শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

যে নারী পুরুষের প্রিয় হতে পারে না, সে হয়ে ওঠে নারীবাদী


কিছুদিন আগে এক ভারতীয় নারী বন্ধু আমাকে প্রশ্ন করেছিল, ‘আমি কি পুরুষকে ভয় পাই?’ ইদানিং আবার সেই প্রশ্নই নতুন হয়ে আমার কাছে এসেছে, ‘আমি কি পুরুষের প্রিয় হতে চাইছি?’ প্রথমেই বলবো, যে নারী পুরুষের প্রিয় হতে চায় না, পারে না অথবা পুরুষের পেছনে লেগে থাকে সে হয় নারীবাদী, নয় হিজড়া। অবশ্য অঘোষিত সমকামী হবার সম্ভাবনাও থাকে। আমি এসবের কোনোটাই নই, হতেও চাই না। আমার কাছে ‘আঙ্গুর ফল টক’ নয়। আমার জীবন সম্পর্কে কিছুই জানে না এইসব মেয়েরা। মুখের উপর অপ্রিয় সত্য বলবার সাহসিকতার কারণে পরিবারের সব পুরুষই আমাকে নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত থাকতেন। তবে আমি আজকের মেয়েদের মতো অমন নির্বোধ, উগ্রবাদী সাহসিকতায় বিশ্বাসী নই, কোনোদিন ছিলাম না।
আমি সত্য সেখানেই বলবো যেখানে তার মূল্য আছে, যাদের সে সত্য উপলব্ধি করার ক্ষমতা না থাকলেও সে সত্যকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। পৃথিবীতে যতো মানুষ ততো মতাদর্শ। এই মহান সত্যকে আমি কেবল মর্মে উপলব্ধি করি না, সম্মান করি, অন্তরে ধারণ করি। কিন্তু সেই হাজারো মতাদর্শের ভিত্তিমূলেই আছে একটিমাত্র সত্য। তাই কবিগুরু লিখেছিলেন, ‘ফ্যাক্টস আর মেনি, বাট ট্রুথ ইজ অনলি ওয়ান!’ একসময় সমগ্র নারীজাতির বসবাস ছিল অন্ধকারের মধ্যে। দিনের আলো দেখার সুযোগ পর্যন্ত সেদিন তাদের ছিল না। সেই নিয়ম পুরুষই তৈরি করেছিল, সঙ্গে ছিল অজ্ঞানতা, ধর্মান্ধতার ভিত্তিকে আঁকড়ে নির্মিত পুরুষশাসিত সমাজ ব্যবস্থা। কিন্তু তারও বিশ্লেষণ আছে।
‘মেয়েরা একটা সহানুভূতির থালি নিয়ে চলে, সেটাকে আমি দুর্বলতা মনে করি।’
সেদিন মানবসভ্যতা ক্রমাগত হামাগুড়ি দেয়া থেকে দাঁড়িয়ে সবেমাত্র গুটি গুটি পায়ে চলতে শুরু করেছিল। এমতাবস্থায় একমাত্র সবলরাই সমাজবিধি গড়ে তোলার দায়িত্ব নেয়াটাই স্বাভাবিক। আর কারা এই সবলেরা? নারীতো আজও নিজেকে অবলা বলে দাবি করতেই স্বস্তি পায়। তাহলে স্বাভাবিকভাবে সে দায়িত্ব নিশ্চয়ই পুরুষই নেবে। আর নিজের সুবিধাতো মানুষ আগে দেখবেই। সে নারী হলেও একই হতো (উদাহরণ স্বরূপ বলা যেতে পারে, ‘মাতৃতান্ত্রিক পরিবার প্রথাও সমাজব্যবস্থা’)। পুরুষ ও তাই করলো, ধীরে ধীরে গড়ে তুললো পুরুষশাসিত সমাজ (‘মাতৃতান্ত্রিক পারিবারিক প্রথা ও সমাজব্যবস্থা’ ভেঙে)। নারীকে করলো বন্দি। কিন্তু আবার সভ্যতার ছোঁয়া পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষা আর জ্ঞানের প্রভাবে সেই নিয়ম ভেঙে নারীকে সে অন্ধকার থেকে বের করে এনে যে আলো দেখালো, সেও কিন্তু সেই পুরুষই। সেদিনের সেই পুরুষের এতটুকু অবদান ছাড়া আমি বা আজকের প্রতিটি নারী কে হতো, কি হতো অথবা অন্যকেউ, অন্যকিছু হতো কিনা সে আলোচনা অবান্তর।
আমি শুধু বিশ্বাস করি আজ আমি যা হয়েছি, তার পেছনে আজকের এই যুগের কোনো নির্দিষ্ট পুরুষের পুরোপুরি অবদান হয়তো নেই। কিন্তু আমার আজকের এই স্বাধীনচেতা মনোবৃত্তি আর স্থিতির পেছনে রয়েছে সেদিনের সেই একদল মহাপুরুষের নির্বিকার নিষ্ঠা, ত্যাগ, মায়া, মমতায় জড়ানো প্রতিটি নারীর মর্যাদার প্রতি গভীর এক শ্রদ্ধাবোধ। আর এমন পুরুষ আজও দুর্লভ নয়। অনেক পুরুষই নারী উন্নয়নে এখনো শক্তিশালী ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছেন। সেদিনের এবং আজকের এই প্রতিটি পুরুষের সম্মানার্থেই পুরুষকে যে নারী ছোট করে, তাদের প্রতি আমার বিন্দুমাত্র শ্রদ্ধাবোধ নেই। আধুনিক মেয়েরা যেসব ছুঁচো পুরুষের কলঙ্কিত সস্তাদর চারিত্র্যিক বৈশিষ্ট্যকে কেন্দ্র করে ‘পুরুষ’ শব্দটার গভীরের ‘পৌরষ’কে স্থূলতার পথে চালিত করতে চায় সেটা কেবল তাদের অন্যায়ই নয়, সেটা মেয়েদের অকৃতজ্ঞতারই প্রকাশ।
নিজে নারী বলেই নারীজাতির এই অধঃপতনকে আমি মেনে নিতে পারি না। আমি পুরুষকে ভয় পাই কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে যদি বলি যে, সত্যিকার অর্থে পুরুষকে যদি আমার ভয় পেতেই হয় তাতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। পুরুষতো আর বাঘ নয় যে আমাকে খেয়ে ফেলবে। আমি পুরুষকে সম্মান করি, তাদের আমি শুধু পুরুষ নয়, মানুষ ভাবি। আমি আগেও বলেছি, যা আমার একান্ত অনুভূতি তা আমি বারবার বলবো। অল্পবয়সে একসময় আমিও নারীবাদী ছিলাম। কিন্তু জীবনের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, রুচিবোধ, রবীন্দ্রনাথ এইসব আমাকে উচ্চতর চিন্তার জগতে পৌঁছে দিয়েছে। যে নারী বয়সের সঙ্গে নারী-পুরুষ বিভেদীকরণের ধ্যান থেকে মুক্ত হয়নি, সে নারী বিকশিত হয়নি, সময়ের সঙ্গে তার আত্মোপলব্ধি হয়নি। পুরুষকে আমি এখন আর আমার সমকক্ষ ভাবি না। আমি মনে করি তার অবস্থান আমার অবস্থানের চাইতে ভিন্ন। কোথাও সে মহান, আমার চাইতে অনেক বড়, আবার কোথাও আমি তাকে ছাড়িয়ে অনেক দূরে। চাইলেই আমরা একে অন্যের স্থানে আসতে পারবো না।
যাদের ধারণা আমি পুরুষকে খুশি করতে, ওদের প্রিয় হতে পুরুষকে বড় করি তাদের বলবো, আজকের এই ফেসবুকের যুগে এমন প্রশ্ন মনে আসাটাই কি স্বাভাবিক নয়? কিন্তু যদি একথা সত্য ও হয় তবে আমার প্রশ্ন, আমি পুরুষকে সম্মান না করলে, ওরা কেন আমাকে সম্মান করবে? এটা কি যেকোনো স্বাভাবিক মায়ামমতার ভিত্তি নয়? এই সাধারণ বোধটাই আজ আমাদের সমাজে, গোটা বিশ্বে হারিয়ে গেছে। আমি নারীর অধিকার নিয়ে লিখি না। আমি পারস্পরিক ভালোবাসা, মায়ামমতা, শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে লিখি। অধিকারের প্রশ্ন আসলেই বিরুদ্ধাচরণ আসবে। আমি সেই পর্যায়ে যাই না। নারী নির্যাতন, অ্যাসিড নিক্ষেপ, যৌতুক আদায় এইসব আমার লেখার বিষয়বস্তু নয়। আমি যেখানে দু’জন মানুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক গতীয়মান, যেখানে একটা সুন্দর জীবনযাপন সম্ভব তাদের নিয়ে লিখি। আমি নারী, তাই পুরুষের প্রতি নারীর কর্তব্যকে, অনুরাগকে প্রকাশ করাটাই আমার জন্য সহজ, স্বাভাবিক।
পুরুষের নারীর প্রতি কি কর্তব্য তা নিয়ে অনেক পুরুষই লিখছেন, কিন্তু আজ আর তা প্রাণ থেকে নয়! হয়তো একদিন নারীর জন্য এমন কোনো পুরুষ উঠে আসবে। আমাদের সমস্যা হলো আমরা অন্যকে জোর করে শেখাতে চাই আমাদের একের প্রতি অন্যের কি কর্তব্য। পুরো সমাজই এক জেদাজেদি চক্রে ঘুরছে। তাহলে কিভাবে গড়ে উঠবে নারী পুরুষের স্বাভাবিক সম্পর্ক? আরেকটা কথা, নারী দুর্বল, অবলা, এইসব কথা ছাড়তে হবে। সেদিন গেছে। এইসব বলে বলে আর কতো? সমস্যা হচ্ছে আধুনিক নারী তার নিজের জায়গা থেকে সরে পুরুষের ভূমিকা নিতে চাইছে, তাই পুরুষ পুরুষের জায়গা থেকে সরে জন্তু জানোয়ারের ভূমিকা নেভাচ্ছে! কেবল বাইরে থেকে দেখলে হয় না, ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। যেকোনো কারণেই হোক পুরুষের নারীর উপর আধিপত্যকে আমি খারাপভাবে দেখি না। বরং আমার এই ব্যাপারটা অসাধারণ মনে হয়। হ্যাঁ আমি নারীকে, নারীবাদকে নিয়ে ঠাট্টা করি, আমি নারী বলেই তা করি। মেয়েরা একটা সহানুভূতির থালি নিয়ে চলে, সেটাকে আমি দুর্বলতা মনে করি। বারবার নিজেকে দুর্বল উচ্চারণ করাটা কোনো সবলের লক্ষণ নয়, এতে করুণা বৃদ্ধি হয় মাত্র, কিন্তু তাতে উন্নয়ন হয় না।
লেখক : ডাবলিন ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

"মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশী!"


লেখার শিরোনাম দেখে অবাক হবার কিছু নাই।তার চেয়ে বরং চলুন, আমরা গতানুগতিক চিন্তার বাইরে "আউট অব বক্স" চিন্তা করতে অভ্যস্ত হই। সবাই যখন ইউ.এন .ও কে বাহ্ বাহ্ আর উকিলকে গালি দিতে ব্যস্ত , আমরা সেই স্রোতে গা না ভাসিয়ে, আমাদের সমাজ যে দিন দিন নিম্ন দিকে ধাবিত হচ্ছে তা নিয়ে একটু ভাবি, আপনি/ আমি তার লাগাম টেনে ধরতে চেষ্টা করি, সব কিছুতে একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখার উপর গুরুত্বারূপ করি, দেখা যাচ্ছে দেশের কোথাও  কোন কাজে একটা মিনিমাম স্ট্যান্ডার্ড বজায় রাখা হচ্ছে না !


" হাতি কুলার মত  দেখতে "অন্ধের এই হস্তী দর্শনের কথা সবার মনে আছে নিশ্চয়. যে আর্ট সম্পর্কে কোন কিছু জানেনা, সে ব্যক্তির আর্ট নিয়ে ভুল সিদ্ধান্তে আসাটাই স্বাভাবিক! নিউ ইয়র্কের মেসিতে স্থাপিত  ব্রোঞ্জ মূর্তি দেখে একজন বাংগালী শিক্ষিত (বি.এ পাশ) ভদ্রলোক বলে ছিলেন  "মেসির প্রতিষ্টাতা তো দেখি কালো ছিল !" উকিলতো এধরণের মানুষেরাই হয় তাই না? আমাদের সময় বলা হতো "যার নাই কোন গতি, সে করে উকালতি !" ( সরি, কটাক্ষ করতে নয়, এমনিই প্রবাদটা বললাম )।

যেখানে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই ছবিটি দেখে বললেন, ক্লাশ ফাইভের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এই অফিসার সুন্দর একটি কাজ করেছেন।এটি রীতিমত পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। এই অফিসারটি রীতিমত পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সেই ছবি দেখে বরিশাল আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক এই চাপাবাজ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওবায়দুল্লাহ সাহেবের হৃদকম্পন বেড়ে গিয়েছিল।ইস কত মায়া,কত প্রেম,কত ভালবাসা,কতবড় আওয়ামীলিগার! একেই বলে, "মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি বা দায়ের চেয়ে আছাড় লম্বা বা লাউয়ের চেয়ে বিচি বড় বা সূর্যের চেয়ে বালু গরম।" ঘটনার পর আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ওবায়দুল্লাহ সাজুকে আওয়ামী লীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে স্থায়ী বহিস্কারের।

আবার, এই উকিল তেল মারতে পারেন কিংবা ভুলেও এমনটি করতে পারে কিন্তু সংবিধানের রক্ষক বিচারক যদি, আওয়ামীলীগের নেতা মামলা করেছেন বলে একজন সহকারী সচিব পর্যায়ের মানুষকে হাতে হাত কড়া পড়াতে দ্বিধা করেননি তাহলে বিচারের স্যান্ডার্ড মিনিমানের কত নিচে গিয়ে ঠেকেছে তা বুঝতে কি কেউ কাউকে আংগুল দিয়ে দখিয়ে দিতে হবে ! যেখানে একজন সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি, অপহরণ , চাঁদাবাজি , রেপের মত মারাত্মক মামলা করা যায়না বিভাগীয় পারমিশন ছাড়া সেখানে সাধারণ একটা আর্টকে আমন্ত্রণ পত্রে ছাপানোর জন্য করা মামলা কিভাবে কোর্ট হাতে নিল বিভাগীয় পারমিশন ছাড়া ! কোন আইনে হাতে নিলেন ?  তা দেখে আমাদের কি অবাক হয়ে যাওয়ার কথা না! আওয়ামীলীগের সাধারণ একজন লিডার যে ৫ বছর আগেও আওয়ামীলীগ করতো না , তার করা মামলায় যদি জাজ আইনের বাইরে গিয়ে আইনের আরেক ব্যক্তি (ইউ.এন .ও ) কে হাত কড়া পড়িয়ে জেলে দিতে পারেন, তখন স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন এসে যায় যে , যারা আজীবন আওয়ামীলীগ করে তাদের করা মিথ্যা মামলায় কত শত মানুষ যে নির্যাতিত হয়ে কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ষ্টে দিনাতিপাত করছে? এক মাত্র আল্লাহই জানে!

লেখক : মোঃ মেহেদী হাসান, সাংবাদিক &কলামিস্ট। 


রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৭

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ৫৮ তম জন্মদিন পালন

রকি পাটোয়ারি,সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি: আজ ২৩ জুলাই,২০১৭ সিঙ্গাপুর স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্দোগে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন মোল্লা মো: আবু কাউছারের ৫৮ তম জম্মদিনের কেক কেটে জম্মদিন পালন করা হয় বাংলাদেশ সেন্টার,সিঙ্গাপুরে।অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে সিঙ্গাপুর স্বেচ্চাসেবক লীগের সকল নেতা কর্মীর উপস্থিতে আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে নেতা কর্মীরদের শ্লোগানে মুখোরিত হয় জম্মদিনের অনুষ্ঠান।
উপস্হিত ছিলেন বাংলার কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক একে এম মোহসিন। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুর আওয়ামীলীগ,যুবলীগও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।

শনিবার, ২২ জুলাই, ২০১৭

কবি ফখরুল হাসানের কবিতা - আঠারো বছর পরে দেখা

আঠারো বছর পরে দেখা
-কবি ফখরুল হাসান

লোকে বলে সাধনাতে করা যায় অসাধ্য সাধন
আঠারো বছর পরে মিললো সেই পাহাড় সমান ধন
এক পলকের একটু দেখা কোটি দিনের সেরা
আজকের রাতটি শুধুই আমায় সুখ দিলো ধরা ।

এই দিনটির অপেক্ষাতে কেটেছে কত যে প্রহর
তোমার হাতের স্পর্শের চা বেহেস্তের নহর ধরা
দিলো আজকে পৃথিবীর সুখেরী বহর বানেছা
পরী তুমি আমি সেই বাদশা গহর ।

বসে বসে তবে কিগো দেখছো আমাকে এই
মনেতে আজও রেখেছি তোমাকে দীর্ঘদিনে না
দেখার তৃষ্ণা হলো শেষ সুখেই
রাত পোহালো আহা বেশ বেশ ।

দেখলাম তোমায় খুব কাছ থেকে
কিছু আশা তবুও তুমি গেলে রেখে স্বর্ণালী ,
দেখেছি তোমায় বহুবার হাসি মুখে যেতে পারবো পরোপার ।

কবি ফখরুল হাসানের কবিতা - উলুধ্বনি

উলুধ্বনি
ফখরুল হাসান

আমন্ত্রিত অতিথির মাঝে আমিই কেবল তোমার চোখে খুনের আসামি !
হ্যাঁ আমি খুনী , বীরত্বের সাথে খুন করেছিলাম শত যুবকের স্বপ্ন আমার অপরাধ,
নিষ্ঠুর ভাবে লুট করেছিলাম তোমার সরলমন ।

সীমাহীন শূন্যতার দুর্ভিক্ষের মাঝে উপহার দিলে
আপন সত্তা ধর্মের বেড়াজাল তুচ্ছ করে ,
তুলে দিলে দুর্মূল্য সম্পদ তোমার হৃদয় ।

র্মের দন্ড, সমাজের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে অসীম দুঃসাহসে হৃদয়ের সীমান্তে ,
প্রেমের পতাকা হাতে পাশে দাঁড়ালে কিন্তু,
র্মের শ্যাওলা পড়া দেয়াল অন্ধ সভ্যতার কাছে বন্দীত্ববর করলো পবিত্র প্রেম !

তাই বছরের পর বছর নির্বাসিত জীবন নিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেঁচে থাকা ।
আঠারো বছর পর প্রেমের আকাশে পূর্বাভাস দিলো ক্ষণিকের দেখার ।
হয়তো তুমিও আমার মতো প্রতিক্ষার প্রহর গুণেছ ।

কীর্তনের ঢাক , বাদ্যযন্ত্রের আওয়াজ আর তোমার চিরচেনা উলুধ্বনি
আহ্ পূর্বে নিমন্ত্রণ থাকা সত্ত্বেও খাওয়া হয়নি তোমার হাতে বানানো
নারিকেলের নাড়ু তোমাকে দেখে দেখে মধ্য রাত হয়েছে তা বুঝতে পেরেছি
পাশে বসে থাকা ভদ্রলোকের কথায় সর্বগ্রাসী তৃষ্ণা আর ক্ষুধার যন্ত্রণা মুহূর্তেই
বিদায় নিলো এক কাপ চা আর উলুধ্বনির শব্দে ;
ধোঁয়া উড়া চায়ের কাপে ভেসে উঠলো আশ্চর্য লাবণ্যমণ্ডিত সেই প্রিয় মুখ ।

হঠাৎ বিদ্যুত্ চলে গেল, কীর্তনের ঢাক তোমার উলুধ্বনি মাঝে খুঁজে ফিরি
হারানো অতীত চায়ের চুম্বনের মাঝে অনেকেই খুঁজে চারটি চোখের রহস্য ।
লজ্জায় ভয়ংকর নিস্তব্ধতা নেমে আসে আমার মাঝে কীর্তনের আসর থেকে উঠে
চা পান করা ঠোঁটে আশ্রয় নেয় ধোঁয়ায় কুণ্ডলি তোমার তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখ দুটিতে
মুহুর্তেই নেমে এলো ক্রোধের বৃষ্টিধারা আমি ভয়ে ভয়ে হাত থেকে
ফেলে দিলাম সদ্য আগুন দেওয়া সিগারেট ।

এরি মাঝে বীর হনুর বীরত্ব, সীতা উদ্ধারের সাথে পালা হলো শেষ ।
ঢাক আর বাদ্যযন্ত্রের তালে ব্রাহ্মণ নিলো বিদায় এমন দুঃসাধ্য হয়নি আমার,
তোমার সাথে বলবো কথা ক্লান্তি আর বিষাদের রাত্রির শেষ সম্বল হলো
এককাপ ধোঁয়া তোলা চা ও ব্রহ্মাণ্ড কাঁপানো উলুধ্বনি ।

কবি ফখরুল হাসানের কবিতা - সূত্র

সূত্র
ফখরুল হাসান

দম্ভের মঞ্চে চলে নিখুঁত অভিনয়
প্রলোভনে বিক্রি হচ্ছে মূর্খ বামুন
যজ্ঞের মন্ত্রে নেয় প্রভুত্বের দাস ।
দম্ভের প্লাবনে ভাসে পথ ভ্রষ্ট শাসক ।

উত্তরাধিকারে দেখি ইবলিশের আত্মা !
চতুর্দিকে হচ্ছে ক্রমশ সততার পতন !
নড়বড়ে শুদ্ধ বিবেক হয় ছন্নছাড়া
অবজ্ঞার সাইনবোর্ড ঝুলে , পাতা ঝরা বৃক্ষে ।

প্রত্যাবর্তনের ভাগ্য তো দূরের নক্ষত্র ।
সুশীলরা দ্রুত নিবন্ধন নিচ্ছে ক্রীতদাসের ব্যথিত
মাতৃভূমির চোখে শ্রাবণের অশ্রু প্রয়োজন
একজন অমৃত মানুষ এই মাটির ধূলিতে ।

রবিবার, ৯ জুলাই, ২০১৭

নবধারা নিউজ'র ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক: রমজানের পবিত্র মাস প্রায় শেষ লগ্নে। এই পবিত্র রমজানুল মোবারকের অন্যতম দান হলো ইফতার। রসূল (সা.) বলেন: কেউ যদি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তাহলে ঐ ইফতার করানোটা তার গুনাহ মাফের ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে এবং সে একটি রোজার সওয়াব পাবে অথচ রোজা পালনকারীর নেকী মোটেই কমানো হবে না।


গত ২৩শে ই জুন শুক্রবার জুন্মাতুল বিদাতে সিডনির স্হানীয় রেষ্টুরেন্ট "রসনা বিলাস" এ নবধারা নিউজ'র আয়োজনে বার্ষিক ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোরআন তেলয়াৎ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন মো: আবুল কালাম আজাদ খোকন। উক্ত ইফতার পার্টি দোয়াতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করেন। পরে আগত অতিথিদের মাঝে ইফতার ও ডিনার পরিবেশন করা হয়।
উক্ত পার্টিতে বাংলাদেশী সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস,বি,এস রেডিও বাংলা বিভাগের প্রযোজক
এবং জন্মভুমি টিভি'র প্রধান আবু রেজা আরেফিন, মুক্তমন্চের সম্পাদক নোমান শামীম,চ্যানেল আই'র সিডনি প্রতিনিধি বাবু আসওয়াদ, নবধারা নিউজ ডট নেটের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খোকন, নবধারা নিউজ রিপোর্টার ড. সৈয়দ ফাওযুল আজীম (চঞ্চল)।

অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাবু সিইও ষ্টাডিনেট, রংধনু সংগঠনের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান শামীম,একান্টটেন্ট লিংকন শফিউল্লাহ,আরমান, মারুফ এবং পরিবারবর্গ। সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সন্পাদক আজাদ খোকন ইফতার পার্টি শেষ করেন।

সিডনি ক্যানবেরা বাংলাদশ হাইকমিশনে "রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী" পালিত হবে

অষ্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরাস্হ বাংলাদশ হাইকমিশনের উদ্যোগে "রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী" পালিত হবে আগামী ২২শে জুলাই শনিবার। অনুষ্ঠানে অষ্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদশ হাইকমিশনার কাজী ইমতিয়াজ হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করবেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের জীবনের উপরে আলোচনা ও কবিতা আবৃতি হবে। এ উপলক্ষে প্রবাসীদের কবিতা ,নৃত্য, গান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ক্যানবেরা ও সিডনির শিল্পীরা অনুষ্ঠ...ানে পারফর্ম করবেন।


স্থান: ক্যানবেরা কলেজ অডিটরিয়ামে তারিখ: ২২শে জুলাই শনিবার সময়: বিকাল ৫:৩০ মিনিটে