আমিনুল ইসলাম
এসো হে নবীন তারুণ্যের ছায়াপথে,
আর কত থাকবি বসে অতল গহ্বরে,
শীর নত করবি কত আর ইবলিশের পদতলে।
ভেঙে ফেল তোর পচা মনের ওই রাজ সিংহাসন,
এঁকেদে আজ ধরণীর বুকে যৌবনের ব্যাকরন।
ছুরে দে তোর আত্মঅহংকার যাক ধুলোয় লুটিয়ে,
বিভেদ, অভেদ, ক্ষান্তি আর রক্তিম সম্মুখে।
থাকবি কত বিধাতার দেয়া ভাগ্য পানে চেয়ে,
কাটাবি কতো নকশা ওয়ালা রাজটিকা টি পড়ে।
দেখো তুই আজ ধরণীর বুকে চেয়ে,
কেমন করে রবি কিরণ দেয় ওইদূর নীলিমায় বসে
পাহাড়-পর্বত মহাসাগর আর হিমালয় করি জয়,
দুর্লভ কান্তি দিতে হবে পাড়ি মনে নেই কোন সংশয়।
তেজোদ্দীপ্ত অশ্বরশি মস্তক ধাবিত বেশে,
উঠবে দিবাকর ফুটবে হাসি বিভাবরী যাবে প্রান্তে।
মিকাইলের মেঘ বর্ষণ হতে দেব না'ক আজ মোরা,
শোন সব শয়তান আত্মভিমান ভুলে পরাস্ত হয়ে ছিস যারা।
হীনমান্য, প্রাপ্ত চারণ্য রপ্ত করি বেশে,
অহি-নকুল সমাপনী আজ বর্ত পরিবেশে।
শোনো হে নবীন বলি তোমারে পুঁথীবিদ্যা ছেরে,
রণ ভঙ্গ, অন্তরঙ্গ, বিহঙ্গ ডানামেলে।
ডাকিছে তোমারে বর্তনীড়ে প্রলয়ের মাঝে হুংকার,
মেঘো বর্জ্য বিদ্যুৎ কম্পিত শাণিত জাগুয়ার।
১১৯৫ পূর্বমনিপুর মিরপুর ১০ ঢাকা