সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬

সিঙ্গাপুরে বিজয় দিবস ও অভিবাসী দিবস পালিত

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু,সিঙ্গাপুর প্রতিনিধিঃ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য়। যাদের রক্ত এবং আত্মত্যাগে  এই স্বাধীনতা পেয়েছি, দেশে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা  বিজয় দিবস এলেই  শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ।

 সিঙ্গাপুরে ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ইং ৭ টা ৩০ মিনিট সিঙ্গাপুরের একমাত্র বাংলা পত্রিকা  “বাংলার কণ্ঠ” ,অভিবাসীদের সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান “দিবাশ্রম”,৫৩ এ রয়েল রোডের বাংলাদেশ সেন্টারে   যৌথভাবে   “বিজয় দিবস ও আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ” এর আয়োজন করে।
 অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ,বাংলার কণ্ঠ সম্পাদক ও  দিবাশ্রম,বাংলাদেশ সেন্টারের কর্নধার এ কে এম মোহসিন। কবি অসিত কুমার বাড়ৈ বাঙালির সঞ্চালনায় মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন প্রবাসী কবি ,কলামিষ্ট শহিদুল ইসলাম ,মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু  ,সাধারণ সম্পাদক , প্রবাসী সাংবাদিক সমিতি,সিঙ্গাপুর ,মাহাবুব আবেদীন ,সাধারণ সম্পাদক  সিঙ্গাপুর আওয়ামীলীগ ,মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী ,সভাপতি সিঙ্গাপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ,আরিফুল ইসলাম সোবহান ,সাধারণ সম্পাদক, সিঙ্গাপুর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।
 আলোচনায় বক্তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য্য তুলে ধরেন ,গত ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ হাইকমিশন শ্রমিকদের অনুপুস্থিতে বিজয় দিবস  এর আয়োজন করায় তীব্র সমালোচনা করেন। তারা বলেন ,বিদেশে হাই কমিশন কর্তৃক, রেমিটেন্সের সৈনিকরা বরাবর উপেক্ষিত।তাদের আসে পাশে এলিট সোসাইটি ,ধনকুবেরদের আনাগোনা। সরকারের নজর দেয়া উচিত।হাইকমিশনযেন  বিশেষ শ্রেণীর পার্টি সংঙ্গী  না হয় , হাইকমিশন যেন শ্রম বাজার নিয়ে ভাবেন।দিন দিন শ্রমবাজার এখানে সংকুচিত হচ্ছে।বেতন বৈষম্য,যোগ্য কাজ প্রাপ্তি ,দালাল দৌরাত্ম্য কমাতে শ্রমিকদের সাথে খোলা মেলা আলোচনার তাগিদদেন। সরকারের বাজেট নিশ্চই আছে.বছরে অন্তত একবার শ্রমিকদের সাথে তারা বসেন,বাংলা পত্রিকার মাধ্যমে শ্রমিকদের অনুষ্ঠানের  পারে।বিদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান করে থাকে ব্যবসায়ীদের দেশি বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে ,অথচ শ্রম বাজারের উন্নয়নে শ্রমিক এবং সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নে কোন বাজেট থাকেনা। অভিবাসী দিবসে যোগ্য কাজ ন্যায্য মুজুরি শ্রম অধিকার নিয়েও কথা বলেন বক্তাগণ।ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকার লাল সবুজের প্রতিকৃতির উপর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ,দীপ্ত টিভিতে সম্প্রচার জাতীয় পতাকার অবমাননা ,বর্তমানে দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে ব্যক্তি গোষ্ঠী হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার উদ্দেশেই এই সব নেককার অমার্জনীয় অপরাধ করছেন। শ্রমিকদের পাশে থাকার জন্য বাংলার কণ্ঠের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
 স্বরচিত এবং কবিতা আবৃতি করেন ,শহিদুল ইসলাম,হাসনাত মিলন,জাহাঙ্গীর বাবু,ইব্রাহিম খলিল।জাতীয় সংটের মাধ্যমে শুরু হয় গানের অনুষ্ঠান এক সাগর রক্তের বিনিময়ে,এক নদী রক্ত পেরিয়ে সহ স্বাধীনতা এবং দেশের গানে মোহিত হন উপস্থিত প্রবাসী দর্শক গণ.গান পরিবেশন করেন,ওস্তাদ শাহীন,জাকির হোসেন,সমীর ভট্টাচার্য্য ,লিটন মজুমদার,তবলায় প্রদীপ চক্রবর্তী।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিনে  ছিলো কার্য্য দিবস,১৮ ডিসেম্বর,রবিবার  ছুটির দিন। সংগত কারণে অভিবাসী দিবস, রবিবারে  বিজয় ও অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়.স্থানীয় একটি ইনস্টিটিউটের মিডিয়া কমিউনিকেশন কর্তৃক পুরো অনুষ্ঠানের ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়।
 একই ভেন্যুতে  সন্ধ্যা ৬ টায় সিঙ্গাপুর আমীলীগ ,যুব লীগ ,সেবচ্ছাসেবক লীগ বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান এবং রাতের ভোজনের আয়োজন করে মূল কমিটি সহ শাখা প্রশাখার নেত্রী  বৃন্দ,কর্মীরা  উপস্থিত ছিলেন। 
Share: