।
-হ্যালো...
-হুম্, বলো।
-আচ্ছা, তোমার একটা সবুজ
শাড়ী আছে না?
-আছে।
-সে শাড়ীটা পড়ে এক্ষুণি চলে আসো
নদীর কাছে।
-শাড়ীটা ছিঁড়ে গেছে।
-তোমার গোঁফওয়ালা দারোয়ানকে
বলো সদর দরজা খুলতে।
-কেন!
-আমি তোমার জন্য সবুজ শাড়ী
হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি
সংগে তোমার প্রিয় বেলীফুলের মালা।
উফ্ তোমার বাসাটা এত্তো উপরে কেন!
আমার দম্ বন্ধ হয়ে যায়।
আমাদের যখন বিয়ে হবে
বাসা হবে নীচ তলায়..
আমি চড়ুই পাখির মতো ফুরুৎ
করে এসে তোমায় দেখে আবার
ফুরুৎ করে উড়ে চলে যাবো।
-আমার শাড়ী?
-এই যাহ্.. শাড়ীটাই তো কিনা হয়নি!
টাকা নেই বুঝতে পেরেছো?
তবে একটা সবুজ শাড়ী তোমার
জন্যে আনবোই আনবো।
-আর মালা?
-আরে এই ভর দুপুরে মালা পাবো কোথায়!
-আচ্ছা,এখন এসো।
-তুমি কি এখনো রেগে আছো?
-না।
অনেক বছর চলে গেলো..
সে মানুষটা আর আমার রাগ
ভাংগাতে আসে না।
কারণ,আমার কল্পনা করার
ক্ষমতাটাই হারিয়ে গেছে।