নির্বাচন হচ্ছে একটি জনপ্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া; কাকে অধিকসংখ্যক মানুষ পছন্দ করে সরকারি বা স্থানীয় সরকারপ্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পদে বসাবে তার মতামত দেয়ার পদ্ধতি। বিজয়ীরা পদে গিয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন।
রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জনগণের অভিপ্রায় বহিঃপ্রকাশের এ পদ্ধতিটি হলো ভোটের সংস্কৃতি। এর সাফল্য নির্ভর করে রাজনৈতিকভাবে জনমতকে কিভাবে গ্রহণ করা হয়। তা ছাড়া বিজয়ীদের মনে রাখতে হবে, এই ভোটপ্রাপ্তির অর্থ জনগণের আমানত গ্রহণ করা, এর মূল্য উপলব্ধি করা ও তাকে কাজে লাগানো। বাংলাদেশের জনপ্রতিনিধিদের বেশ কিছু দুর্বলতার মধ্যে একটি হচ্ছে, তারা ভোট নেয়ার পর আর ভোটারদের কাছে যান না; তাদের কোনো খোঁজখবরও নেন না।
আরো দুর্ভাগ্য হলো, সরকার উন্নয়ন তহবিল থেকে যখন স্থানীয় বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে, সেই অর্থের সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবহার হয় না। এটা জনগণ দেখে হতাশ হয়। ভোটের মূল্য না দেয়া ও সরকারি অর্থের অপব্যবহার- একটি বড় ধরনের নৈতিক বিপর্যয় ও আমানতদারিতার বরখেলাপ। এ সমস্যা কোনো বিশেষ এলাকার নয়, গোটা দেশের।
নৈতিকতার এই বিপর্যয় থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে।
দেশে অনুযোগ রয়েছে, নির্বাচন আসে যায়, কিন্তু নির্বাচনের মতো নির্বাচনের মুখ দেখা যায় না। বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনের মতো নির্বাচন হওয়ার পরিসংখ্যান খুব উৎসাহব্যঞ্জক নয়।
ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত সব নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নির্বাচনে যারা ভোট দেন, সেই ভোটাররা ভোটে অনিয়ম নিয়ে আক্ষেপে থাকেন। এমন নির্বাচনে যারা বিজয়ী হন তারা তাতে প্রকৃত আত্মতৃপ্তি লাভ করেন না। যারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন বলে বিবেচিত হন, তারা পরাজয় মেনে নিতে নারাজ হন।
মো:মেহেদী হাসান।
হিসাবরক্ষক, কালটেক্স পেট্রোলিয়াম।
মালয়েশিয়া।