Write is a minimal Blogger theme for users focused on writing. It's designed to keep decorations to a minimum and put your writing in the spotlight.

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

কুয়ালালামপুরে নতুন ঠিকানায় বাংলাদেশ দূতাবাস

কায়সার হামিদ হান্নান,মালয়েশিয়া প্রতিনিধিঃ মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর হরা হচ্ছে। বিপুলসংখ্যক প্রবাসীকে প্রতিদিন নানা প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে হয় দূতাবাসে। তাঁদের সেবাদানে আগামী ২ জানুয়ারি নতুন ঠিকানায় স্থানান্তরের পাশাপাশি সময়সূচিরও পরিবর্তন করেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এ-সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে। নোটিশে বলা হয়েছে, নতুন দূতাবাসের ঠিকানা হলো কুয়ালালামপুরের উইসমা হিরিহ লুটাস প্রথম তলা, লট-৪৪২ জালান পাহাং, ইস্তেফাক, ৫৩০০০। প্রবাসীদের সেবাদানের সময়সূচি হচ্ছে : মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের (নতুন) আবেদন গ্রহণ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টা, পুরোনো পাসপোর্ট বিকেল ৩টা থেকে ৫টা। পাসপোর্ট বিতরণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা। পাসপোর্টে জন্মতারিখ ও সংশোধন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

জন্মনিবন্ধন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। পরিচয়পত্র, প্রত্যয়ন, এলওআই, পারিবারিক সনদপত্র সত্যায়ন, আমমোক্তারনামা ইত্যাদির আবেদন গ্রহণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। বিতরণ পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ট্রাভেল পারমিট সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টায় গ্রহণ এবং পরের দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিতরণ।
মৃতদেহ সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা। সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টায় বিতরণ।  শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, আইনগত সহায়তা এবং অন্যান্য কল্যাণমূলক কাজের জন্য সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টায় আবেদন গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টায় বিতরণ।
ভিসা সংক্রান্ত আবেদন গ্রহণ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং বিতরণ সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে প্রদত্ত তারিখে বিকেল ৪টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বাণিজ্যিক কাগজপত্র সত্যায়ন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আবেদন গ্রহণ এবং বিতরণ একই দিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আগামী ২ জানুয়ারি থেকে নতুন হাইকমিশনে উল্লিখিত সেবাগুলো দেওয়া হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।

মালয়েশিয়ায় আরটিভির ১২ তম জন্মদিন পালন

কায়সার হামিদ হান্নান, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: আরটিভি’র ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা। ২৫ ডিসেম্বর রোববার রাত ১২ টা ০১ মিনিটে রাজধানী কুয়ালালামপুরের তিতিওয়াংসার গ্রীন লিভস রেস্টুরেন্টে কেক কেটে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে ছুটে আসেন প্রবাসীরা।এ সময় কেক কাটার পাশাপাশি আরটিভি’র উত্তরোত্তর শুভেচ্ছা কামনা করেন।
প্রবাসে আরটিভির জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে যারা প্রতিনিয়ত কাজ করছেন সেই কলাকুশলি ও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানান প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
কোতারায়া বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও কমিউনিটি নেতা রাশেদ বাদল তার বক্তব্যে বলেন, আরটিভি প্রবাসী সংবাদ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে এবং তা ফেইসবুক পেইজেও নিয়মিত শেয়ার করে। এ কারনেই প্রবাসে আরটিভি’র জনপ্রিয়তা এতবেশি। বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ওহিদুর রহমান ও হাজী জাকারিয়া বলেন,আরটিভি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচার করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।
বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব মালয়েশিয়ার সভাপতি এস এম রহমান পারভেজ বলেন, আরটিভি মালয়েশিয়াতে সবচেয়ে বেশি খবর প্রচার করে। সবার আগে খবর পৌছে দিতে আরটিভি প্রতিনিধি যেভাবে কাজ করছে অন্যদেরও সেভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।
শ্রমিক নেতা শাহ আলম হাওলাদার এক মন্তব্যে বলেন, প্রবাসে আমাদের সকল কর্মকাণ্ড সুন্দর করে টেলিভিশনে তুলে ধরে আরটিভি যা সারাবিশ্বের মানুষ দেখতে পায়। ভালো প্রতিবেদন প্রচারের মাধ্যমে প্রবাসীদের হৃদয়ে স্থান করে নেয়ায় ধন্যবাদ জানান।
মামা সাংস্কৃতিক শিল্পগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা প্রধান এমদাদুল হক সবুজ মামা বলেন, প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে আরটিভি। প্রবাসীদের সমস্যা নিয়ে আরো বেশি প্রতিবেদন প্রচার করার জন্য আরটিভি‘র দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিশিষ্ঠ ব্যাবসায়ী কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, আরটিভি শুধু সংবাদে নয় নাটক ও অন্যান্য প্রোগ্রামেও সেরা।এক যুগ পূর্তিতে এর সফলতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক, সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষার্থী সহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসীরা অংশ নেন।

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিঙ্গাপুরে বিজয় দিবস ও অভিবাসী দিবস পালিত

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু,সিঙ্গাপুর প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য়। যাদের রক্ত এবং আত্মত্যাগে  এই স্বাধীনতা পেয়েছি, দেশে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা  বিজয় দিবস এলেই  শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ।

 সিঙ্গাপুরে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং ৭ টা ৩০ মিনিট সিঙ্গাপুরের একমাত্র বাংলা পত্রিকা  “বাংলার কণ্ঠ” ,অভিবাসীদের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান “দিবাশ্রম”,৫৩ এ রয়েল রোডের বাংলাদেশ সেন্টারে   যৌথভাবে   “বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ” এর আয়োজন করে।
 অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ,বাংলার কণ্ঠ সম্পাদক ও  দিবাশ্রম,বাংলাদেশ সেন্টারের কর্নধার এ কে এম মোহসিন। কবি অসিত কুমার বাড়ৈ বাঙালির সঞ্চালনায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী কবি ,কলামিষ্ট শহিদুল ইসলাম ,মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু  ,সাধারণ সম্পাদক , প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি,সিঙ্গাপুর ,মাহাবুব আবেদীন ,সাধারণ সম্পাদক  সিঙ্গাপুর আওয়ামীলীগ ,মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ,সভাপতি সিঙ্গাপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ,আরিফুল ইসলাম সোবহান ,সাধারণ সম্পাদক, সিঙ্গাপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
 আলোচনায় বক্তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য্য তুলে ধরেন ,গত ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রমিকদের অনুপুস্থিতে বিজয় দিবস  এর আয়োজন করায় তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন ,বিদেশে হাই কমিশন কর্তৃক, রেমিটেন্সের সৈনিকরা বরাবর উপেক্ষিত।তাদের আসে পাশে এলিট সোসাইটি ,ধনকুবেরদের আনাগোনা। সরকারের নজর দেয়া উচিত।হাইকমিশনযেন  বিশেষ শ্রেণীর পার্টি সংঙ্গী  না হয় , হাইকমিশন যেন শ্রম বাজার নিয়ে ভাবেন।দিন দিন শ্রমবাজার এখানে সংকুচিত হচ্ছে।বেতন বৈষম্য,যোগ্য কাজ প্রাপ্তি ,দালাল দৌরাত্ম্য কমাতে শ্রমিকদের সাথে খোলা মেলা আলোচনার তাগিদদেন। সরকারের বাজেট নিশ্চই আছে.বছরে অন্তত একবার শ্রমিকদের সাথে তারা বসেন,বাংলা পত্রিকার মাধ্যমে শ্রমিকদের অনুষ্ঠানের  পারে।বিদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান করে থাকে ব্যবসায়ীদের দেশি বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে ,অথচ শ্রম বাজারের উন্নয়নে শ্রমিক এবং সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নে কোন বাজেট থাকেনা। অভিবাসী দিবসে যোগ্য কাজ ন্যায্য মুজুরি শ্রম অধিকার নিয়েও কথা বলেন বক্তাগণ।ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকার লাল সবুজের প্রতিকৃতির উপর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ,দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচার জাতীয় পতাকার অবমাননা ,বর্তমানে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ব্যক্তি গোষ্ঠী হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশেই এই সব নেককার অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। শ্রমিকদের পাশে থাকার জন্য বাংলার কণ্ঠের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
 স্বরচিত এবং কবিতা আবৃতি করেন ,শহিদুল ইসলাম,হাসনাত মিলন,জাহাঙ্গীর বাবু,ইব্রাহিম খলিল।জাতীয় সংটের মাধ্যমে শুরু হয় গানের অনুষ্ঠান এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,এক নদী রক্ত পেরিয়ে সহ স্বাধীনতা এবং দেশের গানে মোহিত হন উপস্থিত প্রবাসী দর্শক গণ.গান পরিবেশন করেন,ওস্তাদ শাহীন,জাকির হোসেন,সমীর ভট্টাচার্য্য ,লিটন মজুমদার,তবলায় প্রদীপ চক্রবর্তী।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে  ছিলো কার্য্য দিবস,১৮ ডিসেম্বর,রবিবার  ছুটির দিন। সংগত কারণে অভিবাসী দিবস, রবিবারে  বিজয় ও অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়.স্থানীয় একটি ইনস্টিটিউটের মিডিয়া কমিউনিকেশন কর্তৃক পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়।
 একই ভেন্যুতে  সন্ধ্যা ৬ টায় সিঙ্গাপুর আমীলীগ ,যুব লীগ ,সেবচ্ছাসেবক লীগ বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান এবং রাতের ভোজনের আয়োজন করে মূল কমিটি সহ শাখা প্রশাখার নেত্রী  বৃন্দ,কর্মীরা  উপস্থিত ছিলেন। 

শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

সত্য চিরকালই গতিশীল জয় হোক মানুষের ,জয় হোক মানবতার!

ধরাবাঁধা নীতি শাস্ত্র কচলাতে কচলাতে মানুষ তাঁর মানবতা-বোধকে লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয়ের অভ্যন্তরে গৃহবন্দী করে ফেলেছে। তাই সে, নারীবাদী কিংবা পুরুষ-তন্ত্র দৃষ্টিকোণ থেকে মানবতা বোধকে একচেটিয়া অধিকার মনে করে। কতটা এন্টি-পলিটিকাল আর কতটা এন্টি সোশ্যাল প্রচারণা দিয়ে নারীবাদী কিংবা পুরুষ-তন্ত্র জিইয়ে রেখে রাজনীতি হয়, ব্যবসা হয়, সামাজিক পদ মর্যাদায় আস্ফালন করা করা যায়, কিন্তু পীড়িত মানুষের জন্য মানবতা বোধ জাগ্রত হয় না। যারা বলে, মিথ্যে বলে। মতবাদের ফেরিওয়ালা, লোক দেখানো সার্কাস করে, ঝোপ বুঝে কোপ মারে, এইসব মতবাদ, নব্য মতবাদের ফেরিওয়ালারা ঠিক মানুষের মনের কথা জানে, আম-জনতার ভেড়ার পাল কোন দিকে যাবে। কী পেলে খুশি হবে, আবেগ তাড়িত করে ধরাশায়ী করা যাবে। মোল্লা-তন্ত্র বলো, মুক্তমনা বলো, মানবতা-বোধ বলো, নারীবাদী কিংবা পুরুষ-তন্ত্র বলো, মুক্তবাজার নীতিতে এখন এমন সব অখাদ্যও বিক্রি হয়, কেউ ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। পার্থক্য শুধু কেউ নাম চায়, কেউ দাম চায়। সম-চাহিদা থেকে কারও নাম এবং দামের চেয়ে খ্যাতির বিরম্ভনা আরও বেশি, সুদের লাভ অংশ পিপড়াও বোঝে, শুধু বোঝে না আম-জনতার ভেড়ার পাল।

নারীবাদ থেকে মানবতা-বোধ কতোটা দূর? কিংবা পুরুষ-তন্ত্র থেকে মানবতা-বোধ? মানবতা-বোধ কী নারী পুরুষের লিঙ্গ দ্বারা বিভাজন? যদি তাঁর উত্তর হয়, না। তবে ধরে নিতে পারি, মানুষ মাত্রে’ই মানবিক মূল্যবোধ সম্পূর্ণ মানুষ। এবং সেই সৎ বিবেকবান মানুষের জন্য শ্রেয় এবং শ্রেষ্ঠতম পৃথিবীর সন্তান। তাঁর কোনো লিঙ্গ পরিচয় নাই, ধর্ম পরিচয় নাই, দেশ, গোত্র পরিচয় নাই, জন্ম পরিচয় নাই, একদিন হয়তো লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয় ছেড়ে মানুষের পরিচয় হবে, শুধুই মানুষ। এবং মানবতা-বোধেই হবে, তাঁর জীবনের ব্রত এবং শ্রেষ্ঠ ধর্ম। মানুষের বংশ বৃদ্ধির জন্য সে ব্যক্তিগত সম্পদ রক্ষা এবং ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে না।
এক পৃথিবী, এক মানুষ, এক তাঁর মানবতা-বোধ। অতিকথন প্রতি হিংসাপরায়ণ, চৌর্যবৃত্তি কৌশল যেমন ব্যক্তির জন্য ক্ষতিকর। ঠিক তেমনি, লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয়ের অতিকথন চৌর্যবৃত্তি কৌশল মানবতা-বোধের জন্য একই রকম ভাবে ক্ষতিকর। লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয়ের অন্তরালে তখন মানবতা-বোধ নব জাতক শিশুর মত ডুকরে কেঁদে উঠে। মানুষের মন সংবেদনশীল, সব সময় যুক্তি তর্কের শিরোনামে অবতারণা করে না। তাঁর, লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয় বিবেচ্য বিষয় নয়, সে মানুষ, এই বিবেচনা বোধেই একজন মানুষকে, প্রতারিত, বঞ্চিত মানুষটার প্রতি বিবেক তাকে প্ররোচিত করে। জাগ্রত বিবেক স্থান কাল, পাত্র, দেখে না। সে সর্বদাই জাগ্রত, সবার প্রতিই তার সমান দৃষ্টি ভঙ্গি সমান। তাকে শুধু লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয় দিয়ে বিচার করার অবকাশ নাই।

আম-জনতা চিরকালেই আম-জনতা। মানুষ বলতে, নারী, পুরুষ বুঝে, ধর্ম বলতে, মুসলমান, হিন্দু….বোঝে। দেশ বলতে, ভূখণ্ড বোঝে, গোত্র বলতে, বংশ মর্যাদা বোঝে, জন্ম পরিচয় বলতে, পিতৃ পরিচয় বোঝে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। শুধু মানুষ বলতে, আপাদমস্তক মানুষ বোঝে না। বোঝে, সমগোত্রীয়, সম-দেশীয়, সম মর্যাদা সম্পন্ন না হলে, সে বুঝি, আর মানুষের কাতারের হিসাবের মধ্যে পড়ে না? বিভাজন সৃষ্টিকারী এইসব মতবাদ, নব্য মতবাদের ফেরিওয়ালার গালে কষিয়ে ঠিক থাপ্পড় মারো, নিজের মহামূল্যবান আবেগ, বিবেক অন্যের ব্যবহারের বস্তু হিসাবে বিকিয়ে দিও না। নিজেকে প্রবোধ দাও, সব মতবাদ, উপ-মতবাদকে ছাড়িয়ে তুমি মানুষ, মানবতাই তোমার শ্রেষ্ঠ ধর্ম। আত্ম পরিচয় দেওয়ার জন্য তোমার একটি নামেই বহন করার যোগ্যতা, তুমি রাখো। বাকি সব, দুধের ধোয়া তুলসী পাতার মত, বানের জলে ভাসিয়ে দাও। একখণ্ড মসজিদ, মন্দিরের ইট-পোস্তরের চেয়ে তোমার ঐ তড়িৎ সূর্যের আলো আরও পাক-পবিত্র, আর বেশি সত্য।

আগাগোড়া আপাদমস্তক নিজেকে জানো, কতটুকু ত্যাগ করার মানসিকতা সহ্য করার ক্ষমতা আছে? কতটুকু বন্ধন মুক্ত জলের মত গড়িয়ে যেতে পারবে? শুধু জ্ঞানগর্ভ কথার ফুল ঝড়িয়ে উলু-বনে মুক্তা ছড়িয়ে ভাববাদী হওয়ার চেয়ে, বাস্তববাদী হওয়া ঢের বেশী আনন্দের, পাগলের সুখ মনে মনে, শুধু লোক নিন্দা পরচর্চার ভয়ে জীবন সংগ্রামের ময়দান থেকে পালিয়ে যেওনা। লোক নিন্দা পরচর্চার চেয়ে একটা জীবন বেচে থাকা অনেক মহামূল্যবান, জীবন সবাই’র কাছে প্রিয়। কেউ ভোগ বিলাস, আরাম আয়েশে, আর কেউ আত্ম ত্যাগে। যে, যেখানে জীবনের সার্থকতা খুঁজে পায়। তাতে অসন্তোষ হবার কিছু নাই, শুধু নিজে ভোগ বিলাস, আরাম আয়েশে বেচে থেকে, অন্যের বেচে থাকার ছোট ছোট আবেগ, ছোট ছোট ইচ্ছেকে পায়ের তলায় পিষে মেরে ফেলো না। তাতে শুধু তুমি আবেগকে মারো না, সাথে একজন মানুষকেও মারো। তাঁর সাথে মেরে ফেলো তোমার নিজের ভেতরের লালিত মানবতা-বোধকে। অনেক দিন আগে, বিরহ কাতর মন নিয়ে একজন সমুদ্রের জল দেখে তীরে আঁচড়ে পড়েছিল। বলেছিলাম, বাজার থেকে ফুল কিনে নিয়ে ফুলদানীতে সাজানোর নাম ভালোবাসা নয়, কলি থেকে ফুল হয়ে ফোটার নামেই ভালোবাসা। যে, মানুষ ফুল ভালোবাসে, সে একই মানুষ কেমন করে অন্য মানুষের প্রতি ঘৃণা ছুড়ে দিতে পারে? শুধু সমগোত্রীয়, সম-দেশীয়, সম মর্যাদা সম্পন্ন, সম-মতবাদ সম্পন্ন মানুষ না হওয়াটাই কী একজন মানুষের একটা অপরাধ হতে পারে?

মানবতার আবার পক্ষ-বিপক্ষ কী? সে তো সকল দেশের, সকল মানুষের, হাসি, কান্না, দুঃখ, কষ্টের যাতনা’র ভাষা তো পৃথিবীর সব মানুষের এক। তাকে কী লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম দিয়ে নির্ধারণ করে দেওয়া যায়? সবার ভেতরেই ঈশ্বর ও শয়তান থাকেন, ভালো মন্দ দুটো দিকেই থাকে। অন্যের কথায় প্ররোচিত হওয়ার দরকার নেই। তুমি কোন দিক দিয়ে জীবনকে উজ্জীবিত করবে, নিজের অর্জিত শিক্ষা, রুচি, বিবেকের দ্বারস্থ হও। সিদ্ধান্ত নাও। স্বর্ণলতা পরজীবী লতার মত অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে বেচে থেকো না। বরং বৃক্ষের মত মাথা উঁচু করে স্ব সম্মানে স্বনির্ভর চিন্তার আত্ম মর্যাদাবোধের উপর দাড়িয়ে বেচে থাকো, কারণ তুমি মানুষ। প্রত্যেক মানুষেই তাঁর নিজের অবস্থানে ঠিক, তোমার কাছে যা ন্যায়, অন্যের কাছে তাই অন্যয়। শুধু মানবতাকে ন্যায়-অন্যায়ের বিচারে দণ্ডিত করতে যেওনা। মানুষ ও মানবিকতা তাঁর থেকেও আরও বেশি কিছু। যার কোনো ওজন, দর নেই। মানুষ ও মানবতার জয় একদিন হবেই। লিঙ্গ, ধর্ম, দেশ, গোত্র, জন্ম পরিচয়ের মত বিষয়গুলো নিক্ষিপ্ত হবে ঘোড়ার আস্তাবলে। কালের বিবর্তনে এটাই চির সত্য। কারণ সত্যের কোনো চিরস্থায়ী রূপ নেই। তা চিরকালেই গতিশীল, বিশ্বজনিন ,জয় হোক মানুষের, জয় হোক মানবতার।

মো :মেহেদী হাসান, সহ:সম্পাদক , আলোকিত চুয়াডাঙ্গা।

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

মহান বিজয় দিবস- আমাদের বাংলাদেশ সম্পাদকীয়

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। প্রকৃতির নিয়মে ছোট থেকে আজ অনেক বড় হয়েছি। স্বদেশ ছেড়ে বসবাস করছি প্রবাসে সিঙ্গাপুর। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালির সবচেয়ে আনন্দের দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির দিন। এদিন বিশ্বের মানচিত্রে সৃষ্টি হয় নতুন একটি সার্বভৌম দেশ, বাংলাদেশ। যা বাঙালি জাতিকে এনে দেয় আত্মপরিচয়ের ঠিকানা। যারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন আজ সেসব শহীদকে বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করছে দেশের সর্বস্তরের মানুষ। বাংলার দামাল মুক্তিযোদ্ধা আর মুক্তিপাগল মানুষের প্রবল প্রতিরোধ আর লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের কাছে পরাজিত হয়ে এই দিনে আত্মসমর্পণ করেছিলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ৪৫ বছর আগে আজকের এই দিনে পূর্ব আকাশে উদয় হয়েছিলো হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সূর্য।সেদিনের সেই সূর্যের আলোয় ছিলো নতুন দিনের স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নের জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছিলেন ৩০ লাখ মানুষ। তাদের প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই বিজয়,এই স্বাধীনতা। সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন হয়েছিলো এ দেশ। বিজয়ের এ দিনে সবার অঙ্গীকার সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার।যেসব বৈষম্য থেকে স্বাধীনতার জন্ম সেই বৈষম্যগুলো থেকে এ জাতি বেরিয়ে আসতে আবার দৃঢ় প্রত্যয় নেবে আজকের নবীনরা।
 
বছর ঘুরে বিজয় দিবস আসে বিজয় দিবস যায়। ৩৬৪ দিন পর আবার এসেছে ১৬ ডিসেম্বর। রাত ১২ টায় রাষ্ট্রপতি,প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দলের নেতা-নেত্রীবৃন্দ পুষ্প অর্পণ করেছে জাতীয় স্মৃতিশৌধে।আবার অনেকে শীতের সকালে কম্বলের নীচ থেকে বের হয়নি।
 
আবারও লেখা হবে অসংখ্য কবিতা আর অসংখ্য গদ্য। শহীদের কান্না আর বিজয়ের আনন্দের অশ্রুতে গাওয়া হবে আরো কতো অজস্র গান। চেয়ার টেবিল ভাড়া করে মঞ্চায়িত হয়েছে সারা দেশে অগণিত সেমিনার। আবারো ৬৫ বছরের বৃদ্ধ বুদ্ধিজীবি,তরুন-তরুনী , ছাত্র-শিক্ষকদের সমম্বয়ে যাত্রা করেছে র‌্যালী।আর ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে স্মৃতিশৌধ।টিভি চ্যানেল গুলোতে শুরু হয়েছে নাটক আর টেলিফিল্ম। বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্টানের সৌজন্যে আমরা দেখছি বিজয়ের নাটক।ঠিক যেমনটি দেখেছি বছরের পর বছর থেকে।
 
কিসের জন্য এই উৎসব! কোথায় সেই বিজয়! কোথায় আজ আমার দেশের স্বাধীনতা!কোথায় আজ আমার দেশে নাগরিকদের স্বাধীন ভাবে বেঁচে থাকার গ্যারান্টি! মুক্তিযুদ্ধ না করে মুক্তিযোদ্ধা সেজেছে যারা ; তাদের মুখেই আজ শুনতে হয় প্রতিনিয়ত প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কে নিয়ে অপমান অপদস্থ করার বুলি। তাহলে কি আমাদের শহীদের রক্তের উপর যে সবুজ ঘাস জন্মেছে সে জন্য এই উৎসব! নাকি বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা কাঁশতে কাঁশতে রিকশা চালাচ্ছে সেই উল্লাসে! নাকি জীবন বাঁচাতে বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা ফেরি করে চটপটি-চানাচুর বিক্রি করার দৃশ্য দেখে এই আনন্দ উল্লাস! কষ্ট লাগে যখন দেখি দরিদ্র,পঙ্গু, নুয়ে পড়া মুক্তিযোদ্ধা ময়লা কুচকানো পাঞ্জাবী পড়ে হুইল চেয়ারে বসে আছেন। রাষ্ট্রপতি এগিয়ে গিয়ে তাদের সাথে হাত মিলাচ্ছেন চারিদিকে সাংবাদিকগন ছবি তুলতে ব্যস্ত।
 
আরো দেখেছি সেমিনারের প্রথম সারিতে বসে আছেন মুক্তিযোদ্ধা আর রাজসিংহাসনের মত দশ ফুট উচু অশ্লীল মঞ্চের প্রধান অতিথির  রাজকীয় চেয়ারে বসে আছেন কোন একজন মন্ত্রী! মন্ত্রী নামক মানুষটা যখন তার লোমশ হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ক্রেষ্টতুলে দেন, আর সেই মুক্তিযোদ্ধা বোকার মত হাসতে হাসতে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকেন। যখন দেখি কোন বিরাঙ্গনা ত্যাগের গল্প খুবই দরদ দিয়ে মুখ দিয়ে প্রসব করছেন; মুক্তিযুদ্ধ না করেও ক্ষমতার বলে নিজ নামে মুক্তিযোদ্ধের সনদ বানিয়ে আজ ঐ মঞ্চে আসন দখল করে বসে আছে কিছু ভন্ড মুক্তিযোদ্ধারা।
যখন দেখি এসকল ভন্ডদের মতাদর্শ আর দলভূক্ত না হওয়ার কারণে "শিমলার" বাবার মতো অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ কেড়ে নেয় এই ভন্ডের দল। তখন বিজয় দিবস শব্দটা আমার কাছে পৃথিবীর সব চাইতে অশ্লীলতম শব্দ মনে হয়। তখন আমার মনে হয় ঐ দূর আকাশের তারা হয়ে যাওয়া  ৭১ এর অগণিত বীর শহীদরা হয়তো তখন অট্টহাসীতে ফেটে পড়েন। কারন তাদেরকে এই অশ্লীল অনুষ্ঠানের ভেতর দিয়ে যেতে হয়নি তারা যেনো সেদিন শহীদ হয়ে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
 
কে জানে ১৭ ডিসেম্বরে আবারো রাস্তায় দেখা যাবে ভিক্ষারত সেই মুক্তিযোদ্ধাকে যিনি ১৬ ডিসেম্বর বসে ছিলেন কোন এক সেমিনারের প্রথম সারিতে। কে জানে যে মন্ত্রীর হাত ক্রেষ্ট তুলে দিয়েছিলো সেই হাতে স্বাক্ষরিত হবে নতুন দুর্নিতির চুক্তি। যে চুক্তিতে ধর্ষিত হবে আমার স্বাধীন দেশ বছরের পর বছর। কে জানে কয়েক ঘন্টা আগে যে মুখে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মায়া কান্না, সেই মন্ত্রীর মন্ত্রানালয়ে মুক্তিযোদ্ধা গলাধাক্কা খেয়ে তার অপমান সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে।
 
কে জানে আজ যে নপুংশক কবিরা অসংখ্য  কবিতার জন্ম দিবেন কাল তারা ২০ টাকা ঘুষ দিয়ে ট্রেনের টিকিট কিনবেন! আর শুকরের মত ঘোৎ ঘোৎ করে বলবেন "শালার দেশে ঘুষ ছাড়া কিছু হয় না!" কে জানে আমাদের কবিরা কদম ফুল কল্পনা করেন শুধু বর্ষার প্রথম দিনে। শরতের মেঘের তুলনা ভাসলে কাঁশফুলও যে দোলেনা তাদের মনে! এই অশ্লীল কবিরা তিন মাস লেখেন আদিরসের কবিতা, দুমাস লেখে বর্ষার কবিতা। আর চারমাস ব্যস্ত থাকেন তোষামুদি কবিতা লিখতে। হায় মুক্তিযুদ্ধ! হায় মুক্তিযোদ্ধা, হায় অভাগা শহীদ! তোমাদের জন্য কবিরা দয়া করে বরাদ্দ করেছেন একটি দিন! ১৬ ডিসেম্বার! অশ্লীল হাজারো কবিতা দেখা যাবে পত্রিকা,দেয়াল আর ব্লগ, ফেইসবুক, টুইটার।
 
আর যখন দেখতে পাই বিদেশীদের হাতে তুলে দেয়া ক্রেস্টের সোনা চুরি সাথে জরিত আমাদের স্বয়ং মন্ত্রী। তখন উনাদের লজ্জা না হলেও আমি লজ্জিত হই।খুব জানতে ইচ্ছে করে কলেজিয়েট স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রটি বুকে গুলি খেয়ে মরে পড়েছিলো কোন জলাভূমিতে? যে গুলিটি সে বুক দিয়ে ঠেকিয়েছে, মায়ের গায়ে লাগতে দেয়নি। কেমন আছে সে! ভাই, তুমি কি দেখতে পাচ্ছো তোমাদের নিয়ে বিজয় দিবসে কত বড় নাটক মঞ্চায়িত হচ্ছে দেশে! তোমার মা কতো বছর ভাত খায় না কারন তুমি ছেলে মৃত্যুর আগে ভাত খেতে চেয়েছিলে। তোমার মা আজও মাটিতে ঘুমান ;কারন তুমি ছেলে শক্ত মেঝেতে পড়েছিলে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত। তোমার মা আজ ছেড়া স্যান্ডেল পড়ে সংয়ের মত বসে থাকে সেমিনারে আর ভন্ডের দল বক্তৃতা দিয়ে যায় ঘন্টার পর ঘন্টা।
 
আর কত অশ্লীল নাটক দেখতে হবে বিজয় দিবস নিয়ে! আর কত তামাশা! কেন মঞ্চ ভেঙ্গে পড়ে না! কেন নপুংসক কবিদের কবিতা ধুয়ে যায় না শহীদের রক্তে! আর কত অশ্লীল নৃত্য দেখবো এই বিজয় দিবসে! যারা এই মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করছে আর করছে ধিক্কার জানাই আর হৃদয়ের সকল আবেগ মিশ্রিত কন্ঠ গাইবো এই গান-
"হয়তোবা ইতিহাসে তোমাদের নাম লিখা,
রবেনা বড় বড় মানুষের ভিড়ে।
জ্ঞানী আর গুনীদের আসরে,
তোমাদের কথা কেউ কবে না।
তবু হে বিজয়ী বীর মুক্তি সেনা,
তোমাদের এই ঋন কোনদিন শোধ হবে না।"
 

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিঙ্গাপুরে ‘অভিবাসী কবিতা প্রতিযোগিতা’য় বাঙালির জয়

বিচারক হ্যারিশ শর্মার সাথে বিজয়ী দুইজন বাঙালি কবি
 
 
 
 


 


 



শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিঙ্গাপুরে নরসিংদীর মন্জুর এলাহীর মতবিনিময় সভা

আহসান উল্লাহ, সম্পাদক, আমাদের বাংলাদেশঃ নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি'র) নরসিংদী জেলার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মন্জুর এলাহীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও  মতবিনিময় করে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সিঙ্গাপুর শাখা।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সিঙ্গাপুর শাখার সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা কামাল,সিনিয়র সহ সভাপতি ইব্রাহিম,সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব ইসমাইল হাছান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জোবায়ের জিকু,প্রচার সম্পাদক পলাশ মাহমুদ,দপ্তর সম্পাদক রবিউল হক,সদস্য স্বপন ওয়াহিদ সহ সিঙ্গাপুর যুবদল নেতৃবৃন্দ।

সংবর্ধনায় নরসিংদী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি'র) নরসিংদী জেলার সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মন্জুর এলাহী তার মতবিনিময় সভায় বলেন-"এই দেশে এখন বাকশালী স্বৈরাচারী সরকার দেশে শান্তি বিনষ্ট করছে। সবার উপর নির্যাতন, গুম,খুন করা হচ্ছে।এই দেশে আর ভুয়া নির্বাচন হয়েছে। দেশ-বিদেশের সকল পর্যায়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বলছি এই সরকার কে কঠিন আন্দোলন এর মাধ্যমে পতন করা হবে সকল কে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।খালেদা জিয়ার হাতকে আরও শক্তিশালী করুন।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নরসিংদীর কৃতি সন্তান আমাদের বাংলাদেশ অনলাইন পত্রিকার প্রধান সম্পাদক,সিঙ্গাপুর প্রবাসী লেখক রাশিদুল ইসলাম জুয়েল, সিঙ্গাপুরের সফল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলাম,মোনায়েম ভূঁইয়া মিলন।

বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা, লিবিয়ায় আটক ৩৭ বাংলাদেশি

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার চেষ্টাকালে লিবিয়া থেকে ৩৭ জন বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে।  মঙ্গলবার লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবারের পোস্টে বলা হয়েছে, সম্প্রতি অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ৩০০ জনকে আটক করে লিবিয়ার উপকূল রক্ষা বাহিনী। তাদের মধ্যে ৩৭ জন বাংলাদেশি।
আটকদের লিবিয়ার গারিয়ান শহরের উপকণ্ঠে ‘আল-হামরা বন্দি শিবিরে রাখা হয়েছে। দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার সেখানে গিয়ে তাদের সঙ্গে দেখা করে।
আটক বাংলাদেশিদের অধিকাংশই মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে অতি সম্প্রতি লিবিয়ায় ঢোকার কথা জানিয়েছেন বলে দূতাবাস।

শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৬

‘নিয়মনীতি মেনে সেবা চালু রাখতে পারবে উবার’

কাকলী বাসস্ট্যান্ডে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘সড়ক নিরাপত্তা ক্যাম্পেইনে’ সেতুমন্ত্রী। ছবি: ফোকাস বাংলা 

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘অন-ডিমান্ড’ পরিবহন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান উবার সরকারের নিয়মনীতি মেনে বাংলাদেশে তাদের সেবা চালু রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।


আজ শনিবার রাজধানীর বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে ‘সড়ক নিরাপত্তা ক্যাম্পেইনে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, উবার নিষিদ্ধ করা বিআরটিএ বা সরকারের উদ্দেশ্য নয়। তবে উবার বা এ ধরনের যে কোনো সার্ভিস সহায়ক অ্যাপ ব্যবহার করে সহজে ট্যাক্সি ক্যাব ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যাতে দেশের প্রচলিত আইন ও বিধি-বিধান অনুসৃত হয় তা দেখা সরকারের দায়িত্ব। যারা উবার নিয়ে এসেছে, তারা সরকারের কাছে এটি পরিচালনায় অনুমতি নেয়নি। একটি নিয়মের মধ্য দিয়ে এটিকে জনগণের সেবায় আনতে হবে।
শুক্রবার পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উবারের সেবাকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলো বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআরটিএ তথা সরকারের অনুমোদন ব্যতিত কোনো ট্যাক্সিক্যাব সার্ভিস পরিচালনা করা সম্পূর্ণ বেআইনি, অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই অনুমতি না থাকায় উবারের এ ধরনের পরিবহন সেবা অবৈধ। আর উবারের মাধ্যমে ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করলে চালক ও গাড়ির মালিক-দুই পক্ষের বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এই বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘উবার একটি ইতিবাচক বিষয়। যেটাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বাগত জানাই। কিন্তু তারা অনুমতি না নেওয়ায়, লিগ্যাল না হওয়ার কারণে তাদেরকে বিআরটিএ’র আইন মেনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিবহন খাতকে আরও এগিয়ে নিতে এবং আধুনিকায়ন করতে উবার এর এই সিস্টেমকে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে পুরনায় চালু করা হবে।’তবে কবে থেকে এই সেবা পুনরায় চালু হবে সেই বিষয়ে কিছু জানাননি ওবায়দুল কাদের।
প্রসঙ্গত, সারা বিশ্বে এখন প্রতিদিন গড়ে ৫০ লাখেরও বেশিবার উবার ব্যবহৃত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ঢাকা হচ্ছে ৩৩তম শহর যেখানে উবার সেবা চালু হলো। বাংলাদেশের ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান ছিলেন ঢাকায় উবার ট্যাক্সি সেবার প্রথম যাত্রী। অন‌্য পেশায় থেকেও সুবিধাজনক সময়ে ভাড়ায় গাড়ি চালিয়ে বাড়তি রোজগারের সুযোগ তৈরি হওয়ায় এবং যাত্রীদের জন‌্য সেবা পাওয়া সহজ হওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দারুণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে উবার। আবার যাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ২০১৪ সালে দিল্লিতে উবার নিষিদ্ধও করা হয়েছিল। এছাড়া উবার বিভিন্ন শহরে চালু হবার পর প্রতিষ্ঠিত ক্যাব কোম্পানিগুলোর বাধা, মামলা ও বিক্ষোভের সম্মুখীন হয়েছে। 

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৬

সিঙ্গাপুর প্রবাসী সোহেল রানার সন্তানের শুভ জন্ম


গত ০৯ নভেম্বর ২০১৬ বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টা ০৫ মিনিটে আমাদের প্রথম সন্তান 'সিজান' পৃথিবীতে আগমন করে। নরসিংদী শিবপুর উপজেলার নিজ গ্রাম সফরিয়ায় তার শুভ জন্মক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মা সহ নবযাতক সুস্থ্য আছে। আপনাদের সবার দোয়া কামনা করছি।                                                                                                                                      

নিবেদক - প্রবাসী বাবা সোহেল রানা ও মা ফাতেমা বেগম

শনিবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৬

অ্যাপলকে টপকাতে চায় হুয়াওয়ে

দুই বছরের মধ্যে স্মার্টফোনের বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপলকে টপকে যেতে চায় চীনের হুয়াওয়ে। বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে তৃতীয় অবস্থানে আছে হুয়াওয়ে। প্রথম স্থানটি স্যামসাংয়ের। বৃহস্পতিবার হুয়াওয়ের কনজুমার ব্যবসা গ্রুপের প্রধান নির্বাহী রিচার্ড ইয়ু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তাঁর প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ