বৃহস্পতিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কবি হওয়ার সাধনা

 প্রবন্ধ

কবি হওয়ার সাধনা

-ফয়সাল আহমেদ

কবি হওয়ার আবেগ অনেকের মধ্যে কাজ করে। অনেকে চেষ্টা বা সাধনা করে কিন্তু সকলের সাধনার প্রতিফলন ঘটে না। সৃষ্টির জন্য দরকার সৃষ্টিশীল প্রতিভা, সৃদ্ধির জন্য দরকার কঠিন সাধনা তবেই সম্ভব হয় কবিতার ভূবনে প্রবেশ করা। সততা, নিষ্ঠা, গভীর মনোনিবেশ অতঃপর একজন শুদ্ধসত্তার মালক হতে হয়, তবে কবিতাকে ছুয়ে দেখা যায় মাত্র। শুদ্ধ চর্চার ফলে পবিত্র সত্তায় আলালোর বিকীরণ ঘটে। সেই আলোয় উদভাসিত হয়ে আত্মিক শক্তিকে জাগিয়ে তুলতে হয়। সেই শক্তির বলে জগৎকে দেখার আলাদা দৃষ্টি থাকতে হয় কবির। দেশ, জাতি, সমাজকে নতুন সম্ভাবনা স্বপ্ন দেখানো কবির কাজ। নিজেকে মানব কল্যাণে নিবেদিত করা কবি সাধকের কাজের বাইরে  নয়।  প্রকৃত লেখক সুনাম অর্জন বা বাহবা পাবার জন্য লেখো না, মানব কল্যাণকে প্রভাবিত করার জন্য লেখে। ইচ্ছা বা সখের বসে লেখালেখি করলেই কয়েকটি কবিতা লিখলেই বা কবিতার প্রচারে পাগল হলে কবিতার পাগল হওয়া যায় মাত্র কিন্তু কবিতার দূরদর্শী সাধক হওয়া যায় না। অনেকেই অল্পতেই কবি পরিচিতি পেতে চাই কিন্তু প্রকৃত কবিরা কবি পরিচয় পাবার আশায় থাকেনা, কাজের মাধ্যমে এমনিতেই পরিচয় আসে। কবির কাজ নিয়ে আত্নসমালোচনা থাকা দকোর কবির শুদ্ধভাবে কবিতা রচনা করা হচ্ছে কিনা সেদিকে ধ্যান ধাকতে হয়,যদি তা সম্ভব না হয়ে থাকে সুদুর সময়ে কিভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে আত্নসমালোচনা

মূলক চেতনা থাকতে হয় সাধকের। বাংলাদেশের আবহাওয়া জলবায়ু ভাবুকমনা ও কবি হওয়ার জন্য। আবেগ সৃষ্টি করে। এ দেশকে বলা হয় বাউল, কবি, সাধবের দেশ। এ দেশের মাটি জল হাওয়া অত্যন্ত প্রনোদনা সৃষ্টি করে কবি হওয়ার জন্য। কিন্তু সকলে কবি হয়ে ওঠেনা। কবি জীবনানন্দ দাশ বলেছেন, “সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি”। কাল ও যুগের ধারাবাহিকতায় খুব কম সংখ্যক প্রকৃত কবি। কবি হওয়ার জন্য শৈশব থেকে স্বপ্ন সাধনা থাকতে হয়। সূর্য উদয়ের সময় যেমন নতুনদিনের সূত্রপাত হয়। তেমনি জীবনের প্রভাতবেলায় এ বিচিত্র পথে চলার আবেগ থাকতে হয়। নিজেকে তৈরি করতে হয় স্বপ্নের পথে চলার উপযুক্ত করে। বিচিত্র সাহিত্য সম্পর্কে জানতে হয় এবং অধ্যয়ন এর মাধ্যমে নিজেকে নতুনভাবে আবিস্কার করতে হয়। প্রাচীন থেকে আজ অব্দি আধুনিক যুগ পর্যন্ত সব প্রধান কবির কবিতা পড়ে ভাবশক্তি সম্ভাবনা সম্পর্কে অনুধাবন করতে হয়। আপন সত্ত্বায় সেই সবনাকে প্রশন করে নিজের কথা বলার আলাদা কৌশল, লেখার ধারা, ভাবার গভীরতা তৈরি করতে হয়। মানুষের জীবন প্রবাহ না পাওয়ার ব্যর্থতা পাওয়ার আশা-আকাঙ্খ, ভালবাসা অনুভুতি সম্পর্কে জানতে হয়। মানুষের ধর্ম, বর্ণ, কর্মধারাও, দেখতে হয় মন খোলা দৃষ্টিতে। সাধারন মানুষের দৃষ্টির অগোচরে যা এড়িয়ে যায়, কবির দৃষ্টিতে তা ধরা পড়ে। সমাজ সংসারে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা কবি ধারণ করবে মনের গভীরে । লৌকিক ও সামাজিক জীবনই সষ্টির মহাউপকরণে পরিপূর্ণ। জীবনের নানা চিত্র কাব্যর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা যেতে পারে। কাব্যতে ছবি, ফুটিয়ে তুলতে হয় আপন হাতের পরশে জাদুর মত। সেই চিত্র ফুটে ওঠে প্রতিটি কথা, ভাষা ও পস্থির মাধ্যমে । কখনো বাস্তব কখনও আবার কল্পনায় ভর করে হাটা যায় অনেক দুর। তবে লেখকের সেই পথ চলার রুপ বুঝাতে হয় প্রকাশ্যে। যে প্রকাশ ঘটে মনের গভীরে থেকে, যা হৃদয় হতে হৃদয় ছুয়ে যায়, কবির মন থেকে ছড়িয়ে পড়ে হাজার মনে। তেমনি আপন সত্তায় ভর করে ভাবনার জগৎতে কবি সত্ত্বা ভাবের বিচরণ করে, অতঃপর কবি আত্মঅতিক্রমে জেগে ওঠে মহা সাধক হয়ে।।#

সোমবার, ২৯ আগস্ট, ২০২২

দর্শনা সাহিত্য পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন - শাহ্জামাল সভাপতি ও কবি ফয়সাল আহমেদ সম্পাদক নির্বাচিত

দর্শনা সাহিত্য পরিষদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জানুয়ারি ১৪, ২০২২ তারিখ  বিকেলে দর্শনা সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে দর্শনা গণউন্নয়ন গ্রন্থাগার কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনাটির সভাপতিত্ব করেন কবি মুরশীদ। দ্রোহের কবি আবু সুফিয়ানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কমিটি গঠনের বিষয়ে প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়। 

কমিটি গঠনের পর সবাই

সভায় উপস্থিত সকলের সম্মতিক্রমে কবি শাহ্জামালকে সভাপতি ও কবি ফয়সাল আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে শফিকুল ইসলামকে সিনিয়র সহসভাপতি, সহ-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফসানা মেহজাবিন শাপলা, অর্থ সম্পাদক বুরহান উদ্দিন টিটু, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাজিবুল ইসলাম মিলন, লোকসাহিত্য সম্পাদক আজিজুল হক, গ্রন্থাগার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শ্রী অশোক কুমার দত্ত, শিশু-কিশোর সম্পাদক খালেদা খানম। এছাড়াও নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম ও এরেং মন্ডল। কমিটির উপদেষ্টা সদস্য হয়েছেন- মিজানুর রহমান মণ্ডল, আবু আফজাল সালেহ, মাওলানা শফি উদ্দিন, আবু সুফিয়ান, মুরশীদ, গিয়াস উদ্দিন পিনা, নজরুল ইসলাম, সাংবাদিক হানিফ মণ্ডল।

 ছবির বাথেকে কবি ফয়সাল আহমেদ সম্পাদক , 
সাংগঠনিক সম্পাদক মেহজাবিন শাপলা , শাহ্জামাল সভাপতি


বৃহস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

লিটলম্যাগ বিন্দু'র সৈয়দ সাখাওয়াৎ সংখ্যা প্রকাশের ঘোষণা

বাংলাদেশের অন্যতম লিটল ম্যাগাজিন বিন্দু কবি সৈয়দ সাখাওয়াৎকে নিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের ঘোষণা দিয়েছে৷ গত ৮ আগস্ট কবির জন্মদিনে এ ঘোষণা দেয় বিন্দু৷ ২০০৬ সাল থেকে বাংলা ভাষার এই লিটলম্যাগটি সম্পাদনা করছেন কবি সাম্য রাইয়ান৷ ইতোপূর্বে প্রকাশিত উৎপলকুমার বসু সংখ্যা, মাসুমুল আলম সংখ্যা সহ অনেক সংখ্যাই বিদগ্ধ পাঠক সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে৷ 

ম্যাগাজিনটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.bindumag.com এ প্রকাশিত ঘোষণায় বলা হয়েছে, “একজন নিভৃতচারী কবি যখন মূলত লিটল ম্যাগাজিনকে আশ্রয় করে দীর্ঘদিন ধরে লিখেন, লিখে চলেন, কোনরকম পুরস্কার বা প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতির তোয়াক্কা না করে, তখন একটি লিটল ম্যাগাজিনেরই দায় বর্তায় তাঁকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের৷ নিজ কাব্যগুণে বিশিষ্ট এই কবির কাব্যসত্তার অন্তর্জগত অবলোকন, উন্মোচন ও মূল্যায়নের ইচ্ছা থেকে ‘বিন্দু’র (অনলাইন সংস্করণ) বিশেষ সংখ্যা প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷”

ঘোষণায় সৈয়দ সাখাওয়াৎ-এর কবিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, “একদিকে আধুনিক মনন চিত্রকল্প, হতাশাবিধৃত সাম্প্রতিক কাল, অপরদিকে প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশের প্রতি গভীর অনুরাগ ফুটে ওঠে সৈয়দ সাখাওয়াৎ-এর কবিতায়৷ সমস্ত মানুষের সুখ-দুঃখ থেকে নিজের সুখ-দুঃখকে আলাদা করে নয়, বরং একসঙ্গে বেদনার কথা সহজাত ভঙ্গিমায় বিবৃত করেন এই কবি৷ যেখানে অনুভব ধ্বণি হয়ে ওঠে সেখানেই তাঁর কবিতা৷

তীব্র বেদনায় তিনি কখনো সোচ্চার, কখনো বা দেশ ও সমাজের বিবর্তন তাঁর কবিতায় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে থাকে৷ ছন্দে দখল, বক্তব্যে, গঠনরীতিতে, সাবলীলতা তাঁর কবিতার প্রাণ৷ ব্যক্তিগত আনন্দ-বেদনা থেকে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ঘটনাবলীকে সৈয়দ সাখাওয়াৎ প্রতীকের ব্যাঞ্জনায় ভূষিত করেছেন৷”

উল্লেখ্য, সৈয়দ সাখাওয়াৎ ১৯৭৮ খ্রিস্টাব্দের ৮ আগস্ট বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়৷ পিতা কবিতা লিখতেন, মা ছিলেন কথাসাহিত্যের নিবিড় পাঠক৷ বই পড়ার হাতেখড়ি মায়ের কাছেই৷

লেখালেখির শুরু স্কুল থেকে, একুশের দেয়ালিকায় প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। ছাত্রজীবনে চট্টগ্রামের স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা ও অনুবাদ প্রকাশিত হতো। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষদিক থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিতভাবে লিখছেন। চট্টগ্রামের অধুনালুপ্ত লিটল ম্যাগাজিন ‘পদাতিক’ সম্পাদনার সাথে যুক্ত ছিলেন৷ বর্তমানে বিন্দু, চারবাক, শিরিষের ডালপালা, ওয়াকিং ডিসট্যান্স, দিব্যক সহ বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট সাহিত্যপত্রে নিয়মিত লিখছেন৷ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এই কবি বর্তমানে চাকুরীসূত্রে ঢাকায় থাকেন৷

আগামী সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটি প্রকাশ পাবে৷ ১১ আগস্ট পর্যন্ত বিন্দুর ইমেইল bindumag2006@gmail.com এ প্রবন্ধ পাঠানো যাবে৷ বিস্তারিত জানতে ভিজিটঃ https://www.bindumag.com/2022/08/announcement-syed-sakhwat-issu.html


শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০২২

দর্শনা সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে সাহিত্য পাঠের আসর অনুষ্ঠিত

দর্শনা সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে গত শুক্রবার দুপুর  ৪ টায় দর্শনা প্রেস ক্লাবে বাংলাচারু সাহিত্য পাঠের  আসর অনুষ্ঠিত হয়। সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা করা হয়। দর্শনা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি শাহ্ জামালের সভাপতিত্বে  এই অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি ও দেশবরেণ্য কবি নজমুল হেলাল। প্রধান আলোচক হিসেবে সাহিত্যের বহু বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন  কবি, প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট আবু আফজাল সালেহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাট্যকার নজির আহমেদ,দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম ওসমান, হাজী মো: খালেকুজ্জামান, কবি আবু সুফিয়ান,  কবি আকলিমা খাতুন,নাট্যকার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, কাজল মাহমুদ,হাবিবি জহির রায়হান, লেখক সংঘের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দর্শনা সাহিত্য পরিষদের সহ সভাপতি সফিকুল ইসলাম, মো: নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সভাপতি গোলাম কবির মুকুল।
পড়ন্ত বিকালে দর্শনা প্রেসক্লাব মুখরিত একঝাঁক তরুণ- যুবক ও প্রবীণ কবিবৃন্দের আগমনে। চিরায়ত সাহিত্য পাঠের মাধ্যমে স্বরচিত সাহিত্য পাঠের আসর শুরু হয়, চিরায়ত সাহিত্য পাঠে করেন আফসানা কনা, কবি ও গল্পকারদের স্বরচিত কবিতা- ছোটগল্প পাঠে আনন্দে উল্লাসিত গোধূলি বলেয়া সাহিত্য  পাঠের আসর মুখরিত হয় ওঠে ।

চুয়াডাঙ্গা  জেলার ৬৫ জন কবি স্বরচিত লেখা পাঠ করেন;  অশোক দত্ত, কবি গোলাম রহমান, মো: আমিনুল ইসলাম, মেহেদী হাসান নাহিদ, বোরহান উদ্দিন টিটু, সুমন ইকবাল, শওকত আলী, এম এ হামিদ,সুমন মালিক, ইদ্রিস মণ্ডল, ডা: খালেদা খানম, জাকিয়া সুলতানা ঝমুর, তৌহিদ আকবর অন্তু, নাঈমুর রহমান,মেহেজাবিন শাপলা, হেলাল হোসেন জোয়ার্দার, কবির আল চপল,হুমায়ুন কবীর,আফসানা কণা,গোলাম রহমান, মো: নজরুল ইসলাম,ইমান আলী,আজিজুল হক,আব্দুল খালেক,শাজাহান আলী,হাফিজুল ইসলাম,সজিব মিলন,আবুল কাশেম,জামাত আলী,নুরুজ্জামান,ডা: তোফাজ্জল,মুরশীদ,হারুন অর রশিদ, কামাল হোসেন, আব্দুর রশিদ, তাসলিম উদ্দীন প্রমুখ। প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন  "সাহিত্যিকদের  দু'টো ধারা আছে একটা নাস্তিক আরেকটা আস্তিক। সাহিত্য ধার্মিক ও অধার্মিক, নাস্তিক ও আস্তিক নিয়ে সাহিত্য চর্চা হয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা যাঁরা করেন তাঁদের মধ্যে হীনমন্যতা থাকা সমীচীন নয়। কবিবৃন্দের চিন্তা-চেতনা কালের উর্ধে "। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দর্শনা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি ফয়সাল আহমেদ।

রবিবার, ১০ জুলাই, ২০২২

মিছিল -ফয়সাল আহমেদ

 

মিছিল

-ফয়সাল আহমেদ


মিছিল হবে মিছিল

উত্তাল টকবগে রক্তের মিছিল!

গায়ের লোম জেগেওঠা শিহরণ জাগানো মিছিল

শত শত তরুণের উদীপ্ত কন্ঠে

শক্ত বাহুর মুষ্টিবদ্ধ তালুতে কালো মেঘ ভাঙ্গার মিছিল।

মিছিল হবে মিছিল

রক্ত ধমনী শিরায় শিরায় লোহিতকনায়,

বান জাগানো মিছিল !

কলিজা ছেড়া আর বক্ষভেদী বুলেটের মিছিল।

মিছিল হবে মিছিল

কিশোর যুবক মজুর মুটে

সেই পুরানো ঢাকার রিক্সাচালক,

আর বুড়িগঙ্গা পাড়ের লোহা পিটানো শ্রমিক আসবে

মিছিল হবে

অফিসের কেরানী আসবে , সাহেব আসবে

ঠেলাগাড়ী ঠেলা সেই ছোট্ট ছেলেটি আসবে,

ঝুমঝুমি ফেরিওয়ালা আসবে, রফিক আসবে,

শফিউল আসবে, জব্বার আসবে, কামাল আসবে,

মিছিল হবে মিছিল

বুলেটের সামনে পেতে দেওয়া উদার বুকের মিছিল

মাথার মগজ ছিটকে পড়ার মিছিল!

তাজা রক্তে বাষ্প ওঠার মিছিল

ধোয়ায় ধোয়ায় বারুদের গন্ধের মিছিল

একটি বার মা বলে ডাকবার মিছিল

বর্ণমালা নানাবর্ণের মিছিল

স্বরবর্ণের মিছিল, ব্যাঞ্জণবর্নের মিছিল

মিছিল হবে মিছিল ।।