শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১৮

কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য আবেগপূর্ণ ও বাস্তবতা বিবর্জিত : মোস্তফা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোটা সংস্কারের আন্দোলনে ক্ষুব্ধ হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা বাতিলের যে ঘোষণা দিয়েছেন তা আবেগপূর্ণ ও বাস্তবতা বিবর্জিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

তিনি বলেন, সারাদেশের হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী গত কয়েকদিন ধরে মেধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রচলিত কোটা পদ্ধতির বাস্তবতার নিরিখে সংস্কার চেয়েছে, বাতিল চায় নাই। কিন্তু তাদের আন্দোলনকে নেতিবাচকভাবে গ্রহন করে ঢালাওভাবে কোটা বাতিলের ঘোষণা বাস্তবতা বিবর্জিত ও আবেগের বহিঃপ্রকাশ। যা প্রধানমন্ত্রীর শপথের সঙ্গেও সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

শুক্রবার সকালে চিটাগাংরোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ নারায়নগঞ্জ জেলা আয়োজিত "বিদায় ১৪২৪-স্বাগত ১৪২৫"-শীর্ষক আলোচনা সভা ও সুধিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কোটা একেবারেই বাতিল করার মতো পরিস্থিতি ও বাস্তবতা এখনও তৈরি হয়নি। এর মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোটা প্রথা একেবারে বাতিলের ঘোষণা একটি ‘হটকারী’ সিদ্ধান্ত। এই ঘোষণা যারা এতদিন কোটা পদ্ধতিতে সুবিধাভোগী ছিল তাদেরকে আন্দোলনে উস্কে দেওয়ার শামিল। দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কোটা প্রথা সব বাতিল না করে সময় ও বাস্তবতার নিরিখে সংস্কতার করা উচিত বলে জাতি মনে করে।

তিনি ১৪২৫ নতুন বাংলাবছরে দেশবাসীকে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী প্রতিষ্ঠিত, যার পরবর্তী নেতৃত্ব জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া ও শফিকুল গানি স্বপনের বাংলাদেশ ন্যাপ ও দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ১৪২৫ নতুন বছরে সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি আর সমৃদ্ধি। বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদের ঘরে ঘরে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা। সমাজ আর রাষ্ট্র থেকে চিরতরে বিদায় নিক অসত্য, অন্যায়, অনাচার, অশান্তি আর দুর্নীতি ও দুবৃত্তায়ন। ১৪২৪ এর শেষে ও ১৪২৫ সালের শুরুতে মহান প্রতিপালক আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে আমাদের এই হোকে প্রার্থনা।

ন্যাপ নারায়নগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক মো. ওয়াজিউল্লাহ অজু'র সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ন্যাপ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, পটুয়াখালি জেলা আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম মিনার, নারায়নগঞ্জ জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তালেব, নির্বাহী সদস্য মো. শওকত আলী প্রমুখ।

দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা
পহেলা বৈশাখ বৈচিত্র্য নিয়ে আমাদের জীবনে বার বার আসে : বাংলাদেশ ন্যাপ

বাংলা নববর্ষ ১৪২৫ উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

শুক্রবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গাণি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ১লা বৈশাখ ১৪২৫, বাংলাদেশের মানুষ হৃদয় উৎসারিত আনন্দ হিল্লালে বাংলা নববর্ষ বরণ করবে। বাংলা নববর্ষের এই উৎসবে বাংলাদেশ ন্যাপ দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বাঙ্গালি ও বাংলাদেশীদের জানায় আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

তারা বলেন, জাতির জীবনে পয়লা বৈশাখ নুতন আঙ্গিক, রূপ, বর্ণ ও বৈচিত্র্য নিয়ে আসে বার বার। এ দিনে স্বজাতির লোকজ ঐতিহ্যের পরম্পরায় তার শিল্প, সাহিত্য, ভাষা, শিক্ষা, জ্ঞানচর্চা, আচরণবিধি, ধর্ম বিশ্বাস, সংগীত, সামাজিক উৎসব, খাদ্যাভ্যাস, ক্রীড়া মনন ও বুননের চালচিত্র ফুটে উঠে। দীর্ঘকাল ধরে গড়ে ওঠা আমাদের ভাষা-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অহঙ্কারকে বিদেশী আধিপত্যবাদী অপশক্তি ধূলিস্যাত ও খর্ব করার নানা ষড়যন্ত্র করেছে, কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা কখনো সফল হতে পারেনি। পয়লা বৈশাখ আমাদের সেই গর্বিত ঐতিহ্যকেই আনন্দের মহাসমারোহে স্মরণ করিয়ে দেয়, জেগে ওঠে জাতির আত্মপরিচয়।

নেতৃদ্বয় বলেন, নানা ঘটনা ও দূঘর্টনার স্বাক্ষী ১৪২৪ সালের চৌকাঠ ডিঙ্গিয়ে ১৪২৫ সালের দুয়ারে উপস্থিত হয়েছি। গত বছরের দুঃখ, অবসাদ-ক্লান্তি, হতাশা-গ্লানিকে অতিক্রম করে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা নিয়ে এসেছে নুতন বাংলাবর্ষ। বাংলা নববর্ষ আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ। হাজার বছরের স্বজাতির সাংস্কৃতিক বিনির্মাণের পরিক্রমায় গণতান্ত্রিক বোধ ও চর্চা নিবিড়ভাবে সংশ্লিষ্ট। তাই আমাদের দীর্ঘ ঐহিতাসিক সংগ্রামে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের নতুন মাত্রা অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষের উৎসব পেয়েছে এক উদ্ভাসিত বর্ণিল আবহ।
Share: