মো.আক্তারুজ্জামান,নবীনগর:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সলিমগঞ্জ বাজারের জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা আর যতই দিন এগুচ্ছে সলিমগঞ্জ বাজারের নামি দামী মার্কেটসহ বিপনীবিতানগুলিতে ক্রেতা সমূহের উপচে পরা ভিড় চোখে পড়ছে। তবে আবহাওয়ার সাথে তালমিলিয়ে বিদেশী পোশাকের চেয়ে এ বছর দেশের তৈরি পোশাকের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
রমজানের শুরু থেকেই উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা সলিমগঞ্জ বাজারের বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতার ভিড় বেড়েই চলেছে। কিশোরী ও তরুণীদের পছন্দ চুমকির কাজ করা থ্রি-পিস, লেহেঙ্গা, টপর্স, আর কিশোর ও তরুণদের পাঞ্জাবি ও ফতুয়ায় আকর্ষন অনেকেরই নজর কাটছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সলিমগঞ্জ বাজার মনির মার্কেট, চৌধরী মার্কেট, হাসান মার্কেট, আল বাহাইন সুপার মার্কেটে, সহ বিভিন্ন নামি দামী ব্র্যান্ডের দোকান গুলোতে বাচ্চাদের পোশাক ৫০০-১২০০টাকা, মাঝারি সাইজের মেয়েদের পোশাক ১০০০-২০০০ আর পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন নামের পোশাক গুলো ২৫০০-৪০০০ টাকা পর্যন্ত বেচা কেনা হচ্ছে। অন্য দিকে পাঞ্জাবি ও ফতুয়ার দাম ৭০০-১২০০টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন,এ বছর অন্য যেকোনো বছরের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি দেশি পোশাক বিক্রি করছেন। এ বছর তাঁরা শিশুদের জন্য শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, পাজামা; ছেলেদের জন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, নানা নকশার টি-শার্ট এবং মেয়েদের জন্য ফ্রগ, স্কার্ট, লেহেঙ্গা, থ্রি-পিসসহ নানা নজরকাড়া পোশাক এনেছেন। তবে প্রতিদিন বিক্রি বাড়ছে। নকশায় নতুনত্ব থাকায় এবার ক্রেতাদের কাছে দেশি পোশাকের কদর বেশি।
ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সুমি আক্তার নামের এক গৃহবধূ বলেন, তুলনামূলকভাবে দেশি পোশাকের দাম কম এবং চাহিদামতো নতুন নতুন ডিজাইনের দেশি পোশাকও পাওয়া যাচ্ছে। সে জন্য দেশী পোশাকর চাহিদা অনেক বেশী। আর এ বছর প্রচন্ড গরমের এ আবহাওয়াতে দেশীয় তৈরি সুতি কাপড়ের পোশাকের চাহিদা ক্রেতাদের কাছে বেশী।
বেসরকারী প্রতিষ্টানে কর্মরত নাজির হোসেন জানান, এ বছর আবহাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে সলিমগঞ্জ বাজারের মার্কেট গুলোতে বিদেশী পোশাকের চেয়ে দেশী পোশাকের চাহিদা অনেক বেশী এতে করে আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ গুলোর দামের সাথে তাল মিলিয়ে দেশী পোশাক কিনতে অনেকটাই সহজ হচ্ছে।