বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯

কবি সাজেদা পারভীন কবিতা নিশি কাব্য


নিশিদিন নিশিভোর নিশি নিশিক্ষন,
নিশিক্ষনে ভালো লাগে তোমার কথন।

নিশিকালে  নেশাভরা চাঁদ হাসে গগণে,
নিশিরাতে তুমি যে আসো মোর স্বপনে।

নিশিরাতে গগণে উঠে পূর্ণিমার চাঁদ,
নিশিতেই ভাঙে যত আবেগের বাঁধ।

নিশিপদ্ম হাতে নিয়ে চেয়ে রই নীলাকাশে,
নিশিচাঁদে তোমারে দেখে মন অকারনেই হাসে।

নিশিকাব্য রচি আমি ঘোর অমাবশ্যা নিশীথে,
নেশায় যে মাতাল হই বিরহ বন- বিথীতে।

নিশি ভোরে কখন যে আনমনে উঠি জেগে,
নিশীথেই অকারনে হাতরে খুঁজি তোমাকে।

নিশীথের প্রেমে আমি হই মশগুল,
নিশি চাঁদের কথা শুনে আমি হই আকুল।

নিশি প্যাঁচার নিম সুরে আমি অকারনে পাই ভয়,
তবু ও নিশীথিরে ভালোবাসিতেই মনে বেশি ইচ্ছা লয়।

নিশিরাতেই কখন ও বা ফুরায় মায়ার টান,
ফুরায়  জীবনের লেন দেন সব ঐকতান।

ভাবতে ভাবতে কখন যে নিশি ফুরায়,
আবার অপেক্ষায় থাকি নিশির আশায়।

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯

ভালোবাসি বাবা নুসরাত জাহান (লিয়া)



আমাদের জন্য প্রস্তুত তার শেষ রক্তবিন্দু,
তিনি বাবা আমাদের প্রিয় বন্ধু।
পৃথিবীতে আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ উপহার,
বাবা ভালোবাসার পাহাড়।

বিশ্ব বাবা দিবসে বলি নাই,
ভালোবাসি বাবা তোমাকে।
তাই কি বলো তোমার প্রতি,
ভালোবাসা আমাদের কমতি আছে?

সারাদিনের ব্যাস্ততা শেষে
তুমি যখন বাড়ি ফিরতে,
কি এনেছো আমার জন্যে
বলতাম তোমায় জড়িয়ে ধরে।

প্রতিনিয়ত কষ্ট দিয়েছি বাবা,
রাখো নাই তুমি মনে।
নিজের ঘাম ঝরিয়েছো,
আমাদের প্রয়োজনে।

মনে কি পরে তোমার প্রিয় খাবার,
মাছের মাথা খেয়েছো শেষ কবে?
সব সময় ভেবেছো তুমি,
কি করে আমাদের অন্ন যোগাবে।

বাবা তুমি হাটতে শেখালে হাত ধরে,
সুখ দুঃখে আছো তুমি পাশে।
শেষ করা যাবেনা তোমায় নিয়ে লিখে,
তুমি আমার সব বাবা এই পৃথিবীতে।



রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

হতচ্ছাড়া প্রেম / তাসলিমা কবির রিংকি



কে বলেছে তুমি নেই !তুমি আর আসবে না
ওসব বাজে কথা আমি বিশ্বাসই করিনি
আমি তো বলেছিলাম একদিন ফিরে আসবে ।
আমার জন্য গোলাপ বেলী আর
সোনার কবিতা হাতে অবশেষে  এলে তো !

আমার কি য়ে হতচ্ছাড়া প্রেম !
আনন্দ না বেদনা না
শুধু বিরহ ছড়িয়ে তোমাকে খুঁজে;
বাড়াবাড়ি রকমের বেহায়াপনা ছাড়িয়ে
শুধু তোমাকেই বুঝে ।
তোমাকে পাওয়া সহজ না তাই চাই না
কবিতা লিখে প্ররোচিত করি
তুমি যে রহস্য গোপন রাখো আমি তার পিছু ছুটি,
তুমি যেখানে যাও চলি তোমার পায়ের তালে তালে
তোমার চোখে মুখে বুকে ছিলাম না কোনকালেই
ছিলাম এক পলকের মৃদু হাসিতে
সেটাই কম কিসে বলো ?
তোমার প্রেমে আত্মার দ্যুতি ছড়িয়ে মুগ্ধ আমি
স্বর্গের বাগানে তোমার পদ স্পর্শ করে আমি দূরে
প্রাণের স্পর্শে ফুটাই ফুল ।

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯

সিডনিতে গ্র্যান্ড লাকেম্বা ঈদ বাজার উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্স


আবুল কালাম আজাদ, সিডনি প্রতিনিধি: সিডনির লাকেম্বায় জুবিলী রিজার্ভ পার্কে আগামী ৩রা ও ১০ই আগস্ট ‘গ্র্যান্ড লাকেম্বা ঈদ বাজার’ উপলক্ষে গত ১৩ই জুলাই শনিবার বিকেল ৪:০০টায় স্হানীয় রেস্টুরেন্টে প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এই কনফারেন্স ‘লেইস ফিতা’ ফ্যাশন হাউজের আয়োজনে এবং মাসুদা জামান ছবির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়।


এই প্রেস কনফারেন্সে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ‘লেইস ফিতা’র সত্ত্বাধিকারী তাম্মি পারভেজ ও মাসুদ পারভেজ। লেইস ফিতা পূর্বের ঈদগুলিতে কমিউনিটি হলের ইনডোরে অন্য ফ্যাশন গ্রুপের সাথে ঈদ মেলার কাজ করে আসছিলেন। তাঁরা লাকেম্বাতে প্রথমবারের মত আউটডোরে এককভাবে ঈদের কেনাকাটার জন্য স্থানীয় বাংলাদেশীদের সুযোগ তৈরী করার জন্যই এই মেলার আয়োজন। আর সিডনির কিছু ক্ষুদ্র মহিলা ব্যবসায়ীদের (বুটিক বা অন্যান্য কাপড় ব্যবসায়ীদের) একত্রিত করে কমিউনিটিতে ব্যবসার সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়াও তাদের উদ্দেশ্য।

লেইস ফিতা জানান, মেলায় থাকবে ৩০টি বিভিন্ন ধরণের পণ্যের স্টল থাকবে যার মধ্যে কাপড়, বুটিক, রিয়েল এস্টেট, ফুড ও জুয়েলারীর দোকানও থাকবে। সকাল ১১:০০টায় শুরু হয়ে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত চলবে মেলা।

আগামী ২০শে জুলাই সিডনিতে ‘হোয়াইট রিবন নাইটস’


আবুল কালাম আজাদ, সিডনি প্রতিনিধি: হোয়াইট রিবন অষ্ট্রেলিয়া’র আয়োজনে আগামী ২০শে জুলাই ২০১৯ শনিবার সন্ধ্যা ৬:০০টায় সিডনি ল্যাকান্বার স্হানীয় কহিনুর রেষ্টুরেন্টে ‘হোয়াইট রিবন নাইটস-২০১৯’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সাংবাদিক, সম্পাদক ও হোয়াইট রিবন অস্ট্রেলিয়ার অ্যাম্বাসেডর আবুল কালাম আজাদ খোকন। সঞ্চালনায় থাকবেন কমিউনিটির গুণীজন নাসিম সামাদ।

অষ্ট্রেলিয়াতে আগামী ২৬শে জুলাই হোয়াইট রিবন নাইটস। আর এই মহতী উপলক্ষকে সামনে রেখেই তাঁদের হোয়াইট রিবন এর আয়োজন। শিশু ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সংক্রান্ত বিষয়কে অষ্ট্রেলিয়াতে হোয়াইট রিবন বলে। এদেশে ২৬শে জুলাই হোয়াইট রিবন নাইটস এবং ২৫শে নভেম্বর হোয়াইট রিবন ডে পালন করা হয়।

অনুষ্ঠান আয়োজন মালায় থাকবে বক্তব্য, নারী নির্যাতন দূরীকরণ বিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, নারী নির্যাতনসংক্রান্ত ছোট্র নাটক এবং বুকলেট বিতরন। বাঙ্গালী কমিউনিটির রোল মডেল দম্পতির সংসার জীবন (ডোমেষ্টিক ভায়োলেন্স ব্যাতীত) পার করেছেন তা দর্শকদের শেয়ার করবেন। এছাড়াও মানসিক ও নির্যাতনসংক্রান্ত কবিতা আবৃত্তি। হোয়াইট রিবন নাইটস উপলক্ষ্য কেক কাটা হবে। আর সবশেষে নৈশ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি।

আয়োজনস্থলে উপস্থিত থাকবেন হোয়াইট রিবন অষ্ট্রেলিয়ার দল, সাংবাদিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ।

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: অর্জন, প্রতিবন্ধকতা ও করণীয়


শিক্ষা নিয়ে গড়ব দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। এই স্লোগান সামনে নিয়ে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা এগিয়ে যাচ্ছে দূর্বার গতিতে। আমরা জানি যে, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে সকল ধরনের শিক্ষার ভিত্তিস্বরূপ। যে কোন অবকাঠামোর ভিত্তি যদি মজুবত না হয়, তাহলে সেটা ঝুকিপূর্ণ বলে আমরা ধরে নেই। তদ্রুপ প্রাথমিক শিক্ষা যদি মানসম্মত না হয়; তবে পরবর্তী শিক্ষাস্তর টেকসই হওয়ার কথা নয়। প্রাথমিক শিক্ষার স্তর বলতে ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত বুঝায়।

যদিও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ এ উল্লেখ রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষাস্তর ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এবং সে মোতাবেক বাস্তবায়নের কাজ চলছে। এছাড়াও প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি নামে বাংলাদেশের প্রত্যেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি বিশেষ শ্রেণি রয়েছে। এ শ্রেণিটি হচ্ছে ১ম শ্রেণিতে ভর্তিও প্রস্তুতি স্বরুপ। বিদ্যালয়ের সবচেয়ে আকর্ষনীয় কক্ষটি হচ্ছে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির জন্য বরাদ্দ। ১ম শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা রয়েছে।

এ যোগ্যতাগুলি প্রত্যেকটি শ্রেণিতে বিষয়ভিত্তিক ভাগ করা রয়েছে। একজন শিক্ষার্থী ১ম শ্রেণি হতে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষ করে যদি ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা সফলভাবে অর্জনের মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে আমরা ধরে নিব সে শিক্ষার্থীর মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা অর্জন হয়েছে।

ইতমধ্যে বর্তমান সরকার বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কিছু অভূতপূর্ব এবং যুগোপযোগী পরিবর্তন সাধন করেছে। উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো-

১. সকল শিক্ষার্থীর হাতে ১ জানুয়ারীতে সম্পুর্ন বিনামূল্যে পাঠ্য বই দিয়ে আসছে সরকার। আমি যতদূর জানি পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এভাবে সম্পুর্ণ বিনামূল্যে পাঠ্য বই বিতরণ করা হয় না।
২. শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির আওতায় নেওয়া হয়েছে এবং শিউরক্যাশ এর মাধ্যমে উপবৃত্তির অর্থ সরাসরি অভিভাবকদের মোবাইলে পৌঁছে যায়।

৩. ১৯৭৩ সালে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসাথে ৩৬১৬৫টি বিদ্যালয় জাতীয় করণের পর বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অবশিষ্ট ২৬১৯২টি বিদ্যালয় ২০১৩ সালে জাতীয়করণ করে নিয়েছেন। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি সাহসী ও যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ।

৪. বাংলাদেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হয়েছে এবং এ শ্রেণির জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একটি করে কক্ষ নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাশাপাশি এ শ্রেণির জন্য প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

৫. ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছর হতে আগামী ৫ বছরের জন্য ৪র্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি নামে একটি প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর একনেকে অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৯ হাজার কোটি টাকা।

৬. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নিতকরণসহ সহকারী শিক্ষকগনের বেতেন গ্রেড উন্নিত করা হয়েছে।

৭. প্রত্যেক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণসহ স্লিপ, প্রাক-প্রাথমিক, রুটিন মেনটেইনেন্স, ওয়াসব্লক মেরামত, ক্ষুদ্র মেরামত, বৃহৎ মেরামতসহ বিভিন্ন ধরনের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে প্রতিবছর।

৮. বিদ্যালয়গুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ল্যাপটপ, সাউন্ডসিস্টেম, পিএনও ইত্যাদি দেওয়া হয়েছে।
৯. শিক্ষক এবং কর্মকর্তাগণের বিভিন্ন ধরনের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে দেশে এবং বিদেশে।
১০. প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একজন করে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও উল্লেখ করার মত আরও অনেক অর্জন রয়েছে আমাদের। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার ১৭টি লক্ষের মধ্যে ৪ নম্বর লক্ষ্যটি হচ্ছে গুনগত শিক্ষা নিয়ে। এর মধ্যে আমরা যেহেতু কাজ করি প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে তাই আমি গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরনের জন্য কিছু দিকনির্দেনামূলক কথা বলতে চাই।

২০৩০ সালের মধ্যে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরনে যে লক্ষ্য মাত্রা রয়েছে সেখানে আমাদের কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। এ সকল প্রতিবন্ধকতা এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:

১. দীর্ঘ দিন যাবৎ মামলাজনিত জটিলতার কারনে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত ছিল। যদিও এখন মামলা নিস্পত্তির কারনে ২০১৮ সাল হতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়মিত হচ্ছে। এ ছাড়াও শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের মামলা রয়েছে। এ সকল মামলার নিম্পত্তির ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যদি একটু আন্তরিকতার সাথে দ্রুত নিম্পত্তির ব্যবস্থা করেন তাহলে আমাদের শিক্ষকদের বিদ্যালয়ের প্রতি আরো বেশী আন্তরিকতা লক্ষ্য করা যাবে।

২. একজন শিক্ষক যদি প্রতিদিন ৬/৭টি ক্লাস নেন তাহলে সেই ক্লাসের গুণগতমান ততটা মানসম্মত হয় না। তাই আমি মনে করি একজন শিক্ষক ৪টি করে ক্লাস নেবেন প্রতিদিন। তাহলেই তিনি লেসন প্লান অনুসরণ করে, বাস্তব উপকরণ ব্যবহার করে এবং মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে মানসম্মত ক্লাস নিতে পারবেন।

৩. বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষায় বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় একজন শিক্ষক বাংলা, গণিত, ইংরেজিসহ সকল বিষয়ের ক্লাস নিয়ে থাকেন। যদি একজন শিক্ষক সকল শ্রেণির ১টি বিষয়ের ক্লাস নেন, তাহলে সেই ক্লাসের গুনগতমান ঠিক থাকবে। তাই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করছি।

৪. ২৯টি প্রান্তিক যোগ্যতা প্রত্যেক শ্রেণিতে এবং প্রত্যেক বিষয়ে ভাগ করা আছে। ১টি শ্রেণি হতে অন্য শ্রেণিতে উত্তীর্ণের ক্ষেত্রে অবশ্যই এই সকল যোগ্যতা অর্জন হয়েছে কিনা তার উপর জোর দিতে হবে। যদি কেউ ১টি শ্রেণিতে নির্ধারিত যোগ্যতা অর্জন করতে না পারে তাহলে তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা যাবে না।

৫. বিদ্যালয়ের সময়সূচির মধ্যেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একজন শিক্ষক সকাল ৯ ঘটিকা হতে বিকাল ৪.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত টানা ক্লাস নিলে ক্লাসের গুণগতমান ততোটা ভাল হবে না।

৬. ইহা ছাড়াও শিক্ষার্থীরা একটু চঞ্চল হওয়ায় এত সময়ে বিদ্যালয়ে তাদেরকে ধরে রাখা কষ্টসাধ্য। আমাদেও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০% মহিলা শিক্ষক। তারা তাদের পরিবারের সকল কর্ম গুছিয়ে সকাল ৯টায় বিদ্যালয় উপস্থিত হওয়া দূরহ ব্যাপার। যদিও নির্ধারিত সময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন, তথাপি তাদের মানসিক প্রশান্তির ঘাটতি রয়ে যায়। তাই আমার পরামর্শ বিদ্যালয়ের সময় সকাল ১০ ঘটিকা হতে বিকাল ৩.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত যথেষ্ট।

৭. শিক্ষকগণের পাশাপাশি বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি (এসএমসি) ও পিটিএ কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। কারন তারা বিদ্যালয়ের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে আসছে।

৮. শিক্ষকগণকে দিয়ে জাতীয় বিভিন্ন ধরনরে কার্যক্রমে দায়িত্ব পালন করানো হয়। এ সময়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটে। এটি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম অন্তরায়।

৯. শিক্ষকগণের পদন্নোতির ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন। একজন শিক্ষক মনে করেন তিনি যে পদে যোগদান করেছেন সেই পদেই অবসরে যাবেন; তাহলে তার মধ্যে কাজের প্রতি আগ্রহ এবং আন্তরিকতা কমে যায়। শিক্ষকণনকে যদি তার পুরো চাকুরীজীবনে কমপক্ষে ২টি পদন্নোতির ব্যবস্থা করা যায় তাহলে কাজের প্রতি তারা আরো বেশী আন্তরিক হবেন বলে আমার বিশ্বাস।

১০. প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কাজের পরিধি আগের চেয়ে অনেক বেড়ে গেছে। বিভিন্ন ধরনের তথ্যের কাজে প্রধান শিক্ষকগণকে বেশীর ভাগ সময় বিদ্যালয়ের বাহিরে গিয়ে কাজ করতে হয়। এছাড়াও অনেক ধরনের রেজিষ্ট্রার হালফিল রাখতে হয়। এ সকল দাপ্তরিক কাজের কারনে প্রধান শিক্ষকগণ শ্রেণি কার্যক্রমে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। তাই আমার পরামর্শ হচ্ছে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে একজন করে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন।

এগুলো ছাড়াও ছোট-বড় অনেক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। আমরা সবগুলো একত্রে সমাধান করতে পারব না। কারণ সেই ধরনের সক্ষমতা আমাদের নেই। তারপরেও ধাপে ধাপে আমরা এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে পারি তাহলে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রাতেও ২০৩০ সালের পূর্বেই নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করে দক্ষিণ এশিয়ায় অনুকরণীয় হয়ে থাকতে পারব।

লেখক: মোঃ শাহাদাত হোসেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার, চাটখিল, নোয়াখালী।

সিডনির ল্যাকেম্বায় ‘প্রবাসী বাংলা’ সংগঠনের পিঠা উৎসব


আবুল কালাম আজাদ, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি: শীত আসে, সেই সঙ্গে হাজির হয় পিঠা উৎসব। শীতকে আমরা বরণ করে নিই এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। প্রবাসেও বিভিন্ন শহরে পিঠা নিয়ে উৎসবেরও আয়োজন করা হয়ে থাকে। প্রবাসেও নর-নারীরাও এই আয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না।

বাঙালির ঐতিহ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরই পিঠা উৎসব করে থাকে সিডনির ল্যাকেম্বায় প্রবাসী বাংলাদেশি উইমেন এসোসিয়েশন (পিবিডাব্লিউএ) সংগঠন। পিঠা উৎসবের আয়োজন ছিল গত ৬ জুলাই সিডনি ল্যাকেম্বার চার্চ কনফারেন্স রুমে।


শীতের মজাদার প্রচলিত পিঠার মধ্যে চিতই, পাটিসাপটা, পুলি, পাতা পিঠা, পাকন, নারকেল পিঠা, ভাঁপা পিঠা, ঝাল পিঠা, মেরা পিঠা, নারকেলের গুরের নাড়ু বানিয়েছেন কেউ কেউ। কেউ আবার নকশা পিঠা, ঝিনুক পিঠা, চালের রুটি, সেমাই পিঠা, ক্ষীরপুলি পিঠা তৈরি করেছেন।

এছাড়াও স্পন্স রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, সূজীর পোয়া পিঠা, হ্নদয় হরণ পিঠা ও রকমারী পিঠার সমাহার ছিল। বেশীর ভাগ পিঠাই স্থানীয় গৃহিনীরা নিজের হাতে তৈরি করেছিল। পিঠা ছাড়াও বেশ কয়েকটি শাড়ি চুড়ির স্টল ছিল। অনুষ্ঠানটিতে স্থানীয় শিল্পীদের গান পরিবেশন করা হয়। সকাল এগারোটায় শুরু হয়ে পিঠা উৎসব চলে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।

স্থানীয় গৃহিনীরা নিজের হাতে তৈরি করে নিয়ে এসেছিলেন এসব পিঠা । ‘প্রবাসী বাংলা’ আয়োজকদের মধ্যে ছিল ব্যপক উৎসাহ উদ্দিপনা। আগামীতে আরও বড় পরিসরে এই মেলা আয়োজন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন ফয়জুন পলি এবং পিঠা উৎসবের সহযোগীতায় ছিলেন ফারহানা মোস্তফা, ফেরদৌস সুলতানা ও আমেনা খাতুন।

রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯

সিডনিতে ২০২০ সালের বৈশাখী মেলার তারিখ ঘোষণা


আবুল কালাম আজাদ, সিডনি,অষ্ট্রেলিয়া: বঙ্গবন্ধু পরিষদ সিডনি আয়োজিত অস্ট্রেলিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০২০ (১৪২৭ বংলা) সালের বাংলা নববর্ষ উদযাপন করবে ৪ এপ্রিল (শনিবার)। ১৯৯৩ সালে বারউড স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী এখন সিডনির সবচেয়ে বড় নববর্ষ উদযাপনে পরিণত হয়েছে। স্মিথফিল্ড রোডের ফেয়ারফিল্ড শো-গ্রাউন্ডে এ মেলা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে।

এ বছর ২০১৯ সালের বাংলা নববর্ষ উদযাপন করেছিল ৬ এপ্রিল শনিবারে। ২০১৮ সালে থেকে এই মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে ফেয়ারফিল্ড শো গ্রাউন্ডে। দীর্ঘদিন থেকে এই মেলা টেম্পি পার্কে অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে অনেকের কাছে এই প্রাণের উৎসব টেম্পি মেলা নামে পরিচিত।


মেলায় সারাদিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ফ্যাশন শো, বাচ্চাদের রাইড ও জমকালো আতশবাজি আয়োজন থাকবে। মেলার প্রধান আয়োজক গাউসুল আলম শাহজাদা জানান, মেলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা সভা ও সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। সভায় আরো বিস্তারিত কর্মসূচী জানাবেন বলে আয়োজকরা জানান।