিছু প্রয়োজন হলে তাদের জানাতে বলে এবং আমাকে ঠিকমত ঔষধ খেতে বলে বন্ধুত্বের আলিঙ্গনে।
সেই ছোটবেলার বন্ধুরা এখন কেউ কেউ কৃষিকাজ করে, কেউ গ্রামের দোকানদার,অনেকেই শিক্ষিকা,
কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ প্রবাসী, কেউ সরকারি চাকুরী আবার কেউ নামকরা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকুরীরত। ক্লাসে অনেকেই বলত আমি ডাক্তার হতে পারব, কেউ কেউ বলত ইঞ্জিনিয়ারই হবো না হয় শিক্ষক হবো, কেউ বলত ব্যারিস্টার।
এখন সময়ের আবর্তনে পরিবার ও বন্ধুদের দেখা সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নে দেশান্তরী। প্রতিদিন বিলাসবহুল শহরে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সাথে, বিভিন্ন দেশের মেধাবী ও ধনীর দুলালদের সাথে পাঠদান এবং দামি রেস্টুরেন্টে খেলেও ছোটবেলার পকেট থেকে বন্ধুদের সাথে মুড়ি বের করে খাওয়া, গরম গরম বেকারির বিস্কুট, কেক ভাগ করে খাওয়ার মতো স্বাদ পাই না। বিভিন্ন দেশ ঘুরে চেনা অচেনা অনেকে বন্ধু হিসেবে আসলেও সেই সোনালী দিনগুলোতে বার বার ফিরে যেতে চাই কিন্ত সময়গুলো ফিরে না।
সেদিনের চতুর্থশ্রেণীর কচি মনগুলোর ভালোবাসায় আজো সিক্ত হই। সেদিন প্রতিবেশী অনেকেই এসে জিজ্ঞেস করেছিল ওরা কেনো এসেছিল? মনে মনে নিজেকে বলেছিলাম আর এখনো বলি আমাদের বন্ধুদের ভালোবাসা।
বন্ধু তোদের খুব মনে পড়ে, তোদের ভালবাসা আজো বহন করে পথ চলি, তোরা হৃদয়ে আছিস, থাকবি বন্ধুত্বের অটুট ভালবাসায়। স্কুল কলেজ, ভার্সিটির বন্ধুদের অনেক স্মৃতি আজ চোখের সামনে ভেসে বেড়ায়।