শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১৮

কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষায় "Neo E-Novation" হতে পারে রোল মডেল।

♦পর্ব-০১।
♦মো:মেহেদী হাসান।
০২/০৩/২০১৮ ইং-
প্রচলিত শিক্ষায় পাস পাওয়াদেরকে অনেকে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংবর্ধনা দেয়, পুরস্কার দেয়া হয় । কিন্তু যারা রেজাল্ট খারাপ করেছে বা পাশ করতে পারেনি সেই বৃহৎ অংশের মঙ্গলের জন্য কোনো উদ্যোগ নেই ।

শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত, ঝরে পড়া বা অনগ্রসর বিপুল ছাত্রছাত্রী পরিবারের কাছে হয়ে পড়ে বোঝার মত । অবহেলিত এই বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রী একসময় সমাজের অন্ধকার জগতের দিকে পা বাড়ায় । নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে । সমাজের শান্তিশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটায় । অথচ এই ঝরে পড়া, পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদেরকে যদি জীবনমুখি শিক্ষায় শিক্ষিত করা যেতো, তাহলে নিজেদের পছন্দমত পেশা বেছে নিয়ে তারা সুন্দর জীবন যাপন করতে পারতো ।

একটি প্রাচীন প্রবাদ আছে, " তুমি যদি কাউকে ১ কেজি মাছ দাও তাহলে তার ১দিনের আহারের ব্যবস্থা করলে, আর যদি কাউকে মাছ ধরতে শিখিয়ে দাও তাহলে তুমি তার সারা জীবনের খাবারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করলে ।" আমাদের শিক্ষা এমনই হওয়া উচিত ।

আমাদের দেশে শিক্ষার আজ যে দূরবস্থা, তার গুণগত মান উন্নয়নে জীবনমুখি শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা এখন সময়ের দাবি । প্রত্যেকেরই শৈশব-কৈশর জীবনে কিছু হওয়ার স্বপ্ন থাকে, শখ থাকে জীবনে অনেক বড় হওয়ার, ইচ্ছা থাকে অনেক দূর যাওয়ার । এ স্বপ্নের বাস্তবায়নে শিক্ষাজীবনের প্রাথমিক স্তর থেকেই পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি ব্যবহারিক তথ্য তথা হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি প্রয়োজন । জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সেই শিক্ষা যেন কাজে লাগে ।

আর সেলক্ষ্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রবাসী, আধুনিক ই-লার্নিং এর জনক ড.বদরুল হুদা খানের উদ্ভাবিত প্রতিষ্ঠান  'Neo E-Novation". তিনি এটার প্রাতিষ্ঠানিক চেয়ারম্যান হিসাবে আছেন  বর্তমানে ভারতে এর ব্যবহারিক প্রয়োগ ও ট্রেনিং শুরু হয়ে গেছে।এবং জেনে আনন্দিত হবেন যে, মিঃ খানের উদ্ভাবিত তত্বটির নাম -ই-ভ্যান।

 গত ২২ শে ফেব্রুয়ারী গঙ্গাধরপুর শিক্ষামন্দির কলেজ (বি.এড)  @জ্ঞানবাহনের( e-van) যাত্রা শুরু হয়েছিল।যার প্রধাণ অতিথি ছিলেন  বাংলাদেশ থেকে আগত জনাব চন্দন বর্মণ। তিনি বাংলাদেশ প্রথম জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইত্তেফাক এর শিক্ষাপাতা ইনচার্জ এবং নিও কোর টিম বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম কর্ডিনেটর। তিনি উক্ত ২২ /০২/১৮ এর নিও প্রোগ্রামের উদ্বোধক। (হাওয়া,কলকাতা).।

বি;দ্র:জ্ঞানপিপাসু, মার্জিত,বিনয়ী ও নিরেট ভদ্রলোক চন্দন বার্মণ সম্পর্কে পোস্ট ২&৩ এ বিস্তারিত লিখবো।


অন্যদিকে যাদের কথা না বললেই নয়,,
তারা নিজেরাই এক একটি ইন্সটিটিউশন। বয়সে যেমন তরুণ,রক্তে তেজ ঠিক ততোধিক অদম্য ইচ্ছা দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করা।

তারা হলেন নিও ই-নোভেশনের ফাউন্ডিং ডিরেক্টর ড. সঞ্জু সাহা। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন আবীর,বাপ্পাদিত্য আদক,সৈকত, মনির, গৈরিক, অনিতাভ, অর্ণব, সাথী, বিপুল, সত্যজিত, শ্রীতমা, মিঠুন(জ্ঞানবাহক)।

তারা ইন্ডিয়াতে বিশেষ করে ভারতে, নিও কে নতুন একটি জায়গায় নিয়ে গেছেন।তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্যেই আজ নিও এত দূর এসেছে।আমার পক্ষ থেকে সবাইকে সালাম ও নমস্কার।
এবার, আসি নিও এর আরেকটি প্রোগ্রামের বিষয়ে। যেটি গত ২৫/০২/২০১৮ তে বিকালে ৪টায়(স্থানীয় সময়) বাউরিয়া(Bauria) তে নিও এর উদ্দৌগে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষার বিশেষ আলোচনা করা হয়েছিল।
সেখানে প্রধাণ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিও এর বাংলাদেশ কোর টিমের উওদেষ্ঠা জনার নিশাদ সৈয়দ জি.দোস্তাগীর।
তিনি একজন সমাজসেবক, মিফিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাটিভি (বাংলাদেশ& যুক্তরাজ্য)  এর প্রতিষ্ঠাতা। তিনিও নিবেদিতপ্রাণ ও আলোকিত মানুষ। 

★বাংলাদেধীদের জন্যে সু-খবর :-
খুব শীঘ্রই এই মাসের (মার্চ) শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশে নিও ই-নোভেশনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে।যেটার উদ্বোধন করবেন ড.বদরুল হুদা খান। (ই-লার্নিং এক্সপার্ট এবং নিও ই-নোভেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান)

বাংলাদেশে উপদেষ্ঠামণ্ডলীয় গণ হলেন -
ড.আফতাব উদ্দীন(হেড অব টেকনিক্যাল, আরসিডিডিআর,বি), চন্দন বর্মণ (ইনচার্জ,শিক্ষাপাতা, দৈনিক ইত্তেফাক),তারিন মহিউদ্দিন সহ অনেকেই।

                                          চলবে.....

Share: