বৃহস্পতিবার, ২ আগস্ট, ২০১৮

আপনার পক্ষেই সম্ভব ওদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনা :- ড. মাসুদুজ্জামান

ফখরুল হাসান -: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিজের মুখে ঘোষণা দিয়ে ওদের দাবি মেনে নিন। আপনার পক্ষেই সম্ভব ওদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনা। আমি নিশ্চিত, আপনি নিজেও হয়তো জানতেন না রাস্তায় লাইসেন্সবিহীন কত চালক গাড়ি চালায়। গতকাল ও আজ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের গাড়ি আটক করে দেখিয়ে দিচ্ছে লাইসেন্সবিহীন কত চালক গাড়ি চালায়। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে এইসব শিক্ষার্থীর জন্য গর্ব অনুভব করছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, আপনি নিজে এইসব নৈরাজ্য বন্ধের ঘোষণা দিন। ওরা ক্লাসে ফিরে যাক। আপনি নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় শিক্ষার্থীরা কোনো সহিংসতা না করে শান্তিপূর্ণভাবে সবধরনের যন্ত্রচালিত গাড়ির চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করছে। পরীক্ষা করে লাইসেন্স না পেলে বা মেয়াদ-উত্তীর্ণ লাইসেন্স পেলে সেইসব গাড়ি আটক করে পুলিশকে জানাচ্ছে। পুলিশ সেইসব চালকের বিরুদ্ধে মামলা করছে। যেসব ড্রাইভারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের কয়েকজন : (১) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দুটি গাড়ি। (২) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবর রহমানের গাড়ির চালক। (৩) পুলিশের একটি ভ্যানের চালক। (৪) সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ের একটি বাস। (৫)  উইনার পরিবহনের একটি বাস। (৬) বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাস। তুমুল বৃষ্টির মধ্যে ভিজে ভিজে এভাবে লাইসেন্স চেক করছে শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভিং ও ফিটনেস লাইসেন্স আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখছে। এ সময় তাদের কোনো ধরনের বাধা দেয়নি ট্রাফিক পুলিশ। বরং সহায়তা করেছে, মামলা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বুঝিয়ে দিল খোদ রাজধানীতেই রথি-মহারথি ক্ষমতাধরদের কত কত গাড়ির চালকের লাইসেন্স নাই। রাস্তায় মূল দুর্ঘটনা তো ঘটে এই কারণেই। ভেবে অবাক হচ্ছি, আমরা যারা গাড়ির মালিক, তারা কী ড্রাইভারের লাইসেন্স না থাকলেও তাকে গাড়ি চালাতে দেবো? খোদ সরকারি গাড়ির ড্রাইভারেরও যদি লাইসেন্স না থাকে, তাহলে রাস্তায় তো কোনো শৃঙ্খলাই নাই, বলতে হবে। এরকম ড্রাইভাররা তো মানুষ খুন করবেই। রাস্তায় যাতে লাইসেন্সবিহীন কোনো চালক গাড়ি না চালায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি নিজের মুখে সংবাদ সম্মেলন করে শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দিন যে যানচলাচলে সবধরনের শৃঙ্খলা ফিরিযে আনার জন্য আপনি সবকিছু করবেন। ওদের আশ্বস্ত করুন। আপনার পক্ষেই কেবল সম্ভব প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনা।
Share: