সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

কবি হিমু রাশেদের কবিতা ‘পতিতা আমি’


পতিতা আমি
হিমু রাশেদ

মানুষ...নয়! পতিতা আমি ।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
মানুষ হতে ইচ্ছে হয় সখের জীবন-করাত।
পতিতা হওয়ায় এথেকে মুক্তি দেয় খুুব সহজে আমায়।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
সতি; সেতো কেতোনা ছল-চাতুরী,টাল-বাহানা নীতি প্রঙ্গা চুুরি।
আমার সেতো খোলা দোকান; পয়াস দিলেই মিলবে রসদ হাড়ী।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
সাজো তুমি কার জন্যে? বাহিরে-অন্তরবাসে।
বলিবে; স্বামীর নজর যেনো আসে।
বলি; চোখ শুধু তার কপালেই? অন্যরা অন্ধকারে!
আমি সাজি সবার হয়ে।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
আমি কাজকরি- দেহ, রক্ত ঘাম ঝরায়ে সর্বে সজ্যে,
তার তুলনা সুধইু কৃষক দিন মুজুর দ¦য়ে।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
চাকুরীর দোহায় বাহির হও সাত সকালে,
ফেরো সান্ধোপরে,
বসকে খুশি রাখাতে, মায়নে বাড়াতে, 
কতোনা রঙ্গিন চেহারায় থাকো ঘোরে।
আমার সেতো সস্তা ক্রিম
স্বল্প কাপুড়ের জামা, 
আর একটু চোখে চোখ রাখলেই শিধে সখা।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
অভিনয় করতে করতে বড়ই কøান্ত তুমি।
আর আমার অভিনয় একই; সে পতিতা আমি।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
বুঝলাম তোমার আয় হালাল,তারপরও মসজিদ
গীরজা উপসনালয়ে দানে; হাজির তুমি।
আমার আয় হারাম তারপরও কখনও যায়না- 
মসজিদ গীরজা উপসানলয়ে আমি।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
ভক্ষনে তুমি বড়ই কৃপনও বটে-
 নিজে খাবার অন্যকে খায়িয়ে ভাবো ;বেজায় সুখে।
নিজে খেলে গায়ে লাগবে, আয়ে আসবে জস।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
ঘুুস, দূর্নীতি, চোরাকারবারী ঝণঞ্জায়
গড়ো দালান কোটা;চড়ো বড়ো বড়ো গাড়ী।
আমার আছে ফুট পথ, বস্তী, কখনও পরিতক্ত তোমাদেরই বাড়ী।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
সভ্য বলে করেন যারা দাবি। 
যানেন কিনা তারা ? 
তাহাদের আর্শিবাদে সৃষ্টি হলেম এ পতিতা আমি।
তোমাদের মনরঞ্জণে উজাড় থাকি আমি।
আমি পতিতা বলেই গর্ববোধ করি।
রক্তে রংএ যাইনা কারা চেনা;
তবে কেনো আমায় করো ঘৃণা।
আমি তোমাদেরই কারো না কারো সন্তান 
কারো বোন ,কারো মা,কারো ভগ্নি-
 হয়তো কারো ছিলাম স্ত্রী নয় প্রিয়োসী।
আমি তোমাদেরই! বাহিরের কেহ নয়। 
আবারও বলি; আমি তোমাদেরই প্রয়োজনে সৃষ্টি।
নিজেকে চরমভাবে ঘৃণা করলেও পতিতাকে নয়!
পতিতাই যে দিয়েছে; তোমাদের মাঝে বেচে থাকার সেই ঠাই।
মরেও,,এখনও  বেচে আছি,,,,,,,,,।
 তাই মানুষ নয়; পতিতা বলেই গর্ববোধকরি।

Share: