মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

মে দিবসের অঙ্গীকার কবি আয়েশা মুন্নি

সাহিত্যঃ

দুনিয়ার মজদুর এক হও
বিশ্বজুড়ে শ্লোগান,
মালিক-শ্রমিকে কেন বিভেদ
গাই সাম্যের গান।

অধিকার আদায়ে মজলুম শ্রমিক
হও আজ ঐক্যবদ্ধ।
মালিকরূপি শোষক ও শোষনে বিরুদ্ধে করতে হবে যুদ্ধ।

মূল্যস্ফীতির তপ্তচাপে শ্রমিকের
দিন কাটে অর্ধাহারে,
মালিকরূপি ওই শিল্প বনিক
করে যায় আঘাত তারে।

শরীরের রক্ত ঘাম হয়ে ঝরে
পায় না শ্রমের মূল্য,
ওরা চেনে টাকা, মানবতাহীন
নয়কো মানুষের তুল্য।

মে দিবসে শ্রমিকের হোক
আজ নতুন অঙ্গীকার।
আদায় করে ফিরবে সে নীড়ে ছাড়বে না অধিকার।

মালিক শ্রমিক ব্যবধান রোধে আনতে হবে শক্ত বিধান।
মালিকরূপী পাষাণ হায়েনার
যেন না নেয় শ্রমিকের প্রাণ।

শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯

ফখরুল হাসান এর ছোটগল্প দুইতলার মেয়েটি

শিল্পসাহিত্য
   #দুইতলার_মেয়েটি #ছোটগল্প #প্রথম #পর্ব
#ফখরুল_হাসান

আব্বু আম্মু যাবে কক্সবাজার ঘুরতে। তাই আব্বু আম্মুর প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো তাদের সাথে গুছিয়ে দিচ্ছি । প্রতি বছর এই সময়টা তাঁরা ঘুরে ঘুরে আমাদের এই সুন্দর দেশটা দেখেন। প্রকৃতির অপূর্ব সুন্দরের লীলাভূমি আমাদের এই দেশ। প্রতি বছর আমিও যাই আব্বু আম্মুর সাথে কিন্তু, এবার
আমার যাওয়া হবেনা, সামনে ভার্সিটির সেমিস্টার ফাইনাল। ঘুরতে যেতে আমার খুব ভালো লাগে, তাই একটু মন খারাপ লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো এই পড়াশুনার জন্য আর কত স্যাক্রীফাইস করতে হবে কে জানে? কিন্তু ছাড়তেও তো পারিনা ভবিষ্যতের কথা ভেবে। ঢাকার এই ফ্ল্যাটটা বাবা কিনেছিলেন।
যিনি বাড়িটা তৈরি করেছিলেন, তিনি অবসর প্রাপ্ত সরকারী অফিসার। তিনি নিজে থাকবেন বলে , বাড়ির সামনে প্রচুর জায়গা রেখেছেন। মাঝে উঠোন
চারদিক দিয়ে উচু বিল্ডিং দিয়ে প্রাচীর দেয়া । সহজে  কেউ বাড়ির ভেতরে ঢুকে যেতে পারবে না। নানান রকমের গাছপালার সমাহার দেখেই বোঝা যাচ্ছে তিনি রুচিশীল মানুষ। তিন তলা বিল্ডিং তৈরি করে পরে টাকার অভাবে বিক্রি করে দেন কিছু পজিশন।
আব্বু আম্মু যেদিন প্রথম আসে বাড়ি কিনতে বাড়ির সামনে বিরাট অংশ দেখেই পছন্দ করে ফেলেন। বাড়ির ভিতরে ঢুকে তো অবাক ! ঢাকা মহানগরীর মাঝে সবুজে ঘেরা এমন বাড়ি আছে ভাবনার বাহিরে। সেই থেকে এই বাড়িতেই আমাদের বসবাস। ভদ্রলোক নিজে থাকার জন্য দুইতলা আর বাকি ফ্লোর গুলো বিক্রি করে দেন। এই বিল্ডিংয়ে নিজে থাকতেন দুইতলা। দুইটি মাত্র ছেলেমেয়ে। ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। মেয়ের জন্য পছন্দসই পাত্র খুঁজে হয়রান। আর আমরা থাকি তিনতলা। এ ছাড়াও আর একটা ফ্যামিলি থাকে চারতলাতে। আব্বু আম্মুর যাবার সময় এসে গেলো। আমি ওনাদের বিমানবন্দর দিয়ে এলাম। বাড়ি ওয়ালার ফ্যামিলীর সাথে আমাদের খুব ভালো সম্পর্ক। ওনার ওয়াইফ আমাকে তার নিজের ভাইয়ের মতো ভালোবাসেন। উনার কোন ভাই বোন নেই। ওনার ওয়াইফ আর ছোট বোন। আমার এই কদিনের খাওয়া দাওয়ার ব্যাবস্থা করে, বাড়ি ওয়ালার বাসাতেই। আমি ফিরে এসে খেতে বসবো এমন সময় কলিং বেল বেজে উঠলো। গিয়ে খুলে দেখি বাড়ি ওয়ালার বোন দাঁড়িয়ে। হাতে একটা প্লেট ঢাকা। বলল ভাবি তোর জন্য পাঠিয়ে দিয়েছে, খেয়ে নিস। ঢাকনা সরিয়ে দেখি ভাত, সবজি, ডাল আর মুরগির ঝাল ফ্র্যাই। বাড়ি ওয়ালার বোনের নাম মুনা । মুনার এজ ৩০+ । সি.এ পাস করে এখন একটা মালটিন্যাশনাল কোম্পানিতে রিজিওনাল একাউন্ট ম্যানেজার হিসাবে কাজ করছে। দেখতে বেশ দারুন। হাইট প্রায় সাড়ে ৫ ফিট। ফর্সা বাট হাল্কা মোটা হয়েছে তাই একটু তুলতুলেও লাগে। ফিগার ৩৫-৩২-৩৮। রেগুলার পার্লারে যায় তাই চেহারায় একটা অন্যরকম টোন আছে। এলাকায় ছেলেরা শুধু না অনেক বিবাহিত লোকও ওর জন্য পাগল। আমি প্রথমে মুনাকে আনটি বলে ডাকতাম। কিন্তু উনি আমাকে আপু বলে ডাকতে বলেন। আমি মুনা আপুকে থ্যাংকস জানিয়ে দরজা বন্ধ করবো ভাবছি, তখন দেখি মুনা আপু হাসি হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে একটু ঘরের দিকে উকি মারার চেষ্টা করছে। আমি ব্যাপারটা বোঝার জন্য ওর মুখের দিকে কৌতুহল ভরে তাকালাম।

#দুইতলার_মেয়েটি #ছোট_গল্প_দ্বিতীয়_পর্ব
#ফখরুল_হাসান

মুনা আপু পরের দিন সকালে আমায় ডেকে বললেন, আপু তাঁর বান্ধবীর সাথে সন্ধ্যায় মুভি দেখতে যাবে। যমুনা ফিউচার পার্কে। আমি যেন বিকালে ইস্টার্ণ প্লাজা মার্কেট থেকে তার মোবাইলটা সাড়িয়ে আনি। দুদিন আগে বান্ধবীর বিয়েতে গিয়ে নাচানাচি করে মোবাইলের স্ক্রিনটা ভেঙে যায়। মুনা আপু বাসা থেকে বের হবার সময়, আমাকে বলে গেলো মোবাইলটা ওয়ারড্রোবে রেখেছে ,আমি যাবার সময় যেনো নিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর আপুর রুমে গিয়ে আমি তো অবাক হয়ে গেলাম! আমার মনে হলো , মুনা আপু গায়ে গতরে বড় হয়েছে ঠিকই কিন্তু বুদ্ধিশুদ্ধি এখনো হয়নি। কোনোকিচ্ছু সামলে রাখতে জানে না। নিজের কাপড়চোপড়, জুতো, অফিসের ব্যাগ, পারফিউম সব ঘরের ভিতর ছড়িয়ে ছিটিয়ে একদম একাকার। বাসার যেখানে সেখানে ব্রা-প্যান্টি ফেলে রেখেছে। খাটের উপরে ফেলে রেখেছে ডি প্লাস ব্রা-প্যান্টি। ওয়ারড্রোব খুলে দেখি ডি প্লাস ব্রার উপরে মোবাইল। মুনা আপুর সাপের মতো শরীরে এত বড় বড় স্তন গুলো বড্ড বেসামাল থাকে সবসময়। একটু নড়াচড়া করলেই ভয়ংকর ভাবে দোলা খেতে শুরু করে। লম্বাও মেয়েটা কম নয়। পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। পাতলা কোমর, উঁচু পাছা দেখলে যে কোনো ছেলে কাত হয়ে যাবে। বুঝতে পারছি যে আমাকে দেখাতেই রুমে সবকিছু ইচ্ছা করে এলোমেলো করে রেখেছে। রুমে সময় নষ্ট না করে দ্রুত চলে গেলাম মোবাইলটা নিয়ে ইস্টার্ণ প্লাজায়।
দোকানের ছেলেটা ফোনটা চার্জ দিতে বলেছিলো বলে চার্জারে কানেকশন দিলাম আমার রুমেই। সাথে সাথে মোবাইলটা অন হয়ে গেলে। আই ফোন সেভেনে এই এক জ্বালা, চার্জার লাগালেই সেট অন। মোবাইলটা অন হয়ে গেলো সাথে সাথে। যথারীতি লক করা। কেন যেন হঠাৎ করে আপুর ফোনটা ঘাটতে ইচ্ছে হলো আমার। আগ্রহটা তৈরি হয়েছে মুনা আপুর কারণেই। কার সাথে কথা বলে, কার সাথে চলাফেরা করে বা কার সাথে সেলফি তোলে এগুলো চেক করে দেখার আমার কোনো আগ্রহ নেই। আমার আগ্রহ মুনা আপুর মোবাইলের ফটো গ্যালারি । কিন্তু পাসওয়ার্ড কোথায় পাই! আমি জানি আপুর পাসওয়ার্ড টা পাঁচ সংখ্যার। কিন্তু পাসওয়ার্ডটা কী? ভাবতে ভাবতে একটা আন্দাজে মনে পড়লো আমার বা মুনা আপুর নাম্বার এর প্রথম সংখ্যাগুলো দিয়ে দেখি। সেটা দিতেই মোবাইলের লক খুলে গেল। মোবাইলের সব কিছুই ঠিক ঠাক। কিন্তু সেলফি গুলোর দিকে চোখ পড়তেই মাথাটা আমার গরম হয়ে গেল। মুনা আপু সেলফি তুলেছে অন্তত কয়েকশ। প্রতিটাতেই খুব যত্ন করে মেকআপ করা। কিন্তু তাদের সব কয়টাতেই তার শরীরে বাঁকগুলো বাড়াবাড়ি রকমের চোখে পড়ছে। গায়ের জামা কাপড় ও অসংলগ্ন। একটা সেলফিতে তো প্রায় দুটো বুকই ডীপ নেক নাইট টিশার্টের ফাক দিয়ে বের হয়ে এসেছে। সেটাতে আবার ঠোঁট পাউট করে মুনা আপু সেলফি তুলেছে, যেন কোন প্রেমিককে দিচ্ছে। চিকন স্লিভের টিশার্ট পড়া একটা পিকে নিজের কোমড়ের ওপর টিশার্ট তুলে নিজের নাভী আর টাইটস পড়ার জঙ্ঘার ছবি তুলেছে মুনা আপু। একটা না ,এমন ছবি পেলাম অন্তত দশটা। একেকটা একেক কালারের টাইটস পড়া । আমার মনে হলো মুনা আপু যেন আগুনের গোলা । এমন আগুন ঘরে রাখলে, ঘর পুড়তে বাধ্য।

#দুইতলার_মেয়েটি #ছোট_গল্প_তৃতীয়_পর্ব
#ফখরুল_হাসান

'বেশ ভালোইতো আছিস !'
'কেন আপু?'
'খুব এনজয় করবি এই কদিন, তাইনা?'
'কেন, এতে এনজয় করার কি আছে?'
'কেন আবার, এ কয়দিন একা থাকবি, ড্রিংক করবি, বান্ধবীদের নিয়ে আড্ডা মারবি, রাতে মজা করবি সেটা এনজয়মেনট না?'
'ও তাই বলো !'
'তাছাড়া কাল শুক্রবার তাই আজতো পার্টি নাইট তাইনা?'
'না না তেমন কিছু না !'
এই এখন খেয়ে দেয়ে একটু টিভি দেখে তারপর ঘুম দেব। তারপর কাল উঠে নাস্তা করে একটু আড্ডা মারব। বিকেলের কোন প্ল্যান নেই। কথা গুলো শুনে কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলো মুনা আপু , তার পর বললো।
'বাহ, তবে তুই তো ভালো ছেলে।'
'ভালো কি না জানি না। তবে তুমি যা বলছো সেগুলো আমার পছন্দ না।'
'তাহলে তো তুই সত্যি ভালো ছেলে।'
জানিস, আমরা যখন এই রকম সুযোগ পেতাম তখন সব মেয়েরা একসাথে হয়ে যা যা করতাম তা তুই আন্দাজও করতে পারবি না।
'তুই ভালো ছেলে, যা খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়।'
কাল দেখা হবে। এই বলে মুনা আপু উপরে চলে গেলো। আমি খেতে খেতে আমাদের কথাবার্তা গুলো ভাবতে লাগলাম মুনা আপু কথা গুলো যা যা করতাম তা তোরা আন্দাজও করতে পারবি না।
যাই হোক, খাওয়া শেষ করে লাইট অফ করে শুয়ে টিভি দেখছি একবার ভাবলাম মুনা আপুর মোবাইল-এ কল দিই, তারপর আবার ভাবলাম কি জানি কি ভাববে, তাই আর কল দিলাম না। একটু পর একটা এসএমএস করলাম গুড নাইট বলে। মুনা আপুকে। তারপর শুয়ে পড়লাম। কিন্তু ঘুম আসছিল না। এইভাবে প্রায় ৩০ মিনিট কেটে গেছে, হঠাৎ মোবাইলটা বেজে উঠলো। দেখি মুনা আপু ফোন করেছে। রিসিভ করতেই মুনা আপু বলল,
'কিরে, কি করিস?'
'না তেমন কিছু না!'
'ঘুম আসছে না নাকি?'
 ফোনের ওপাশ থেকে মুনা আপুর গলাটা কেমন যেন অন্য রকম লাগলো। আমিও বললাম,
'না আপু, ঘুম আসছেনা।'
তারপর একটু ফাজলামো করে বললাম।
'তাইতো তোমার কথা চিন্তা করছি।'
ওপার থেকে কোন জবাব এলো না। তাতে আমি একটু ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
'রেগে গেলে নাকি, মজা করলাম বলে?'
'না রে রাগ করিনি। বাট…!'
'বাট কি?'
'আসলে আমারও ঘুম আসছিলো না!'
তাই ভাবলাম তোর সাথে ফোন-এ একটু গল্প করি।
'এটা তো বেশ ভালো।'
'তাই না?'
'হ্যাঁ।'
দু'তলা আর তিনতলা ফোন-এ গল্প করছে। একটা কাজ করি চলো, তুমি নিচের বারান্দাতে দাড়াও, আর আমি উপরের বারান্দাটাই দাড়াই তারপর গল্প করি, শুধু শুধু মোবাইল কোম্পানি-কে টাকা দিয়ে কি হবে?
মুনা আপু হাসল, কিন্তু কোন রেসপণ্ড করলো না।
তারপর আপু হঠাৎ করে বলল
'এই ‌শুভ্র, ছাদে যাবি?'
 'এখন?'
'হ্যাঁ, এখন।'
'তোমার ভাইয়া, ভাবী যদি কিছু বলে?'
'ওরা টের পাবে না।'
'কেন?'
'ঘুমিয়ে পড়েছে, তুই ছাদে চলে যা আমি একটু পরে আসছি।'
এই বলে ফোনটা কেটে দিলো মুনা আপু।

#দুইতলার_মেয়েটি_ছোট_গল্প_চতুর্থ_পর্ব
#ফখরুল_হাসান

লজ্জায় আমার সারা শরীর কাঁপতে থাকে। ঘামতে শুরু করে। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলাম না। দ্রুত নিচে নেমে আসলাম। রুমে গিয়ে পানি পানের জন্য গ্লাস নিলাম তিন চার বা পাঁচ গ্লাস পানি গিলে ফেললাম । মনের ভিতরে তার একটা খটকা লেগেই থাকে। মুনা আপুর মুখ কেন লাল হয়ে উঠছে, আর তার সারা শরীর ঘামে বৃষ্টিতে ভেজার মতো হয়ে ওঠেছে কেন? এক চরম সত্যের মুখোমুখি পড়ে গেলাম । আমার আগের বিশ্বাস সব ধ্বসে পড়তে থাকে ! বিজ্ঞানের ভাষায় সম্পর্ক যদি মানসিক এর চেয়ে শারিরীক হয় তবেই নাকি ভালবাসা বেশী হয়। কে না নীরবে বসে বসে কামচিন্তা করতে পছন্দ করে? আমার মনে হয় যারা অস্বীকার করে তারা মিথ্যে বলে। রুমে এসে বেশ কিছুক্ষন চুপচাপ শুয়ে শুয়ে ভাবতে থাকলাম কিছুক্ষন আগের অনুভূতিগুলো। নারীর লজ্জা হচ্ছে লজ্জাবতী গাছের মতো। হাত লাগলেই শেষ। সেটা স্বামীর হাত হোক বা অন্য কোনো পুরুষের। এই হাত লাগা মানে শুধু শারীরিক স্পর্শ না,পুরুষের সঙ্গতায়ও নারীর লজ্জা কেটে যায়। যেমন রাতে ছাদে চক্ষু লজ্জা উঠে গেছে মুনা আপুর। কনজারভেটিভ ফ্যামিলির মেয়েকে ওড়না ছাড়া দাঁড়াতে বললে সে লজ্জায় মরে যাবে। অথচ মুনা আপু ! ভাবতে ভাবতে কখন ঘুমিয়ে পড়লাম জানিনা, ঘুম ভাঙলো কলিং বেলের শব্দে। দরজা খুলে দেখি মুনা আপু দাঁড়িয়ে আছে চায়ের কাপ হাতে। কোন কিছু না বলেই হঠাৎ কপালে একটা চুমুর সাথে গুডমর্নিং উইশ করে আমাকে দুপুরে ওদের ওখানে খেতে যেতে বললো।

শিশুসাহিত্যিক মোস্তাফিজুল হক পেলেন কবি সমুূদ্র গুপ্ত পদক ।

শিল্পসাহিত্যঃ
জাতীয় কবি সম্মেলন ও তেরোতম বাংলা সাহিত্য সম্মেলন- ২০১৯ উপলক্ষে কবি সংসদ কেন্দ্রীয় পরিষদ ২৬শে এপ্রিল, রোজ শুক্রবার শেরপুর জেলা শহরে এক গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক, কবি, ছড়াকার ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ফিচার এডিটর রফিকুল হক দাদুভাই। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মারুফুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি হানিফ খান। কবি তৌহিদুল ইসলাম কনকের সঞ্চালনায় এবং আনিছুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও খ্যাতিমান কবিসাহিত্যিক, বিভিন্ন  প্রিন্টমিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মোস্তাফিজুল হক(খন্দকার মোস্তাফিজুল হক) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে তাঁর পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলা শহরের শেখহাটি খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কবি ও শিক্ষক খন্দকার মউলুদুল হক এবং জাহানারা বেগমের চতুর্থ পুত্র।


তিনি কৈশোর থেকেই নিয়মিত পাঠাগারে যাতায়াত করতেন। তখনই তাঁর ভেতরের লেখকসত্তা জেগে ওঠে। তিনি সবসময় নিরাপদ বাসভূমি আর সুন্দর দেশ ও কোমল পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। শিশু-কিশোরের স্বভাবে ও বৈচিত্র্যে মানবিক আচরণে দেশীয় সংস্কৃতির লালন তাঁর কাছে ভালো লাগে। তাই তাঁর লেখায় শিশু-কিশোর, মাতৃভূমি আর বঞ্চিত মানুষের আবেগ অনুভূতিই উঠে  আসে। তিনি এটাও মনেকরেন যে, বর্তমানের সচেতন কিশোর-কিশোরীই সুন্দর আগামীর নিয়ামক।


ছড়াকার মোস্তাফিজুল হকের অসংখ্য ছড়া, কবিতা দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। তিনি কবিতা, গীতিকবিতা এবং শিশুতোষ গল্পেও সাবলীল। বাংলা একাডেমি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ পর্যন্ত তাঁর তিনটা কিশোর ছড়ার বই দাঁড়িকমা প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলো হল- 'ইচ্ছে ডানার পাখি(২০১৭)', 'মধুমতির তীরে (২০১৮)', 'পরির মেয়ে(২০১৮)'।


তিনি পেশায় হাইস্কুল শিক্ষক। ব্যক্তিগত জীবনে এককন্যা ও একপুত্র সন্তানের জনক। তাঁর বই প্রকাশের মূলপ্রেরণা স্ত্রী রেহানা বেগম। তিনি তাঁর অর্জন তাঁর বাবার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেন। বর্তমানে তিনি সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ  এর সহ সভাপতি

শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৯

নিঃস্বার্থ ভালবাসা - ফাহমিদা ইয়াসমিন

মাঝে মাঝে নিজেকে খুব একা লাগেএ
কা মানে একাকীত্বের রাশি রাশি
বেদনা জড়ো হয় মনের গভীরে
মনে হয় কেউ নেই আমার চারপাশে।
তখন সন্ধ্যার মৃদু বাতাসে খুব করুণ
একটা সুর শুনি খুব হতাশ হয়ে দেখি
দুঃসহ স্মৃতিগুলো একে একে ভেসে
আসে মনের আয়নায়।
স্মৃতি মানে কষ্ট অসম্ভব যন্ত্রণাময়
সে কষ্ট ভাবলে গা শিউরে উঠবে।
তখন একা একা বিষণ্ন মনে চিরচেনা
বেলকোনিতে বসি এবং মনে মনে বলি
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা তোমার যখন
আমার মত তুমিও পুড়বে স্মৃতির আগুনে
তখন আমায় ডেকো শুধু একটিবার ডেকো
আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো তোমার কাছে...
বিনিময়ে কিছু চাইবোনা তোমার কাছে।
শুধু নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসা দেবো

নীরব উপেক্ষা নিয়ে প্রস্থান @ ফারুক মোহাম্মদ ওমর

কাফনের কাপড় সরিয়ে দেওয়া
মৃত ব্যক্তিকে শেষ একনজর
দেখার জন্য জড়ো হয়েছে লোকজন
আমি অনুভব করি,
আমি শুয়ে আছি নিথর দেহে
আর মৃত লোকটি দাঁড়িয়ে দেখছে
ঠিক আমার মতো সাথে সব পরিচিতজন৷

বিচিত্র এক অনুভূতি
আচ্ছন্ন করে রাখে আমাকে,
কী রকম করে মানুষ
জীবন-মৃত্যুর পাশাপাশি দাঁড়িয়ে !

কখন কার শেষ সময় এসে যায়
অফিসে পার্কে আদালতে চায়ের দোকান
পড়ার টেবিল ,যে লোকটি গাড়ী চড়ে যাচ্ছে আপন গন্তব্যে সে আর ফিরে আসেনা
সে আর ফিরে আসে না
নীরব উপেক্ষা নিয়ে প্রস্থান হয় পথের মাঝে৷
 
দলাদলির এই সময় ব্যক্তিবাদে
মানুষ ভুলে যাচ্ছে মৃত্যুচিন্তার কথা
নীরবে শুধু নীরবে উপেক্ষা নিয়ে
প্রস্থান করে যায় প্রটোকলে থাকাও মানুষ৷

আমি অনুভব করি
আমি শুয়ে আছি নিথর দেহে
আর মৃত লোকটি দাঁড়িয়ে দেখছে
ঠিক আমার মতো সাথে সব পরিচিতজন
নীরবে উপেক্ষা নিয়ে প্রস্থান৷

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯

শামছুন নাহার এর ধারাবাহিক গল্পনানুর বাড়িতে বৈশাখ

শিমি, রিমি  টুম্পা, তাদের খুব ইচছে হয়েছে,  এবার ১ লা বৈশাখ নানুর বাড়ীতে উৎযাপন করবে।
,কারন প্রত্যেক বার ঢাকায় তারা বর্ষবরণ উৎযাপন  করে, আগে থেকে মা ও  বাবাকেও  বলে রেখেছিল।

 তাদের কথা মত শফিক মামা নিতে আসলো।ট্রেনের টিকেট
শফিক মামাই কাটলো,  ওরা ঠিক করেছে এবার তারা
ট্রেনে যাবে। ইনটার সিটি ট্রেন। তাদের নানার বাড়ী পাবনা
জেলাতে, তাই সিল্ক সিটি ট্রেনে রৌওনা  হয়ে গেল।
ঠিক চৈত্র সংক্রান্তির আগের  দিন তাদের যাত্রা শুরু করলো

ট্রেনের মধ্যে তারা মহা খুশি,  যা সামনে পাচছে তাই খেয়ে
নিচছে, যেমন ডিম সিদ্ধ,  ঝালমুড়ি,  চিপ কোনটাই বাদ
পরলো না।
অনেকদিন পর খাঁচার পাখি বনে গেলে যেমন হয় হয়, তেমনি
তারা প্রান খুলে কথা  বলছে হাসা হাসি করছে।

তারপর ট্রেন যথাসময় বড়াল ব্রিজ ষ্টেশানে আসলো, সবাই
হৈ চৈ করে নেমে পড়লো।
মামার বাড়ী যেয়ে দেশি মুরগীর ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে
মামার কাছে ভুতের গল্প শুনতে বসে গেল।

পরেরদিন বেশ সকালে তারা ঘুম থেকে উঠে, গ্রামের
পাশের বাড়ীতে  তাদের বন্ধুদের সাথে দেখা করে
বলে আসলো, সবাই একসাথে মেলায় যাবো, তোমরা
তৈরী  থেকো।  পাশের বাড়ীতে জন্টু ও মন্টু ও খুব খুশি হলো
আমন্ত্রণ  পেয়ে

 সবাই মামির হাতের৷ ইলিশ পান্থা খেয়ে, নূতন জামা কাপড়
পরে একসাথে মেলার উদ্দেশ্যে রওনা দিল।

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯

নরসিংদীতে ঢাকা বিভাগে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষকে সংবর্ধনা

জহিরুল ইসলাম:

ঢাকা বিভাগে শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ায় নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধাকে বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদীর নতুন শিল্পকলা একাডেমিতে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের নরসিংদী জেলার পক্ষ থেকে তাকে এ সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
নরসিংদী জেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সভাপতি নুর উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,নরসিংদী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. সৈয়দ উদ্দিন। 
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের  উপাধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান রুমি ।
ডক্টর মশিউর রহমান মৃধা একাধারে কবি ও সাহিত্যিক। সম্প্রতি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার অধীনে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। 
আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন ড. মশিউর রহমান মৃধা। তার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশ আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ সাড়াজাগানো ফল করে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে তিনবার দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। 
শিক্ষকতার পাশাপাশি ড. মশিউর রহমান মৃধা সামাজিক কাজে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ নির্বাচিত হওয়ায় আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ছাত্রছাত্রী ও নরসিংদী ন্যাশনাল কলেজসহ সবাই তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কবিতা - বিশ্বাস কবি -তাসলিমা কবির রিংকি

তুমি খুঁজবে বলেই...
হাঁটছি আমি এ পথ ধরে, 
সন্ধ্যা তারার বিশুদ্ধ বিশ্বাস আর অভয়া অস্ফুট  দীর্ঘনিঃশ্বাস নিয়ে!
রেখে এসেছি নিজেকে অচেনা ছায়াপথের ছায়াপথ ধরে একটু একটু করে...
অগোছালো আলো আঁধার আবডালে !
হাতড়ে যদিও'বা পাও!
অশরীরি মুখ গ্রিভা ঠোট তনু,
চিবুকের পুরুষ্ঠ বাঁক খাঁজ কাটা দোল...
রুশ্ সান্তালী আতরের নেশা  ধরা গন্ধ ।

কবিতা-ব্যর্থতা কবি- আয়েশা মুন্নি

একদিন আমি গিয়েছিলাম বস্তির এক জীর্ণ কুটিরে,
দেখলাম এক বৃদ্ধা দু'হাত তুলে প্রার্থনারত- অবহেলিত জীবনাবসানে
মৃত্য ভিক্ষা চাইছে বিধাতার দরবারে।
প্রার্থনা শেষে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকালেন আমার দিকে
মৃদু হেসে চোখ মুছলেন শাড়ির আঁচলে
বললেন- তুমি কে মা, কেন এলে আমার দ্বারে?
কেন এলে এ হতভাগির মুখ দর্শনে, তোমার সময় নষ্ট করে?
আমার নিরুত্ততায় তিনি
বললেন ও বুঝেছি ।
কি বলব আমি, কিছুই পেলাম না ভেবে।
শুধু বললাম-আমার সব আনন্দ তোমায় দেব,তুমি নেবে?
তিনি বললেন , আনন্দ দিয়ে কি করব,
জীবন তো ফুড়িয়ে এসেছে,
ঐ দেখ জমদূত দাঁড়িয়ে দুয়ারে।
বিধাতার আর্শিরবাদে তোমাকে পাঠিয়েছে আমার মুখে শেষ পানি টুকু তুলে দিতে।
বলতে বলতে বৃদ্ধার ঘর্মাক্ত দেহের অস্থিরতা দেখে ছুটলাম পানির খোঁজে...
কিন্তু আমি পারলাম না,পানি নিয়ে এসে দেখি পড়ে আছে তার মৃত দেহখানি।

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯

কবি আয়েশা মুন্নির গুচ্ছ কবিতা

সুধাময়ী মা


সোনালী ধানের স্বপ্ন বুনি
পল্লী মায়ের কোলে,
মাঠ ভরা ক্ষেতে,স্বপ্ন - হাসিতে
বাতাসে সবুজ দোলে।

কাদামাটিতে চারায় চারায়
সবুজের বিছানা পাতা,
সবুজ সোনালীর পরিণত রূপ
পেয়ে তার সবটুকু মমতা।

অবারিত প্রান্তরে মনের হরষে...
কৃষাণিও অবাক চেয়ে রয়,
শীত ও বর্ষায় কৃষকের ঘামে
আসে আকাঙ্খার সবটুকু জয়।

পল্লীর কোলে, কতো হাসি বোলে...
কতো অনুরাগ মাখা দিশে,
স্বপ্ন সাজে সোনা ফলাতে
সোনালী ধানের শীষে।

পল্লী তুমি অন্তর ম-ম
তুমিই চেতনা,
পল্লবিত পল্লী আমার
তুমিই সুধাময়ী মা...



আত্মার ভাবনা



দিনের সুচনায় শায়িত বিছানায়
শুনি মৃত্যুর সংবাদ,
মসজিদের মাইকে উচ্চারিত হয়
ইন্নালিল্লাহ...আয়াত।

মরণের স্বাদ গ্রহনে পর আমি
শুনবো কী এমন ঘোষনা?
ওমুক বাড়ির মরহুমার আত্মার
করছি মাগফেরাত কামনা।

নিথর দেহ, বোবা অনুভুতি
আসবেনা কানে তার,
কে কেঁদেছে আমার মরনে
দেখা হবে না আর?

ক্ষণিকের এই দুনিয়া ছেড়ে
আমিও নিলাম বিদায়,
বুঝবো কি করে এই বিদায়ে
জ্বলছে কার হৃদয়?

খোদার দরবারে আমার তরে
পেতেছে কে দুইহাত,
সত্যি আপন সেই তো হবে
করবে দরুদ-মোনাজাত।


ফিরতি টিকেট


নোটিশ ছাড়াই যেতে হবে
তৈরি থাকো সব সময়
নামাজ, রোযা, হজ্ব, যাকাত
পালনেই রবে খোদার ভয়।

ফিরতি টিকেট হাতে নিয়ে
জন্ম তোমার দুনিয়ায়
ভাল আমল করলে নাজাত
বিপথ হলে চরম ভয়।

নেহি আনিল মুনকারের কাজ
এই জীবনেই কর,
আল্লাহতায়ালা খুশি হলে
জান্নাতেই হবে ঘর।

পাখ-পাখালি, গাছগাছালি
আকাশ-বাতাস, গ্রহ-তারা,
তাকিয়ে দেখে সকাল-সাঁঝে
খোদার গুণে মাতোয়ারা।

দু'দিনের এই দুনিয়াতে
সবাই আমরা মুসাফির
খোদার পথে থাকলে হবে
পরকালে সুখের নীড়।

সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদের হারমনি অ্যাওয়ার্ড লাভ

নিজস্ব প্রতিবেদক: অস্ট্রেলিয়ায় বহুজাতিক অভিবাসীদের সম্মানে প্রতিবছর মার্চ মাসে ‘হারমনি সপ্তাহ’ পালিত হয়। ১৯৯৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ২১ মার্চ ‘হারমনি ডে’ পালিত হয়ে আসছে। অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক বিভিন্ন সামাজিক ও বাষ্ট্রীয়ভাবে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপস্থাপন করে। হারমনি দিবস উদযাপনে পারস্পরিকভাবে বিভিন্ন অভিবাসী মানুষদের ঐক্য, ঐতিহ্যগত কর্মক্ষমতা, পোশাক, সঙ্গীত, শিল্প, খাদ্য এবং আরও অনেক কিছু দিয়ে সম্মান জানানো হয়।

২১ মার্চ বৃহস্পতিবার সিডনির রিভারউড কমিউনিটি সেন্টারে ক্যান্টারবারী ও বাংকসটাউন হারমনি গ্রুপের অধীনে বার্ষিক ১৩তম ‘হারমনি ডে’ অনুষ্ঠিত হয়। আর এই অনুষ্ঠানে আবুল কালাম আজাদ খোকনকে ‘হোয়াইট রিবন অষ্ট্রেলিয়া এ্যান্বসেডর’ ও ‘মিডিয়া ব্যক্তিত্ব’ হিসাবে ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড-২০১৯’ প্রদান করেন মন্ত্রী জিহাদ ডিপ ও হারমনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট (সিটি কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র) কার্ল সালেহ।

আজাদ খোকন সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন মাল্টিকালচারাল সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে কমিউনিটির সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে অস্ট্রেলিয়ার পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। খোকন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সংগঠন “হোয়াইট রিবন অষ্ট্রেলিয়া” এর এ্যাম্বাসেডরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন সফলভাবে। তিনি মানুষিক স্বাস্থ্য এডুকেটর ও মাইন্ডফুলনেস এডুকেটর, ওয়াক ফর রিসপেক্ট, জাষ্টিস অব দ্যা পিস ও ক্লিন আপ অষ্ট্রেলিয়াসহ আরো অনেক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

অস্ট্রেলিয়াতে স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত আছেন প্রায় ১১ বৎসর যাবৎ। গত দেড় শতক ধরে দেশে ও প্রবাসে তিনি প্রগতিশীল কাজ করে যাচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ায় কমিউনিটিতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নারায়ণগঞ্জের কৃতি সন্তান রাষ্ট্রীয় সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন বহুবার। এছাড়াও সাংবাদিক আজাদ খোকন অস্ট্রেলিয়ান অব দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড নোমিনেশন সার্টিফিকেট, ভলেন্টারী অব দ্যা ইয়ার এ্যাওয়ার্ড সার্টিফিকেট, সিটিজেন অব দ্যা ইয়ার সার্টিফিকেট, হারমনি ডে এ্যাওয়ার্ড, ষ্টার এ্যাওয়ার্ড, কমিউনিটি এ্যাওয়ার্ড,পার্লামেন্ট এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

স্বাধীনতা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের আত্মপ্রকাশ




গত ২৯ মার্চ শুক্রবার ঢাকার শ্যামলীতে কাঁচালংকা রেস্তরায় স্বাধীনতা সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ (স্বাসাস)-এর আত্মপ্রকাশ হয়।সংগঠনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক কবি বাদল চৌধুরী৷
আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আগামী ৩ বছরের জন্য কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠিত হয়। সংগঠনের  সকল সদস্যদের সম্মতিতে শাহিন আলীম-কে সভাপতি এবং জান্নাতুন নিসা-কে সাধারণ সম্পাদক  হিসেবে নতুন নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের উপদেষ্টা কবি বাদল চৌধুরী।

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাট্যকার কামরুল হাসান, জাফর ইকবাল চৌধুরী, মোহাম্মদ তাহের হোসেন, আরেফিন শামসুল, সাজ্জাদ সাজু, সোমা হাসান রাত্রি, সৈয়দ আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ইরশাদ আলম, শারমিন সোমা, সুবর্ন নাসরিন প্রমুখ।