বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০১৯

আজ সব্যসাচী লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল এর জন্মদিন



বর্তমান বাংলা কবিতার মূলধারাকে তিনি শাণিত করছেন, বাঁক ও বিবর্তণে ভূমিকা রাখছেন। সব্যসাচী  লেখক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য তিনি দেশ-বিদেশে পুরস্কৃত হয়েছেন।
দুলাল ছাত্রাবস্থায় দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতার জীবন শুরু।

১৯৮০ সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান এবং ১৯৯৬-এ খালেদা জিয়ার শাসনামলে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। তারপর স্বাধীনভাবেলেখালেখি, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজে মনোনিবেশ। প্রবাসী বাঙালিদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন নিউজ এজেন্সি ‘স্বরব্যঞ্জন’, সেই সাথে ‘পাঠশালা’র প্রকাশনা। দীর্ঘ দিন প্রবাসের পত্র-পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন। টরেন্টো থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বাংলা রিপোর্টারে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের কানাডাস্থ বিশেষ প্রতিনিধি। এছাড়াও আমাদের সাপ্তাহিক সিবিএন এবং সাপ্তাহিক বাংলা মেইলের উপদেষ্টা সম্পাদক।

তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। বিটিভির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’র উপস্থাপক। তাঁর লেখা বেশকিছু গান ও নাটক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নাটকসমূহ- সাযযাদ আমিনের কথা, জাকির, সাদিকের জীবন ও সাহিত্য, বৃক্ষ বন্দনা, মুহম্মদ আলির চিঠি, ভালোবাসি ভালোবাসি, ওডারল্যান্ড, শাখা ও শেকড়, বনসাই, বৈশাখী, জাদুকর ইত্যাদি। ‘ও ওবাংলাদেশ, বাংলাদেশ’, ‘এ দেশ আমার মায়ের আরেক নাম’, ‘ঐ পতাকায় তাকিয়ে দেখি আমার মায়ের শ্যামলা মুখ’…সহ বেশ ক’টি জনপ্রিয় গানের রচয়িতা। বর্তমানে ‘কানাডায় ১৯৭১’ নিয়ে গবেষণা করছেন।

তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৫০টি। তারমধ্যে কানাডা নিয়েও তাঁর বেশ ক’টি বই আছে। যেমন- কানাডায় যাবেন কেন যাবেন’, ‘কানাডার কাশিমপুরে খুনি নূর চৌধুরী’, ‘হাড়ির খবর নাড়ির খবর’, ‘যুদ্ধশিশুর জীবন যুদ্ধ’, ‘ভূতের পাসওয়ার্ড’ ইত্যাদি। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তৃষ্ণার্থ জলপরী’ বের হয় ১৯৮২ সালে আর সর্বশেষ বই ‘প্রমের আগে পড়েছি বিরহে’

আজ শিশুসাহিত্যিক ও উপন্যাসিক শাম্মীতুলতুল এর জন্মদিন



চট্টগ্রামের মেয়ে শাম্মী তুলতুল একজন লেখক, ঔপন্যাসিক ও শিশু সাহিত্যিক। পড়ছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে দেশ সেরা কলেজ চট্টগ্রাম কলেজে। বাংলাদেশের জনপ্রিয় তরুণ লেখকদের মধ্যে সে অন্যতম। একটা সাহিত্য, সাংস্কৃতিক,রাজনৈতিক, অভিজাত ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারে চট্টগ্রাম শহরে তার জন্ম। গ্রামের বাড়ি বিখ্যাত হালদা নদী ঘেষা গ্রাম রাউজান। পরিবারে সবাইকে একদিকে যেমন দেখেছে রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করতে, অন্যদিকে দেখেছে সমান তালে  সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনে অংশগ্রহণ করতে। বাবা  আলহাজ আবু মোহাম্মদ খালেদ ছিলেন তৎকালীন (রাউজান) সাহিত্য, সাংস্কৃতিক সংগঠন জাগরণী সংস্থার সভাপতি ও শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা।বর্তমানে একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।মা আলহাজ কাজী রওশন আখতার ছিলেন রাউজান কলেজ ছাত্র সংগঠনের নেত্রী, রাজনীতিবিদ ও একজন সমাজসবেক ছিলেন। তিনি একজন  রত্নাগর্ভা মাও।
নানা ডাক্তার কাজী এজহারুল ইসলাম ছিলেন দৌলত কবির বংশধর। নানি কাজী লতিফা হক বিখ্যাত বেগম পত্রিকায় লেখালেখি করতেন, আর দাদু আলহাজ আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার ছিলেন সুপরিচিত লেখক, কলামিস্ট,ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা, শিক্ষক ও কবি কাজী নজরুল ইসলামের বালকবন্ধু। পরিবার থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে এবং নিজের ইচ্ছা শক্তিবলে ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। সেই থেকে একযুগ চাইতে বেশী সময় ধরে একযোগে দেশের আঞ্চলিক, জাতীয় দৈনিক, মাসিক ও দেশের বাইরে ভারতের ভিবিন্ন পত্র পত্রিকায় লিখে শীর্ষে আছেন। এই পর্যন্ত (২০১৩ থেকে ২০১৯) তার ১২ টি বই  প্রকাশতি হয় ভিবিন্ন শীর্ষ প্রকাশনী থেকে)। লেখালেখি ও পড়াশোনার পাশাপাশি সে চট্টগ্রাম টেলিভিশনে নিয়মিত আবৃত্তি ও চট্টগ্রাম বেতারে অনুষ্ঠান গ্রন্থনা করে থাকেন। তাছাড়া অনলাইন পত্রিকার সাথেও যুক্ত আছেন। এছাড়াও তিনি পাঠাগার আন্দোলনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজ করছেন।
তাছাড়া সাহিত্যের অবদানের জন্য পর পর দুবার চট্টগ্রামে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল সন্মাননা ও ঢাকায় বাংলাদেশ কবি পরিষদ থেকে পুরুস্কার,  গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার কবি নজরুল অগ্নিবীণা  শিশুসাহিত্য পুরস্কার পান ২০১৮ তে।
রাউজানের নামকরা মোহাম্মদপুর স্কুল কৃতি সন্তান হিসেবে সন্মাননা প্রদান করেন তাকে। এছাড়াও পার্বত্য অঞ্চল খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক তাকে লেখালেখির অবদানের জন্য ২০১৬  বইমেলায় প্রশংসা পত্রে ভূষিত করেন এবং সন্মাননা প্রদান করনে। সেখানে পর পর তার তিনবার একক বই মেলা হয় তার। এছাড়াও গত এপ্রিল মাসে সে রোটারিয়ানদের পক্ষ থেকে পায় লেখালেখির অবদানের জন্য পুরস্কার ২০১৯।
 মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস চোরাবালির বাসিন্দা বইটির জন্য সে পাঠক মহলে যথেষ্ট সারা পান। তাছারা শিশু কিশোরদের জন্য লিখিত বেস্ট সেলার বই নান্টু ঝান্টুর বক্স রহস্য, পিঁপড়ে ও হাতির যুদ্ধ ,গণিত মামার চামচ রহস্য, দৈত্য হবে রাজা, টুনটুনির পাখিস্কুল, একজন কুদ্দুস ও কবি নজরুল  এই বইগুলো নিয়ে যায় তাকে দীগুণ খ্যাতির শীর্ষে। এছাড়াও গত এপ্রিল মাসে সে পায় রোটারিয়ানদের পক্ষ থেকে সাহিত্য পুরস্কার।

ফখরুল হাসান এর রম্যছড়া আবুল চাচার স্বপ্ন



আবুল চাচা মনে মনে চিন্তা করে ঘুমায়
ঘুমের মাঝে ছেলেটাকে দুই গালেতে চুমায়
আবুল চাচা স্বপ্নে দেখে ছেলে হলো নেতা
সকাল বেলা উঠে দেখেন ছিঁড়া চাচার খেতা।
.
মেঝো ছেলের চিন্তা করে যেই না আবুল ঘুমে
টাকার বান্ডিল দেখতে পেলো হাজার কোটি রুমে
ছেলে তাহার হলো কি না মস্ত বড়ো অফিসার
ঘুমের ঘোরে আবুল বলে ভাঙলে কেন আমার ঘাড়
.
ছোট ছেলে অন্য রকম সবার কাছে কদর পায়
এক ইশারায় গুলি করে মানুষ বুঝি নিরুপায়
এই ছেলেটা উজ্জ্বল করবে আবুল চাচার মুখ
পুলিশ এলেই ধড়ফড় করে আবুল চাচার বুক।

বুধবার, ২৯ মে, ২০১৯

দলছুট মেঘ চুম্বন আয়েশা মুন্নি

শিল্পসাহিত্যঃ
 

দলছুটমেঘের গহীনে জলরঙে আঁকা
ছোপছোপ ষোড়শীর আঁচলের চিত্র
ন্যাওরা চুলে গুঁজে নেব সাদা মেঘফুল
একমুঠো মেঘ ছুঁয়ে হবো পবিত্র।

হৃদপিন্ডে স্থবিরতা মেঘমাল্লার গানে
অমিত্রাক্ষরে ছন্দ কাব্যাঙ্কন,
ভাগ্যরেখার শঙ্খমালায় ভালবাসায়
আকাশ ছুঁয়ে করবো দৃঢ়পণ।

অঞ্জলি ভরে মেঘের সৌন্দর্য প্রবাহ
খুঁজি আমার প্রতিচ্ছবি
মেঘ চুম্বনের চানক্য স্পর্শে শিহরন
মুগ্ধ বিহ্বলে হবো কবি।

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০১৯

কবি শাহীন রেজা'র এক গুচ্ছ কবিতা


শিল্পসাহিত্যঃ 
সংযম
শাহীন রেজা

তিনি বলেছেন, সংযমী হও।
তোমার সামনে ছড়িয়ে থাকবে সকল প্রলোভন কিন্তু তুমি কিছুতেই নিজেকে হতে দেবেনা তাদের আহার।

দেহের চেয়েও যে হৃদয় পরিশুদ্ধ জরুরি
তা আমাদের বুঝতে হবে এই মাসটিতেই। সংযমী হতে হতে আমাদের পরিনত হতে হবে সেই বিশুদ্ধ হীরকখন্ডে; যার দ্যূতিতে
আলোময় সমগ্র বিশ্ব সকল চরাচর।

রমযান মানে সংযমের খেরোখাতা;
সে খাতায় বাঁধতে হবে পঞ্চইন্দ্রিয়কে এবং
সত্য ও বোধনমন্ত্রে জাগ্রত বিবেককে
তুলে দিতে হবে তাঁর সেই বিশালত্বে
আর বিলীন হয়ে যেতে যেতে উচ্চারণ
করতে হবে তাঁরই কীর্তিগাঁথা
আপন খেয়ালে।

রিপু দমনের মাস রমযান,
সংযমী হতে হতে তাঁর করুণা লাভের এইমাসে
এসো আমরা বিনয়ী হই,
কঠিন ও কঠোর প্রার্থনায় সঁপে দেই
আমাদের মুহূর্তগুলো।

______________________
তাহলে সে কথাই থাকল
শাহীন রেজা

তাহলে সে কথাই থাকল; নক্ষত্রপুর থেকে সূর্যগাড়িতে চড়ে তুমি পা রাখবে ছায়াবীথিতে আর আমি অগ্নিশ্বর থেকে মেঘঘুড়িতে চেপে যথাসময়ে জলসবুজের আস্তানায়;
নুহাশপল্লীতে আমাদের স্বাগত জানাবেন স্বয়ং হুমায়ূন আর তারসাথে বাঁশীতে সুর তুলে অশ্রুযাদুকর বারী সিদ্দিকী।

নাহ আমরা বিষণ্ন হবনা মোটেই; কারন সময়টা বর্ষাকাল নয় আবার চান্নিপসর হতেও দেরী বেশ খানিকটা অতএব লোবানের ভয় নেই একদম। তুমি তো জানোই আমার সব সহ্য হয় কিন্তু মৃত্যুর ঘ্রাণ আমি সইতে পারিনা কিছুতেই। নুহাশে আর সবকিছুর সাথে যেটা আমাদের উদ্বেল করার জন্য প্রস্তুত তা হচ্ছে কিছু উত্তেজিত কামিনী আর তার সাথে অসংখ্য মাতাল মল্লিকা। আমি নিশ্চিত তোমার পাগলি খোঁপায় গুঁজে দেব কিছু একান্ত সৌরভ।

এইসব নয় সেইসব দিনরাত্রির উন্মাদনা আমাদের উতল করে তুললে আমরা সহজেই খুঁজে নিতে চাইব কানকাটা রমজানকে। দূর থেকে যদিও আমাদের সাহস জোগাবেন দূর্বার বাকের তবুও আমরা সন্ত্রস্ত থাকব মীর্জার মেজাজ মর্জিতে।

তাহলে সে কথাই থাকল; আমরা মিলিত হব দারুচিনির স্বপ্নে বিভোর চন্দনসভায় আর আমাদের চারদিকে উড়তে থাকবে নন্দিত নরকের বিশাল শিশিরসম্ভার; যার পাখায় পাখায় আলোর ডাহুক শুধু প্রতীক্ষায় অনন্ত ভৈরবীর।




_______________________
কেউ জানেনা
শাহীন রেজা

কোথায় তুমি কোথায় তুমি মোহন জাম
বুক পকেটে লুকিয়ে আছে হলুদ খাম

সাতক্ষীরা সেই অনেক দূর বৃষ্টি-বাসে
স্মৃতির কদম কেমন সুবাস ছলকে আসে

পেয়ারা গাছে বুলবুলিটা করুণ ডাকে
এত খুঁজি তবুও আমি পাইনা তাকে

অরূপ শালিক কোথায় থাকে কোন গলিতে
শিকড় ছাড়ে বকুল সে গাছ কোন পলিতে

কোথায় তুমি কেমন আছ কেউ জানেনা
উদোম বুকে হাওয়ার কুমীর আর টানেনা

যেথায় থাক যেমন থাক ভালই থেকো
সেই চুৃুমুটা গোপন গালে লুকিয়ে রেখো

ছিলাম আমি ছিলাম সেদিন বড্ড আপন
উদাস রোদে পেখম মেলে ময়ূর যাপন

সেই আমিটা তেমনি আছি মেঘের পাখি
তিরিশ ফাগুন ছাতিম ডালে লুকিয়ে রাখি

বড়শীটা নেই বড়শীটা নেই মাছের ভীড়ে
মুখ লুকিয়ে পঁচিশ কাঁদে আস্তে ধীরে

কেউ জানেনা কেউ জানেনা গোপন ঘুড়ি
উড়তে গিয়ে হয়েই গেল কখন চুরি।

কবিতা কেন এমন হয় কবি ফাহমিদা ইয়াসমিন



তোমাকে ভালবাসি কি না জানি না
তবে প্রতিটি মুহুর্তে তোমাকে অনুভব করি।
তোমার বিরহে অন্তর পুড়ে!
একটি পলক না দেখলে
দৃষ্টির আঙিনা জুড়ে অন্ধকার নামে।
কেন এমন হয়?
এ যেন অদ্ভুত টান!
বুকের গহীণে নাড়া দেয়...
কিছু বুঝার আগেই
এলোমেলো হয়ে যায় সব।

রবিবার, ২৬ মে, ২০১৯

কবিতা - কিছু কথার গল্প হয় কবি - আরজুমুন

শিল্পসাহিত্যঃ
 

নিঃশ্বাসের প্রতিধ্বনিতে মিশে আছে তালপাতার ঝিরিঝিরি বাতায়ন

গাছের ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দেয় কথামালা, কিছু কথা গল্প হয়,কিছু গল্প উপন্যাসে এসে মিশে
তালপাতার বাতাসে মৃদু মৃদু গরম অনুভূত হয়

হাত থেকে ঝরে পড়ে কবিতাগুচ্ছ
নীরবতায় হৃদয়মেলে বসে থাকে
অনেকের হাতছানি

স্মৃতি বিস্মৃতিগুলো তালপাতার ছাউনি তুলে মনের দেয়ালে
ভিতরটা অন্তঃসার

কোনভাবেই দখিনা আকাশে চোখ পড়ে না
ঝাপসা হতে থাকে পিয়ানোর ঝংকার

কেটে যায় বিক্ষত বিক্ষোভ
আপেক্ষেরা চিৎকার করে
রাখালের মন করে আনচান

দূর হতে একটা আর্তনাদ কানে ভাসে
অথচ নিরুত্তাপ দেখে,বিক্ষোভরা মিছিল করে পিয়ানোর সুরে

একদিন তোমার বিচার বসবে হাটতলায়, জটলা করবে কিছু মিথ্যার দগদগে ঘা

তথাপি তালপাতার বাঁশি বাজবে না
বাঁশিটা বিমর্ষ খুব যতনে

হেলান দিবে সত্যরা আক্ষেপে
সত্য কোন না একদিন জয় পাবে
পাখাটা মুক্তি পাবে
এক জহ্নুকন্যার সুরতহালে।

বিবেক-কে নাড়া দেয়া উপন্যাসের নাম আপনালয় 'ফখরুল হাসান'


শিল্পসাহিত্যঃ ফখরুল হাসান  



বৃদ্ধাশ্রমের করুণ কাহিনি নিয়ে লেখা একটি সামাজিক উপন্যাস আপনালয়। লেখকের বর্ণনায় ২০৪৬ সালে রাজধানী ঢাকার চিত্র খুবই ভয়াবহ। ঢাকার কোথাও যৌথ পরিবার নেই। সর্বত্র নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। একক পরিবার। ঢাকার সকল পরিবারে কোনো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নেই। সবাই ওল্ডহোমে। বৃদ্ধাশ্রমে। শ্রমে-রক্তে গড়ে তোলা বাড়ি-ঘরে নিজেরা থাকতে পারছে না। কষ্টে-দুখে লালন করা সন্তানরা বৃদ্ধ মা-বাবাকে রাখছে না নিজেদের সাথে। ২০৪৬ সালের এমনই অবিশ্বাস্য চিত্র লেখকের কলমে ধরা পড়লো। লেখক সেসব অবিশ্বাস্য ভয়াবহ চিত্র বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলেন! যা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। লেখকের আশংকা, বর্তমানে যে হারে বৃদ্ধাশ্রমগুলোয় বয়স্ক মানুষ দিয়ে পূর্ণ হতে চলেছে, না জানি এ ধারাটা বাড়তে বাড়তে এক সময় সমাজের পরিবারগুলোর অবস্থা লেখকের উক্ত বর্ণনার ২০৪৬ সালের চিত্র হয়ে দাঁড়ায়।

২০৪৬ সালে ঢাকা শহরের চিত্রটা যেন এমন, সব মানুষ উদোম হয়ে গেছে। ফিরে গেছে সেই আদিম যুগে। কারো শরীরে নেই জামা-কাপড়। ঠিক সেই নাজুক সময়ে একজন লোককে দেখা গেলো ব্যতিক্রমী। জামা-কাপড় পরা আপাদমস্তক এক সাধু পুরুষ। সব লোক জড়ো হলো তাকে দেখতে। বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে দৌড়ে এলো নিউজ কাভারে। বিস্তারিত জানতে চাইলে পড়তে হবে 'আপনালয়'।

২০৪৬ সালের সমাজের চিত্র এতোটা নৃশংস কর্তব্যহীন, কোথাও যৌথ পরিবার আছে বলে কল্পনাও করা যেত না! ঠিক সেসময়ে একটি যৌথ পরিবারের দেখা মিললো হাসপাতালের সিসি টিভির ক্যামেরায়। ঘটনাটা লেখকের বিবরণে এরকম-
'মেজোকে দেখেই জড়িয়ে ধরে আকুল কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো মোহিত। 'বাবা আর নেই, রোহিত। বাবা আর নেই!' ছোটও কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরল বড়ো ভাইকে। হাসপাতালে উপস্থিত গুটিকয়েক ডাক্তার আর নার্স অবাক হয়ে দেখল, এই স্বার্থপর জমানায় নিউক্লিয়ার পরিবার আর ওল্ডহোমের আধিপত্যের যুগেও পিতা হারানোর শোকে মুহ্যমান হয়ে তিন ভাইয়ের একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আকুল কান্না। হাসপাতালের অটোমেটেড সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া তিন ভাইয়ের কান্নার দৃশ্য আপলোড হয়ে গেল। আর সাথে  সাথে হাসপাতালের সফটওয়্যার কাজ শুরু করে দিল। প্যাশেন্ট রিকগনিশন টুলস দিয়ে বের করে ফেলল রোগীর সব তথ্য উপাত্ত। ডাটাবেজে হানা দিয়ে জেনে গেল, ঢাকা শহরের একমাত্র যৌথ পরিবারের মাথাটা আজ থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে গেল। হাসপাতালের নিউজ সেকশন সাথে সাথে খবরটা লুফে নিয়ে হাসপাতালের নিজস্ব নিউজ চ্যানেলে প্রচার শুরু করল। সেখান থেকেই নিউজটা পেয়ে গেল অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল। ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়, ওয়েব থেকে ওয়েবে। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগে কিসের টানে টিকে রইল একটি যৌথ পরিবার? কিংবা কি ছিলো কালো ব্রিফকেসে? গুপ্ত ধনের চাবি নাকি অন্যকিছু ?ঘোলাটে রহস্য উম্মোচনে মনোযোগী পাঠক হয়ে পাঠ করতে হবে 'আপনালয়।'

'আপনালয়' উপন্যাসটি প্রতিটি সন্তানের পড়া উচিত, তাইলে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর নোংরা ভাবনায় একটু হলেও ফাটল ধরবে বলেই আমার বিশ্বাস। প্রতিটি মা বাবারই বইটি পড়া উচিত, তাইলে অলিক কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে এসে সন্তানদের ব্যপারে মধ্যম পহ্না অবলম্বন সহজ হবে, আর মঞ্জু সাহেবের মত এটিই শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনালয় গ্রন্থটি হতে পারে, তীব্র হিংস্রতায় আমাদের ঘায়েল করতে থাকা বৃদ্ধাশ্রম নামক ভাইরাসের প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন ।


বই পরিচিতি:
নাম: আপনালয়
লেখক: প্রিন্স আশরাফ
প্রকাশকঃ তাহমিনা খানম
প্রধান নির্বাহী, রোদ্দুর প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: শতাব্দী জাহিদ
মূল্য: ২৫০ টাকা

'বিবেক-কে নাড়া দেয়া এক উপন্যাসের নাম আপনালয়' ফখরুল হাসান


শিল্পসাহিত্যঃ

বৃদ্ধাশ্রমের করুণ কাহিনি নিয়ে লেখা একটি সামাজিক উপন্যাস আপনালয়। লেখকের বর্ণনায় ২০৪৬ সালে রাজধানী ঢাকার চিত্র খুবই ভয়াবহ। ঢাকার কোথাও যৌথ পরিবার নেই। সর্বত্র নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি। একক পরিবার। ঢাকার সকল পরিবারে কোনো বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নেই। সবাই ওল্ডহোমে। বৃদ্ধাশ্রমে। শ্রমে-রক্তে গড়ে তোলা বাড়ি-ঘরে নিজেরা থাকতে পারছে না। কষ্টে-দুখে লালন করা সন্তানরা বৃদ্ধ মা-বাবাকে রাখছে না নিজেদের সাথে। ২০৪৬ সালের এমনই অবিশ্বাস্য চিত্র লেখকের কলমে ধরা পড়লো। লেখক সেসব অবিশ্বাস্য ভয়াবহ চিত্র বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলেন! যা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। লেখকের আশংকা, বর্তমানে যে হারে বৃদ্ধাশ্রমগুলোয় বয়স্ক মানুষ দিয়ে পূর্ণ হতে চলেছে, না জানি এ ধারাটা বাড়তে বাড়তে এক সময় সমাজের পরিবারগুলোর অবস্থা লেখকের উক্ত বর্ণনার ২০৪৬ সালের চিত্র হয়ে দাঁড়ায়।

২০৪৬ সালে ঢাকা শহরের চিত্রটা যেন এমন, সব মানুষ উদোম হয়ে গেছে। ফিরে গেছে সেই আদিম যুগে। কারো শরীরে নেই জামা-কাপড়। ঠিক সেই নাজুক সময়ে একজন লোককে দেখা গেলো ব্যতিক্রমী। জামা-কাপড় পরা আপাদমস্তক এক সাধু পুরুষ। সব লোক জড়ো হলো তাকে দেখতে। বিভিন্ন চ্যানেল, পত্রিকা, নিউজ পোর্টালের সাংবাদিকরা ক্যামেরা নিয়ে দৌড়ে এলো নিউজ কাভারে। বিস্তারিত জানতে চাইলে পড়তে হবে 'আপনালয়'।

২০৪৬ সালের সমাজের চিত্র এতোটা নৃশংস কর্তব্যহীন, কোথাও যৌথ পরিবার আছে বলে কল্পনাও করা যেত না! ঠিক সেসময়ে একটি যৌথ পরিবারের দেখা মিললো হাসপাতালের সিসি টিভির ক্যামেরায়। ঘটনাটা লেখকের বিবরণে এরকম-
'মেজোকে দেখেই জড়িয়ে ধরে আকুল কান্নায় ভেঙ্গে পড়লো মোহিত। 'বাবা আর নেই, রোহিত। বাবা আর নেই!' ছোটও কাঁদতে কাঁদতে জড়িয়ে ধরল বড়ো ভাইকে। হাসপাতালে উপস্থিত গুটিকয়েক ডাক্তার আর নার্স অবাক হয়ে দেখল, এই স্বার্থপর জমানায় নিউক্লিয়ার পরিবার আর ওল্ডহোমের আধিপত্যের যুগেও পিতা হারানোর শোকে মুহ্যমান হয়ে তিন ভাইয়ের একে অন্যকে জড়িয়ে ধরে আকুল কান্না। হাসপাতালের অটোমেটেড সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হওয়া তিন ভাইয়ের কান্নার দৃশ্য আপলোড হয়ে গেল। আর সাথে  সাথে হাসপাতালের সফটওয়্যার কাজ শুরু করে দিল। প্যাশেন্ট রিকগনিশন টুলস দিয়ে বের করে ফেলল রোগীর সব তথ্য উপাত্ত। ডাটাবেজে হানা দিয়ে জেনে গেল, ঢাকা শহরের একমাত্র যৌথ পরিবারের মাথাটা আজ থেকে নিস্ক্রিয় হয়ে গেল। হাসপাতালের নিউজ সেকশন সাথে সাথে খবরটা লুফে নিয়ে হাসপাতালের নিজস্ব নিউজ চ্যানেলে প্রচার শুরু করল। সেখান থেকেই নিউজটা পেয়ে গেল অসংখ্য অনলাইন নিউজ পোর্টাল। ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়, ওয়েব থেকে ওয়েবে। নিউক্লিয়ার ফ্যামিলির যুগে কিসের টানে টিকে রইল একটি যৌথ পরিবার? কিংবা কি ছিলো কালো ব্রিফকেসে? গুপ্ত ধনের চাবি নাকি অন্যকিছু ?ঘোলাটে রহস্য উম্মোচনে মনোযোগী পাঠক হয়ে পাঠ করতে হবে 'আপনালয়।'

'আপনালয়' উপন্যাসটি প্রতিটি সন্তানের পড়া উচিত, তাইলে মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর নোংরা ভাবনায় একটু হলেও ফাটল ধরবে বলেই আমার বিশ্বাস। প্রতিটি মা বাবারই বইটি পড়া উচিত, তাইলে অলিক কল্পনা থেকে বাস্তবে ফিরে এসে সন্তানদের ব্যপারে মধ্যম পহ্না অবলম্বন সহজ হবে, আর মঞ্জু সাহেবের মত এটিই শেষ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে পারে। আপনালয় গ্রন্থটি হতে পারে, তীব্র হিংস্রতায় আমাদের ঘায়েল করতে থাকা বৃদ্ধাশ্রম নামক ভাইরাসের প্রতিরোধে একটি ভ্যাকসিন ।


বই পরিচিতি:
নাম: আপনালয়
লেখক: প্রিন্স আশরাফ
প্রকাশকঃ তাহমিনা খানম
প্রধান নির্বাহী, রোদ্দুর প্রকাশনী
প্রচ্ছদ: শতাব্দী জাহিদ
মূল্য: ২৫০ টাকা

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০১৯

সাকসেসফুল অনুষ্ঠান করলো ' বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ।

শিল্পসাহিত্যঃ- 

‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সংস্কৃতির ভূমিকা’ শীর্ষক
আলোচনা, স্বরচিত কবিতাপাঠ এবং আবৃত্তি-অনুষ্ঠান হয়ে গলো পাবলিক লাইব্রেরি সেমিনার কক্ষে বৃহস্পতিবার   বিকাল ৪ টায়।

কবি অসীম সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি  ছিলেন মোস্তাফা জব্বার, মন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি, প্রতিমন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয়।

সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক উপাচার্য, ঢাবি।

মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান।
আলোচনায় ছিলেন কবি কাজী রোজী এমপি, অধ্যাপক ড. সাজেদুল আউয়াল।
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, কবি আসলাম সানী।

স্বাগত বক্তব্য : কবি ও চলচ্চিত্র নির্মাতা মাসুদ পথিক, সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন. ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি মাসুদ পথিক  আমাদের বাংলাদেশ ডটনেট কে জানালেন ঈদের পর  সমগ্র বাংলাদেশে সংগঠনটির জেলা কমিটি ও বহিবিশ্বে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
           


   

মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০১৯

অমীমাংসিত জিজ্ঞসা কবি আয়েশা মুন্নি

শিল্পসাহিত্যঃ
 

ষোল বছরের যে প্রেমের আবেগ
আমায় ভাসিয়েছিল,
চলমান জীবনের গতিপথ
আজ ভিন্নরূপে চিত্রায়িত।
এখন আবেগের দরজায়
তালা লাগানো।
সময়ের স্রোতে ভেসে ভালবাসাও কি স্থানান্তরিত হয়?
তবে কি মনমাঝি
তার ভেলা বাইতে বাইতে
নতুন তীরে নাও ভিড়ায়?
আর সে নাওয়ের পালে
হাওয়া লেগে
মনটা দুলতে থাকে।
দুলন্ত মনটা মাঝেমাঝে
স্মৃতির বন্ধ ঘরে উঁকি দেয়।
জীবন নামক গ্রন্থের ওজনটা
কেজি দরে দাঁড়িপাল্লায়
যদি মাপা যেত!
তবেই হয়ত বুঝতাম
কি পেয়েছি!
কি হারিয়েছি!
কি পাইনি!
কতটা পেলে
মনটা ভালবাসাময় হয়?
কতটা পথ পেরুলে
মনটা তৃপ্ত হয়?
নাকি
অদৃষ্টের লিখন খন্ডন করে
নিয়তি আমার একটিবার
রঙিণ প্রজাপতির ডানায় ভর করে ভাসবে না !
একটি ফুলেল ভালবাসার মুগ্ধতা
আমার কাছে
অতৃপ্তই রয়ে যাবে আজন্মকাল।

রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯

কবি ফখরুল হাসান এর কবিতা কাপুরষ হবে না যুবক

শিল্পসাহিত্যঃ
 

ফুল হাতে নিয়ে পেছনে ডেকো না প্রিয়তমা
ক্ষতি নেই যদি আর দেখা না হয় দুজনার
লড়াইয়ের মাঠ থেকে ফিরে আসি যদি
লাল সবুজের সাথে তোমাকে করে নেব প্রতিমা।
.
বেকারত্বের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে প্রতি ঘরে
ঘুষ আর দুর্নীতির ধ্বংসস্তুপে ডুবছে স্বদেশ!
লড়াই লড়াই এসো প্রিয়সী লড়াইয়ে মাঠে দেখা হবে
লাখো মানুষের কাফেলায় হবে মিছিলের চুম্বন বেশ।
.
তোমার প্রণয়ের ছোঁয়ায় আর কাপুরুষ হবে না যুবক
স্বদেশ ডাকছে সাইরেন বাজে সামনে যুদ্ধের ময়দান
তোমাকেই বলছি যুবক দুর্নীতির চেয়ারে দাও আগুন
প্রতিরোধে কূচক্রিদের কাছে যায় যদি যাক এ জান।
.
ফুল নিয়ে এসো না প্রিয়তমা সামনে আরো দুর্দিন
পুঁজিবাদের প্রবল স্রোতে হারাচ্ছে মনুষ্যত্বের দেশ
শান্তির বাণী সিন্ধুকে রেখে লড়াই করো যুবক
তবেই হবে ঘুষখোর আর দুর্নীতি চিরতরে শেষ।

শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

সুখে থাকবে বাংলাদেশ ফাহমিদা ইয়াসমিন

শিল্পসাহিত্য ঃ
 

মনের ভেতর কেবল ঘুরপাক খায়
অনেক জানার ভেতর  অজানা
কথাগুলো বারবার ফিরে আসে
স্মৃতির মুকুরে।
তোমার অনুভূতি জানতে পারিনি আজও।

কত মানুষের কত দুঃখ বেদনার কথা
কত মানুষের সর্বস্ব বিলীন হওয়ার কথা
কত মানুষের প্রেম বিরহের কথা
কত সত্য এখনও অগোচরে
পড়ে আছে অজানা অন্তরে।

আমি জানতে চাই স্বাধীনতার কাছে
দেশের গরিব দুঃখী মেহনতি
মানুষের অভাব ঘুছবে কবে
অনাহারী মানুষের সংখ্যা কমবে ঘরে ঘরে কবে?

মূছে যাবে দারিদ্রের দুরাশার দুর্দিন
আমি সেই সত্যের প্রতীক্ষায় অপেক্ষমান
খেটে খাওয়া মানুষের হাড়ে হাড়ে যে দাগ
পড়ে গেছে কালি ও কয়লার মত দূষিত
ভাইরাসে আমি তার মূলৎপাটন চাই।

বিলাসি জীবনের অন্তরালে যে প্রেতাত্মারা
হাসে তাদের বিনাশ চাই।
শ্রমিকের ন্যায্যতা নিয়ে যেদিন ঘরে যাবে
শ্রমিক সকল সেদিন হয়তো স্বাধীন বাংলা
আনন্দে আয়েশে রাত্রিযাপন করবে কলরবে।
সুখে থাকবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০১৯

অনন্ত অপেক্ষায় - তানিয়া নিগার

  শিল্পসাহিত্যঃ 

নীল সাগর হাতছানি দেয়
বলছে শুধুই প্রীতির মায়ায়
চোখ ভরা নোনা জল!
সইতে না পারার বুঝি
বুক ফাঁটা ফল!

আয় কাছে আয় 
দেখবি চেয়ে দুধার বেয়ে
লালন করেছি লবণাক্ত
আজন্মের শোকে চলেছি সয়ে

আদি হতে অনন্তকাল,
বেদনা তিথি অশান্ত বিকাল
ছুটে যাই মোহনায় নির্জনে
কেন তবে অশান্ত আনমনে?

হয়তো অনন্ত অপেক্ষায়,
বসে আছে পথ টি চেয়ে
ছুটবো সেদিন বল্গাহীন
সাগরের পথ বেয়ে।

সোমবার, ১৩ মে, ২০১৯

কবিতা লীন কবি আয়েশা মুন্নি


কষ্টের নীল সাগরে ভাসে
অপূর্ণতার স্মৃতির ভেলা।
দৃষ্টির সীমান্ত জুড়ে অদ্ভুত
আলোর নীলে প্রতীকী প্রেম।
স্বপ্নের শৈল্পিক শব্দরা তোলে
রক্তকণিকায় সূরের মূর্ছনা।
উপেক্ষিত মিঠে বর্ণগুলো অস্তিত্বজুড়ে ছড়ায় কলতান।
স্মৃতিচারণে ভ্রষ্টার পাখনায়
সবুজ স্মৃতির মাদুর পাতা।
অদৃশ্য আবছায়ার স্বপ্নময়তায়
কষ্টকাব্যের মলিন প্রচ্ছদ।
বিবর্ণ বিস্মৃত স্মৃতির সমীরণে
মরুর মায়ায় আকাশ ছোঁয়া
জলন্ত দুঃসময়ে ভোরের ভ্রুণে ঢালা বিভ্রান্তির কুৎসিত শোষণ।
পর্ণপুটে মুড়ে রাখা বিচিত্রতায় লীন হওয়া জীবনের রঙ।
জাগতিক রহস্যময়তার বেনামী পত্র হলুদ খামে গন্তব্যহীন।

সোমবার, ৬ মে, ২০১৯

কবিতা রাজারবাগ ৭১ কবি আয়েশা মুন্নি


আজ আমি কবিতা বলছি না
গল্প বা উপন্যাসের স্মৃতিচারণও নয়
আমি আজ বলছি বীরত্ব গাঁথা
একটি ইতিহাস জন্মের কথা...
২৫ মার্চ ১৯৭১ সাল
রাত প্রায় সাড়ে ১০ টা
সেই কালরাত্রির ইতিহাসে বাংলার
প্রথম প্রতিরোধের কথা বলছি ...
পুলিশ লাইন ওয়্যারলেস বেজ ষ্টেশনের বেতারযন্ত্রে ভেসে আসা কথাগুলো বলছি--
' চার্লি সেভেন ফর বেজ,
অ্যাবাউট থার্টি ফাইভ
টু থার্টি সেভেন ফর বেজ,
অ্যাবাউট থার্টি ফাইভ টু থার্টি সেভেন ট্রাকস উইথ পাক আর্মি অ্যাপ্রোচিং টু আওয়ার ঢাকা সিটি ফরম ক্যান্টনমেন্ট, ওভার।
বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
ঢাকা তখন এক ভুতুরে শহর
এক বিশাল মৃত্যুকূপ,

শুধু মাত্র ওয়্যারলেস সেটেই
ছড়িয়ে পড়ল সারাদেশে
রাজারবাগ হামলার কথা।
প্রস্তুত তখন রাইফেল সহ
প্রায় সব পুলিশ সদস্য।

তবে শোন...
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে
জ্বলে উঠলো পুলিশ বাহিনীও,
স্বাধীনতার আলোচনায় মসগুল...
চললো সলাপরামর্শ স্বপ্নের বাংলাদেশ সৃষ্টিতে...

বনর্না করছি বাংলার ইতিহাসের প্রথম গুলি,
প্রথম প্রতিরোধ প্রতিশোধের প্রথম ধারাপাত...
স্বাধীনতার একখণ্ড ইতিহাস,
প্রথম অধ্যায়ের প্রথম আত্মত্যাগ।

বঙ্গবন্ধু  যখন ঢাকা হামলার সংবাদ পাঠালেন---
আজ রাতেই ঢাকা হামলা হবে।
তখন চলছিল পুলিশের রাতের রোল কল।
মাতৃভূমির বিরুদ্ধ শক্তির বিপক্ষে
প্রতিরোধের নেশায়
উত্তেজিত পুলিশ সদস্যরাও,
অস্ত্রাগার খুলে অস্ত্র নেবার সিদ্ধান্তে অটল।
অস্ত্রাগার খুলে ৩০০-৩৫০ থ্রি নট থ্রি রাইফেল এবং ২০ টি করে গুলি ভগাভাগি করে
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের আশোপাশে  অবস্থান নিলেন।
অতঃপর...
তেজগাঁও এলাকার ওয়্যারলেস কল সাইন চার্লি সেভেন থেকে
ভেসে এল সতর্কবার্তা...
সাথে সাথে রাজারবাগ পুলিশ লাইনে
বাজে পাগলা ঘন্টা।
ঘুমন্ত, ক্লান্ত, বিশ্রামরত যে যেভাবে ছিল
ছুটে এল সব পুলিশ সদস্যরা।
চিৎকার করে বললো --
রাইফেল চাই, গুলি চাই
অস্ত্র চাই অস্ত্র দাও।
ভাঙলো দ্বিতীয় অস্ত্রাগারও শাবলের জোড়ে।

বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর।
তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।
এই শ্লোগানে উজ্জবিত হতে হতে তারা অস্ত্র হাতে অবস্থান নিল।
পাকিস্তানি সেনাদের বহর যখন রমনা পার্কে,
বেইলি রোড হয়ে শান্তিনগর প্রবেশ করে তখন চামেলীবাগ ডন স্কুলের সামনে পুলিশের ব্যারিকেড,
পাকিস্তানি ফোর্স নেমে আসে আর তখনই ডন স্কুলের ছাদে পজিশন নেয়া পুলিশ বাহিনী আক্রমণ...
শুরু হয় গোলাগুলি, দেশমাতৃকার টানে।
দুই পাকিস্তানি সেনার বুকে বিদ্ধ হল স্বাধীনতার প্রথম বুলেট, প্রথম প্রতিশোধ, প্রতিরোধে লেখা হলো
প্রথম ইতিহাসের জন্মকথা।
'ফাস্ট বুলেট ফর দ্য ইনডিপেনডেন্ট'।
শুরু হল যুদ্ধ, রাত পৌনে বারটা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থেমে থেমে চলল গুলি।

একদিকে পুলিশের সেকেলে থ্রি নট থ্রি রাইফেল,
অন্যদিকে তাদের মর্টার শেল, মেশিনগানের গুলি...
বন্দি হয় দেড়শত পুলিশ সদস্য।
অস্ত্র গোলাবারুদসহ কিছু পুলিশ সদস্য রাজারবাগ ত্যাগ করতেও সক্ষম হলো।
আর সেই যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়লো ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলে।
অতঃপর নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে
জন্ম হলো লাল সবুজের এই বাংলাদেশ।

শনিবার, ৪ মে, ২০১৯

কবিতা দুর্ভিক্ষ চলছে কবি আইরিন সুলতানা লিমা

শিল্পসাহিত্যঃ

দুর্ভিক্ষ চলছে নিঃশ্বাসের দুর্ভিক্ষ
দুর্ভিক্ষ চলছে ভালোবাসার দুর্ভিক্ষ
এ শহরে দুর্ভিক্ষ চলে লজ্জা ও কৃতজ্ঞতার।
এখানে কেউ এসো না, এরা সবাই অহংকারী।
দুর্ভিক্ষ চলছে সত্যের দুর্ভিক্ষ
এখানে কেউ এসো না
কেউ কথা রাখবে না।
চেয়ে দেখো এটা মৃত্যুর মিছিল
এখানে পরাজয় নেই আছে ধ্বংস হওয়া।
ঠিক যেমন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
তিনিও পরাজিত হতে চাননি
অথচ ধ্বংস হয়েছিলেন লড়াই করতে করতে।
আর ধ্বংসের পরতো পরাজয় আসতে বাধ্য
তাইতো আর্নেস্ট ধ্বংসের পর হয়েছেন পরাজিত।
অতএব, অন্ধকার এ শহরে অন্ধকার গহ্বরে এসো না।
এখানে কতগুলো কীট সর্বদা মৃত্যুর মিছিল করে
এখানে ধ্বংস নিশ্চিত।
জেনে রেখো ধ্বংসের পরেইতো আসে পরাজয়।

সোমা বড়ুয়া রিমির ছোট গল্প আনন্দ বিরহ


শিল্পসাহিঃ

আকাশের জমাটবাঁধা মেঘটা অনেকক্ষণ থেকেই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে মনে হচ্ছে এখনি ঝরে পরবে।অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও সে জলধারার দেখা না পেয়ে খুব অভিমান হলো তিলার।রুমে ঢুকে ফোন হাতে নিতেই দেখে অভ্রর মেসেজ।তিলা তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে শিল্পকলার পথে হাঁটতে লাগলো।তিলার হাঁটার অভ্যাস আছে,তবে সে এখন হেঁটে যাচ্ছে একটা রিকশা ও পাচ্ছে না তাই।তার তাড়াতাড়ি পৌঁছাতে হবে যেকোন ভাবেই হোক।শিল্পকলায় গিয়ে দেখে অভ্র কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে কিছুটা খুশি হয়ে আর কিছুটা উদ্বেগে দাঁড়িয়ে আছে।।তিলা আসতেই অভ্র ওর হাতের ব্যাগটা নিয়ে রিকশা ডাকলো।রিকশায় ওরা দুজন শুধু টাকা পয়সার কথাই বললো,আর কিছু না।টাকা-পয়সা খুব মানিয়ে গুছিয়ে খরচ করতে হবে ওদের এখন।রিকশা কাজী অফিসের সামনে এসে থামলো।অভ্র তিলার হাত ধরেই নামালো,এতো ভারী শাড়ি তিলা এই প্রথম পরলো।তিলাকে অনেক সুন্দর লাগছে,বউ বউ লাগছে।তিলা একদমই সাজেনি,শুধু লিপস্টিক পরেছে।কাজলে ওর এলার্জি আছে তাই শখ করেও পরেনা,ভীষণ রকম যন্ত্রণা হয় চোখে।অভ্র তিলাকে ডাকলো।
-কিছু বলবে?
-হুম।
-বলে ফেলো তাড়াতাড়ি।
-তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে বলেই একগুচ্ছ সাদা বুনো ফুল এগিয়ে দিলো তিলার দিকে।উইল ইউ ম্যারি মি তিলা?
-ইয়েস।
-আচ্ছা, আসো। তাড়াতাড়ি ভেতরে চলো।
-এই এরকম নাহ।কিছু হলো এটা?
-কেন তুমি যেমনভাবে বললে সেভাবেই তো প্রপোজ করলাম।
-আমার হাত ধরে নিয়ে যাবে না তুমি?
-আচ্ছা আসো।
-শোনো, ইচ্ছে করে এসব না বুঝার ঢং করলে কেস দিয়ে দেবো আমাকে তুলে এনে জোরপূর্বক বিয়ে চাট্টিখানি কথা নয় কিন্তু।
-আচ্ছা,যা মন চায় পরে করো।আগে বিয়েটা করো।
-তোমার ভাইয়া আসছে?
-হুম।
তিলা আর মামুনের বিয়েটা হয়ে গেলো। মামুন হলো অভ্রর বড় ভাই।তিলা আর মামুনের সম্পর্ক সাত বছর ধরে।অভ্র তিলার ক্লাসমেট ছিলো।ওরা খুব ভালো বন্ধু ছিল।ঘনিষ্ঠতা ছিলো বেশি।ক্লাসের সবাই ভাবতো ওদের মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা ছিল।তাই তিলার শখ হয়েছিলো অভ্র একদিন ওকে প্রপোজ করুক সত্যি সত্যি।তিলার বাচ্চামিপনা অভ্র জানতো, তা বলে সে ভাবেনি এরকম বিষয়ে ও এমনটা করতে পারে তিলা।অভ্রর পরিবারের সবাই জানতো তিলা আর মামুনের সম্পর্কের কথা।তারা তিলাকে বউ হিসেবে মানবে না তাই ওরা তিনজন মিলে পালিয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।অভ্র অবশ্য ওদের বিয়ে দিতে পেরে অনেক খুশি।কিন্তু বুকের কোণে যেন কিসের একটা চিনচিনে ব্যথা অনুভব করছে ও।ওদিকে পাত্তা দিলে চলবে না ওর।তাই একটা সিএনজি ডেকে মামুন আর তিলাকে নিয়ে রওনা দিলো টংগীর দিকে।সেখানে একটা ভাড়া বাসায় তুলে দিবে মামুন আর তিলাকে।তিলা আজ চিরদিনের জন্য অন্যকারো হয়ে যাবে ,হোক ওর ভাইয়ের তাও তো অন্যকারো।তিলা কোনদিনই বুঝলো না অভ্রকে।অভ্রর চোখ ভিজে গেল।টংগীতে গিয়ে একটা বিল্ডিং এর নিচে এসে সিএনজি থামলো।নিচতলায় ওদের বাসা।বেল দিতেই দরজা খুললো মামুনের বোন হিয়া।ঢুকতেই দেখা গেলো,মামুন আর তিলা দুজনের বাবা-মা সবাই আছে।তিলার চোখ পানিতে ভরে গেলো,আনন্দে।অভ্রকে ডেকে বললো,
-তুই এসব বলিস নি কেন আগে?
-তুই যে সারপ্রাইজ পেতে পছন্দ করিস।
সবাই এখন খুশি,যে যার মতো আনন্দে মেতে আছে।শুধু অভ্রর মনের কোণে জমেছে এক টুকরা বিষাদ।যে বিষাদ কখনো তিলাকে ছোঁবে না।তিলা তো ওর ভাবীই হবে।ভালো থাকুক ওরা,ভালো থাকুক আকাশের সকল তারা।তিলা তাঁর স্বামীর সাথে রাতের নিশ্চুপ আকাশ দেখতে গিয়ে হয়তো কখনো দেখবে হঠাৎ একটি তারা খসে পরেছে নিচে।তিলা তারাটির জন্য মরিয়া হয়ে উঠবে তখন,কিছুসময় পরে আবার ভুলে যাবে তারাটির কথা,তারাটির ব্যথা।রাত ভোর হবে,তখন হয়তো একটি ছোট্ট তিলা ওদের ঘরময় ঘুরে বেড়াবে।আনন্দে বিরহ ভুলিয়ে দেবে।

তাসলিমা কবির রিংকির কবিতা বাসন্তী আগুন



চাইলেই ভালবাসা প্রেম হয়ে যেতে পারে
এতোটুকু ইচ্ছায়, খেয়াল বা ব্যস্ততা বিদির্ণ করে।
কেউ কি ডাকে গভীর মমতায়!
যে ডাকতো তার মত করে...
আমার তো ক্ষন কাটে
মাটির চোখে বিলীন জীবনের
মীমাংসা খুজে।
পুড়ে বাসন্তী আগুনে মন
তাই দেখে চাঁদ হেসে খান খান
বদলে যায় আকাশ
ঘ্রাণে বিভোর হাসনাহেনা
তবুও অভিমানীর মান ভাঙাবে না?
সপ্ত ঋষির ধ্যানাসনে
মন্ত্রপাঠে গঙাজলের স্নানে
শুভ্র ভালবাসার কঠোর  অঙ্গীকারে
এসো একবার শুধু একবার ছুঁয়ে দিয়ে যাও
ঐ সাগর জল পর্বত হিমালয় ছেড়ে ।