বুধবার, ৩০ মে, ২০১৮

অষ্ট্রেলিয়া বিএনপি’র উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আবুল কালাম আজাদ, অষ্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি: 

পবিত্র রমজানুল মোবারক ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে অষ্ট্রেলিয়া বিএনপি ইফতার মাহফিল আয়োজন করে। ল্যকেম্বার প্যারী পার্ক সংলগ্ন ন্যাশনাল ক্রীড়া ক্লাবের নীচ তলায় এই ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার ও দোয়া মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অষ্ট্রেলিয়া বিএনপি’র আহ্বায়ক প্রফেসর ড. হুমায়ের চৌধুরী রানা। অনুষ্ঠানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন প্রফেসর মৌলানা বায়োজিদ।

ইফতারপূর্বক আলোচনায় বিএনপি’র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানসহ দলের সকল নেতা-কর্মীদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

ইফতার ও দোয়া মহফিলে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী সোহেল ইকবাল, জাকির আলম লেনিন, আশরাফুল  আলম, হাফিজুর রহমান, ডা. মজনু, মো. ফরিদ মিয়া, অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, আব্দুল বারেক মিয়া, সৈয়দ তানবীর আলম, মো. ফয়জুর রহমান, ইয়াছিন আরাফাত অপু, হাজী মো. ইউসুফ,এম আই চৌধুরী ছোটন, সা’আদ সামাদ ,মাহমুদা আরাফাত, তাফতুন নিতুসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতা কর্মীবৃন্দ।


সভায় আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদ খান, সাবেক আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, সাবেক সাধারন সম্পাদক লিয়াকত আলী স্বপন, লাভলী আলম, বিএনপি অষ্ট্রেলিয়ার একাংশের সভাপতি মোসলেহ উদ্দিন আরিফ, শিবলী আব্দুল্লাহ, প্রকৌশলী খালেদ সাইফুল্লাহ, নাসিম আহমেদ সহ আরো গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মোহাম্মদ হায়দার আলী।

নবীনগরে একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দিল এক মা

রানা কিশোর বণিক,নবীনগর :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর গ্রামীন জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টারে আজ বুধবার সকালে এক প্রসুতির একসঙ্গে চারটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। প্রসুতির জন্ম নেওয়া শিশুদের মধ্যে ১টি ছেলে ও ৩টি মেয়ে। ডা: সামী ত্ব-হা কবীর (মীম) বলেন, সকালে প্রসুতির ব্যাথা অনুভব হলে হাসপাতালে নিয়ে এলে কোন প্রকার অপরেশন ছাড়াই স্বাভাবিকভাবে চারটি শিশুর জন্ম দেয় মা। বর্তমানে মা ও বাঁচ্চাগুলো সুস্থ্য রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার নাছিরাবাদ গ্রামের জিতু মিয়ার মেয়ে পিয়ারা বেগমের সাথে ১৭ বছর পূর্বে পাশ্ববর্তী রায়পুরা উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী হোসেন মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তাদের পূর্বে ১টি ছেলে ও ৩টি মেয়ে রয়েছে।
চাচী শ্বাশুড়ী ফুলনাহার বেগম বলেন, স্বাভাবিকভাবেই ৪টি সন্তান হয়েছে। মা ও সন্তান সবাই ভালো আছে।

আবৃত্তি একাডেমী ফেনী'র দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

দিদার মজুমদার, ফেনী প্রতিনিধিঃ
ফেনীর সাংস্কৃতিক অঙ্গনের আবৃত্তি একাডেমী'র দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরের মিজান রোডস্থ আবৃত্তি একাডেমী ফেনী'র অস্থায়ী মহড়া কক্ষ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলে। আবৃত্তি একাডেমি'র সভাপতি সৈয়দ অাশ্রাফুল হক অারমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ হুমায়ুন কবীর,ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বাবুল চন্দ্র শীল,জেলা কালচারাল অফিসার জান্নাত আরা যুথি,আবৃত্তি একাডেমী'র উপদেষ্টা সদস্য ডাঃ বনানী মন্ডল,আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য সমরজিৎ দাশ টুটুল,জেলা শিল্পকলা একাডেমী'র নির্বাহী সদস্য শান্তি রঞ্জন চৌধুরী,বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপক জিন্নাহ চৌধুরী,পায়রা শিশু কিশোর সংগঠনের সমন্বয়কারী জাহিদ হোসেন বাবলু,জেলা নজরুল একাডেমী'র সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ তিতু,কিশোর থিয়েটার'র সমন্বয়কারী বাপ্পি পোদ্দার,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কোষাধ্যক্ষ উত্তম দেব নাথ,ফেনী শিশু একাডেমী'র আবৃত্তি বিভাগের প্রশিক্ষক পৃথ্বীরাজ চক্রবর্তী,শিল্পতীর্থ সাহিত্য পত্রিকার সম্পাদক হুমায়ুন মজুমদার,ফেনী লিও ক্লাব'র প্রাক্তন সভাপতি সৈয়দ রইসুল ইসলাম রিমন,লিও ক্লাব'র বর্তমান সভাপতি মীর হোসেন,ফেনী থিয়েটার'র প্রচার সম্পাদক দিদার মজুমদার,বাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোর'র জেলা প্রতিনিধি ডালিম হাজারী,আবৃত্তি সংসদ সভাপতি এখলাছ উদ্দিন খন্দকার,সাহেব নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব আলম সহ আবৃত্তি একাডেমী ফেনী'র শিক্ষার্থী ও অভিভাবক সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথিগণ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে নুরনবী হাসান দোয়া পরিচালনা করেন।

শহীদ জিয়াকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র চলছে : বেঙ্গল

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

একজন মানুষ হিসেবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান জন্ম গ্রহন করলেন আবার মারাও গেলেন। জন্ম-মৃত্যুর এই স্বল্প সময়ের মাঝে নিজের সাহসীকতা আর প্রজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের জনগনের কাছে অমর হয়ে রইলেন মন্তব্য করে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদসের সভাপতি ঈসমাইল হোসেন বেঙ্গল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের মাঝে অমর হয়ে রইলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের মহানায়ক হিসাবে।

বুধবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাতবার্ষিকী’ উপলক্ষে জিয়া সেনা কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত স্মরণ সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।

ঈসমাইল হোসেন বেঙ্গল বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০মে জিয়াউর রহমানকে হত্যা করা হয়েছিল কিন্তু, তিনি পরাজিত হননি। আজ বাংলাদেশে শহীদ জিয়াকে পরাজিত করার ষড়যন্ত্র চলছে। শাসকগোষ্টি যখন মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা গণতন্ত্র হত্যা করে আবারো একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে তখন শহীদ প্রেডিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রয়োজনীয়তা জাতি মর্মে মর্মে উবলব্ধি করছে।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সরকারের ভুল রাজনীতি রাষ্ট্রকে গভীর সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে। জনগণ গণতান্ত্রিক ও মুক্ত সমাজ গঠনের স্বপ্ন পরিত্যাগ করে অগণতান্ত্রিক শক্তির আগমনে ভীত হয়ে পড়ছে। ভুল রাজনীতি চলতে থাকলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অগণতান্ত্রিক রাজনীতির উত্থান ঘটতে পারে, যা হতে পারে ভয়ঙ্কর।

তিনি বলেন, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়া আজীবন অনুপ্রেরনার উৎস। শহীদ জিয়াউর রহমান আছেন এবং থাকবেন। কেউ তাকে মুছে ফেলা সম্ভব নয়। যতদিন গণতন্ত্র সংকটে থাকবে ততদিন শহীদ জিয়া বার বার আমাদের সামনে থাকবেন।

তিনি আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জাতিকে পদপ্রদর্শন করেছেন। স্বল্প সময়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে পরিনত করার চেষ্টা করেছেন। আজ তার চরিত্র হননের যে অপচেষ্টা চলছে তা সত্যই নিন্দনীয়।


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ডিএল সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, কল্যাণ পার্টি মহাসচিব এম. এম. আমিনুর রহমান, লেবার পার্টি মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদী, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, এনপিপি প্রেসিডিয়াম সদস্য এম. ওয়াহিদুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ ফরিদউদ্দিন, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু, সাবেক ছাত্রনেতা এম.এন. শাওন সাদেকী, যুব মিশন সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।

ভারতকে যা দিয়েছি আজীবন মনে রাখবে: শেখ হাসিনা

 নিজস্ব প্রতিবেদক:

 ভারতের কাছে কোনো প্রতিদান চান না জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার নেয়ার অভ্যাস কম, দেয়ার অভ্যাস। ভারতকে যা দিয়েছি আজীবন মনে রাখবে। ভারত সফর শেষে বুধবার গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মোদির কাছে ‘প্রতিদান’ চান হাসিনা- পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকার এমন প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শেখ হাসিনা বলেন, আমি কোনো প্রতিদান চাই না। আমার চাওয়ার অভ্যাস কম, দেয়ার অভ্যাস।

এসময় তিনি বলেন, আমি ভারতকে যা দিয়েছি তা আজীবন মনে রাখবে। অস্ত্র চোরাচালান ও সন্ত্রাস বন্ধসহ এখানে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করেছি।

তিস্তার পানি বণ্টন সংক্রান্ত এক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন। আমি সেখানে বলেছি- প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে অনেক সমস্যা থাকতে পারে। সেই সমস্যার কথা তুলে তিক্ততা তৈরির পক্ষে আমি নই।

এসময় তিনি বলেন, আমি যদি বলি- আপনি তিস্তা ব্যারেজ করলেন কেন? এটা করার সময় চিন্তা করলেন না- আমরা ভাটিতে, সমস্যা হবে। এখন পানি পানি বলে চিল্লাচ্ছেন কেন? আমরা কথা বলেছি, তারা বলেছে, সমাধান করবে। অপেক্ষা করুন।


শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা এই তিস্তায় নির্ভর করব কেন? আমরা বিকল্প ব্যবস্থা করছি। নদীগুলো ড্রেজিং করছি। কয়েক হাজার পুকুর খনন করে জলাধার হিসেবে সংরক্ষণের চেষ্টা করছি।

ফিতরা সর্বনিম্ন ৭০, সর্বোচ্চ ২৩১০ টাকা নির্ধারণ

বিশেষ প্রতিনিধি: 

ঈদুল ফিতরে ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সকালে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সভাকক্ষে জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি ও বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। ইসলামী শরীয়াহ মতে আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব পণ্যগুলোর যে কোন একটির মাধ্যমে ফিতরা দেয়া যায়। অথবা নির্দিষ্ট পরিমানের বিপরীতে মূল্য দিত হয়। 


দেশের সব বিভাগ থেকে সংগৃহীত আটা, যব, খেজুর, কিসমিস ও পনিরের সর্বোচ্চ বাজার মূল্যের ভিত্তিতে ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া আওয়ামীলীগ সিডনি শাখার ইফতার অনুষ্ঠিত

আবুল কালাম আজাদ, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি:
 পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সিডনি শাখার উদ্যোগে এক ইফতার পার্টি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ২৭ মে (রবিবার) সিডনির ওয়্যালি পার্কের গ্রামীণ চটপটি রেস্টুরেন্টে দোয়া ও ইফতারের আয়োজন করা হয়।

উক্ত ইফতার পার্টির শুরুতে আওয়ামীলীগের সভাপতি আইনজীবী সিরাজুল হক সবাইকে স্বাগত জানান। এরপর ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন। ফুহাদ শিহাব সঞ্চালনা করেন ইফতার পার্টি।

এছাড়া ইফতার পর্টিতে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক লাভলী আলম, বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. রতন কুন্ডু, আওয়ামীলীগ ক্যানবেরা শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন খন্দকার, সভাপতি গাউসুল আলম শাহজাদা প্রমুখ।

মাগরিব নামাজের শেষে সংগঠনের সভাপতি গাউসুল আলম শাহজাদার সভাপতিত্বে দলীয় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সবশেষে সবাইকে নৈশভোজে আপ্যায়ন করে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ইফতার মাহফিলে বিশ্বের সকল মানুষের শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন হাবিব হাসান।

নরসিংদীতে আর্জেন্টিনার পতাকা উড়াতে গিয়ে যুবকের মৃত্যু

মো:মনিরুজ্জামান(ইমন):
আজ সকাল ১১টায় নরসিংদী সদর উপজেলার দ:শিলমান্দী গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্ন ওহাব মিয়ার পুত্র মো:ফয়সাল মিয়া (২২) বিশ্বকাপ ফুটবল খেলাকে সামনে রেখে প্রিয় দল আর্জেন্টিনার পতাকা উড়াতে
বাড়ীর সামনে আমগাছে উঠে।
    
পরিত্যাক্ত এস এস পাইপের মাথায় দলীয় পতাকা লাগিয়ে আমগাছের মগ ডালে উঠলে, গাছের উপর দিয়ে যাওয়া ৪৪০ভোল্ট বৈদ্যুতিক তারের সাথে লোহার পাইপের সংযোগে বিদ্যুৎ পিষ্ট হয়ে ঘটনা স্থলে সে মারা যায়।

সাথে সাথে নরসিংদী -১পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে তাৎক্ষণিক এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেন।

মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১৮

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে লেবার পার্টি’র ইফতার অনুষ্ঠিত

আবুল কালাম আজাদ, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি: পবিত্র রমজান উপলক্ষে সিডনির ল্যাকান্বা কমিউনিটির রোজাদারদের সম্মানে ইফতার পার্টির আয়োজন করেছে লেবার পার্টি। গত ২৮শে মে ল্যাকান্বার সিনিয়র সিটিজেন ক্লাবে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়।


ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্যান্টারবারী ও ব্যাংকসটাউন সিটি কাউন্সিলের মেয়র কার্ল আসফর। দলের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ল্যাকান্বা শাখার লেবার পার্টি’র প্রেসিডেন্ট ডা: আব্দুল ওহাব, সহ-সাধারণ সম্পাদক আজাদ আবুল কালাম, কোষাধক্ষ্য ফয়সাল দেওয়ান, রাশেদুল হক, নাফিজ আহমেদ খন্দকার, পারভেজ খন্দকার, শিবলু গাজীসহ আরো অনেকে। সবশেষে ডিনারের মাধ্যমে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

আজ অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণার জন্মদিন


নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণার জন্মদিন। তিনি আজকের এই দিনে ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। রোমানা স্বর্ণার দাদার বাড়ি ঢাকা জেলাতে হলেও তার জন্ম হয়েছে ফরিদপুরে তার নানুর বাড়িতে। তার অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল ছোটবেলা থেকেই। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও চলচ্চিত্র, নাটক ও বিজ্ঞাপনেই বেশ পরিচিতি তার। অভিনয় দিয়ে রোমানা স্বর্ণা মন জয় করে নিয়েছেন দর্শকের। সমসাময়িক শিল্পীদের তুলনায় রোমানা স্বর্ণা জনপ্রিয়তাও একটু বেশি। চলচ্চিত্র, একাধিক খন্ড নাটক, টেলিফিল্মে কাজ করেছেন তিনি। এই অভিনেত্রীর জন্মদিনে আমাদের বাংলাদেশ পরিবারের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা।

জন্মদিনের স্মৃতিচারণ করে অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা বলেন, 'জন্মদিন উপলক্ষে তেমন কোনো আয়োজন না করলেও পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করব। তবে এবারের জন্মদিনটা বেশ আনন্দের হবে মনে হচ্ছে। মহান আল্লাহতালা ভালোবাসা ও দর্শকদের দোয়া নিয়ে ভবিষ্যৎ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিবছর আমার বন্ধুরা জন্মদিনের সারপ্রাইজ পার্টি আয়োজন করে। আমি তাদের ভালোবাসা দেখে মুগ্ধ হয়ে যায়।'

আপনার অভিনয় নিয়ে স্বপ্ন কি? জানতে চাইলে রোমানা স্বর্ণা বলেন, 'প্রত্যেক মানুষই স্বপ্ন দেখে। আমিও দেখি। মনের কোনায় লালিত স্বপ্ন পূরণে সব ধরনের কষ্ট শিকার করতে চাই। এক কথায় স্বপ্নকে ছুঁতে চাই। অভিনয় ভাল করতে চাই, অনেক ভাল। মানুষ মরে গেলে তার গুণাবলিটাই থাকে। আমি চাই যে, আমি পৃথিবীতে না থাকলেও সবাই যেন আমাকে ভালভাবে স্বরণ করে।'

এদিকে, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেশি নাটক ও টেলিফিল্মেই কাজ করছেন অভিনেত্রী রোমানা স্বর্ণা। বলা যায় প্রায় প্রতিদিনই এখন তিনি কোনো না কোনো নাটক বা টেলিফিল্মের কাজ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এবারের ঈদে বেশ কিছু নাটক ও টেলিফিল্মে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে।

নরসিংদীর শিবপুরে পুলিশের সোর্স কে কুপিয়ে হত্যা

আসলাম ভুইয়া, শিবপুর প্রততিনিধি: 
নরসিংদীর শিবপুর থানা পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয়দানকারী মকবুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রোববার রাত প্রায় ৯টায় শিবপুর বণ্যার বাজারে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন বাজারের ব্যবসায়ীরা।ব্যবসায়ীরা আরো জানান, রাতে তারাবি নামাজের সময় ও আইপিএল খেলা চলাকালীন যখন মানুষ নিশ্চুপ হয়ে যায়, ঠিক সেই মুহুর্তে ৮/১০ জনের একটি মুখোশধারী চক্র মকবুলের দোকানে এসে মকবুলকে কুপিয়ে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং একটি হাতও কেটে ফেলে। এসময় আশপাশের লোকজন দৌড়ে আসলে দুর্বৃত্তরা ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শিবপুর উপজেলার তাতারকান্দি গ্রামের আব্দুল মতলিব মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এলাকায় চলাফেরা করতো। পাশাপাশি বণ্যার বাজারে একটি ফ্লেক্সি ও বিকাশের দোকান পরিচালনা করতো। এই ব্যবসার অন্তরালে পুলিশের সোর্সই ছিল তাঁর প্রধান কাজ।এই কথাগুলো জানান বণ্যার বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। আর পুলিশের সোর্স হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিত এলাকার যুবকদের। আর এতে পুলিশকে মোটা অংকের বিনিময়ে রক্ষা পেতে হতো। একারণে হত্যাকাণ্ডও ঘটতে পারে বলে জানালেন স্থানীয়রা। এলাকাবাসী আরো জানান, মকবুল অনেক আগে থেকেই এলাকায় চুরি ডাকাতি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সাথে জড়িত ছিল। যার কারণে একাধিকবার জেলও খেটেছে।মকবুল পুলিশের সোর্স ছিল না বলে অস্বীকার করে শিবপুর থানা পুলিশ বলছেন, সে আগে খারাপ থাকতে পারে। বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা আমরাও শুনেছি। তবে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে কে কে জড়িত থাকতে পারে সেই বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া মকবুল ২০০৫ সালে চাঞ্চল্যকর তুফাচাঁন হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ছিল। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন জেল খাটার পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে বন্যার বাজারে দোকান দেয়।খবর পেয়ে রাতেই শিবপুর মডেল থানার এস আই রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল থেকে লাশ ও প্রাথমিক আলামত সংগ্রহ করার পর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

বিশ্বকাপ ফুটবল:-বাংলাদেশের সমর্থকগোষ্ঠী যেন পুরো দুই শিবিরে বিভক্ত


বাংলাদেশ কখনও বিশ্বকাপ ফুটবলে অংশ না নিলেও বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলার সর্বোচ্চ আসর নিয়ে এখানে মাতামাতি এবং উন্মাদনার কোন কমতি নেই। বরং যেকোন ফুটবল খেলুড়ে দেশের চেয়ে বেশি ছাড়া কম হবে না।


ফুটবল বিশ্বকাপের আগমনী ঘণ্টা বাজলেই সারাদেশ ছেয়ে যায় বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকায়। দেয়ালে দেয়ালে শোভা পায় প্রিয় দল ও খেলোয়াড়ের নাম। প্রিয় দলের খেলা থাকলে শহরের গলিতে গলিতে তা বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা হয়। পছন্দের দলের সফলতায় মিষ্টি বিতরণের খবরও মেলে হামেশাই।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে এ যুগে সেই উন্মাদনা পেয়েছে নতুন মাত্রা। মাঠে যখন খেলোয়াড়েরা খেলে, সমর্থকেরা খেলে সামাজিক মাধ্যমে। নিজের প্রোফাইলে, কভার ফটোতে শোভা পায় প্রিয় দল বা খেলোয়াড়ের ছবি। খেলা চলাকালে তার আপডেট দিয়ে চলে স্ট্যাটাস। পছন্দের দলের জয়ে উচ্ছ্বাস আর স্তুতিতে ভরে যায় সমর্থকদের ওয়াল, পরাজয়ে হতাশাও প্রকাশ করেন তারা। চলে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি খোঁচাখুচি ও খুনসুটিও।


বাংলাদেশের সমর্থকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় লাতিন আমেরিকান দলগুলো। আরও নির্দিষ্ট করে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থকই বেশিরভাগ।জার্মানি, স্পেন বা ইতালির সমর্থকও রয়েছেন তবে তা আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলের সমর্থকদের তুলনায় অনেক কম।


বাংলাদেশের সমর্থকগোষ্ঠী যেন পুরো দুই শিবিরে বিভক্ত; আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল শিবিরে। এই দুই দলের সমর্থকদের নিজের দলের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ এবং প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকদের খোঁচাখুঁচি অনেকটা বাড়াবাড়ি পর্যায়েরই। একথা বললেও অত্যুক্তি হবে না যে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে ফুটবল বিশ্বকাপ মানে এখনও অনেকে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলকেই বোঝে।

কিন্তু এ মাতামাতি থেকে কখনও কখনও ছড়ায় অযৌক্তিক ঘৃণা। এ নিয়ে মন কষাকষি বা হাতাহাতির খবরও আসে!

ফুটবল খেলা নিয়ে পরষ্পর বিপরীত দলের সাথে বিরোধ করা বোকামি ছাড়া কিছুই না । আমার মতে ফুটবল বিশ্রী একটা খেলা , সারাক্ষন বল নিয়ে দৌঁড়াদৌড়ি এদিকে দর্শক পপকর্ন চাবাতে চাবাতে ধেতরা বানিয়ে ফেলে মাগার গোলহয় না । পুরো নব্বই মিনিট শুধু শুধু দৌঁড়ায় এমন প্লেয়ার যার পাবে দির্ঘ্য ১০ মিনিটেও বল আসেনি তারপর ও দৌড়ায় , তবুও আশা একবার তো বলটা পায়ে লাগাই । যারা ফুটবলের ভক্ত তারা এতোই কঠিন ভক্ত যে মনেহয় কারো বন্ধু কিংবা ভাই টিভিতে ফুটবল খেলছে পারলেতো নিজেই খেলা শুরু করে।


আচ্ছা দেখেছেন কি প্রত্যেক দল ১১ জন প্লেয়ার খেলে আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিল দুই দলেরই সমার্থক রা অর্থাত্‍ আর্জেন্টিনার সার্পোটাররা শুধু মেসি আর তেভেজ নিয়েই পড়ে আছেন তেমনি ব্রাজিলেও , কোনো প্লেয়ারের নাম জানুক আর না জানুক মেসি আর তেভেজ এর নাম ঠিকই জানে বাকি প্লেয়ার দের কোনো নাম নেই , কারন মেসি বেশী গোল দিতে পারে ,অনেকে তো আর্জেন্টিনা বলতেই মেসিকে বোঝে আজব তৈল যুক্ত ভক্ত !


 মেসি বাদে বাকি প্লেয়ারা যে বলটা একবারো ছোঁয়ার জন্য দৌড়ালো জনগন তো তার নাম মুখে ও নিলো না , দেখা গেছে বল অন্য প্লেয়ারের পায়ে দর্শক তখন ও মেসি মেসি করে চেচাচ্ছে , অর্থাত্‍ যা বোঝা যায় ফুটবল খেলা হচ্ছে শুধু শুধু গাঁধার দৌড়ানো যদি না আপনি মেসি না হন। তাছাড়া পা ভাঙ্গার জন্য অন্যতম খেলা হলে ফুটবল , ৯০ মিনিট চিনির বলদের মত হা করে থেকে ফলসরূপ একটা কি দু টা গোল ! মাত্র । 



ফুটবল খেলা চলাকালীন সময়ে ভক্তদের আপন আত্বীয় বানিয়ে ফেলবে এমন অবস্তা , অনেক ভক্ত তো তার প্রিয় প্লেয়ারের বায়ো নিয়ে এমন আলাপ জুড়ে দেয় যেন তারা উভয়ে ন্যাংটা কালের বন্ধু । হয়তো তার ভুলে যায় প্লেয়ার গুলো পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে আছে , ভালো বাসা যেন দুরত্ব কমিয়ে দেয় । এক একটা দলের জন্য এরা এতো উল্লাস করে , ওখানে যদি বাংলাদেশ ফুটবল খেলতো তাহলেও মনেহয় এতো উল্লাসের সৃষ্টি হত না ।

আমি ফুটবল খেলা পছন্দ না করার কারন অন্য দেশনিয়ে লাফালাফি করতে ভালো লাগে না , তবে সমান্য ব্রাজিলের সাপোর্ট করি কারন পতাকাটা বাংলাদের সাথে কিছুটা মিল আছে ;) মনে মনে ভাবার চেষ্টা করি ওটা বাংলাদেশ খেলছে তবে ফুটবল নিয়ে কখনোই আহামরি উল্লাস নেই আমার ।

আমি সেই দিন ফুটবল খেলা ভালোবাসবো যেই দিন বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপ জানিনা এই স্বপ্ন ৫০বছরেও পুরন হবে কিনা ।

তবুও কখনো অন্যদের মত মেসির সাথে আত্বীয়তা পাতানোর কোনো দরকার নেই কিংবা ম্যাসিকে নিয়ে এতো তেলাতেলির দরকার নেই ম্যাসির মাথায় এমনিতেই অনেক তেল ।



বাংলাদেশ খেলায় যতোই পছনে থাক ও নিয়েই আমার অসীম আনন্দ । ক্রিকেট আমার অত্যন্ত প্রিয় খেলা বাংলাদেশ খেলে বিধায়ই প্রিয় , অনক কেই দিখেছি নিজ দেশ জিতবে না জেনে অন্য দেশের সার্পোট করা শুরু করে দিছে , 

যখন ক্রিকেটের গেমস খেলি তখন বাংলাদেশের সাথে অন্য বড় দশকে হাড়িয়ে দেই আর মনেমনে ভাবি এমন যেন সত্যি সত্যি বাংলাদেশ বড় কোনো দলকে হাড়িয়ে দিছে ।



মূলত প্রসংঙ্গ ছিলো ফুটবল ,

যারা আগামী দিনের আআর্জেন্টিনা  আর ব্রাজিল নিয়ে লাফাবেন তাদের বলছি ।

বিদেশী দেশ নিয়ে না লাফিয়ে দেশের কথা ভাবুন , ঐ আআর্জেন্টিনা  আর ব্রাজিল যতোই ডাইহার্ড ফ্যান হন যদি ওটা সর্বক্ষনই অন্যের দেশ একসেকেন্ডের জন্যও বাংলাদেশ হবে না । নিজে একজায়গায় থেকে অপর স্থানের সফলতার খুশিতে গড়াগড়ি খাওয়া কতো টা হাস্যকর ভেবে দেখেছেন কি ?

ভাবুন বাংলাদেশের মানুষ যতো ঐসব দেশকে ভালোবাসে তার কিছু অংশ যদি বাংলাদেশের প্রতি থাকতো তাহলে ঐরকম ফুটবল কাপে বাংলাদেশ নামের একটা দল থাকতো বলে মনেহয় ।

অন্যদলের জার্সি যতোই দাম দিয়ে কিনুন ওটা শুধুই একটা গেঞ্জি মাত্র ঠিক আপনার বাসার আর দশটা গেঞ্জির মতই ।

সবই আপনার পাগলামির ফল , অর্থাত্‍ কিছুক্ষনের জন্য ভারসম্য হারানো পাগলের মত ।



আপনি ফুটবলকে ভালোবাসুন কিন্তু হাজার টাকা দিয়ে মেসির জার্সি কেনার কোনো সার্থকতা নেই , আপনি কখনোই মেসি হবেন না কিংবা আপনার শত ভালোবাসার পরও ম্যাসিকে কেউ বাংলাদেশি বলবে না ।

ফুটবল নিয়ে যতোই লাফালাফি করুন আর উল্লাস করুন , নিজ দেশে ঐ আআর্জেন্টিনা  কিংবা ব্রাজিলের পতাকা লাগাবেন না , ভেবে দেখুন আপনি কিছুক্ষনের জন্য হলেও নিজ স্বাধীনতা হারাচ্ছেন ।



একটা কথায় মাথায় রাখুন নিজ দেশের লোকের থেকে ঐ ফুটবল দল গুলো আপন না , সামান্য দলের সাপোর্টের জন্য মারামারি কাটাকাটির যেন পাগলের চরিত্রের চর্চাকরা । আপনি যদি কোনো বিপদে পড়েন তাহলে হয়তো আপনার সাহায্যের জন্য তারাই এগিয়ে আসবে যাদের আপনি ভিন্নদলের সার্পোটার বলে মারতে ধাও করেছিলেন তাই এগিয়ে আসবে , আপনার বিপদে ম্যাসি কিংবা কাকা এগিযে আসবে না । ব্যাপার টা মাথায় রাখুন ।



প্রিয় ফুটবল দল হেরেছে বলে যাদের ভাংচুর করা অভ্যাস তারা মাথায় রাগবেন ,

আপনি কার উপর রাগ ঝাড়ছে ? নিজের ক্ষতিকরে যদি রাগ মেটাতে চান তবে এমন ভাবে নিজের ক্ষতিকরুন যাতে অন্যের ক্ষতি নাহয় । আপনার দল হয়্তো হেরেছে কিন্তু অনের দল জিতেছে ।



খেলাধুলা শুধুই বিনোদন মাধ্যম , খেলা উপভোগ মানসিক উন্নতির জন্য ,সেটা নিয়ে দাঙ্গা বাঁধানোর মত মাথায় কেঁড়া সম্পান্ন লোকদের খেলা থেকে দুরে থাকার অনুরোধ ।



যে যাই করুন , নিজদেশ টাকে ভালোবেশে করুন , আপনি কখনোই ভাববেন না আপনি দেশকে খুব ভালোবেশে ফেলেছেন ,তাহলে তা পুতুল খেলার মতো মিথ্যা । ভাবুন আপনি দেশে ভালোবাসতে পারেন নি আপনার কাজ ভালোবাসার প্রমান ফুটিয়ে তোলা অর্থাত্‍ দেশের প্রতি আপনার অনেক দায়িত্ব সেক্ষেত্র প্রতিটা লোকই দেশের অবিভাবক । আশা করি সকলেই দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখে আগামী ফুটবল খেলা দেখবেন ।


মো:মেহেদী হাসান।
প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী,
আর.পি ফাউন্ডেশন। 

শনিবার, ২৬ মে, ২০১৮

কবি শাহীন চৌধুরী ডলির কবিতা প্রতিশ্রুতি


প্রতিশ্রুতি
-শাহীন চৌধুরী ডলি

হেরে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়
হেরে গিয়েও জিতে যাওয়া হয়
যা হয় তা ভালোর জন্য হয়
আগে বুঝিনি যতোটা বুঝি এখন।


তুমি আমার জীবনের আশির্বাদ
সংসারে জ্বলজ্বল করা ধ্রুবতারা
অঝোরে ঝরা আনন্দপ্রপাত।
জীবনের সুন্দর দেখা হতোনা
পূর্ণ নয়ন মেলে,তোমায় না পেলে
সব কথা বলা যায় নির্দ্বিধায়
সাহস দাও শক্তি দাও অবলীলায়।


বিশ্বাস অবিশ্বাস দ্বন্দ্ব ছাড়া
জীবন চলে জানা হতো না ।
অন্যের চোখে দেখো না কিছু
অন্যের কানে শোন না কিছু
নিজ বিবেক জাগ্রত রাখো
প্রতি পলে নিরন্তর সুখ বাঁধো।

দেওয়া কোন প্রতিশ্রুতি ভুলো না
নিজেকে বিলিয়ে শান্তি পায় ক'জনা !
যদি তুমি না থাকো জীবন হবে অন্ধকার
চাঁদ ছড়াবে না আলো ভুবনে আমার
মহাপ্রস্থানে একই সাথে যাবো
করো তবে অঙ্গীকার।

কবি শাহীন চৌধুরী ডলির কবিতা নিজেকে শব মনে হয়


নিজেকে শব মনে হয়
- শাহীন চৌধুরী ডলি

এই জীবন কিচ্ছু না ঠুনকো জীবন চতুর্দিকে মৃত্যুর মিছিল,
আমাকে আবিষ্ট করে কিছু অতি জাগতিক বোধ
নিজেকে সফেদ কাফনে মোড়ানো শব মনে হয়।


ইহজনমে ভোগমগ্ন আমি অগস্ত্যযাত্রায়
পুণ্য কিছু আছে কি ঝোলায় যৎকিঞ্চিত হলেও থাকবে গণনায়।


মুনকার নাকির পেশ করবে যোগ বিয়োগে কৃতকর্ম ফলাফল,
অদৃষ্টে কি আছে বেহেস্তি সুখ না দোযখ দুর্ভোগ?
কেয়ামত দিন হাশর ময়দান পারবো কি পেরোতে পুলসিরাত?
বড্ড ভয় চিত্ত সংশয় আমি শব,ক্ষমো রব ।

বৃহস্পতিবার, ২৪ মে, ২০১৮

বর্ষার কদম,, কবি নাজিফা সুলতানা তানহা

কবিতা:
মেঘের উপর মেঘ জমেছে
     এই বুঝি বর্ষা এলো।
রংধুন উঠেছে আকাশে
   গাছে গাছে ফুটছে।।
   কদম ফুল
এই বুঝি বর্ষা এলো
  চুল এলিয়ে তাকিয়ে আছে
 জানালার পাশে কোন এক
    রমনী নারী,তার ছোখে
পরে আছে কাজল রাঙা রং
বষার বিকেলটা সাজ সেজেছে
      নানা রঙের রং দিয়ে।।
সন্ধ্যার না হতে না
       ঘরে ঘরে পিদম জলে
কোন এক বধু আলতায়
  পায়ে,হাতে চুড়ি পরে গো
 সন্ধ্যার বাতাসে ভেসে আসে।
কদম ফুলের সুবাস যা লেখকের
   মন ভরিয়ে তুলে,
দূর থেকে শুনায় যায়
  আজানের প্রতিধনি আর
 পাখির কলতান।।
এই বুঝি এলো বর্ষা। 

সোমবার, ২১ মে, ২০১৮

স্ত্রী'র মা ও ক্যাডার ভাই কর্তৃক স্বামী রুবেল বারবার নির্যাতিত

শহর প্রতিনিধিঃ
ফেনী শহরের শান্তি কোঃ রোডের অস্থায়ী ভাড়াটিয়া বাসিন্দা মোঃ রুবেল'র স্ত্রীর মা ও ভাই কর্তৃক বারবার নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছেন। ২০১২ সালের ২৪ শে জানুয়ারী সাময়মা আক্তার শিরিন পিতা দেলোয়ার হোসেন এর সংগ্যে মোঃ রুবেল পিতা আলমগীর হোসেন এর সাথে ২ লক্ষ টাকা দেন মহরে বিয়ে হয়। বিয়ের ১ বছর পর তাদের কন্যা সন্তান জাফরিন মেহেনুর রায়হা জন্মলাভ করে। রুবেল জানান  তার কন্যা সন্তান জন্মের পর দাম্পত্য জীবনে সুখে সাচ্চন্দ্যে অতিবাহিত হওয়া অবস্থায় বিগত ১ বৎসর যাবৎ জুয়েল ও তার পিতা দেলোয়ার হোসেন আমার অবর্তমানে আমার স্ত্রীর নিকট গোপনে আসিয়া ও মোবাইল ফোনে কথা বলিয়া কাবিনের বিষয় নিয়া আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন ভুল বুঝাইত। যার ফলে আমার স্ত্রী সর্বদা দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাইত। আমি কর্ম শেষে ঘরে আসা মাত্রই আমার স্ত্রী আমার সহিত বিভিন্ন অজুহাত দেখাইয়া নানারকম দুর্ব্যহার শুরু করিত। আমি এর কারন জানিতে চাওয়া মাত্রই আমার স্ত্রী রাগান্বিত হইয়া তৎ পিত্রালয়ে চলিয়া যাইত। উক্ত বিষয় নিয়া কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আমার স্ত্রী গত ১২ জানুয়ারী ১৮ইং রাত অনুমান ১২.৩০ ঘটিকার সময় টয়লেটে ব্যবহৃত হারপিক সেবন করে। আমি তাৎক্ষনিক আমার স্ত্রীকে নিয়া ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে ডাঃ তাকে চিকিৎসার পর শারীরিক অবস্থা আশংকামুক্ত বলিয়া বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শে আমি আমার স্ত্রীকে বাসায় নেয়ার ২দিন পর আমর স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখিয়া আমি আমার স্ত্রীকে গত ১৫ জানুয়ারী ফেনী নিউ ইবনেসিনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার স্ত্রীকে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। পরে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। ডাক্তারের পরামর্শে আমি আমার স্ত্রীকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করি এবং চিকিৎসা শেষে অবশেষে ১১ এপ্রিল ১৮ ইং আমার স্ত্রীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফেরার পথে আমার স্ত্রীর ভাই পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে শান্তি কোম্পানি রোডের দিল ভবনের সামনে আমাদের সিএনজির গতিরোধ করে আমার স্ত্রীকে টানা হেছড়া করে নামাইয়া আমার স্ত্রীকে অন্যত্র স্থানে নিয়া যায়। তৎক্ষনাত আমার শোর চিৎকারের পাশ্ববর্তী লোকজন আসিলে অস্ত্রের ভয় দেখাইয়া স্তব্দ করে এবং আমাকে সন্ত্রাসী বিহিনী দিয়ে মারধর করে। পরে এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ করিলে গত ২১ এপ্রিল রাতে আমাকে হত্যার উদ্দেশে রড,চুরি,চাপাতি,দা দিয়া ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমাকে এলো পাতাড়ি কুপিয়ে ঝখম করে,আমার শোর চিৎকারে কিছু লোক এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়,এবং একজন সিএনজি চালক আমাকে উদ্ধার করিয়া হাসপাতালে নিয়া আসেন।এমন হীন আচরন এলাকার কাউন্সিলর কে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত সফল কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন নাই।

রবিবার, ২০ মে, ২০১৮

বিশ্ব শান্তির জন্য ইসরাইল বিরাট হুমকি : মোস্তফা জামাল হায়দার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
 বিশ্ব শান্তির জন্য ইহুদিবাদী ইসরাইল বিরাট হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার।

তিনি বলেন, যে ইসরাইল বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এতবড় হুমকি সে ইসরাইলের পক্ষে যখন মুসলিম নামধারী রাষ্ট্রপ্রধানরা বৈঠক করেন তখনই বুঝা যায় ফিলিস্থিনের জনগনের জন্য আরো কত দু:খ ও কষ্ট অপক্ষো করছে।

শুক্রবার রাজধানীর ফটোর্জালিস্ট এসোসিয়েশন মিলনায়তনে নাজিরপুর ফাউন্ডেশন আয়োজিত "রামজানের তাৎপর্য ও শিক্ষা"-শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব মুলিম আজ কোরআন ও রমাজানের শিক্ষা থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই দুর্গতি চলছে। ইসরাইল ভয়াবহভাবে মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। এরপরও কেন বিশ্ব মোড়লরা ইসরাইলকে সমর্থন করে তা আমাদের বুঝতে হবে।

সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লার সভাপতিত্বে প্রধান অালোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মুফতী অহিদুর রহমান, আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ঢাকা টেক্সসেস বার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান দুলাল, ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু প্রমুখ।

টেক্সাসে রোবোটিক্স প্রতিযোগিতায় ৩ অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশী

আবুল কালাম আজাদ (খোকন), সিডনি প্রতিনিধি:
রোবটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবট সমূহের ডিজাইন, নির্মাণ, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে। রোবট হচ্ছে একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা যা মানুষ যেভাবে কাজ করতে পারে সেভাবে কাজ করে অথবা এর কাজ দেখে মনে হয় এর বুদ্ধিমত্তা আছে। সর্বপ্রথম ডিজিটাল ও প্রোগ্রামেবল রোবট আবিষ্কার করেন জর্জ ডেবল, এজন্য তাকে রোবটিক্সের জনক বলা হয়।

সম্প্রতি আমেরিকার টেক্সাসের হিউস্টনে “রোবটিক্স ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশীপে” অংশগ্রহণ করেছেন তিন বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান নাবিলা আফ্রিদা স্রোতোস্বিনী, অনুসূয়া রায় এবং নাশরাহ সামরিন আলম।

আন্তর্জাতিক চ্যাম্পিয়নশীপের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মোট ৭২টি দেশ অংশগ্রহণ করে। অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও মালয়েশীয়ার দল অংশ নেয়।

আর অস্ট্রেলিয়া থেকে মোট ছয়টি দল অংশ নেয় এবং নিউ সাউথ ওয়েলস থেকেই অংশ নেয় দু’টি দল। এই প্রতিযোগিতায় সিডনির ব্লাকটাউন গার্লস হাইস্কুলের দলটিতে ছিল ২১ জন প্রতিযোগী, যাদের সকলেই মেয়ে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী দলটিতে অংশগ্রহণকারী নাবিলা স্রোতস্বিনী, আনসূয়া রায় ও নাশরাহ আলম এই তিন গৌরবোজ্জল বাংলাদেশী মেধাবী ছাত্রী হিউস্টন ও নাসা থেকে ফিরে তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ননা করলেন সিডনির বাংলাদেশী সাংবাদিক সন্মেলনে। গত ১৮ থেকে ২১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রোবোটিক্স কমপিটিশন।

প্রতিযোগিতা বিষয়ে নাবিলা বলেন, ‘অনলাইনে আবেদনের পর যাচাই-বাছাই শেষে আমরা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র পাই। এই প্রতিযোগিতার মূল পর্বটি অনুষ্ঠিত হয় আমেরিকার টেক্সাসের হিউস্টনে।

প্রতিযোগিতা বিষয়ে আনসূয়া বলেন, সেখানে আমাদের তৈরি রোবটটি প্রদর্শনের পর বিচারকদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তে স্বর্ণপদক, সিলভার ও ব্রোঞ্জ পদক প্রদান করা হয়। তবে আমাদের দল ১৯তম অবস্হানে পৌঁছতে পেরেছি।

প্রতিযোগিতা বিষয়ে নাশরাহ বলেন, রোবট বিষয়ে ভাষ্য হলো, ‘আমাদের তৈরি রোবটটি দূর হতে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। অপরদিকে রোবটের সঙ্গে থাকা ক্যামেরায় ধারণ করা ছবি সরাসরি পর্দায় ভেসে আনা যাবে।

অভিবাবকরা তাদের মেয়েদের অর্জনে অত্যান্ত খুশী। তারা আশা করেন ভবিষৎতে রোবট আবিষ্কার জগতে নবপ্রজন্ম আরও এগিয়ে যাবো।

সিডনির সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন এস,বি,এস রেডিও বাংলা বিভাগের প্রযোজক ও জন্মভুমি টিভি'র চেয়ারম্যান আবু রেজা আরেফিন, এস,বি,এস রেডিও বাংলা বিভাগের আবু তাহির,দেশ বিদেশ পত্রিকার সম্পাদক বদরুল আলম, বিদেশবাংলা২৪ডট কম সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মতিন, নবধারা নিউজ ডট নেট সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ খোকন, বাংলাকথা সম্পাদক আউয়াল খান ও স্বাধীনকন্ঠের সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন।

বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮

নরসিংদীতে চেয়ারম্যানের গভীর প্রেমে চেয়ারম্যান

নরসিংদী প্রতিনিধি:
নরসিংদী রায়পুরা উপজেলায় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে ২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। সম্প্রীতি তাদের এই ঘটনা চারদিকে ফেসবুকসহ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সাইটে।

 ৭২ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এই নরসিংদী জেলা। একমাত্র নারী চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন নাছিমা বেগম। নাছিমা বেগমের স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক আশা নিয়ে মরজাল ইউনিয়নবাসী তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসতে না আসতেই একই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ৬৫ বছর বয়স্ক সাদেক চেয়ারম্যানের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়।

এদিকে মরজাল ইউনিয়নের কতিপয় ব্যাক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সাদেক চেয়ারম্যান ও নাছিমার কু-কীর্তির কারণে এলাকায় আনাচে-কানাচে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সাদেক চেয়ারম্যান প্রতাবশালী হওয়ায় কোনো ব্যাক্তিই তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস পাচ্ছে না।

 এদিকে ২টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ প্রায়ই বিভিন্ন ভাবে এই চেয়ারম্যানদের কাছে হেয়-প্রতিপন্ন হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হওয়ার পরে তারা জনগনের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার কিছুই করছে না।

 তাই জনগণ রীতিমত তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করছে। গত ১৪ ই মে “রায়পুরা উপজেলা ছাত্রলীগ” নামে একটি ফেসবুক একাউন্টের স্ট্যাটাসে তাদের এই গোপন সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বিগত সময় ধরে সাদেক চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থেকে বিভিন্ন অপকর্ম যেমন- কাবিখা, টিআর, এলজিডি, এলআইসি, হতদরিদ্র তহবিল সহ বিভিন্ন বিল ভাউচারের মাধ্যমে সে টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন।

এদিকে মরজাল ইউনিয়নে মুক্তার হোসেন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। ঠিক সেই সময়ে সে কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে হঠাৎ তার অকাল মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর মরজাল ইউনিয়নে শোকের ছায়া নেমে আসে।

 তখন এলাকার সাধারণ জনগণ মুক্তার হোসেনের মৃত্যুর পর তার স্ত্রীকে ব্যাপক সমর্থন করে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন। আর জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে শপথ গ্রহণের পরপরই শুরু হয় তার প্রেমলীলা। পরে সে তার পাশের রাধানগর ইউনিয়নের ৬৫ বছর বয়স্ক সাদেক চেয়ারম্যানের সাথে গভীর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে।

এ সমস্ত অবৈধ সম্পর্কের কারণে জনগণ তাদের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন বলে মনে করেন।

বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮

১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। আজ থেকে ৪২ বছর আগের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাঁধ’ অভিমুখে হাজার হাজার মানুষের লংমার্চ হয়। ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকন্ঠ ভারতের কংগ্রেসী শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দেয়। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।

সেদিন সেই ফারাক্কা লংমার্চের সাংগঠনিক কমিটির দায়িত্ব পালন করেছিলন মওলানা ভাসানীর আমৃতু্য সহচর, ন্যাপ'র তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া।

১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজো অমীমাংসিত থেকে গেছে। ফারাক্কা নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে শুভঙ্করের ফাঁকি সুস্পষ্ট হলেও এনিয়ে কোন আলোচনা হয় না। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত তার একতরফা নীতির আওতায় গঙ্গা তথা পদ্মায় যে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে সেই বাঁধ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২-৭৫ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে এই বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। এরপর থেকে পদ্মা নদীর বাংলাদেশ অংশে শুরু হয় মরুর হাহাকার। ভারত তিন শতাধিক বাঁধ ও প্রকল্প দিয়ে আজ নিঃশেষ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীকে।

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আয়োজিত গঙ্গার ন্যায্য পানির দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চের সূচনা হয় রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে- যা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গিয়ে শেষ হয়। সকাল ১০টায় রাজশাহী থেকে শুরু হয় জনতার পদযাত্রা। হাতে ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে মানুষে মানুষে ভরে যায় রাজশাহীর রাজপথ। বেলা ২টার সময় হাজার হাজার মানুষের স্রোত গোদাগাড়ীর প্রেমতলী গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আবার যাত্রা শুরু হয়। সন্ধ্যে ৬টায় লংমার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে রাত যাপনের জন্য নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে জমায়েত হয়। সে মাঠেই রাত যাপন করার পরদিন সোমবার সকাল ৮টায় আবার যাত্রা শুরু হয় শিবগঞ্জের কানসাট অভিমুখে। শিবগঞ্জে পৌঁছানোর আগে মহানন্দা নদী পার হতে হয়। নৌকা দিয়ে কৃত্রিম সেতু তৈরি করে মহানন্দা নদী পার হয় মিছিল। হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয় এই লংমার্চে। কানসাট হাই স্কুল মাঠে পৌঁছানোর পর সমবেত জনতার উদ্দেশে মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণ দেন।

মওলানা ভাসানী ভারতের উদ্দেশে বলেন, তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। তিনি বলেন, আজ রাজশাহী, চাঁপাইনবাবঞ্জ, কানসাটে যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে। মওলানা ভাসানী এখানেই লংমার্চের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে লংমার্চ সমাপ্ত হলেও সেদিন জনতার ভয়ে ভীত ভারতীয়রা সীমান্তে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।

ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণে ভারতের দ্বিমুখী উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিজ্ঞ মহল বলে আসছেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির মধ্যদিয়ে নদীপ্রবাহও বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের পটভূমিতে অরুণাচল অঞ্চল ভারতের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে কৌশলগতভাবে আসাম-ত্রিপুরার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পতিত হয়। এ অবস্থায় ভারতের ভৌগোলিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টারা উপলব্ধি করেন, গঙ্গার ওপর দিয়ে দ্রুত যুদ্ধসরঞ্জাম পূর্বাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। সেই পরিকল্পনার আলোকেই ১৯৬৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মিত হয়। এটা একাধারে পানির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। ১৯৭৪ সালে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করার কথা বলে বাংলাদেশের সমর্থন নিলেও অদ্যাবধি তা অব্যাহত আছে।

১৯৭৬ সালে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক প্রতিবাদ পদযাত্রা গোটা জাতির চেতনাকে শাণিত করে। একদিকে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সরকার যখন ভারতের সঙ্গে ফারাক্কা সমস্যা নিয়ে দর কষাকষি করছিল, তখন মওলানা ভাসানীর এই পদযাত্রা সরকারের দর কষাকষিতে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে। সরকার সাহসী হয় ফারাক্কা সমস্যা জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন ও জাতিসংঘে উত্থাপন করতে। মওলানা ভাসানী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু নদীর বিপন্ন দশা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী এখন প্রায় পানিহীন অবস্থায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অবস্থা আরো শোচনীয়। সূত্রগুলোর মতে, ভারত গঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থানে তিন শতাধিক বাঁধসহ বিভিন্ন ধরনের সেচ প্রকল্প দিয়ে গঙ্গা নদীকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। নদ-নদী বিধ্বংসী এমন ব্যাপক কার্যক্রমের দরুন এবার শুষ্ক মওসুমের সূচনাতেই বাংলাদেশে হাহাকার চলছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি সংকটে কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশসহ সার্বিক অবস্থা বিপর্যস্ত। পদ্মা নদীকেন্দ্রিক সেচ প্রকল্পগুলো গুটিয়ে নিতে হয়েছে। গঙ্গা সেচ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্পে পানির হাহাকার চলছে। নতুন কোন প্রকল্প হাতে নিতে সাহস পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহল। নদীর বুকে শত শত চর মরুময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় নদীর বিস্তীর্ণ অববাহিকাজুড়ে কৃষি-সেচ, মৎস্য আহরণ ও নৌ-যোগাযোগই বিপর্যস্ত হয়নি, সার্বিক প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

ভারত শুধু ফারাক্কা বাঁধই নয়, বাংলাদেশমুখী অর্ধশতাধিক নদীর পানি সরাসরি প্রত্যাহার করে চলেছে। এসব নদী এবং এর উপনদীগুলোর ওপর ভারত ৩ হাজার ৬ শ’টি বাঁধ বেঁধে ফেলেছে এবং আরো ১ হাজার বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে। সূত্র জানায়, ভারত পদ্মা-যমুনা তথা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বেসিনে যে অর্ধশতাধিক মূল সেচ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ করছে তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের শত শত নদী ও খালবিল পর্যায়ক্রমে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি মেঘনা ও তার শাখাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ ১৬ মে। ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। আজ থেকে ৪২ বছর আগের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে ‘মরণ ফাঁদ ফারাক্কা বাঁধ’ অভিমুখে হাজার হাজার মানুষের লংমার্চ হয়। ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকন্ঠ ভারতের কংগ্রেসী শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দেয়। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।

সেদিন সেই ফারাক্কা লংমার্চের সাংগঠনিক কমিটির দায়িত্ব পালন করেছিলন মওলানা ভাসানীর আমৃতু্য সহচর, ন্যাপ'র তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া।

১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজো অমীমাংসিত থেকে গেছে। ফারাক্কা নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে শুভঙ্করের ফাঁকি সুস্পষ্ট হলেও এনিয়ে কোন আলোচনা হয় না। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত তার একতরফা নীতির আওতায় গঙ্গা তথা পদ্মায় যে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে সেই বাঁধ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। ১৯৭২-৭৫ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ভারতকে এই বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়। এরপর থেকে পদ্মা নদীর বাংলাদেশ অংশে শুরু হয় মরুর হাহাকার। ভারত তিন শতাধিক বাঁধ ও প্রকল্প দিয়ে আজ নিঃশেষ করে দিচ্ছে বাংলাদেশের পদ্মা নদীকে।

মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী আয়োজিত গঙ্গার ন্যায্য পানির দাবিতে ফারাক্কা অভিমুখে লংমার্চের সূচনা হয় রাজশাহীর মাদরাসা ময়দান থেকে- যা চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে গিয়ে শেষ হয়। সকাল ১০টায় রাজশাহী থেকে শুরু হয় জনতার পদযাত্রা। হাতে ব্যানার আর ফেস্টুন নিয়ে মানুষে মানুষে ভরে যায় রাজশাহীর রাজপথ। বেলা ২টার সময় হাজার হাজার মানুষের স্রোত গোদাগাড়ীর প্রেমতলী গ্রামে পৌঁছায়। সেখানে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আবার যাত্রা শুরু হয়। সন্ধ্যে ৬টায় লংমার্চ চাঁপাইনবাবগঞ্জে গিয়ে রাত যাপনের জন্য নবাবগঞ্জ কলেজ মাঠে জমায়েত হয়। সে মাঠেই রাত যাপন করার পরদিন সোমবার সকাল ৮টায় আবার যাত্রা শুরু হয় শিবগঞ্জের কানসাট অভিমুখে। শিবগঞ্জে পৌঁছানোর আগে মহানন্দা নদী পার হতে হয়। নৌকা দিয়ে কৃত্রিম সেতু তৈরি করে মহানন্দা নদী পার হয় মিছিল। হাজার হাজার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয় এই লংমার্চে। কানসাট হাই স্কুল মাঠে পৌঁছানোর পর সমবেত জনতার উদ্দেশে মজলুম জননেতা তার জ্বালাময়ী ভাষণ দেন।

মওলানা ভাসানী ভারতের উদ্দেশে বলেন, তাদের জানা উচিত বাংলার মানুষ এক আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পায় না। কারো হুমকিকে পরোয়া করে না। তিনি বলেন, আজ রাজশাহী, চাঁপাইনবাবঞ্জ, কানসাটে যে ইতিহাস শুরু হয়েছে তা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করবে। মওলানা ভাসানী এখানেই লংমার্চের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ সীমানার মধ্যে লংমার্চ সমাপ্ত হলেও সেদিন জনতার ভয়ে ভীত ভারতীয়রা সীমান্তে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে।

ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণে ভারতের দ্বিমুখী উদ্দেশ্য ছিল বলে অভিজ্ঞ মহল বলে আসছেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির মধ্যদিয়ে নদীপ্রবাহও বিভক্ত হয়ে পড়ে। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের পটভূমিতে অরুণাচল অঞ্চল ভারতের মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে কৌশলগতভাবে আসাম-ত্রিপুরার নিরাপত্তা হুমকির মুখে পতিত হয়। এ অবস্থায় ভারতের ভৌগোলিক নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টারা উপলব্ধি করেন, গঙ্গার ওপর দিয়ে দ্রুত যুদ্ধসরঞ্জাম পূর্বাঞ্চলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। সেই পরিকল্পনার আলোকেই ১৯৬৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় ফারাক্কা ব্যারেজ নির্মিত হয়। এটা একাধারে পানির উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখা এবং যুদ্ধকালীন সময়ে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারিত হয়। ১৯৭৪ সালে ভারত পরীক্ষামূলকভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করার কথা বলে বাংলাদেশের সমর্থন নিলেও অদ্যাবধি তা অব্যাহত আছে।

১৯৭৬ সালে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক প্রতিবাদ পদযাত্রা গোটা জাতির চেতনাকে শাণিত করে। একদিকে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সরকার যখন ভারতের সঙ্গে ফারাক্কা সমস্যা নিয়ে দর কষাকষি করছিল, তখন মওলানা ভাসানীর এই পদযাত্রা সরকারের দর কষাকষিতে প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে। সরকার সাহসী হয় ফারাক্কা সমস্যা জোট নিরপেক্ষ সম্মেলন ও জাতিসংঘে উত্থাপন করতে। মওলানা ভাসানী আজ বেঁচে নেই। কিন্তু নদীর বিপন্ন দশা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী এখন প্রায় পানিহীন অবস্থায় পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই অবস্থা আরো শোচনীয়। সূত্রগুলোর মতে, ভারত গঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থানে তিন শতাধিক বাঁধসহ বিভিন্ন ধরনের সেচ প্রকল্প দিয়ে গঙ্গা নদীকে নিঃশেষ করে দিচ্ছে। নদ-নদী বিধ্বংসী এমন ব্যাপক কার্যক্রমের দরুন এবার শুষ্ক মওসুমের সূচনাতেই বাংলাদেশে হাহাকার চলছে। গঙ্গা অববাহিকার পানি সংকটে কৃষি, মৎস্য ও পরিবেশসহ সার্বিক অবস্থা বিপর্যস্ত। পদ্মা নদীকেন্দ্রিক সেচ প্রকল্পগুলো গুটিয়ে নিতে হয়েছে। গঙ্গা সেচ প্রকল্পের মতো বড় প্রকল্পে পানির হাহাকার চলছে। নতুন কোন প্রকল্প হাতে নিতে সাহস পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট মহল। নদীর বুকে শত শত চর মরুময় পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় নদীর বিস্তীর্ণ অববাহিকাজুড়ে কৃষি-সেচ, মৎস্য আহরণ ও নৌ-যোগাযোগই বিপর্যস্ত হয়নি, সার্বিক প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হয়েছে। মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার উপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

ভারত শুধু ফারাক্কা বাঁধই নয়, বাংলাদেশমুখী অর্ধশতাধিক নদীর পানি সরাসরি প্রত্যাহার করে চলেছে। এসব নদী এবং এর উপনদীগুলোর ওপর ভারত ৩ হাজার ৬ শ’টি বাঁধ বেঁধে ফেলেছে এবং আরো ১ হাজার বাঁধের নির্মাণ কাজ চলছে। সূত্র জানায়, ভারত পদ্মা-যমুনা তথা গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বেসিনে যে অর্ধশতাধিক মূল সেচ ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো নির্মাণ করছে তার প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের শত শত নদী ও খালবিল পর্যায়ক্রমে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। এর প্রতিক্রিয়ায় এমনকি মেঘনা ও তার শাখাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানা গেছে। এর ফলে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চ

সোমবার, ৭ মে, ২০১৮

সিঙ্গাপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত


মনির আহমদ, সিঙ্গাপুর প্রতিনিধি: সিঙ্গাপুরের বিডোক এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম জহিরুল ইসলাম মোল্লা (৪৫)। দেশের বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইল থানার বাঈখোলা গ্রামে। রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

জহিরুল ইসলামের সহকর্মী রবিন ও সুবাহান জানান, ফজর নামাজ শেষে জহিরুল ইসলাম কাকিবুকিত থেকে টেম্পানিসে সাইকেল চালিয়ে কাজের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। মধ্যপথে বিডোক মসজিদের চৌরাস্তায় শ্রমিক বহনকারী ট্রাকের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটে। পরে অ্যাম্বুলেন্সে চাঙ্গী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


বুধবার বিকেলে মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নিহতের ছোট ভাই। জহিরুল ইসলাম মোল্লা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুরের জিনসিয়া কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে প্রায় ১৮ বছর ধরে কর্মরত ছিলেন। জহিরুল মোল্লার ৬ বছরের এক ছেলে সন্তান, স্ত্রী ও মা আছে।

শনিবার, ৫ মে, ২০১৮

‘বাংলা দর্পণ’ সম্মাননা পেলেন ১০ বিশিষ্ট নাগরিক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
 জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১০ বিশিষ্ট নাগরিককে সম্মাননা দিয়েছে শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক গণমাধ্যম ‘বাংলা দর্পণ’।
গণমাধ্যমটি তার নয় বছরের পথচলায় এবং বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘গৌরব ৭১’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আজ শনিবার (০৫ মে) বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এনডিসি।
বাংলা দর্পণের সম্পাদক অলি মাহমুদ এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন।
সম্মাননা পাওয়া বিশেষ ব্যক্তিরা হলেন- শিল্পকলায় অধ্যাপক মর্তুজা বশীর, সাহিত্যে অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধে অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সমাজসেবায় স্বর্গীয় রঞ্জিত কুমার সাহা (মরণোত্তর), শিক্ষা বিকাশে আব্দুল কাদির মোল্লা, সংগীতে অধ্যাপক ড. লীনা তাপসী খান, সাংবাদিকতায় ফরিদা ইয়াসমিন, চিকিৎসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আমানুর রহমান খান (মরণোত্তর), ক্রীড়া সংগঠক অহিদুল হক আসলাম সানী ও উদ্যোক্তা মো. শেখ সাদী।
বাংলা দর্পণের সম্পাদক ও ভাষ্কর অলি মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম আর সাফল্যে মাথা উঁচু করে চলছে। সুখি, সমৃদ্ধ ও আলোকিত পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তিতে সত্য, সুন্দর ও প্রগতিকে লালন করার মহান ব্রত নিয়ে ‘গৌরব ৭১’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও বাংলা দর্পণ সম্মাননা ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে নবধারা কণ্ঠশীলনের শিল্পীদের সূচনা নৃত্যনান্দ দিয়ে শুরু হবে। দেশের কল্যাণে অবদান রাখা গুণীজনদের বাংলা দর্পণ সম্মাননা প্রদান করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ ও গর্বিত।

শুক্রবার, ৪ মে, ২০১৮

নরসিংদীর মাধবদীতে বজ্রপাতে এক দিনমজুর নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নরসিংদীর মাধবদীতে বজ্রপাতে মাহবুবুর রহমান (৩২) নামে এক দিনমজুর নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে মাধবদী থানার কাঁঠালিয়া ইউনিয়নের মৈষাদী গ্রামে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহত মাহবুবুর সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের ছেলে। মাধবদী থানার উপ-পরিদর্শক উত্তম দাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।স্থানীয় ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী জানান, নিহত দিনমজুর মাহবুব প্রতি বছরই এ অঞ্চলে ধান কাটতে আসেন। আজ মাঠে আমার জমির ধান কাটার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আমরা তার লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়েছি।

নরসিংদীতে ২০ কেজি গাজা সহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে ২০ কেজি গাজা সহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দকৃত গাঁজার মূল্য আনুমানিক ২ লাখ টাকা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ধজ নগর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সালমান (২৩), ও মোহাম্মমদ আলী মেয়ে সেফালী বেগম (২২), লেশিহাড়া এলাকার খোরশেদ আলম এর স্ত্রী লাকী (৩০)।
পুলিশ জানায়, আজ শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সৈয়দুজ্জামান এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নরসিংদী শহরের পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালায়। সেসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে নরসিংদীতে আসা একটি লঞ্চে অভিযান চালিয়ে ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের সাথে থাকা ২০ কেজি গাজা জব্দ করে পুলিশ। জব্দকৃত গাঁজার মূল্য আনুমানিক ২ লাখ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাহারা দীর্ঘদিন যাবত বি-বাড়ীয়া জেলার বিভিন্ন থানা ও এলাকা হইতে নদী পথে গাঁজা বিক্রির উদ্দেশে নরসিংদী শহরে সরবারহ করে।
অভিযানে সাথে ছিলেন এস.আই মিজানুর রহমান, এ.এস.আই ইকরামুল ইসলাম, এ.এস.আই আমিনুল ইসলাম ও এ.এস.আই সাইফুল ইসলাম।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সৈয়দুজ্জামান বলেন, তারা সকলেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে নরসিংদী মডেল থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলা দর্পণ সম্মাননা পাচ্ছেন ১০ বিশিষ্ট নাগরিক

 নিজস্ব প্রতিবেদক  :
১০ বিশিষ্ট নাগরিককে জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্নক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সম্মাননা দিচ্ছে শিল্প-সংস্কৃতি বিষয়ক গণমাধ্যম ‘বাংলা দর্পণ’। গণমাধ্যমটি তার নয় বছরের পথচলায় এবং বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘গৌরব ৭১’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শনিবার (০৫ মে) বেলা ১১টায় বাংলা একাডেমি আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে এই সম্মাননা অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) নজরুল ইসলাম হিরু এমপি, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া এনডিসি।
বাংলা দর্পণের সম্পাদক অলি মাহমুদ এই তথ্য জানান।
যারা সম্মাননা পাচ্ছেন- শিল্পকলায় অধ্যাপক মর্তুজা বশীর, সাহিত্যে অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ, মুক্তিযুদ্ধে অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, সমাজসেবায় স্বর্গীয় রঞ্জিত কুমার সাহা (মরণোত্তর), শিক্ষা বিকাশে আব্দুল কাদির মোল্লা, সংগীতে অধ্যাপক ড. লীনা তাপসী খান, সাংবাদিকতায় ফরিদা ইয়াসমিন, চিকিৎসায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আমানুর রহমান খান (মরণোত্তর), ক্রীড়া সংগঠক অহিদুল হক আসলাম সানী ও উদ্যোক্তা মো. শেখ সাদী।
বাংলা দর্পণের সম্পাদক অলি মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত সংগ্রাম আর সাফল্যে মাথা উঁচু করে চলছে। সুখি, সমৃদ্ধ ও আলোকিত পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবেই। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তিতে সত্য, সুন্দর ও প্রগতিকে লালন করার মহান ব্রত নিয়ে ‘গৌরব ৭১’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও বাংলা দর্পণ সম্মাননা ২০১৮ প্রদান অনুষ্ঠানের শুরুতে নবধারা কণ্ঠশীলনের শিল্পীদের সূচনা নৃত্যনান্দ দিয়ে শুরু হবে। দেশের কল্যাণে অবদান রাখা গুণীজনদের বাংলা দর্পণ সম্মাননা প্রদান করতে পেরে আমরা কৃতজ্ঞ ও গর্বিত।
অনুষ্ঠানে সকলকে সবান্ধবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ৩ মে, ২০১৮

ফেনীতে ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরামে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন


মনসুর আহমদ,ফেনী প্রতিনিধি ঃ
ফেনীতে আজ পালিত হয়েছে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। এ উপলক্ষে ইয়ুথ জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা পূর্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। জেলা পরিষদের ড. সেলিম আল দীন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী।

সংগঠনের ফেনী জেলা শাখার সভাপতি শাহজালাল ভূঞার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুহিববুল্লাহ ফরহাদের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন সংগঠনের ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক মনসুর আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা নুরুল আফসার ভূঞা, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নুরুল করিম মজুমদার, আবু তাহের, বখতেয়ার ইসলাম মুননা, ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঞা, ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত মাহমুদ, দৈনিক স্টার লাইন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মাঈন উদ্দিন ও সাপ্তাহিক স্বদেশপত্র সম্পাদক এনএন জীবন।
বক্তব্য রাখেন ওয়াইজেএফবি কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা নাজমুল হক শামীম, ফেনী শাখার সহ-সভাপতি আতিয়ার সজল, যুগ্ম সম্পাদক এবিএম নিজাম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল-মামুন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাবেদ হোসাইন মামুন, প্রচার সম্পাদক শরিফ ভূঞা, সদস্য মোতাহের হোসেন ইমরান।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে দৈনিক বাংলাদেশের খবর ফেনী জেলা প্রতিনিধি সৌরভ পাটোয়ারী, দৈনিক স্টার লাইন বার্তা সম্পাদক নুরুল্লাহ কায়সার, সাপ্তাহিক ফেনী সমাচার নির্বাহী সম্পাদক আমজাদুর রহমান রুবেল, সাপ্তাহিক ফেনী বার্তার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এমরান পাটোয়ারী, দৈনিক অজেয় বাংলা সহসম্পাদক সুরঞ্জিত নাগ, দৈনিক অজেয় বাংলার সাহিত্য সম্পাদক নুরুল আমিন হহৃদয়, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ফেনী রিপোর্ট ডটকমের সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, দৈনিক অজেয় বাংলা স্টাফ রিপোর্টার শেখ আশিকুন্নবী সজীব, দৈনিক ফেনীর সময় শহর প্রতিনিধি মোল্লা ইলিয়াছ, অনলাইন নিউজ পোর্টার ফেনী নিউজ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক রহমত উল্যাহ সুমন, সাপ্তাহিক কলকন্ঠ শহর প্রতিনিধি মাঈন উদ্দিন সুমন, ফটো জার্নালিস্টস্ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুলহাস তালুকদার, সময় টিভির ক্যামেরা পার্সন মীর হোসেন রাসেল, চ্যানেল আই ক্যামেরা পার্সন দুলাল তালুকদার, সাপ্তাহিক হকার্স স্টাফ রিপোর্টার ইয়াসির আরাফাত রুবেলসহ ফেনীতে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সংবাদ সংগ্রহ খবর প্রকাশ করতে গিয়ে সংবাদকর্মীরা নানাভাবে হয়রানি, হুমকি, ধমকি, হামলা-মামলার শিকারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাদারিত্ব নিশ্চিত করতে প্রেস কাউন্সিলের মাধ্যমে আইন প্রনয়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেনী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজ আহম্মদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের অবাধ তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে। এ সরকারের সময়ে গণমাধ্যমের ব্যাপক প্রসার ও উন্নয়ন ঘটেছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় আলাদাভাবে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তাই সৎ সাংবাদিকতা চর্চার মাধ্যমে সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
 নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে গুলি ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারাযায়।
জানা যায়, আজ ৩ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে
উপজেলার সায়দাবাদ ফেরীঘাট থেকে ভাড়া মটরসাইকেল যোগে বাঁশগাড়ী যাচ্ছিলেনর চেয়ারম্যান সিরাজুল হক। পরে আড়াকান্দা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে গুরুত্বর রক্তাক্ত অবস্থায় চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা, তাকে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক চেয়ারম্যানের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে দ্রুত ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে তিনি রাস্থায় মারাজান।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, দুর্বৃত্তরা চেয়ারম্যানকে গুলি ও কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন। পরে তিনি পথেই মারাযায়।
এদিকে এ খবর পেয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন শোক প্রকাশ ও এ হত্যার ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করেছে।

ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন আলহাজ্ব আরিফ উল ইসলাম মৃধা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরিফ উল ইসলাম মৃধার ড্রাগন ফলের বাগানে কিছু কিছু গাছে ফুল-ফল আসছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আরিফ উল ইসলাম মৃধা ড্রাগন ফল চাষ করে ভাগ্যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন উপজেলার বেকার যুবসমাজের । এই ফলের চাষ করতে প্রথমদিকে খরচ একটু বেশি পড়লেও পরে তেমন খরচ পড়ে না। ড্রাগন গাছ একবার লাগালে ২৫ বছর পর্যন্ত ফল দেয় এবং রাসায়নিক সার কীটনাশক তেমন প্রয়োগ করতে হয় না। সাধারণত কেঁচো কমপোস্ট সার প্রয়োগ করলেই হয়। ড্রাগনের চারা দেশের সব হর্টিকালচারে পাওয়া যাচ্ছে। ড্রাগন ফল পাকলে খেতে সুস্বাধু হয়। প্রতি কেজি ড্রাগন ফল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এ ফল চোখকে সুস্থ রাখে, শরীরের চর্বি কমায়, রক্তের কোলস্টেরল কমানোসহ উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক এবং রোগপ্রতিরোধক এ ড্রগনফল। ঢাকায় এ ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

নরসিংদীতে রোটারেক্ট জেলা প্রতিনিধি ২০১৮-১৯ রোঃ পিপি নাফিজুল আলম বাধন সংবর্ধিত

জহিরুল ইসলাম:
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় ভেলানগর গ্রান্ড রেস্টুরেন্টে রোটারেক্ট ক্লাব অব নরসিংদী মিডটাউনের  সভাপতি রো: আওলাদ হোসেনে  পরিচালনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, জাতীয় সংগীত,রোটারেক্ট পারপাস এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান আরম্ভ করেন ।উক্ত অনুষ্ঠানে নরসিংদীর সকল রোটারেক্ট ক্লাব যৌথ ভাবে রোটারেক্ট জেলা প্রতিনিধি ২০১৮-১৯ রোঃ পিপি নাফিজুল আলম বাধন কে ফুল দিয়ে বরণ ও ক্রেস প্রধান করে  সংবর্ধিত করেন। এই সময়  সম্মানিত রোটারিয়ানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন রোটারি ক্লাব অব নরসিংদী মিডটাউনের প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান জিয়াউর রহমান  এবং রোটারি ক্লাব অব মেঘনা নরসিংদীর প্রেসিডেন্ট রোটারিয়ান বেলায়েত হোসেন ।আরো উপস্থিত ছিলেন রোটারিয়ান পিপি মাসুদুর রহমান, রোটারিয়ান আইপিপি মাহবুবুর রহমান মনির এবং রোটারিয়ান আইপিপি কবির হোসেন ।

উক্ত  অনুষ্ঠানে  ডিআরআর ইলেক্ট রোটারেক্টর নাফিজুল আলমের   সাথে  আরো উপস্থিত ছিলেন রোটারেক্টর কাজী ফারুক আহমেদ, রোটারেক্টর আশিকুর রহমান রিয়াদ,রোটারেক্টর রকিবুল ইসলাম,রোটারেক্টর জুয়েল,রোটারেক্টর মহসিন ।নরসিংদীর ড্রিস্টিক অফিসিয়ালদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোটারেক্ট ক্লাব অব মেঘনা নরসিংদীর সভাপতি রোটারেক্টর হোসাইন লিটন, এডিআরআর সাইফুল ইসলাম,  রোটারেক্টর তৌহিদুর রহমান তৌকির এডিশনাল ডিস্ট্রিক সেক্রেটারি, রোটারেক্টর আলামিন সজিব ড্রিস্টিক জয়েন্ট সেক্রেটারি, কামরুল হুদা আনছারী রিজিওনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ,রো: রায়হান খান রিজিওনাল সেক্রেটারি সহ নরসিংদী জোনের সকল রোটারেক্টর, ইন্টারেক্টর এবং অনেক অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

বুধবার, ২ মে, ২০১৮

দাড়িওয়ালা ছেলেদের প্রেমেই কেন মেয়েরা বেশি পড়ে?

লাইফস্টাইল:
ছেলেদের সৌন্দর্যের অনেক বিষয়ের মধ্যে দাড়ি একটি। দাড়ি ছেলেদের অতি মাত্রাই আকর্ষণীয় করে তোলে। পুরুষালী বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে এই দাড়ি। কাউকে ভালোবাসার জন্য খুব বড় কোনো কারণের প্রয়োজন হয় না সব সময়। একেক জনের হিসাব একেক রকমের। অনেক ছেলে যেমন মেয়েদের রূপেই হুট করে মজে যায়, তেমনটা মেয়েদের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে। আর মজার বিষয়, ছেলেদের দাড়ি এখানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। চকচকে কামানো নয়, বরং গালে ফুটে থাকা সুস্পষ্ট দাড়িওয়ালা কোনো ছেলের দিকেই টান অনুভব করে মেয়েরা। এমন ছেলেরা কেন মেয়েদের পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে থাকে।আসুন জেনে নেই পুরুষের দাড়ি কেন নারীদের নজর কাড়ে।

গবেষণায়: কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ছোটবেলা থেকে অনেক নারী তার বাবা বা দাদা-নানার দাড়ি দেখে অভ্যস্ত হয়। আর প্রিয়জনের মুখের সেই সৌন্দর্যটা তারা অন্য পুরুষের মাঝেও খুঁজে বেড়ায়। তাদের ধারণা দাড়ির কারণে যেমন বাবা-দাদাকে সুন্দর লাগে তেমনি দাড়ি অন্য পুরুষকে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও আকর্ষণীয় করে।

পুরুষালি বৈশিষ্ট্য: দাড়ির কারণে চেহারার ওপর আলাদা একটা রেখা দেখা যায়, যা পুরুষদের পুরুষালি বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে এটি নারীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।এই আকর্ষণ বোধ থেকে নারীরা অবচেতন মনে পুরুষের প্রেমে পড়ে।

পরিণত মানুষ: দাড়ির কারণে একজন পুরুষকে অনেক বেশি পরিণত মনে হয়। আর নারীরা সাধারণত পরিণত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক জড়াতে পছন্দ করে। তারা নিজেকে তার কাছে নিরাপদ ও অনেক শক্তিশালী মনে করে।

দায়িত্বশীল ও সাহসী মানুষ: দাড়িওয়ালা পুরুষদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও সাহসী মনে করেন নারীরা। তাদের কাছে থাকতে তারা নিরাপদ বোধ করে। এছাড়া তারা অনেক সাহসী হয়ে থাকে।

আসুন জেনে নেই পুরুষের দাড়ি কেন নারীদের নজর কাড়ে।

গবেষণায়
কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, ছোটবেলা থেকে অনেক নারী তার বাবা বা দাদা-নানার দাড়ি দেখে অভ্যস্ত হয়। আর প্রিয়জনের মুখের সেই সৌন্দর্যটা তারা অন্য পুরুষের মাঝেও খুঁজে বেড়ায়। তাদের ধারণা দাড়ির কারণে যেমন বাবা-দাদাকে সুন্দর লাগে তেমনি দাড়ি অন্য পুরুষকে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ও আকর্ষণীয় করে।

পুরুষালি বৈশিষ্ট্য
দাড়ির কারণে চেহারার ওপর আলাদা একটা রেখা দেখা যায়, যা পুরুষদের পুরুষালি বৈশিষ্ট্যকে প্রকাশ করে এটি নারীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়।এই আকর্ষণ বোধ থেকে নারীরা অবচেতন মনে পুরুষের প্রেমে পড়ে।

পরিণত মানুষ
দাড়ির কারণে একজন পুরুষকে অনেক বেশি পরিণত মনে হয়। আর নারীরা সাধারণত পরিণত পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক জড়াতে পছন্দ করে। তারা নিজেকে তার কাছে নিরাপদ ও অনেক শক্তিশালী মনে করে।

দায়িত্বশীল ও সাহসী মানুষ: দাড়িওয়ালা পুরুষদের অনেক বেশি দায়িত্বশীল ও সাহসী মনে করেন নারীরা। তাদের কাছে থাকতে তারা নিরাপদ বোধ করে। এছাড়া তারা অনেক সাহসী হয়ে থাকে।