শুক্রবার, ৩০ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীতে গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

মাধবদী প্রতিবেদক:
নরসিংদী শহরের মাধবদীতে সুরমা বেগম (১৭) নামে এক কিশোরী গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মাধবদী বাজরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ জামালউদ্দীন আহাম্মেদ এর মাধবদীর দক্ষিন বিরামপুরের বাসায় ঘটনাটি ঘটে।রহস্যজনক কারণে ঘটনার দুই ঘণ্টা পর মাধবদী থানা পুলিশকে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দেয়া হয়। পুলিশ রাত ৩ টার পর লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাটি দুপুর বেলা ঘটলেও আমরা খবর পাই বিকাল ৩ টার পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহকর্তা আলহাজ জামালউদ্দীনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, মেয়েটি আমার বাসায় দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করছে। মেয়েটি ফ্যানের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তখন তিনি বিছানায় শুয়ে ছিলেন।

দীর্ঘক্ষণ সুরমা বেগমকে দাঁড়ানো দেখে তিনি ডাকতে থাকেন। কোনো উত্তর না দেয়ায় তিনি বিছানা থেকে উঠে দেখেন যে, সুরমা বেগম ফ্যানের সাথে ঝুলে আছে।অপর দিকে পাশের বাড়ির লোকজনের মধ্যে জরিনা বেগম নামে একজন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন যে, প্রায়ই সময়ই মেয়েটির প্রতি অনেক অমানবিক নির্যাতন চালাত তারা।মেয়েটির অভিবাবকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এই রহস্যজনক মৃত্যুর প্রকৃত ঘটনা খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৮

কবি আরজুমুন এর কবিতা আয়না

সাহিত্য:
আয়না
কবি আরজুমুন

জানি আমি -ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দিয়েছো-শিহরিত হয়নি রক্তক্ষরণ হয়েছে ফাল্গুনী হাওয়ায়-রক্তকরবীর মতো লালে লাল হয়েছিলো অন্তর - আলোকরশ্মি ফেলে আমায় দেখেছো  আমি চোখ মুদে অনুভব করেছি তোমায় -চোখাচোখি হলে পরে আমিই সরে গিয়েছি দূরে -যেমনি করে তুমি সরে যেতে- আমি চাতক পাখি হয়ে যেতাম-
আমি ডাকতাম তুমি পালাতে
আর এখন? -পেরেছো কি সামলাতে নিজেকে -খেলেছো কেন তবে-আমি পেরেছি -জয়ীতারা ভালোবাসতে জানে পালাতে নয় -তোমার প্রিয় শাড়ীটি পড়নে ছিলো এই শাড়ীটা পড়েই ঘুরতে যাওয়ার কথা ছিলো -পড়েনি যাওয়া -তাই তোমার জন্যই পড়েছিলাম -শুধু তোমার জন্য -বলেছিলে একদিন মনে আছে? - কালো পড়েছিলাম কিছুটা সবুজাভ -কেন জানো -
সব কালো চাপিয়ে ও আমার ভেতরটা আজও সবুজ। ভালোবাসা হারাই না মানুষটা হারিয়ে যায় -তুমিও হারিয়ে গেছো
আমার ভূবনে একটা চারা জন্ম নিয়েছে -বাড়তে দিবো না। বাড়ন্ত ভালোবাসা বয়ে বেড়ানো কঠিনতম কান্না - কারো ভালোবাসার যোগ্যতা কিংবা ধারণ করার মতো মানসিকতা অথবা সম্মান জানানোর মনুষ্যত্ব কোনটাই তোমার নেই -তাই চারাটা বড় করবো না কোনদিন। আজ আমি গর্বিত আমার বুকের নিঃশ্বাসে উপর ভর করেই তুমি বেঁচে থাকবে আজীবন-আমার দেওয়া উপহার তোমার ঘরবাড়ি সংসার।তোমার অশ্লীল ভাষা কিংবা আমাকে দেওয়া নারকীয় যন্ত্রণা -
আমি নিশাচর হয়ে জেগে জেগে শুনবো -আমার কান আমায় বলবে শুনো তোমার ভালোবাসা তোমায় কি বলছে? আমার আত্মা আমায় প্রশ্ন করবে -তুমি তাকে ভালোবাস? আমি জানিয়ে দিয়েছি -আবারো দিলাম -হ্যাঁ ভালোবাসি। আমি বিসর্জন দিয়েছি আমাকে তুমি সুখী হওয়ার জন্য -সুখী হও রাজা।
 আমি আমরণ বরিষণে থাকবো -কুহুকী হব না - আহত পাখী হবো।

নরসিংদীতে গত ৩ মাসে ৭৪ জনের নৃশংস খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নরসিংদীতে রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসামূলক কারণে গত ৩ মাসে ৭৪ জনের নৃশংস খুন। যাদের মধ্যে ৪০ জন পুরষ, ১০ জন শিশু এবং বাকি ২৪ জন মহিলা। বর্তমানে সময়ে অসংখ্য রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটছে।
নরসিংদীতে রাজনৈতিক কারণে অনেক নিষ্পাপ মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। সাতচল্লিশ বছর আগে দেশ স্বাধীন হলেও এখন আবারো স্বাধীনতা হাড়াচ্ছে নরসিংদীর সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার পরেও এমন হত্যাকান্ডে আজ মানুষ আতঙ্কে। এমন হত্যাকান্ডের প্রভাব পড়ছে তাদের পরিবারের উপর।
জানা যায়, বর্তমানের রাজনীতি হচ্ছে উনিশ শতকের চর দখলের মত। আর এরই প্রভাব পড়ছে সাধারণ জনগনের প্রতি। রাজনীতি আদর্শবিহীন হয়ে ওঠার কারণে কিছু কুখ্যাত সন্ত্রাসীরা এর কৌশল অবলম্বন করছে। রাজনৈতিক প্রশ্নাতীতের কারণে সংশিলষ্ট অসংখ্য হত্যাকান্ড বিচারহীন থেকে গেছে আর এর কারণ বিচার পাচ্ছে না খুন হওয়া অনেক অসহায় পরিবার।নরসিংদী জেলায় রাজনীতিবিদরূপী অনেক মানুষেরা সমাজের ওপর তলায় বসে তৈরী করছে কিলার নামে নিয়ন্ত্রনহীন বিভিন্ন দানব। যাদেরকে দিয়ে গুম, হত্যা, নির্যাতনসহ বিভিন্ন খারাপ কাজ করানো হচ্ছে।
সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান সৈকত (৩৩) শীলমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এই রাজনৈতিক হিংসার কারণে গত ২৬ শে মার্চ রাতে নির্মম হত্যার শিকার হয়। এদিকে একই জেলার শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা নার্গিস বেগম তার পাষন্ড স্বামীর হাতে খুন হয়
শিবপুর উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা কাশেম আলী (৬৫) গন্যমাধ্যম কর্মীকে জানান, বর্তমান সময়ে হাট-বাজার ও রাস্তাঘাটে চলাচল করতে খুবই ভয়ে দিন কাটছে সাধারণ মানুষের। এই রাজনৈতিক ভয়াবহতার কারণে জন সাধারণের নিরাপত্তা দিন দিন কমে যাচ্ছে। ফলে রাজনীতির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থাও দিন দিন কমে যাচ্ছে।

নরসিংদীতে ৩৯ তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

 নিজস্ব প্রতিবেদক:
৩৯তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উপলক্ষে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এক র‌্যালী জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নরসিংদী আইডিয়াল স্কুলে গিয়ে শেষ হয়।
নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইফুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই মেলার উদ্বোধন করেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার হারুন অর রশিদ, সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ইসমাইল হোসেন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. মাসুদুল হক, আইডিয়াল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মনজিল এ মিল্লাত, নরসিংদী ব্রাহ্মন্দী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন নাজির। প্রধান অতিথি মেলার উদ্বোধন শেষে আগত বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য: এবার ৩৯তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা হওয়ায় ৩৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্টল স্থান পায়।

অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশি কাউন্সিলর জামান টিটুর গল্প

রাশেদ শ্রাবন, অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি:
সিডনির লাকেম্বা শহরের ট্রেনস্টেশন এ নেমে এক তরুণ পানি কিনতে গেলেন বাংলাদেশ প্যালেস নামে এক সুপারস্টোরে। তা প্রায় এক যুগ আগের কথা। তরুণ টগবগে এই যুবকের চোখে তখন নানা স্বপ্ন। অপেরা বার রেস্টুরেন্টে হেড শেফ হিসেবে কাজ করে মোহাম্মাদ জামান টিটু। আর রাতের বেলা লাকেম্বা শহরে বসে থাকেন বাংলাদেশিদের সঙ্গে।
মোহাম্মাদ জামানের মনের ভেতর দুটি স্বপ্ন। এক সবচেয়ে জনপ্রিয় এই বাংলাদেশ প্যালেসের মালিক হওয়ার আর দ্বিতীয় স্বপ্ন অস্ট্রেলিয়ার মূল ধারার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে নিজের কমিউনিটিকে সাহায্য করা। আর এই মোহাম্মদ জামান গত অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে সরকারদলীয় লিবারেল পার্টি থেকে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাঁর এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম ব্লাই টার্নবুল তাঁকে একজন তরুণ এবং পরিশ্রমী নেতা হিসেবে গত নির্বাচনে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছেন। কিন্তু বিপুল ভোটে নিজের অবস্থান শক্ত করলেও বিরোধী দলের অত্যন্ত দক্ষ এবং তৎকালীন লেবর পার্টির ডেপুটি লিডার এবং সাবেক ইমিগ্রেশন মিনিস্টার টনি বার্কের কাছে হেরে যান মোহাম্মাদ জামান টিটু।

Advertisement
কিন্তু মানসিকভাবে মোহাম্মাদ জামান টিটু হেরে যাননি। তিনি জানান দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া হচ্ছে মাল্টিকালচারাল দেশ, এই দেশে সবার জন্য সমান অধিকার। আবার প্রস্তুত নেন যুদ্ধে যাওয়ার, এবার কৌঁসুলি পরিবর্তন করেছেন কেন্দ্রীয় থেকে স্থানীয় নির্বাচনে।

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের সিডনি রাজ্যের ব্যাংকটাউনস এবং কেন্টারবুরি সিটি কাউন্সিল থেকে বিপুল ভোট জয় লাভ করেন মোহাম্মদ জামান। এর ফলে নিজের এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির অবস্থান শক্ত হয় মোহাম্মাদ জামানের। কাউন্সিলর মোহাম্মদ জামান পুরো বাংলাদেশ কমিউনিটিতে টিটু ভাই হিসেবে পরিচিত। অত্যন্ত হাসিমাখা এই সাদা মনের তরুণ মানুষটি কাজ করে যাচ্ছে সিডনির এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। বিভিন্ন সময় এই মানুষটি অন্য দেশি কমিউনিটির প্রতিহিংসার পরিণীত হন। লাকেম্বা রেলওয়ে পেরেডের সঙ্গে লাগোয়া বাংলাদেশিদের স্বার্থে নিজের জীবন বাজি রেখে বহুবার বাংলাদেশিদের জন্য লেবানিজ বখাটেদের থেকে বাংলাদেশিদের রক্ষা করেছেন।
তাঁর কমিউনিটি কিংবা সামাজিক কাজগুলো লিখে শেষ করা যাবে না, রিফুজিদেরকে ইংলিশ সেন্টার করে দেওয়া, ভলান্টারি জেপি সার্ভিস, সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রতি আর্থিক অনুদান এবং সিটি কাউন্সিল অফিস থেকে বাংলাদেশি কমিউনিটির সংগঠনগুলোর বার্ষিক গ্রান্টসহ দল-মত নির্বিশেষে এই সাদা মনের মানুষটি কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার এই কৃতী সন্তান বর্তমানে সিডনির বেলমোরে-লাকেম্বা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড বিজনেসের সেক্রেটারি। এই ছাড়া তিনি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের কার্যনির্বাহী সদস্য।
সিডনি ফুড পিটি লিমিটেড, বাংলাদেশ প্যালেস স্টোরের ডিরেক্টরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। তাঁর রাজনৈতিক দল বর্তমান অস্ট্রেলিয়ান সরকারি দল লিবারেল পার্টি কমুনিত্যে অসামান্য অবদান এবং নিজ দলে তার কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসেবে নিউ সাউথ ওয়েলস এর ডেলিগেটে হিসেবে সম্মান দিয়েছেন। এ ছাড়া কমিউনিটি কাজে বিশেষ অবদানের জন্য মিডিয়া পুরস্কার পেয়েছেন ২০১৩, অস্ট্রেলিয়ান বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম আপডেট বিডিনিউজ থেকে। অস্ট্রেলিয়ান বাংলা কমিউনিটির মিডিয়া সম্প্রচারে তার অসামান্য কাজের স্বীকৃতি হিসেবে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে এনটিভি অস্ট্রেলিয়া থেকে পেয়েছেন বেস্ট কান্ট্রিবিউশন অ্যাওয়ার্ড।
মোহাম্মদ জামান টিটু ব্যক্তিগত জীবনে দুই সন্তানের বাবা। সিডনিতে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে বাঙালিপাড়া থেকে খেলার মাঠে এক নামে পরিচিত এই কাউন্সিলর জামান টিটু।


এনটিভি অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলাপ-পরিচয়ের সময় মোহাম্মদ জামান টিটু এক যুগ আগের স্বপ্নের কথা স্মরণ করে কিছুটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি সারা জীবন এই কমিউনিটির জন্য কাজ করতে চাই। এখন সামনে একটা ইচ্ছা আছে বাংলাদেশিদের জন্য একটা কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করা এবং অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট হাউস লাল-সবুজের বাংলাদেশ থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো মসৃণ করা।’ (সূত্র: এন টিভি অনলাইন)

কবি আরজুমুন কবিতা অমন বীজ অঢেল

সাহিত্য:

অমন বীজ অঢেল
- কবি আরজুমুন
বৃক্ষ তোমার অঙ্কুরটা চেয়েছিলাম-আমি মাটি ধারণ ক্ষমতায় পূর্ণ
আমি অঙ্কুরোদগম ঘটাতাম-দুটি কুঁড়ি, দুটি পাতা, একটু সবুজ একটু ছায়া-
তারপর পরিপূর্ণ রূপ-ছায়াতলে কোন এক বিকেলে আমরা -মন চাইতো কখন যে ঝড় ওঠবে-ভুলে একটা বীজ আমার বুকে লুটোপুটি খাবে।ঝড়ো বাতাস সত্য একদিন-তোমার বীজ আমার ভূমিতে এলো ভূমি আমার ধন্য হলো-
কি দারুণ খুশী!-
সে আলো দেখবে সে ছায়া দিবে, মায়া দিবে-ভালোবাসা দিবে ভুবন ভরে-অঙ্কুরিত হওয়ার উন্মাদদনায় সে বিভোর
কি তাণ্ডব! কি তাণ্ডব! -অহমে তোমার দারুণ তেজ-রোপিত হতে দিবে না-প্রলয়ঙ্করী ভূমিধ্বস।
অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো 'সবুজ'তোমার ভ্রুকুটি ও হলো না,স্বাভাবিক চলাচল-শোন, শোন,শোনো
আমার তল যে অপূর্ণ -ভূমি হাহাকার করছে,প্রাণটা প্রতিনিয়ত ডাকছে-এসো এসো এসো--আমায় রোপিত করো আমায় যেখানে ছায়া দিতে বলো দেবো-ছড়াবো না। শৃঙ্খলিত হবো,কথা দিলাম। -আমায় উপরে ফেলো না-আমি ক্ষতিকারক নই-শুধু রোপণ করো তোমারি বীজ।তুমিই ধ্বস তুমিই সাহস, আমি নিরুপায়। আচ্ছা, তুমি ও তো কারো ভূমি থেকে উৎসারিত আলোক ঝর্ণাধারা আলোকবর্ষী
তাহলে আমি আঁধারে! হাসছো বৃক্ষ! অমন বীজ তোমার অঢেল -সব বীজ অঙ্কুরিত হয়?
আমার ধ্বস, তোমার আলোকছটা -তুমি দণ্ডায়মান কোনো ভূমির ছায়া-আমি মোহমায়া

প্রেমের টানে ফুলবাড়ীতে ফিলিপাইনের তরুণী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রেমিকের টানে সিঙ্গাপুর থেকে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের এক তরুণী। তাঁর প্রেমিক রুবেল আহমেদের বাড়ি উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর মাঠেরপাড় গ্রামে। ইয়াসমিন নামের ফিলিপাইনের ওই তরুণী গত সোমবার রুবেলের বাড়িতে আসেন। 
আজ বুধবার বিকেলে রুবেল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ফিলিপাইনের ওই তরুণীকে দেখতে সেখানে হাজির শিশু-কিশোরসহ কয়েক শ নারী-পুরুষ।
রুবেল আহমেদ জানান, তিনি সিঙ্গাপুরে একটি গ্লাস কোম্পানিতে কর্মরত রয়েছেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ফিলিপাইনের মেয়ে ইয়াসমিনের পরিচয় হয় এবং পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রুবেল ১০ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে থাকেন। ৫ বছর ধরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক চলছে। সম্প্রতি রুবেল ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। দীর্ঘ পাঁচ মাস দেখা না হওয়ায় ইয়াসমিন বাংলাদেশে তাঁর কাছে চলে এসেছেন।
রুবেল আহমেদ জানান, ইয়াসমিন তাঁর বাড়িতে আসার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি শুনে তাঁদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাঁরা ঢাকায় একটি আদালতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বাকিটা জীবন তাঁরা এক সঙ্গে কাটাতে চান।
রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমি কৃষক মানুষ। ছেলের ভালোই আমার ভালো। তারা যেহেতু একজন আর একজনকে পছন্দ করে, সে জন্য তাদের সুখের কথা চিন্তা করে আমরা তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দিয়েছি। বাড়িতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনদের বউ ভাত খাওয়ানো হয়েছে। সবাই আমার ছেলে ও ছেলের নতুন বউয়ের জন্য দোয়া করবেন, যেন ভালো থাকে।’
রুবেলের চাচা আবদুল খালেক জানান, বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর নতুন এই দম্পতি আবার সিঙ্গাপুরে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবে।

বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮

নির্বাচন ও স্থানীয় সাংসদ নিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা


নির্বাচন হচ্ছে একটি জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া; কাকে অধিকসংখ্যক মানুষ পছন্দ করে সরকারি বা স্থানীয় সরকারপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে বসাবে তার মতামত দেয়ার পদ্ধতি। বিজয়ীরা পদে গিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।



 রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জনগণের অভিপ্রায় বহিঃপ্রকাশের এ পদ্ধতিটি হলো ভোটের সংস্কৃতি। এর সাফল্য নির্ভর করে রাজনৈতিকভাবে জনমতকে কিভাবে গ্রহণ করা হয়। তা ছাড়া বিজয়ীদের মনে রাখতে হবে, এই ভোটপ্রাপ্তির অর্থ জনগণের আমানত গ্রহণ করা, এর মূল্য উপলব্ধি করা ও তাকে কাজে লাগানো। বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের বেশ কিছু দুর্বলতার মধ্যে একটি হচ্ছে, তারা ভোট নেয়ার পর আর ভোটারদের কাছে যান না; তাদের কোনো খোঁজখবরও নেন না।


আরো দুর্ভাগ্য হলো, সরকার উন্নয়ন তহবিল থেকে যখন স্থানীয় বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে, সেই অর্থের সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার হয় না। এটা জনগণ দেখে হতাশ হয়। ভোটের মূল্য না দেয়া ও সরকারি অর্থের অপব্যবহার- একটি বড় ধরনের নৈতিক বিপর্যয় ও আমানতদারিতার বরখেলাপ। এ সমস্যা কোনো বিশেষ এলাকার নয়, গোটা দেশের।


 নৈতিকতার এই বিপর্যয় থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।
দেশে অনুযোগ রয়েছে, নির্বাচন আসে যায়, কিন্তু নির্বাচনের মতো নির্বাচনের মুখ দেখা যায় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনের মতো নির্বাচন হওয়ার পরিসংখ্যান খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয়।


ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচনে যারা ভোট দেন, সেই ভোটাররা ভোটে অনিয়ম নিয়ে আক্ষেপে থাকেন। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন তারা তাতে প্রকৃত আত্মতৃপ্তি লাভ করেন না। যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলে বিবেচিত হন, তারা পরাজয় মেনে নিতে নারাজ হন।


মো:মেহেদী হাসান।
হিসাবরক্ষক, কালটেক্স পেট্রোলিয়াম।
মালয়েশিয়া। 

মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

রামগঞ্জে ৮ বছরের শিশুর অর্ধগলিত বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

রামগঞ্জ প্রতিনিধি:
লক্ষীপুর ১ রামগঞ্জ উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের প্রবাসী এরশাদ হোসেনের মেয়ে ও পশ্চিম নোয়াগাঁও ফয়েজে রাসুল নুরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী নুশরাত (৮) নিখোঁজের ৩ দিন পর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করেছে রামগঞ্জ থানা পুলিশ,কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রক্ষপাড়া ঠাকুর বাড়ীর সামনের ব্রীজের নিচ থেকে গত সোমবার সকালে শিশু নুশরাতের লাশ উদ্ধার করা হয়,এসময় তার গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা।গত শুক্রবার (২৩ মার্চ) জুমার নামাজের আগে উপজেলার পশ্চিম নোয়াগাঁও জামে মসজিদ সংলগ্ন কালা মিস্ত্রী বাড়ীর সামনে থেকে নিখোঁজ হয় নুশরাত জাহান নুশু।বিভিন্ন জায়গায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজা খুজির পর তাকে না পেয়ে শনিবার সকালে তার মামা মো:জিয়া উদ্দিন রামগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন,সংবাদ পেয়ে রামগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই পস্কজ কুমার দে ঘটনাস্থলে উপস্তিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় খাল থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় শিশু নুশরাতের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।নুশরাতের মা রেহানা বেগম ও মামা জিয়াউল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে গায়ের জামা ও কানের দুল দেখে নুশরাত জাহান নুশুর লাশ শনাক্ত করে,এ সময় মা ও নিকট আত্মীয়দের আহাজারীতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।রামগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি)মো:তোতা মিয়া জানান শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে,

নরসিংদীতে যুবলীগ নেতাকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
নরসিংদীতে যুবলীগ নেতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে শিবপুর উপজেলার ঢাকা-মনোহরদী আঞ্চলিক সড়কের পাশে পুরানদিয়া জামতলা এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মাহমুদুল হাসান সৈকত (৩৩) শীলমান্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক। এবং নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিন শীলমান্দি এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি রাজনিতির পাশাপাশি ঝুট ব্যবসায় জড়িত ছিলেন।
এদিকে নিহত সৈকতের বন্ধু সুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সৈকতকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ করেছেন।
নিহতের পরিবার জানায়, সৈকত সোমবার দুপুরে গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর ফেরেনি। মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। পরিবারের লোকজন ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার সন্ধান পাননি।
মঙ্গলবার সকাল ৯টার টার দিকে শিবপুরে সড়কের পাশে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পরে পরিবারের লোকজনকে খবর দিলে তারা লাশের পরিচয় শনাক্ত করেন।
নিহতের বড় ভাই মো. খোরশেদ আলম প্রিন্স বলেন, সৈকত রাজনিতির পাশাপাশি ঢাকা ও নরসিংদীর বিভিন্ন কারখানার ঝুট বেচাকেনা করতেন।
নিখোঁজ সুজনের ভাই শরিফুল ইসলাম বলেন, সৈকত ও আমার বড় ভাই সুজন বন্ধু। গত ৪/৫ দিন আগে ব্যবসায়ীক লেনদেনকে ঘিরে তাদের কয়েকজনের দন্দ্ব হয়। তারা বাড়িতে এসে আমার ভাইসহ সৈকত ভাইকে নানা রকম হুমকি দিয়েছিল।
গত কয়েকদিন আগে সুজন ভাইকে তারা জোর করে ধরে নিয়ে যায়। একদিন পর ফিরে আসলেও এবার আর ফেরেনি।
আমাদের ধারণা তারাই সৈকত ভাইকে হত্যা করেছে। সুজন ভাইয়ের কি হয়েছে তা এখনো জানি না।
শিবপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতে অথবা ভোরের যেকোনো সময় তাকে হত্যা করে সড়কের পাশে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
ওইসময় লাশের দুই হাত পেছন দিক থেকে বাঁধা ছিল। শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

কবি আখতার জামানের সেরা কবিতা মেঘসন্তান

লাইফস্টাইল:

ঐ শোনা যায়
পোয়াতি মেঘের তর্জনগর্জন
প্রসববেদনা জেগেছে তলপেটে।
এখনই কি খালাস হবে বৃষ্টি
তা হোক, আকাশের তাতে কী?

তুলতুলে কুকুরছানার মতো
মেঘসন্তান নেমে আসুক
নবীন ডানায়, পৃথিবীর পিঠে
তুমুল ভাব জমাক ফসলের সাথে।
পৃথিবীর তাতে কী?

নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে শ্বাস
নরম-কোমল আঙুল, বিষহীন নখ
কচি কচি হাত সঙ্গমের রাত
এখনই কি যাবে ভেঙে
মৌন অভিমানের নাক
তা যাক, আমার তাতে কী?

এনন টেক্স গ্রুপের আয়োজনে স্বাধীনতা কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে মেইন্টান্যান্স চ্যাম্পিয়ান

মো:আকবর হোসাইন,টঙ্গী প্রতিনিধি:
এনন টেক্স গ্রুপের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ১০ ওভারের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে । খেলায় স্পিনিং প্রোডাকশন  ক্রিকেট দলের ৭১ রানের জবাবে ০৭ ওভার ২ বল খেলেই স্পিনিং মেইন্টেন্যান্স  ক্রিকেট দল বিজয়ী হয়।ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয় মেইন্টেন্যান্স দলের মোঃ ইমরান ও সিরিজের পুরস্কার পান  প্রোডাকশন  ক্রিকেট দলের মোঃ মিলন।
এর আগে সোমবার সকালে প্রত্যাশা মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন জনাব নাজিম উদ্দিন (চিফ একাউন্টিং এনোন টেক্স)।বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ লতফর রহমান,মেইন্টেন্যান্স দলের  টিম চেয়ারম্যান পরেশ সেন,টিম ম্যাননেজার মো:জিসানসহ গ্রুপের সকল কর্মকর্ত্তাও কর্মচারীবৃন্দ । 

স্বাধীনতার ৪৭ বছর -কী পেল দেশের মানুষ?

এবছর স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৭ বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। গোটা দেশজুড়ে মহাসমারোহে উদযাপিত হয়েছে বিজয় দিবস। প্রতিবছরই ঠিক্যেমনটি হয়ে থাকে। উন্নয়নের ঢামাঢোল আর মুক্তিযুদ্ধে শাসকদলের কৃতিত্ব প্রচারে ব্যস্ত ছিল রাষ্ট্রীয় প্রচারমাধ্যমসহ সমস্ত গণমাধ্যম। এই প্রচারের জৌলুস এড়িয়ে কেউ চোখ রাখেছিল কি সত্যিকারের ইতিহাসের দিকে?


 গত ৪৭ বছরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে — নিজেদের মত করে সাজিয়েছে ইতিহাসের বয়ান। তাদের সেই কীর্তিস্তম্ভে চাপা পড়েছে এদেশের শ্রমিক-কৃষকের কণ্ঠস্বর। যে হাড়জিরজিরে কৃষক-শ্রমিক একদিন নেংটি পড়ে জীবন মৃত্যু তুচ্ছ করে ঝাপিয়ে পড়েছিল স্বদেশকে মুক্ত করার ব্রতে, যে ছাত্র একদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর তথাকথিত ভবিষৎ ক্যারিয়ারের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়ে জীবন আহুতি দিয়েছিল দেশবাসীর স্বপ্নপূরণে — আজকে বিজয় দিবসের সভায়- স্লোগানে তাদের নাম নেই, তাদের স্বপ্নের কথা সেখানে আর উচ্চারিত হয় না। ঘর-বাড়ি, বাবা-মা, প্রিয়জনের সান্নিধ্য ছেড়ে কোন্ স্বপ্নে তারা জীবন বাজি রেখেছিল?


পাকিস্তানি প্রায়-ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণে প্রাণ ওষ্ঠাগত শ্রমিক চেয়েছিল এমন একটি দেশ — যেখানে মানবিক জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ সে সংগ্রহ করতে পারবে এমন মজুরি, কৃষক চেয়েছিল— তার শ্রমে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম সে পাবে, বারো মাস খাবার জুটবে, সন্তানের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারবে। ছাত্ররা চেয়েছিল — একটি মানুষও যেন শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, অর্থের প্রাচীর যেন শিক্ষাগ্রহণের পথে বাধা হয়ে না দাড়ায় — এমন একটি শিক্ষাব্যবস্থা। সর্বোপরি সবাই স্বপ্ন দেখেছিল এমন একটি গণতান্ত্রিক ও মানবিক সমাজের — যেখানে সমস্ত মানুষের মানবিক গুণাবলি বিকাশের সুযোগ অবারিত হবে, ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-লিঙ্গের প্রভেদ থাকবে না। সবাই স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ পাবে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরে তাদের সে স্বপ্ন কতটুকু বাস্তবায়িত হয়েছে?


মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আকাঙ্খা — স্বাধীনতার পর থেকে অদ্যাবধি সেই আকাঙ্ক্ষা বিপরীতেই দেশ পরিচালিত হয়েছে। সমাজের কোনো স্তরেই গণতান্ত্রিক চেতনার বিস্তার তো হয়ইনি বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের শাসক নির্বাচনের যে পদ্ধতি প্রচলিত বর্তমান শাসনামলে তাও ভূলুণ্ঠিত হয়েছে।


‘কম গণতন্ত্র, বেশি উন্নয়ন’ স্লোগান তুলে সরকার পাকিস্তান আমলের আইয়ুবী স্বৈরাচারী ব্যবস্থার নতুন সংস্করণ চালু করেছে। জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনামলেও এই উন্নয়নের স্লোগান আমরা শুনেছি। যে কোনো স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় জনগণকে বিভ্রান্ত ও ভুলিয়ে রাখার মন্ত্র হিসেবে এই উন্নয়নের স্লোগান একটি চটকদার বিজ্ঞাপন মাত্র। এতে বড় বড় তথাকথিত উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়।ক্ষমতাসীন সরকারও পদ্মাসেতু, ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পসহ বড় বড় প্রকল্প নিয়ে জনগণকে বোঝাতে চাইছে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। সত্যিই কি তাই? তাহলে উন্নয়ন বলতে আমরা কী বুঝবো? গণতন্ত্র বিসর্জন দেওয়াও কি উন্নয়নের লক্ষণ?



উন্নয়ন কখনো গণতন্ত্রের বিকল্প হতে পারে না। দীর্ঘ ২৩ বছরের পাকিস্তানি স্বৈরাচারী ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করে এদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিল। কারণ স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার, চাওয়া-পাওয়ার প্রতিফলন ঘটে না।


ক্ষমতার সুবিধাভোগী মুষ্টিমেয়দের স্বার্থ রক্ষিত হয়। সেই ধারাতে পাকিস্তানে গড়ে উঠেছিল ২২ পরিবার। যারা দেশের অর্থনীতি-রাজনীতি সমস্ত কিছু নিয়ন্ত্রণ করত। তাদের রাহুগ্রাস থেকে মুক্তির প্রত্যয়েই জনগণ মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। দেশ স্বাধীন করেছিল। স্বাধীন দেশেও কয়েক দফা সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশায়। সেই আকাক্সক্ষার সুযোগ নিয়ে এখন ক্ষমতাসীন সরকার সংসদীয় স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছে। ফলে শাসন পদ্ধতির দিক থেকে দেখতে গেলে এটা স্পষ্টতই পশ্চাদপসরণ, অগ্রগমন নয়।

একইভাবে উন্নয়ন মানে একটি দেশের মুষ্টিমেয় মানুষের হাতে সম্পদের পুঞ্জীভবন ও প্রবৃদ্ধি নয়, দেশের মানুষের সামগ্রিক জীবনমানের ও জীবনযাত্রার উন্নয়ন। সেই নিরিখে এদেশের মানুষের জীবনমানের কতটুকু উন্নতি হয়েছে?


পরাধীন দেশে ছিল ২২ পরিবারের রাজত্ব। আর স্বাধীন দেশে তার স্থলে গজিয়েছে ৫০ হাজার কোটিপতি। আয়কর জমা দেয়ার নিরিখে এটা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব। সম্পদের পরিমাণ গোপনীয় রাখার প্রবণতা হিসাব করলে এই সংখ্যা বাস্তবে আরও বেশি হবে। এদের হাতে কোটি টাকা থেকে শুরু করে হাজার হাজার কোটি টাকা জমা হয়ে আছে। এইভাবে গত ৪৭ বছরে একদিকে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ গড়ে তুলেছে বৈভবের পাহাড়। অন্যদিকে ৪ কোটি মানুষ এখনও দারিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে। জনসংখ্যার ২৫ ভাগ মানুষ তিনবেলা খেতে পায় না — কোনো রকমে খেয়ে না খেয়ে জীবন ধারণ করছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের থাকার কোনো জায়গা নেই। উদ্বাস্তু হয়ে ঢাকা শহরের ফুটপাতে খোলা আকাশের নীচে রাত্রিযাপন ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এইসব মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সরকারি ‘উন্নয়নে’র পরিসংখ্যানে এইসব মানুষের ঠাঁই নেই। তাহলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার সত্যিকারের চিত্র কী?


নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত সাধারণ আয়ের মানুষ বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ডাল-ভাত জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। চালের মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। এক কেজি মোটা চালও ৫০ থেকে ৬০ টাকায় ক্রয় করতে হচ্ছে। পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। এই সরকারের দু’বারের মেয়াদে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৮ বার। গ্যাসের মূল্য ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বেড়েছে গাড়ি ভাড়া-বাড়ি ভাড়াসহ সমস্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম।

শুধু অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই নয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও অবনমন ঘটছে। এই তো স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আমাদের দেশের পরিস্থিতি। উন্নতির চিত্র! রাস্তায় চলতে ফিরতে বিলবোর্ডে কিংবা সরকারি বিজ্ঞাপনে যে উন্নয়নের চিত্র আমাদের দেখানো হয় তার সাথে বাস্তব চিত্রের কোনো মিল নেই। কিন্তু কেন নেই? কেন দেশের আজ এই পরিস্থিতি তার সঠিক কারণটা কি আমরা কখনো বোঝার চেষ্টা করেছি?

মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ শ্রমিক-কৃষক-ছাত্র অকাতরে প্রাণ দিলেও, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করলেও সে যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিল এদেশের উঠতি ধনিকশ্রেণির একদল । স্বাধীনতার পর তাদের নেতৃত্বে সেই ধনিক শ্রেণির স্বার্থরক্ষার জন্য পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। আর পুঁজিবাদী অর্থনীতির মূল নিয়মই হলো শোষণ। শোষণ করেই মালিকের মুনাফা বাড়ে। তাই মালিক শ্রেণির দল হিসেবে ক্ষমতায় এসে বুর্জোয়া রাজনৈতিক দলগুলো মালিকদেরই স্বার্থ রক্ষা করে, মালিকদেরই উন্নয়ন হয়। তাই এদেশে আজ ২ জন কোটিপতির জায়গায় ৫০ হাজার কোটিপতি তৈরি হয়।

 অন্যদিকে দারিদ্র্য বাড়ে, বৈষম্য বাড়ে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের ৪৭বছর পর প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির খতিয়ান মেলাতে চাইলে আমাদের একথা বুঝতে হবে — শোষণমুক্ত মানবিক সমাজ গড়ে তুলতে হলে শোষণের বৃষবৃক্ষ যে পুঁজিবাদ — তাকে উপড়ে ফেলতে হবে। সমাজতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। না হলে শোষণমুক্তির স্বপ্ন শুধু স্বপ্নই থেকে যাবে।


মো:মেহেদী হাসান।
হিসাবরক্ষক, কালটেক্স পেট্রোলিয়াম।
মালয়েশিয়া।
২৭/০৩/২০১৮ ইং

রক্তদানের মাধ্যমে ২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালন করলো সামাজিক সংগঠন পলাশের পাপড়ি

শেখ রাসেল, পলাশ:
পলাশ উপজেলার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় পলাশে আত্নপ্রকাশ করল একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক একটি সামাজিক সংগঠন পলাশের পাপড়ী। আজ সকাল ১১ টায় স্পাইসি গার্ডেন রেষ্টুডেন্টে সদস্যদের অংশগ্রহন আলোচনা এবং কেক কাটার মাধ্যমে আত্নপ্রকাশ করে সংগঠনটি। এরপর রক্তদানের মাধ্যমে সংগঠনটির সদস্য শেখ রাসেল মাহমুদ তারামিয়া হাসপাতালে একজন রোগিকে রক্তদিয়ে তদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শূরু করে। সংগঠনটি পলাশ উপজেলায় শিক্ষামুলক   ,রক্তদান,সবুজ বনায়ন,মাদক বিরোধী,দারিদ্র দূর করার লক্ষ নিয়ে কাজ করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শেখ রাসেল মাহমুদ, তৌকির আহম্মেদ,শাহিদূজ্জামান,হজরত আলী,মাকসুদ,ইয়াছির আরাফাত,রাজিব শেখ
নাহিদসহ অন্যন্যা সদস্যবৃন্দ। সবার অংশগ্রহন এবং আন্তরিক সহযোগীতায় সমাজে ভাল কাজ করার মধ্যদিয়ে টিকে থাকবে পলাশের পাপড়ী। সদস্যরা আশাবাদী সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে সবসময় কাজ করবে পলাশের পাপড়ী।

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কর্মসূচী

 জহিরুল ইসলাম, নরসিংদী:
নরসিংদীতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।আজ সোমবার (২৬ মার্চ) নরসিংদীতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবসটি পালন করা হচ্ছে। সকালে ফুলে ফুলে ভরে উঠেছে নরসিংদী জেলা প্রশাসক অভ্যন্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দলমত নির্বিশেষে সেখানে হাজির হয়েছে লাখো মানুষ।ভোর ৬টায় নরসিংদীর জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাওনাইন, পুলিশ সুপার সাইফুল্লা আল-মামুন, জেলা মুক্তিযোদ্ধার কমান্ডার আঃ মোতালিব পাঠান এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা শহীদের শ্রদ্ধা নিবেদন করার জন্য পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ, সিনেমা হলে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, এতিমখানা ও জেলখানায় উন্নতমানের খাবার বিতরণ, শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি ও ডিসি হলে স্বাধীনতা উৎসবে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীতে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ সেই ভয়াল কালরাত্রি স্মরণে নরসিংদীতে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
আজ রবিবার জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে জেলা সার্কিট হাউজ থেকে শিল্পকলা একাডেমী পর্যন্ত এ মোমবাতি প্রজ্বলনে অংশগ্রহণ করেছেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাওনাইন, পুলিশ সুপার সাইফুল্লা আল-মামুন এবং হাসিবুল আলম ও ৬ টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।উক্ত অনুষ্ঠানে মোমবাতি জ্বেলে শহীদদের স্মরণ করেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গ, নরসিংদীর সকল কলেজের শিক্ষকবৃন্দ, শহীদ-বুদ্ধিজীবির পরিবার, ছাত্র-ছাত্রী ও নানা পেশার মানুষেরা। উক্ত অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমীতে বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভা আয়োজন করা হয়েছে।জেলা শিল্পকলার বিভিন্ন শিল্পীরা গান ও কবিতা পরিবেশন করবেন। এছাড়া স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জেলা শিল্পকলায় থাকছে আকর্ষণীয় দলীয় নৃত্য নাচ।
২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে রোজ সোমবার সকাল ৭ টায় জেলা প্রশাসকের উদ্ব্যোগে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে এবং মোসলেহ উদ্দিন ভূঁইয়া ষ্টেডিয়ামে সকল পেশার মানুষদের একত্র করে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে।

নরসিংদী জেলা প্রশাসনের ব্যতিক্রমী প্রচারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
২৬ মার্চসহ সকল জাতীয় দিবস ও বিশেষ দিনে জাতীয় পতাকার বিধিবদ্ধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রচারণা চালিয়েছে নরসিংদী জেলা প্রশাসন। রোববার সকালে ব্যতিক্রমী এই কর্মসূচীতে অংশ নেন নরসিংদী জেলা প্রশাসন, জেলা তথ্য অফিসসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। নরসিংদীর মুছলেউদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে ডিসি রোডের বিভিন্ন পয়েন্টে সচেতনতামূলক এই লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। 
এসময় নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মো: সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সুষমা সুলতানা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকটনিক মিডিয়ার সংবাদর্কমীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

আওয়ামীলীগ নেতার বৌ নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার পলায়ন

ফেনীর প্রতিনিধি: 
ফেনীর দাগনভূইয়ার মাতুভূইয়া ইউনিয়নের আফ্রিকা প্রবাসি ইমাম হেসেন টুটুলের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার সাথী পরকিয়া প্রেমের জের ধরে ঘর ছেড়েছে। মঙ্গলবার(৬মার্চ) সকালে ফেনী সরকারী কলেজে অনার্স পরিক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে সে আর ঘরে ফেরেনি।
স্থানীয় সুত্র জানিয়েছে,  ইমাম হেসেন টুটুল দাগনভূইয়ায় থাকাকালীন সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ছিলেন এবং প্রবাসেও রাজনীতির সাথে জড়িত।    
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারী দাগনভূইয়ার মাতুভূইয়া ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের সৈয়দ আমিন বাড়ির খবির আহাম্মদের দক্ষিন আফ্রিকা প্রবাসি ছেলে ইমাম হোসেন টুটুলের সাথে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার আহাম্মদপুর গ্রামের চাপরাশি বাড়ির নূরনবীর মেয়ে ফাতেমা আক্তার সাথীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়।বিয়ের পর ফাতেমা তার পড়ালেখা চালিয়ে যাবে মর্মে ফেনী সরকারী কলেজে ভর্তি হয়। বিয়ের দুই মাস পর তার স্বামী টুটুল জীবিকার সন্ধানে আবার আফ্রিকায় চলে যায়। বছর খানেক পর থেকে সাথীর প্রতি তার স্বামীর সন্দেহ জাগে।পরে সে গত ডিসেম্বর মাসে বাড়িতে আসে। এরপর সে জানতে পারে তার স্ত্রী সাথীর তার কলেজ বন্ধু ফেনী সরকারী কলেজ অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র দাগনভূইয়া আলাইয়ারপুর গ্রামের হাছান আহাম্মদ দুলালের ছেলে তানবির মাহমুদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে সে তার স্ত্রীকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করে। এতে টুটুল তাকে বুঝাতে ব্যর্থ হয়।মঙ্গলবার (৬ মার্চ) টুটুলের শ্বশুর বাড়ি থেকে তার স্ত্রী অনার্স পরিক্ষা দেওয়ার জন্য কলেজে গেলে সে আর বাড়ি ফেরেনি। এব্যাপারে দাগনভূইয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, মেয়েটির বাবা ও স্বামী থানায় এসে বিষয়টি জানিয়েছে। তারা ধারনা করছে মেয়ে তানবির নামে ওই ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে। তানবির দাগনভুইয়া পৌর ছাত্রলীগের অন্যতম নেতা।

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

হুট করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই : মোস্তফা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রতিমূহুর্তে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জিকির করা সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চপাটাঘাত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বেপারীরা শুধু ইতিহাস চূড়ি নয়, নতুন নতুন ইতিহাস নির্মান করছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, সরকারের অপশাসন আর অপকর্মেও বিরোধীতা করলে মুক্তিযোদ্ধা আর স্বাধীনতা পক্ষের লোকেরাও রাজকার হয়ে যায়। আর তাদের এই কাজে সাহায্য করে একশ্রেণীর পদলেহনকারী বুদ্ধিজীবীরা।

শনিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘২৩মার্চ ন্যাপ‘র পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এক দফা দাবী ঘোষনার স্মরণে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, হুট করেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয় নাই, মুক্তিযুদ্ধ হুট করে শুরু হয়নি। বাংলার জনগনকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিলেন মওলানা ভাসানী। ১৯৭১ সালের ৭মার্চের পর ৯মার্চ মওলানা ভাসানী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সমর্থন দিয়েছিলেন। সেই সময় ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবসে পল্টনে মওলানা ভাসানীর পক্ষে তৎকালীন ন্যাপ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়া পল্টন ময়দানে দলের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার দাবী তুলে ধরেন এবং পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে ফেলেন। আজ ইতিহাস থেকে সেই ঘটঠনাও মুছে ফেলা হয়েছে। শুধু আওয়ামী বিরোধী হবার কারণে ইতিহাস থেকে অনেক কিছুই মুছে ফেলার চেষ্টা চলছে। যা কখনোই শুভ লঙ্খন নয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিশেষ ব্যক্তি, গোষ্টি বা দলের একক অবদান দাবী করে প্রকারান্তরে যারা ইতহাসকে বিকৃতি করছে তাদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না।

তিনি বলেন, জাতি হিসাবে আমাদের শ্রেষ্ঠ অর্জন হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। আর শ্রেষ্ঠ অর্জনকে অর্জিত করতে যে মওলানা ভাসানীসহ যারাই জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তৈরী করেছেন তাদেরও সকলকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন জাতি হিসাবে আমাদের কর্তব্য। তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হলে বাংলাদেশের সঠিক ইতিহাস নির্মান করতে হবে নির্মোহভাবে।

ন্যাপ ঢাকা মহানগর সদস্য সচিব মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক আহসান হাবিব খাজা, মো. কামাল ভুইয়া, নির্বাহী সদস্য এডভোকেট আবদুস সাত্তার, নগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আনছার রহমান শিকদার, প্রিন্সিপাল নজরুল ইসলাম, যুবনেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

ধুলার দখলে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়ক: চরম ভোগান্তিতে জনসাধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের একমাত্র বস্ত্র শিল্প খ্যাত শহরের নাম নরসিংদীর মাধবদী বাবুরহাট। এ হাটে উত্তরবঙ্গের ক্রেতা-বিক্রেতা ও পার্শ্ববর্তী জেলা শহর থেকে যাতায়াত করে হাজার হাজার জনসাধারণ। নরসিংদী জেলায় প্রবেশ মূখে সড়ক সংস্কার জন্য ধুলার দখলে রয়েছে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা সড়ক, তাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ি ও জনসাধারণদের।
২৩ মার্চ শুক্রবার সরজমিনে দেখা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাঁচদোনা থেকে ঢাকা-টঙ্গি সড়কের ঘোড়াশাল শহীদ ময়েজ উদ্দিন সেতু পর্যন্ত সাড়ে আট কিলোমিটার সড়কটি সংস্করণ কাজ চলায় পুরো সড়কেই ধুলাময় হয়ে গেছে। ধুলার কারণে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলছে। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যানবাহন ও যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে চরম বিপাকে। এছাড়াও সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজট লেগে থাকায় ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিয়ে সময় লাগছে দুই থেকে তিন ঘন্টা। সড়কের আশপাশের ঘর-বাড়ি, দোকান আর গাছপালাও এখন ধুলায় ছেয়ে গেছে। সড়কটি দিয়ে চলাচলের সময় ধুলায় কিছুই দেখা যায় না। এমনকি নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয় চালক ও যাত্রীদের। সড়কের সংলগ্ন স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করা ও মসজিদে নামাজ আদায় করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশের বেশির ভাগ পরিবারের সদস্যরা শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরণের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান তারা। সড়কের কয়েকটি স্থানে নাম মাত্র পানি দিয়ে ভিজিয়ে কিছু সময়ের জন্য ধুলা নিবারণ করলেও সেটা কোনো কাজে আসছে না।
পাঁচদোনা থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি অটোরিক্সা চালক নজরুল ইসলাম ও পিকআপ ভ্যানের চালক সেলিম মিয়া জানান, সামনে থাকা যানবাহন চলে গেলে পেছনের যানবাহনের চালক ধীর গতিতে যান চালিয়ে থাকেন। এতে সময় বেশি লাগছে। তাছাড়া ধুলার কারণে সামনে প্রায় ২৫/৩০ গজ গিরে কিছুই দেখা যায় না। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে আমাদের।
উত্তর বঙ্গের হাজি খালেক ব্যাপারী খোলা কাগজকে জানান, প্রতি সপ্তাহে বাবুর হাটে কেনাকাটার জন্য আসতে হয়। সব পথ পারি দিয়ে ঘোড়াশাল-পাঁচদোনা অতিক্রম করতে সময়ে বিঘ্ন ঘটে। তাছাড়া এ রাস্তায় অতি মাত্রায় ধুলা-বালিতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে শারীরিক অসুস্থ হয়ে পরছে।
পাঁচদোনার ভাটপাড়া এমসি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বরুণ চন্দ্র দাস জানান, এই সড়কের পাশে ভাটপাড়া এমসি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়কের ধুলাবালি ও যানযটের কারণে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া এই সড়কের ধুলাবালি শ্রেণি কক্ষে প্রবেশ করে পাঠদানে বিঘ্ন হচ্ছে। প্রতিদিনই দুই চারজন শিক্ষার্থীর অসুস্থতার ঘটনাও ঘটছে। সড়কে নিয়মিত পানি ছিটানোর কথা বললেও ঠিকাদাররা এর কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।
এসব বিষয়ে নরসিংদী সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, উন্নয়ন প্রকল্পের ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের পাঁচদোনা-ঘোড়াশাল সড়কের কাজ গত ডিসেম্বর মাসে চালু হয়। আশা করছি আগামী সেপ্টম্বরের দিকে এর কাজ শেষ হবে। ধুলাবালির বিষয়ে তিনি জানান, রাস্তা নির্মাণের কাজ চললে একটু আকটু ধুলাবালি ও যানযট লাগবেই।

নরসিংদীর শিবপুরে এক গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা

শিবপুর  প্রতিনিধি:
নরসিংদীর শিবপুরে নার্গিস বেগম নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন তার স্বামী লোকমান হোসেন। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় নরসিংদীর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (২৪ মার্চ) সকালে শিবপুর উপজেলার লাখপুর দড়িপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে হত্যার ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাজমিস্ত্রী লোকমান হোসেন তার স্ত্রী ও বাবা-মায়ের সঙ্গে ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন তারা দুই জন ছাড়া বাকিরা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। সকালে লোকমান হোসেনের চিৎকারে শুনে এলাকাবাসী গিয়ে নার্গিস বেগমকে মৃত দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। অচেতন অবস্থায় তার স্বামী লোকমানকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরেই গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী, এসময় সেও আহত হয়েছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত কারণ ও রহস্য জানা যাবে।

শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
জেলার সদর উপজেলার চরাঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫ জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। শুক্রবার সকালে উপজেলার করিমপুরের ভগারগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।টেঁটাবিদ্ধরা হলেন— ভগারগঞ্জ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. মোস্তাফা (৩২), আব্দুল হাসেমের দু’ছেলে আমির আলী (৫৫) ও জমির আলী (৫০), জহর আলীর ছেলে হবি মিয়া (৭০) এবং আলমগীর হোসেন।

আহতদেরকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে আলমগীর হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানাযায়, ভগারগঞ্জ গ্রামের কামাল হোসেনের সাথে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য বাচ্চু মিয়ার বিরোধ চলে আসছিলো।এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় কামাল হোসেন যোগদানের জন্য আসলে বাচ্চু মিয়ার গ্রুপের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়।

এরই জের ধরে সকালে বাচ্চু মিয়া তার দল বল নিয়ে কামাল গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারিছ মিয়ার বলেন, গতকাল নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের জনসভায় কামাল হোসেন যোগদানের জন্য আসলে বাচ্চু মেম্বার গ্রুপের সাথে কামাল গ্রুপের ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই জের ধরে আজ সকালে বাচ্চু মেম্বার তার দল বল নিয়ে কামাল গ্রুপের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
নরসিংদী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাফফর হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিএনপির মরা গাঙ্গে আর কখনও জোয়ার আসবে না ওবায়দুল কাদের

 নিজস্ব প্রতিবেদক: 
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি তাঁদের গঠনতন্ত্র থেকে রাতের আধারে এক কলমের খোঁচায় ৭ ধারা কেটে দিয়েছে। সেই ধারায় বলা আছে কোন দন্ডিত দুর্নীতিবাজ বিএনপি করতে পারবে না। তাই দুর্নীতিবাজ দন্ডিত খালেদা জিয়াকে বাঁচাতে তারা গঠনতন্ত্রই বদলে ফেলেছে। তাই তারা দুর্নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাই তারা এখন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ ও দেউলিয়াগ্রস্ত দল।’
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নরসিংদীর মোসলেহ উদ্দিন ভুইয়া স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির মরা গাঙ্গে আর কখনও জোয়ার আসবে না। গত নয় বছর ধরে শুধু আন্দোলনের কথা শুনছি। কখনও দেখি নাই আন্দোলন করতে। তাঁরা শুধু বলছে আন্দোলন এই মাস না, ওই মাস। রোজার ঈদের পর না, কোরবানীর ঈদের পর। এরপর আবার বলে পরিক্ষার পর। এরকম করতে করতে নয় বছর পার করে দিয়েছে। এরকম করতে করতে বিএনপি এখন দেউলিয়ার দল হয়ে গেছে। ’প্রধান অতিথি আরও বলেন, মনোনয়প্রত্যাশীদের বলছি আপনাদের উপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয় মাস পর পর জরিপ করছেন। যারা জরিপে এগিয়ে থাকবেন, তারাই মনোনয়ন পাবেন। জবরদস্তি করে কেউ মনোনয়ন পাবেন না। আর আপনারা কেউ দলের নাম ব্যবহার করবেন না- যে নেত্রী আমাকে গ্রীন সিগন্যাল দিয়েছে, দলের সাধারণ সম্পাদক আমাকে কানে কানে বলছে কাজ করার জন্য। প্রার্থী হন কিন্তু দলের ক্ষতি করবেন না। আপনারা একে অপরের অপপ্রচার করবেন না। দলের কারও সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করবেন না। যাতে পরে তা প্রভাব না পড়ে। দলের প্রার্থী এখন নৌকা।জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পানিসম্পাদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে জনসভায় অনন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, মুকুল বোস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সদস্য সাংসদ নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, আকতারুজ্জামান, রিয়াজুল কবির কাওছার, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, সাংসদ সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সাংসদ আনোয়ারুল আশরাফ খান দিলীপ, জহিরুল হক ভুইয়া মোহন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মতিন ভুইয়া, নরসিংদী পৌর মেয়র কামরুজ্জামান কামরুল প্রমুখ।

প্রকৃতি নিয়ে আতিউর রহমান এর “সবুজ প্রতিশ্রুতি” গাইলেন অনিন্দ্য সেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকৃতি নিয়ে ড. আতিউর রহমান বুলবুল এর “সবুজ প্রতিশ্রুতি” গাইলেন অনিন্দ্য সেন
মার্চ মাসের বিশ তারিখে ভিডিও আকারে অনলাইনে মুক্তি পাচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকের একটি গান, “সবুজ প্রতিশ্রুতি”। ড. আতিউর রহমান বুলবুল এই গানের কথা সাজিয়েছেন। গানটি সুর করেছেন এবং গেয়েছেন অনিন্দ্য সেন। মিউজিক প্রডাকশন এবং এ্যারেঞ্জমেন্ট করেছেন স্বস্তি চট্টোপাধ্যায়। কোলকাতার Sonic Studio’তে গানটির রেকর্ডিং হয়েছে। ভিডিও করেছে কোলকাতাস্থ Tea Time Movies। ভিডিও নির্দেশনা এবং সম্পাদনা করেছেন দেবু রামশঙ্কর এবং  সহযোগিতায় ছিলেন বসন্ত। Tea Time Movies’র নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে মুক্তি পাবে “সবুজ প্রতিশ্রুতি”। গানটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে Sonic Studio এবং Tea Time Movies।

গতানুগতিক যুগল প্রেম বাদ দিয়ে, প্রকৃতিকে নিয়ে এই গান লেখা সম্পর্কে গীতিকার বলেন “আমার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং পেশাগত অভিজ্ঞতার সাথে প্রকৃতির যোগসূত্র অত্যন্ত গভীর”। জীবনের অভিজ্ঞতাই গান লেখার অনুপ্রেরণা। পেশাগত জীবনের ব্যস্ততার মাঝে সময় করে মনের টানেই গান লেখা। শ্রোতাদের ভালোবাসা পেলে মনে রাখার মত কিছু কাজ করে যেতে চান। অনিন্দ্য সেন কলকাতা’র একজন বিশিষ্ট কণ্ঠ শিল্পী এবং মিউজিসিয়ান। দীর্ঘদিন যাবত পেশাগত জীবনের সব দায়িত্বের মাঝেও গান করে যাচ্ছেন মনের তাগিদে । সব ধরনের গানেই দক্ষ এই শিল্পী তাঁর নতুন গান সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন “গানের কথাগুলি খুব সুন্দর, ভাবনা খুব নতুন ধরনের, তাই সুর আর এ্যারেঞ্জমেন্টে contemporary স্টাইল বেছে নিয়েছি। আশা করি শ্রোতারা ভিন্ন ধারার এ গানটি পছন্দ করবেন”। ভবিৎষ্যতে এই গীতিকারের সাথে আরও কিছু কাজ করে যাবেন ।

গীতিকার গানের সুর সম্পর্কে বলেন “সবুজ প্রতিশ্রুতি” গানের চমৎকার একটা সুর হয়েছে । গানের আঙ্গিক, কথা, থিম এবং আবেদন এই সব কটা দিকই অনিন্দ্য খুব সুন্দর ভাবে বাঁধতে পেরেছেন তাঁর নতুন ধরনের সুরে । আশা করছেন গানটি রুচিশীল শ্রোতাদের মনে রেখাপাত করতে সক্ষম হবে। আগামী দিনের কাজ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে গীতিকার বলেন “প্রচলিত ধারা থেকে আলাদা কিছু গান করতে চাই”। নতুন থিমে, কথায় কিছু গান, যে গান জীবনের কথা বলে এবং শ্রোতাদের মনে দেয় ভাবনার খোরাক। উল্লেখ্য, প্রায় তিন মাস আগে আতিউর রহমান’র লেখা, ইন্দ্রনীল মিত্র’র সুরে এবং ইমন চক্রবর্তী’র কণ্ঠে, “বলবে না পিছুটান” গানটি শ্রোতাদের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।

মার্চের একুশ তারিখে আন্তর্জাতিক বন দিবস (International Forest Day)। এই দিনটি উপলক্ষ করেই গানের মুক্তির দিন ঠিক করা। গানের কথায় একটা আশাব্যঞ্জক বার্তা আছে। আশা করা যায় এই গান বন দিবস এবং প্রকৃতি সম্পর্কে শ্রোতাদের সচেতন করতে সহায়ক ভুমিকা রাখবে।

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীর রায়পুরায় টাকা না দেয়ায় নববধুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

সুজন বর্মণ দীপ, নরসিংদী:
নরসিংদীর রায়পুরায় এক নববধুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রায়পুরা উপজেলার ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় রাতে নববধুর স্বামী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় ৫ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও নববধুর পরিবার সূএে জানা যায়, গত ১৪মার্চ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এই দম্পতি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মঙ্গলবার রাতে ওই নব দম্পতি নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকলে রাত প্রায় ২টার দিকে স্থানীয়  ফারুক ওরফে ইয়াবা ফারুক এর নেতৃত্বে অলি মিয়া, স্বপন, আলম ও আনোয়ার সহ প্রায় ৭/৮ জন নিয়ে তাদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে। সেসময় তারা ওই নব দম্পতির কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা দাবী করে। নতুবা তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখায়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তারা উত্তেজিত হয়ে নব দম্পতির উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। পরে ভয়ে ১০হাজার টাকা দিলে তারা ওই নববধুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং বাকী ৪০হাজার টাকা পরিষোধ করা হলে তার স্ত্রীকে ফেরত দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেয়। নববধুটিকে তারা রাতে স্থানীয় ফারুকের বাড়িতে রাখে। পরে ভোরে তাকে স্থানীয় ডৌকারচর ই্উনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে তাদের সাথে থাকা অলি মিয়া নববধুটিকে ধর্ষণ করে।
নববধুর স্বামী রাতে অনেক খুজাখুজি করে না পেয়ে সকালে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ খবর পেয়ে বুধবার দুপুরের দিকে ডৌকারচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নববধুকে উদ্ধার করে রায়পুরা থানার নারী সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়। পরে রাতে নববধুর স্বামী বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় ৫জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন তারা।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: দোলোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ধর্ষিত নববধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নববধুর স্বামী রায়পুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় কাউকে এখনো পর্যন্ত আটক করা হয়নি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন মনোহরদীতে আনন্দ শোভাযাত্রা

সুজন বর্মণ দীপ, নরসিংদী:
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের অভিযাত্রায় দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের তালিকায় উঠে এসেছে।
এ উপলক্ষ্যে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকালে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়েছে। উপজেলা চত্বর থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের হয়ে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। এ সময় অন্যান্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াশীষ রায়, উপজেলা প্রকৌশলী আবদুস সাকের, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লায়ন এম এস ইকবাল আহমেদ ও ইউআরসি ইন্সট্রাকটর ইমরান হাসান ভূঞা প্রমুখ।
শোভাযাত্রায় উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা, মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।


মালয়েশিয়ায় স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের নির্বাচনে সভাপতি শরিফুল ও সা. সম্পাদক অরুনিমা

মালয়েশিয়া প্রতিনিধি:
 গত ১৮ই মার্চ, ২০১৮ রবিবার কুয়ালালামপুরের মাহ্শা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ২০১৮ সালের পূর্ণাঙ্গ এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

সভায় সর্ব সম্মতিক্রমে মাহ্শা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শরিফুল ইসলামকে সভাপতি ও আইইউকেএল-এর শিক্ষার্থী অরুনিমা হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের বিদায়ী সভাপতি জেড আর জিয়া’র সভাপতিত্বে মুত্তাকিন শাফায়াতের সঞ্চালনায় এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহশা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মাদ আবুল বাসার, বাইনারি গ্রাজুয়েট স্কুলের ডিন প্রফেসর আসিফ মাহবুব করিম ও এনামুল হক ও সায়েদ মিনহাজুর রহমান মিনহাজ।

অধ্যাপক মোহাম্মাদ আবুল বাসার ২০১৮ সালের ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার ৫৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইউএম-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোহাম্মাদ মহিউদ্দিন মাহি ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রবিউল ইসলামের করা গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মালয়েশিয়ার ৫৫টি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সম্মতিক্রমে এ কমিটি করা হয়েছে বলে জানান নতুন সভাপতি শরিফুল ইসলাম।

নতুন কমিটি প্রসঙ্গে সভাপতি মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম বলেন, “মালয়েশিয়াতে সমস্যা জর্জরিত শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এ সংগঠন বরাবরের মতো কাজ করে যাবে এবং বিশ্বের দরবারে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে।

নবীনগরে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ট্রাক্টর সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে

মো.আক্তারুজ্জামান,নবীনগর প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া,নবীনগর উপজেলার চাষাবাদের জন্য আমদানীকৃত লাইসেন্স বিহীন ট্রাক্টর এখন অবৈধ ট্রাক বা ট্রলি অবাধে চলাচলের জন্যে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে।
কৃষি উন্নয়নের জন্য এসব ট্রাক্টর আমদানী করা হলেও মালিকরা এগুলো ব্যবহার করছে ইট,বালু,মাটি,কাপড়, তরিতরকারী ও ফার্ণিচার ইত্যাদি মালামাল পরিবহনের কাজে। ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচল গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ভেঙ্গে চুরমার করে দিচ্ছে। কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করছে। জমি খুড়ে গ্রাম থেকে বালু বহন করে আনছে,নবীনগর সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে।
ট্রাক্টরের অত্যাচারের মুখে গ্রাম ও নবীনগর পৌর
শহরের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
রোড পারমিশনবিহীন ট্রাক্টর ও লাইসেন্স-সনদবিহীন ড্রাইভারদের কারণে রাস্তা-ঘাটে চলাচলকারী মানুষ সার্বক্ষণিক উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে চলাচল করছে। চোখের সামনে অবৈধ এই বাহনের অবাধ চলাচল দেখেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,নবীনগর উপজেলা সহ দেশের কৃষি উন্নয়ন তথা চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করার জন্য এসব ট্রাক্টর বিদেশ থেকে আমদানীর সুযোগ দেয় সরকার। সরকারি সুযোগ পেয়ে এক শ্রেণির আমদানীকারক অবাধে আমদানী করে ট্রাক্টর। আমদানীকারকরা এসব ট্রাক্টর বিক্রি করে ইটভাটার মালিক, মাটি ও বালু ব্যবসায়ি, কাঠ ব্যবসায়ি, তরিতরকারি ব্যবসায়ি, লোহা ব্যবসায়ি, শিল্প মালিকসহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়িদের কাছে। ট্রাক্টর ও এর ড্রাইভারের জন্য কোন লাইসেন্স‘র প্রয়োজন না হওয়ায় এসব পরিবহন ব্যবসায়িরা স্বল্প মূল্যে সহজেই কিনে আনে এসব ট্রাক্টর সমূহ। তারা এসব ট্রাক্টর কিনে কৃষি কাজের পরিবর্তে পরিবহন কাজে ব্যবহার করায় গ্রামগঞ্জে ও শহরে ট্রাক্টরের সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পায়। ট্রাকের চেয়ে ট্রাক্টরের ভাড়া কম হওয়ায় এই ট্রাক্টরের চাহিদাও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। নবীনগর উপজেলাতে কত সংখ্যক ট্রাক্টর রয়েছে তা জানার সহজ কোন উপায় নেই। তবে বেসরকারি হিসেব মতে কমবেশি শতাধিকের উপরে ট্রাক্টর এখন নবীনগর পৌর শহর, গ্রামগঞ্জের রাস্তায় অবাধে চলাচল করছে। এই ট্রাক্টরের লৌহ নির্মিত চাকার নিচে পিষ্ট হয়ে পিচঢালা পথে পিচ উঠে যাচ্ছে। পাকা রাস্তার পেভমেন্ট ভেঙ্গে যাচ্ছে। গ্রামের মেঠো পথগুলোর মাটি আলাদা হয়ে জমিতে মিশে যাচ্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স‘র প্রয়োজন না হওয়ায় ১৫ থেকে ২০ বছরের শিশু-কিশোররাও এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। বেপরোয়া গতি ও কানফাটা আওয়াজে চলাচলকারী এসব ট্রাক্টরের কারণে গ্রাম ও নবীনগর পৌর শহরগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দুষণ দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে কেউ কার্যকরী পদক্ষেপও গ্রহণ করছে না। নবীনগর,পৌরসভা সহ উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে রয়েছে অনেক স-মিল, গরুর হাট, তরকারীর পাইকারী বাজার, ইটভাটা, বালু মহল, কলা বাজার সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হচ্ছে ট্রাক্টর। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে নবীনগর উপজেলার জনপথের সমস্ত উন্নয়ন ধ্বংস হয়ে যাবে

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীর মাধবদীতে অজ্ঞাত মহিলা খুন

সুজন বর্মণ দীপ,নরসিংদী:
নরসিংদীর মাধবদীতে অজ্ঞাত (৪০) এক মহিলাকে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রাতে কোন এক সময় খুন  করা হয় এমনটাই ধারনা করছে স্থানীয়রা। ঘটনাটি সদর উপজেলার মদনগঞ্জ রেল সড়কের পশ্চিম পার্শে কোতালীরচর এলাকার নির্মানাধীন একটি মিলে ঘটে। এখনোও নিহতের পরিচয় সনাক্ত করা যায় যায়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায় গতকাল রাতের কোন এক সময় মহিলাটিকে খুন করা হয়েছে। সকালে এলাকার লোকজন বিষয়টি পুলিশকে অবহিত তারা লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পরনে কিছুই ছিলো না। পরে অন্য এক মহিলার সহযোগিতায় পুলিশ তার গায়ে ওড়না দিয়ে লাশ ঢেকে দেয়। পুলিশ বলছে ধর্ষনের পর খুন করা হয়েছে  কিনা তা ময়না তদন্তের পরেই জানা যাবে।
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে কি কারনে হত্যা করা হয়েছে তা এখনো জানা য়ায়নি। এ হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ করছে।

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদীতে পোল্ট্রি ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন

সুজন বর্মণ দীপ:
নরসিংদী ক্ষুদ্র ও মাঝারী পোল্ট্রি ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে ৫ দফা দাবী বাস্তবায়ন করতে মানববন্ধন করেছে নরসিংদী জেলা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন। সোমবার সকাল ১১ টা থেকে ১২টা পর্যন্ত নরসিংদী প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জেলার সকল পোল্ট্রি ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নরসিংদী জেলা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন এর সভাপতি ওমর ফারুক মিয়ার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা পোল্ট্রি ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ওসমান মিয়া ও নরসিংদী জেলা ফিস এ্যান্ড পোল্ট্রি ফিড মিল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুমন মিয়াসহ জেলার পোল্ট্রি ব্যবসায়ীগণ।
বক্তারা বলেন, বড় বড় কোম্পানীগুলোর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে উচ্চমূল্যে বাচ্চা ও খাদ্য ক্রয় করে অনেক কমমূল্যে পরিণত মুরগীর মাংস ও ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে সাধারণ পোল্ট্রি খামারী ও ব্যবসায়ীর জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন ও কষ্টের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জরুরী ভিক্তিতে সরকারের নীতিমালা জারির দাবী জানান বক্তারা।
মানববন্ধন শেষে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন পোল্ট্রি ব্যবসায়ী নেতারা।
দাবীগুলো হলো, সারাবছর ব্রয়লার ও লেয়ারের বাচ্চা, খাদ্য এবং পরিণত বয়সের মুরগীর মাংস ও লেয়ারের মুরগির ডিমের মূল্য এক রাখা। যে সকল দেশী-বিদেশী কোম্পানী বর্তমান সরকারের ২০২১ সালের স্বপ্ন বাস্তবায়নের দেশীয় স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ঐ সকল ব্যবসায়ীদের শৃঙ্খলারয় আনতে বাধ্য করা। কোন অবস্থায় দেশী ও বিদেশী কোম্পানি পোল্ট্রি বাচ্চা ও খাদ্য বিক্রয়ের লক্ষ্যে সাধারণ খামারীদের ক্ষতি সাধন হয় এমন কোন সিদ্ধান্ত কার্য সম্পাদক করতে না দেয়। কোন অবস্থায় দেশী ও বিদেশী কোম্পানি বাণিজ্যিকভাবে ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগী পালন না করতে বাধ্য করা ও জাতীয় আর্ন্তজাতিক কোম্পানীদেরকে এ নীতিমালায় আনতে বাধ্য করা।



শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৮

কবি শাহীন চৌধুরী ডলি’র কবিতা -"আজ খোকার জন্মদিন"



আজ খোকার জন্মদিন
- কবি শাহীন চৌধুরী ডলি

টুঙিপাড়ায় জন্ম নেয়া খোকা
একসময় হয়ে উঠলে শেখ মুজিবুর রহমান,
তুমি আছো সর্বত্র
যারা বলে তুমি নেই তারা অথর্ব
তারা অন্ধ তারা মুক।


তুমি আছো বাংলার জলে স্থলে অন্তরীক্ষে
তুমি আছো মিশে শ্যামল দূর্বা ঘাসে
পলাশ শিমুল শাপলা শালুকে
দোয়েল কোয়েল পাখির শিষে।


তোমার কথা বলে চাঁদ তারা সূর্য
জড়িয়ে আছো মায়ের শাড়ির আঁচলে
বোনের মমতা, বাবার অশ্রুজলে ।

রঙধনু সাত রঙে তোমার আবির ছড়ানো
নদীর কুলুকুলু ধ্বনি তোমায় স্মরণ করে
সাগরের ফেনিল স্রোতে তোমার স্বপ্ন খেলে,
তুমি শিশুর মতন সরল আবার বজ্রদীপ্ত কঠিন
কোন রক্তচক্ষুর কাছে করোনি মাথা নত
গাইতে সাম্যের গান, করতে না ভেদাভেদ
তোমার কাছে আমাদের বহু ঋণ।


তোমাকে সালাম বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতাদের তুমি অন্যতম,
জাতিসংঘে দাঁড়িয়ে বাংলায় দিয়েছ ভাষণ
কাউকে ডরাওনি, করোনি অংগুলি হেলন
বলতে কেউ দমাতে পারবে না আমাদের।
এমন তেজোদৃপ্ত নেতা আসবে কি আর
বাংলার ঘরে?


তোমার বজ্রকঠিন স্বরে জাগ্রত হয়েছে ভূমি
কেঁপেছে শত্রুদল, কাঁপিয়েছ শত্রুর মসনদ
তুমি না এলে ধরায় পেতাম না স্বাধীনতা,
পরাধীনতায় শৃংখলিত থাকতো জীবন
মানতেই হতো রক্তচোষাদের অধীনতা ।


ষোল কোটি বাঙালির তুমি চোখের মণি
আকাশ বাতাস হাসে সাথে গেরুয়া বনভূমি
শহর গ্রাম নগর বন্দরে আলোর ঝলকানি ।


তোমার চেতনার রোপন করা বীজ
মহীরুহ হয়ে ডালপালা মেলে
কোটি তরুণ যুবার রোল মডেল হলে
তবু থাকে কিছু সংশয়
পরপার থেকে দেখতে কি পাও
অনেক অরাজকতা আছে এখনো বাংলায়।


বাংলার মাটিতে বিপথগামী দুর্বৃত্তদের না হোক ঠাঁই
যা আছে ভুল, সব ধুয়েমুছে যাক
তোমার গড়া হাতে বাংলা হোক পূণ্যভূমি,
আছো না ফেরার দেশে তবু তুমি জাগ্রত
চেয়ে দেখো বংগবন্ধু আমরা তোমাতেই আপ্লুত
খোকা তোমার জন্মদিনে আবারো নাও জেনে
কোটি কোটি বাঙালি রেখেছি তোমায়
নিজেদের হৃদভূমে ।


রচনা কাল: ১৭ই মার্চ ২০১৮,উত্তরা, ঢাকা।

শুক্রবার, ১৬ মার্চ, ২০১৮

আশা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর বনভোজন অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
আশা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর  ফলিত সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নিয়মিত বার্ষিক বনভোজন গত ১৩ ই মার্চ মানিকগঞ্জের নাহার  গার্ডেনে উৎসব মুখর পরিবেশে  অনুষ্ঠিত হয়।
বনভোজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ডিপার্টমেন্টের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. আহসান হাবীব, সিনিয়র লেকচারার রওশন আরা রুমকি এবং সোসিওলোজি ক্লাব।

মনোহরদীতে সাব্বির স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

সুজন বর্মণ,মনোহরদী প্রতিনিধি:
নরসিংদীর মনোহরদীতে সাব্বির স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের উদ্যোগে মনোহরদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ মাঠে এই টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়।
খেলার শুরুতে মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাএ সাব্বির ও নেপালে বিমান দূর্ঘটনায় নিহতদের স্বরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মনোহরদী পৌরসভার মেয়র আমিনুর রশিদ সুজন কবুতর উড়িয়ে ও ফিতা কেটে খেলার উদ্বোধন করেন। খেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সাংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন, মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী শিক্ষক ইলিয়াস সরকার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুল ইসলাম নাঈম প্রমুখ।
খেলায় মনোহরদী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ ব্যাচের বিজ্ঞান বিভাগ বনাম ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ অংশগ্রহন করে। খেলায় বিজ্ঞান বিভাগ টসে জয়লাভ করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিজ্ঞান বিভাগ নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৭ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সুমন মাহমুদ সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। জবাবে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ ১৫ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে জয়সূচক রান করে। বিজয়ী দলের সাকিব ইফতেখার ১৫ রান ও ২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৮

নরসিংদী জেলার শীর্ষস্থানীয় সব পদগুলোতে এখন নারীরা

জহিরুল ইসলাম, নরসিংদী:

নরসিংদীতে শীর্ষস্থানীয় পদগুলোতে এখন নারীরা অবস্থান করছেন। জেলা পর্যায়ে একসঙ্গে শীর্ষ চার পদে নারীর নেতৃত্বদানের ঘটনা বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসক, জেলা ও দায়রা জজ, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ শীর্ষ পদে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নারী কর্মকর্তারা।
গত রোববার নরসিংদী জেলা প্রশাসক হিসেবে সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন যোগদানের মধ্য দিয়ে নারী ক্ষমতায়নের ষোল-কলাপূর্ণ হয়। ফলে জেলার সব শীর্ষ পদে নারী কর্মকর্তাদের অবস্থান নিয়ে আলোচনা এখন গোটা জেলায়। একটি জেলায় রাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিচার, প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগে একসঙ্গে নারীর ক্ষমতায়ন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
প্রশাসন সংশ্লিষ্টরা জানায়, স্থানীয় পর্যায়ে জেলা ও দায়রা জজ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনের পদটিই জেলার শীর্ষ পদ। তাঁরা বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। তাঁরাই মূলত একটি জেলায় সরকারি কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেন এবং জেলায় সব কর্মকাণ্ডের সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। দেশের সব কয়টি জেলার মধ্যে নরসিংদীই একমাত্র জেলা যেখানে এই মুহূর্তে চারটি শীর্ষ স্থানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন চার নারী।
বর্তমানে নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজের দায়িত্বে আছেন বেগম ফাতেমা নজীব। তিনি ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল নরসিংদীতে যোগ দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে নরসিংদীর পুলিশ সুপার হিসেবে কাজ করছেন আমেনা বেগম বিপিএম। তিনি তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। আগামী বৃহস্পতিবার তাঁর নরসিংদী ত্যাগ করার কথা রয়েছে। জেলায় স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ পদ সিভিল সার্জন। ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ পদে আছেন ডা. সুলতানা রাজিয়া।
এ ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন বলেন, ‘পৃথিবীর যা কিছু সৃষ্টি চির মহান, চির-কল্যাণকর, অর্ধেক করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।’ কবি নজরুল ইসলাম যথার্থই বলেছেন। নারী-পুরুষের কোনো এক অংশকে বাদ দিয়ে সামনে এগুনো যাবে না।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছে ও প্রচেষ্টার কারণেই নরসিংদীর শীর্ষ পদগুলোতে নারী কর্মকর্তারা আসীন হয়েছেন। এ ধরনের পদায়ন সব স্তরের নারীদের আত্মবিশ্বাসী ও আত্মমর্যাদাশীল করে তুলবে। আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠু ও সুচারুরূপে পালন করতে পারলে নরসিংদীসহ সারা দেশের নারীরা অনুপ্রাণিত হবে। নারীরা স্বেচ্ছায় অধীর আগ্রহ নিয়ে দ্বিগুণ উৎসাহের সঙ্গে এ পেশায় এগিয়ে আসবে।’
পুলিশ সুপার আমেনা বেগম বলেন, এ জেলায় সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিচার, প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগে নারীর ক্ষমতায়ন নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের জন্য উদাহরণ। এটা নরসিংদীসহ গোটা দেশের নারী সমাজের প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারীর ক্ষমতায়ন বাস্তবায়নের একটি উদাহরণ।
একইভাবে সিভিল সার্জন ডা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, ‘নারী বলে ঘরে বসে থাকার সুযোগ এখন আর নেই। কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে। নারী হিসেবে কারো দয়া, দক্ষিণা পাওয়ার আশা না করে নিজের মেধা, পরিশ্রম ও যোগ্যতা দিয়ে নিজেদের অর্জন গড়ে তুলতে হবে। নারীরা যে এগিয়ে যাচ্ছে নরসিংদী তাই প্রমাণ করে। আমরা কেউ নারী হিসেবে নয়, যার যার যোগ্যতা দিয়ে এই পদগুলো অলংকৃত করেছি। এতে ভবিষ্যতে নারী কর্মকর্তারা একজন অফিসপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্র পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবেন।’
শীর্ষ পদে নারীর পদায়নকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘নারী ও পুরুষ এখন আর আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই। আমি বিশ্বাস করি পুরুষের সঙ্গে নারীও সমান তালে মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে তার কর্মে স্বাক্ষর রাখছে। নরসিংদীর নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের যোগদান আমাকে আনন্দিত করেছে। কারণ এর মাধ্যমে আমরা জেলার সব শীর্ষ পদে নারী নেতৃত্ব পেয়েছি। নারীরা পুরুষের পাশাপাশি সম মর্যাদায় ও দক্ষতায় প্রশাসনের দায়িত্ব পালন করছেন। এরই মধ্যে আমরা বিচার, আইন ও স্বাস্থ্য বিভাগে নারী নেতৃত্বের দক্ষতার ছাপ দেখতে পেয়েছি। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব তাদের সহযোগিতা করা। এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন দীর্ঘস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী হবে।’
ওই চারজন ছাড়াও নরসিংদীর বিচার বিভাগেও নারীদের প্রাধান্য রয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ ছাড়াও অতিরিক্ত যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বেগম লুবনা জাহান। মুখ্য বিচারিক হাকিমের দায়িত্ব পালন করছেন শামীমা আফরোজ। অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিমের পদে রয়েছেন শামীমা আক্তার।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে আছেন সুষমা সুলতানা, শিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে আছেন শিলু রায় ও বেলাবর ইউএনও হিসেবে আছেন উম্মে হাবিবা, সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে আছেন লুবনা ফারজানা, নাহিদা পারভীন, সহকারী কমিশনার হিসেবে আছেন জাকিয়া সুলতানা, রাবেয়া আক্তার, মেহের নিগার সুলতানা ও তাহমিনা আক্তার।
জেলা পর্যায়ে অন্যান্য নারী কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক জেবুন্নাহার পারভীন, জেলা সঞ্চয় অফিসের সহকারী পরিচালক সাইদা নাজমুন্নাহার, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিনা আক্তার, জেলা তথ্য কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা ফারজানা আক্তার সাথী এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা  এস. এম. রেখা রাণী হালদার। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা দায়িত্ব পালন করছেন।

এক লাউ নিয়ে আহত ৫০

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার শান্তিপুর জামে মসজিদের জমিতে উৎপাদিত একটি লাউ আজ বুধবার দুপুরে নিলামে তোলা হয়। এক কেজি ওজনের ওই লাউটির নিলামের ডাক দেন পাশের মর্দনপুর গ্রামের কবির মিয়া। লাউটির দাম ৬০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে।

এমন সময়ে বাধা দেন শান্তিপুর গ্রামের জালাল মিয়া। তাঁর দাবি, এ নিলাম ডাকবেন তিনি। কবির মিয়া যেহেতু মসজিদের কেউ নন। তিনি নিলাম ডাকার অধিকার রাখেন না। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে শুরু হয়ে যায় দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ। এ সংঘর্ষে আহত হয়েছেন উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, লাউ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে চলে। খবর পেয়ে বানিয়াচং থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশত লোক আহত হন। তাঁদের মধ্যে ২৪ জনকে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটজনকে আটক করে। পরে তাঁদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্বদ্বীপ কুমার সিংহ উপস্থিত সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং আটক ব্যক্তিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বানিয়াচং থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নাজমুল হক বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা অর্থদণ্ড দিয়ে ছাড়া পান। ২৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।

সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮

সিঙ্গাপুরে নির্মাণ শ্রমিক থেকে অভিনয় শিল্পী সোহাগ


নিজস্ব প্রতিবেদক:
সুদ, ঘুষ, ভালো বন্ধু, স্বপ্নের প্রবাস, মানব সেবা, কোরবানি, শিক্ষার আলো, যৌতুক, অভাবে স্বভাব নষ্ট, বাটপার, সিগারেট, ফেসবুক, চোরের উপর বাটপারি, লেনদেন, পথের পেচাল, চাপাবাজ,
সেলফি সহ অনেক গুলো শট ফিল্ম বানিয়েছেন সিঙ্গাপুর প্রবাসী মাসুদ পারভেজ সোহাগ এবং ওনার বন্ধুগণ। সবগুলো চলচ্চিত্রে সমাজ উন্নয়নের বাস্তব চরিত্র ফুটে উঠেছে, ইতিমধ্যে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।

মাসুদ পারভেজ সোহাগ বলেন - বর্তমান সময়ে অপ-সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্ত করতে এবং মানুষদেরকে সুস্থ বিনোদন উপহার দিতে আমরা চেষ্টা করেছি, অন্য যেকোনো মাধ্যমের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিনোদনের মাধ্যম ভালো কাজের উৎসাহ প্রদান করাটা  খুব ভালো মনে হয়, সেজন্য আমরা চেষ্টা করেছি সুদূর সিঙ্গাপুর থেকেও ছোট নাটকের মাধ্যমে সেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করা, ইনশাল্লাহ আগামীতেও আমরা সুস্থ বিনোদন নিয়ে কাজ করব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সিঙ্গাপুরে উষ্ণ অভ্যর্থনা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে চার দিনের সরকারি সফরে সিঙ্গাপুরে পৌঁছলে বিমান বন্দরে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লী সিয়েন লুং এর আমন্ত্রণে তিনি সেখানে সফর করছেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট প্রধানমন্ত্রী তাঁর সফর সঙ্গীদের নিয়ে স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে তিনি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

সিঙ্গাপুরের পরিবেশ ও পানিসম্পদ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র প্রতিমন্ত্রী ড. অ্যামি খোর এবং সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে একটি মোটর শোভাযাত্রায় সাংগ্রি-লা হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সফরকালে তিনি সেখানে অবস্থান করবেন। সোমবার সিঙ্গাপুর সরকার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবে। পরে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমা ইয়াকুবের সঙ্গে ইস্তানায় এক সৌজন্য সাক্ষাত করবেন।

সোমবার সকালে তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো জোরদারের লক্ষ্যে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট যাবতীয় বিষয়াদি আলোচনা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সফরকালে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদারের লক্ষ্যে ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজ (আইই)’র মধ্যে বিনিয়োগ সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এমসিসিআই)’র সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়িক সংগঠন সিঙ্গাপুর ম্যান্যুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের মধ্যে পৃথক দু’টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষরিত হবে।

পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব বিষয়ক সমঝোতা স্মারক, এয়ার সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত কনফিডেন্সিয়াল সমঝোতা স্মারক, ডিজিটাল লিডারশিপ, ডিজিটাল ইনোভেশন ও ডিজিটাল সরকারে রূপান্তর সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী সিঙ্গাপুরের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থান বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে একটি অর্কিডের নামকরণ করা হবে। পরে তিনি সাংগ্রিলা হোটেলে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন। সোমবার তিনি সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এক মধ্যাহ্ন ভোজে অংশ নেবেন। আগামী ১৪ মার্চ বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।