সকল শ্রেণীর লেখক ও লেখার মধ্যে পাঠককে কেবল আধ্যাত্মিক খোরাক দিতে পারে কবি ও কবিতা । লেখালেখির জগতে কবিতা লেখাই সবচেয়ে জটিল-কঠিন ব্যাপার । সবাই যেমন কবি হতে পারে না তেমনি সবাই কবিতার পাঠকও হতে পারে না ।
কবিতা লিখতে যেমন ঈশ্বর প্রদত্ত্ব ক্ষমতা থাকা চাই তেমনি কবিতা বুঝতেও উচ্চমাত্রার ভাষাজ্ঞান থাকা আবশ্যক । কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তোলেন সমাজের সমকালীন চিত্র, রাষ্ট্র ও রাজনীতির ভবিষ্যত । কবিগণের অন্য সকল পরিচয়ে পূর্বেই তাদের পরিচয় দার্শনিক হিসেবে । কবিতারও বহু প্রকারভেদ হয় । কবিরা সর্ব সময় সমাজের আধ্মাত্মিক গুরু ।
শুধু কবি পরিচয়ে আমাদের দেশে কিংবা দেশের বাইরে অসংখ্য কবি খ্যাতির শীর্ষে আরোহন করেছে । তাদের খ্যাতি ছোঁয়ার ক্ষমতা অন্য শ্রেণীর লেখকদের নাই কিংবা তারা এটা ধারণাও করতে পারবে না । অতীতের অনেক কবির নাম উল্লেখ করা যায় যাদের কবিতা পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে । কাঁদিয়েছে, হাসিয়েছে আবার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে ।
সমকালীন সময়ের কবিদের বিশেষ করে ফেসবুক সর্বস্ব কিছু কবির ভবিষ্যত নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হয় । যদিও আমি চিন্তা কিংবা দুশ্চিন্তা করার কর্তৃপক্ষ নই কিন্তু অন্য ভাবনার সাথে এ ভাবনাও জট বেঁধে থাকে । বর্তমান কবিদের কবিতার বৃহদাংশ কেবল নারীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বর্ণনা পাওয়া যায় । নারী দেহের এমন বর্ননা যা চটি গল্পকেও হার মানায় ।
যুগের চাহিদায় হয়ত এসব কবিতাও অস্থায়ী পাঠক প্রিয়তা পাবে কিন্তু নারী দেহের অশালীন বর্ণনার শব্দমালা কবিকে অমর করবে না । কবিতার উপাদ্য হিসেবে নারী কোন যুগেই আলোচনার বাইরে ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু কবির কবিতা পড়লে মনে হয় নারীর দেহ বিষয়ক ধারাভাষ্য দেয়া ছাড়া যেন কবিতাই হয়না । এরা নারীর প্রেমে ডুবতে গিয়ে আর উঠে আসতে পারবে এমন সম্ভাবনা দেখাই যাচ্ছে না । কবিতার নামে যদি নারীর দেহের অশালীন বর্ণনা পড়তে হয় তবে সরাসরি চটি গল্প পড়তে দোষ কোথায় ?
জীবনানান্দ, রবীনন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীম উদ্দিনের মত কবিদের জন্ম দেখতে চাই । বর্তমান কবিদের চেয়ে এরা কি নারীর বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা কম দিতে পারতেন ? অথচ তারা শালীনভাবে যেমন প্রেমের কবিতা লিখেছেন তেমনি লিখেছেন দ্রোহের কবিতা । সমাজ সংস্কারে তাদের কবিতা রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা । রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস এবং পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের কবিতায় উঠে এসেছে বাংলা মায়ের সৌন্দর্যের বর্ণণা ।
বর্তমান কবিদের কলমে মায়ের অর্থ্যাৎ নারীর লুকানো সৌন্দর্য ঠিকই প্রকাশ পায় কিন্তু বাংলা যেন শুধুই উপেক্ষার নাম । সস্তা পাঠক প্রিয়তা অর্জন এবং উঠতি তরুণ-তরুণীর জৈবিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে যারা কবি হিসেবে পরিচিত হন তাদের উদ্দেশ্য বিফল হবে না কিন্তু অমর কবির তালিকায় নাম লেখানো বোধহয় সম্ভবও হবে না । কবিতার সেই অতীত ধারা আবার কবিদের কলমে ফিরে আসুক ।
নজরুল-রবীন্দ্রনাথ আজও উপেক্ষিত নয় কিংবা কোনদিন উপেক্ষিত হবেও না বরং যারা আজ গর্ব করছে তাদের কবিতা দু’পাঁচ জনে পড়ছে বলে তারাই একদিন কালের স্রোতে ভেসে যাবে; চিরতের মুছে যাবে তাদের নাম । কেউ কেউ বলে, কবিতার অশ্লীলতা কোন অশ্লীলতাই নয় । কথা হচ্ছে, অশ্লীলতার প্রকারভেদ করা চলে না । কোন যুগেই অশ্লীলতা সম্মানের আসনে আরোহন করেনি কিংবা করবেও না বোধহয় কোনদিন ।
মোঃ মেহদী হাসান।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট ।
কবিতা লিখতে যেমন ঈশ্বর প্রদত্ত্ব ক্ষমতা থাকা চাই তেমনি কবিতা বুঝতেও উচ্চমাত্রার ভাষাজ্ঞান থাকা আবশ্যক । কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তোলেন সমাজের সমকালীন চিত্র, রাষ্ট্র ও রাজনীতির ভবিষ্যত । কবিগণের অন্য সকল পরিচয়ে পূর্বেই তাদের পরিচয় দার্শনিক হিসেবে । কবিতারও বহু প্রকারভেদ হয় । কবিরা সর্ব সময় সমাজের আধ্মাত্মিক গুরু ।
শুধু কবি পরিচয়ে আমাদের দেশে কিংবা দেশের বাইরে অসংখ্য কবি খ্যাতির শীর্ষে আরোহন করেছে । তাদের খ্যাতি ছোঁয়ার ক্ষমতা অন্য শ্রেণীর লেখকদের নাই কিংবা তারা এটা ধারণাও করতে পারবে না । অতীতের অনেক কবির নাম উল্লেখ করা যায় যাদের কবিতা পাঠকের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে । কাঁদিয়েছে, হাসিয়েছে আবার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছে ।
সমকালীন সময়ের কবিদের বিশেষ করে ফেসবুক সর্বস্ব কিছু কবির ভবিষ্যত নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তা হয় । যদিও আমি চিন্তা কিংবা দুশ্চিন্তা করার কর্তৃপক্ষ নই কিন্তু অন্য ভাবনার সাথে এ ভাবনাও জট বেঁধে থাকে । বর্তমান কবিদের কবিতার বৃহদাংশ কেবল নারীর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের বর্ণনা পাওয়া যায় । নারী দেহের এমন বর্ননা যা চটি গল্পকেও হার মানায় ।
যুগের চাহিদায় হয়ত এসব কবিতাও অস্থায়ী পাঠক প্রিয়তা পাবে কিন্তু নারী দেহের অশালীন বর্ণনার শব্দমালা কবিকে অমর করবে না । কবিতার উপাদ্য হিসেবে নারী কোন যুগেই আলোচনার বাইরে ছিল না কিন্তু বর্তমান সময়ে কিছু কবির কবিতা পড়লে মনে হয় নারীর দেহ বিষয়ক ধারাভাষ্য দেয়া ছাড়া যেন কবিতাই হয়না । এরা নারীর প্রেমে ডুবতে গিয়ে আর উঠে আসতে পারবে এমন সম্ভাবনা দেখাই যাচ্ছে না । কবিতার নামে যদি নারীর দেহের অশালীন বর্ণনা পড়তে হয় তবে সরাসরি চটি গল্প পড়তে দোষ কোথায় ?
জীবনানান্দ, রবীনন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীম উদ্দিনের মত কবিদের জন্ম দেখতে চাই । বর্তমান কবিদের চেয়ে এরা কি নারীর বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা কম দিতে পারতেন ? অথচ তারা শালীনভাবে যেমন প্রেমের কবিতা লিখেছেন তেমনি লিখেছেন দ্রোহের কবিতা । সমাজ সংস্কারে তাদের কবিতা রেখেছে অগ্রণী ভূমিকা । রুপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাস এবং পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের কবিতায় উঠে এসেছে বাংলা মায়ের সৌন্দর্যের বর্ণণা ।
বর্তমান কবিদের কলমে মায়ের অর্থ্যাৎ নারীর লুকানো সৌন্দর্য ঠিকই প্রকাশ পায় কিন্তু বাংলা যেন শুধুই উপেক্ষার নাম । সস্তা পাঠক প্রিয়তা অর্জন এবং উঠতি তরুণ-তরুণীর জৈবিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে যারা কবি হিসেবে পরিচিত হন তাদের উদ্দেশ্য বিফল হবে না কিন্তু অমর কবির তালিকায় নাম লেখানো বোধহয় সম্ভবও হবে না । কবিতার সেই অতীত ধারা আবার কবিদের কলমে ফিরে আসুক ।
নজরুল-রবীন্দ্রনাথ আজও উপেক্ষিত নয় কিংবা কোনদিন উপেক্ষিত হবেও না বরং যারা আজ গর্ব করছে তাদের কবিতা দু’পাঁচ জনে পড়ছে বলে তারাই একদিন কালের স্রোতে ভেসে যাবে; চিরতের মুছে যাবে তাদের নাম । কেউ কেউ বলে, কবিতার অশ্লীলতা কোন অশ্লীলতাই নয় । কথা হচ্ছে, অশ্লীলতার প্রকারভেদ করা চলে না । কোন যুগেই অশ্লীলতা সম্মানের আসনে আরোহন করেনি কিংবা করবেও না বোধহয় কোনদিন ।
মোঃ মেহদী হাসান।
সাংবাদিক ও কলামিস্ট ।