বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

নিজের ছায়ার চেয়ে বাস্তবিক - নাজমীন মর্তুজা

উজ্জ্বল তামার মুখ
সবুজ ঘাস, পরাধীন ধান
রোদ পড়ে চন্দনে,
ফাল্গুনে কেনা আলো
হলুদ পাটল রঙ।
তাকে দেখে গায় গান
কাকাতুয়া হরিয়াল
তার চোখ চেয়ে
কলার ভেলা ভেসে যায়
মধ্য আকাশে দশমীর চাঁদ ওঠে।
নীল ছায়া ,ছায়া দেয় ,চোখে
তার শ্লেষ গালবাদ্য রগড়
তাকে পায়নি যারা তারা
নাম দেয় কলঙ্ক।
ব্যর্থতার গোপন খেলা
পরাজিত হৃদয়ের ।
সে পায় অংশত যে গায়
অংশত মনের গীতিকা
উড়ে শুকপাখি ,কথা
বলে ,গান বলে, জীবন বলে
টুকে রাখে কবি তুলোটে
যেন সব কথার গা মাথা মুছে
শব্দে বসায়, সুর দেয় ।

বৃহস্পতিবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৮

ফাহমিদা ইয়াসমিন এর দুটি প্রেমের কবিতা

তোমার জন্য মন কাঁদে


তুমি কেন বদলে যাও
হঠাৎ করে,
কিসের আশায় দূরে থাকো
কোনসে ঝড়ে।
তোমায় আমি ভালোবাসি
আপন মমতায়
আমার মতো কেন তুমি
খোঁজনা আমায়।
তোমার জন্য মন কাঁদে
বারে বার,
তুমি আমার ভালোবাসার
সেরা উপহার।


ভালবাসি
.

তুমি আছো আমার আকাশে
তারাদের মতো
রাত হলে চুপ করে দেখে যাই।
তুমি কোন তারাটা বলোনা আমায়।
আমি প্রতিটা সময় চেয়ে থাকি
প্রতিটা তারায়
তোমারি আশায় তোমাকে দেখবো বলে।

বুধবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১৮

ভালোবাসা - ফাহমিদা ইয়াসমিন

ক্লান্তির পর যখন চোখ বুঁজি
তোমাকে দেখি
নিরবে ভাসে জল
নদী হয় নিরবধি।
জীবনের সব পাখি দূরে চলে যায়
তখন তুমি আসো
কোন ক্লান্তি নাই
পাশে বসো
ভালোবাসো খুব ভালোবাসো।
আমি বলি কি দেবো তোমায়
এখন তো আমার বিকেল বেলা
সন্ধ্যা হয় হয়।
তুমি বলো মন থেকে একটি হাসি দাও ।

মঙ্গলবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

অবিবেচক এ কে রাসেল

পরের ক্ষেতে দিনে ও রাতে
খাটছে যারা কামলা,
অঝোর ঘামের শ্রমের মূল্য
লুটে নিল আমলা।
অবিবেচক নির্বাচকে
পেল যখন ভার
কেবা আমি কেবা  তুমি
গোন,তার ছেড়াদের তার।
স্বজনপ্রীতির পাল্লা ভারি
সিকি আনায় লাখ,
আছে যার ঝুলি ভরা
সেও দূরে থাক।
পাঠক আমি দূরেই থাকি
বন্ধ রাখি চোখ
এই ধরাতে বাড়ছে যখন, অবিবেচক ।

সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮

হেমন্তের দিনে-ফেরদৌসী খানম রীনা

হেমন্ত নিয়ে এলো
নবান্নের উৎসব।
কৃষকের ঘরে ঘরে
যেন কলোরব।

নতুন ধানের ঘ্রাণে
পাড়া-পড়শির নেই ঘুম।
ঘরে ঘরে পিঠা -পায়েস
খাওয়ার পরে গেছে ধুম।

 সোনালী ফসল রয়েছে
দিগন্ত জুড়ে।
দেখে কৃষাণ-কৃষাণীর
মনটা গিয়েছে ভরে।

সারাদিন কৃষক তাই
কাজ করে মাঠে।
কৃষকের ছেলে-মেয়েরা
মন দেয় পাঠে।

হেমন্তের সকালে শিউলির
সুবাসে মন যায় ভরে।
অপরূপ সৌন্দর্যে শিউলি ফুল,
মনটি নেয় কেড়ে।

গাছে গাছে পাখিদের কলরবে,
মন থাকে না অার ঘরে।
হেমন্তের অাবেশে মুগ্ধ মন
হারায় ঐ সুদূরে।

ভোর বেলা শিশির কণা
দেখতে লাগে বেশ।
হেমন্তের অাগমনে পল্লী গাঁয়ে
অানন্দের নেই শেষ।

হেমন্তের হিমেল হাওয়া
হৃদয়ে দেয় দোলা।
শিশির সিক্ত স্নিগ্ধ ভোর
যাবেনা কখনোও ভোলা।

ছড়া কৃষকের হেমন্ত ছড়াকার জুবায়ের হোসেন

শীতল বাতাসে কৃষকের খুশিতে
এলো বাংলায় হেমন্ত,
আনন্দ উৎসবে বয়ে গেছে
সাড়া মাঠের প্রান্ত

গান ধরেছে মাঠে মাঝে
গ্রামের কৃষক গায়ক
সুরে সুরে ধান কাটছে
কৃষক ভাই আজ নায়ক।

নবান্ন উৎসব হবে বাংলার
প্রতি ঘরে ঘরে,
কৃষাণী তার মনের খুশিতে
ফসল মারাই করে।

কৃষক ছেলে স্কুল ফেলে
মাঠের দিকে ছুটে,
বাবা তাহার রৌদ্র তেজে
সোনার ফসল কাটে।

হেমন্ত এলে কৃষক চেয়ে
সুখী নাই কেউ,
বছর ঘুরে এলে হেমন্ত
বেয়ে যাই নবান্ন ঢেউ।