শিল্পসাহিত্যঃ
জাতীয় কবি সম্মেলন ও তেরোতম বাংলা সাহিত্য সম্মেলন- ২০১৯ উপলক্ষে কবি সংসদ কেন্দ্রীয় পরিষদ ২৬শে এপ্রিল, রোজ শুক্রবার শেরপুর জেলা শহরে এক গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক, কবি, ছড়াকার ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ফিচার এডিটর রফিকুল হক দাদুভাই। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মারুফুল ইসলাম। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি হানিফ খান। কবি তৌহিদুল ইসলাম কনকের সঞ্চালনায় এবং আনিছুর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও খ্যাতিমান কবিসাহিত্যিক, বিভিন্ন প্রিন্টমিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মোস্তাফিজুল হক(খন্দকার মোস্তাফিজুল হক) ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে তাঁর পৈত্রিক নিবাস শেরপুর জেলা শহরের শেখহাটি খন্দকার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কবি ও শিক্ষক খন্দকার মউলুদুল হক এবং জাহানারা বেগমের চতুর্থ পুত্র।
তিনি কৈশোর থেকেই নিয়মিত পাঠাগারে যাতায়াত করতেন। তখনই তাঁর ভেতরের লেখকসত্তা জেগে ওঠে। তিনি সবসময় নিরাপদ বাসভূমি আর সুন্দর দেশ ও কোমল পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। শিশু-কিশোরের স্বভাবে ও বৈচিত্র্যে মানবিক আচরণে দেশীয় সংস্কৃতির লালন তাঁর কাছে ভালো লাগে। তাই তাঁর লেখায় শিশু-কিশোর, মাতৃভূমি আর বঞ্চিত মানুষের আবেগ অনুভূতিই উঠে আসে। তিনি এটাও মনেকরেন যে, বর্তমানের সচেতন কিশোর-কিশোরীই সুন্দর আগামীর নিয়ামক।
ছড়াকার মোস্তাফিজুল হকের অসংখ্য ছড়া, কবিতা দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। তিনি কবিতা, গীতিকবিতা এবং শিশুতোষ গল্পেও সাবলীল। বাংলা একাডেমি অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ পর্যন্ত তাঁর তিনটা কিশোর ছড়ার বই দাঁড়িকমা প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। বইগুলো হল- 'ইচ্ছে ডানার পাখি(২০১৭)', 'মধুমতির তীরে (২০১৮)', 'পরির মেয়ে(২০১৮)'।
তিনি পেশায় হাইস্কুল শিক্ষক। ব্যক্তিগত জীবনে এককন্যা ও একপুত্র সন্তানের জনক। তাঁর বই প্রকাশের মূলপ্রেরণা স্ত্রী রেহানা বেগম। তিনি তাঁর অর্জন তাঁর বাবার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করেন। বর্তমানে তিনি সোনার বাংলা সাহিত্য পরিষদ এর সহ সভাপতি