নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বাড্ডায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালটির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরিবহনটির চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ।ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে তুরাগ পরিবহনের দুই শতাধিক বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তরা ক্যাম্পাসের সামনে একাধিক তুরাগ বাস আটকে প্রতিবাদ করেন।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার উদ্দেশে বাড্ডা লিং রোড থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উঠে ওই শিক্ষার্থী। তখন বাসে ৭/৮ জন যাত্রী ছিল। কিছুক্ষণ পর বাসের চালকের সহকারী যাত্রীদের নামিয়ে দেন। এমনকি বাস বেশিদূর যাবে না বলে আর যাত্রী তোলা হয়নি। এসময় ওই শিক্ষার্থীর কিছুটা সন্দেহ হলে তেমন বেশি পাত্তা দেননি। বাসটি আরো কিছু দূর যাবার পর বাসের সহকারী তাকে বলে, আপা আপনি পেছনে এসে বসেন। এভাবে বাসটি আরো কিছু দূর গেলে বাসের দুই সহকারী তাকে ঘিরে রাখে। তখন ওই শিক্ষার্থী তাদের বলেন আমি পেছনের সিটে গিয়ে বসবো এখানে খুব গরম লাগছে। পরে তারা তাকে পেছনের সিটে যাবার জন্য জায়গা দেয়। কিন্তু সে বাসের গেটের পাশে এসে নামতে চাইলে তার হাত শক্ত করে ধরে ফেলে চালকের সহকারীরা। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাদের ধাক্কা মেরে বাস থেকে লাফ দেন। পরে অন্য একটি বাসে সে ক্যাম্পাসে গিয়ে বন্ধুদের ঘটনা জানান।জানা যায়, গত শনিবারের (২১ এপ্রিল) ওই ঘটনার সুরাহা না হওয়ায় রাতে উত্তরা পূর্ব থানায় মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটক করে থানায় সোপর্দের দাবি জানায়।কিন্তু মালিকপক্ষ সময় চাইলে সেটি প্রথমে নাকচ করে শিক্ষার্থীরা। পরে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকীর হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সোমবার বিকেল পর্যন্ত সময় দেয়। এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ না করলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র বলেন, বাসে যৌন হয়রানির সঙ্গে জড়িত তুরাগ পরিবহনের চালক, হেলপার ও কন্টাক্টরকে দ্রুত পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে হবে। এ জন্য আমরা মালিকপক্ষকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। বলেছিলাম তাদের আটক না করা পর্যন্ত তুরাগ পরিবহনের কোনো বাস চলাচল করতে দেখা গেলে সেগুলো আটকে দেয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দোষীরা পলাতক। তাই যেসব বাস আটক করা হয়েছিল তা ছাড়া হয়নি।তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই মালিকপক্ষ দ্রুত বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান করুক। নয়তো সোমবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামবে। সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।এদিকে এ ঘটনায় মামলার পর বাসটি শনাক্ত করা গেলেও লাপাত্তা চালক, হেলপার ও কন্টাক্টর।উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ জানায়, রবিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তুরাগ পরিবহনের প্রায় অর্ধশত বাস আটক করে চাবি নিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সোমবার সকাল থেকে এ পরিবহনের সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে রোববার বিকেলে গুলশান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্বামী। মামলা নং ২৬। তবে পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বাসটি সনাক্ত করলেও অভিযুক্তদের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গুলশান থানায় ওই শিক্ষার্থীর স্বামী মামলা করেছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মালিকপক্ষ বিকেল পর্যন্ত সময় নিয়েছে। আশা করছি বিষয়টি সমাধান হবে।গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার জানান, মামলায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের চালক, তার সহকারী এবং ভাড়া আদায়কারী এ তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি। পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের সন্ধান মেলেনি।
রাজধানীর বাড্ডায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালটির শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে পরিবহনটির চলাচল বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে মালিকপক্ষ।ঘটনার পর আন্দোলনের মুখে তুরাগ পরিবহনের দুই শতাধিক বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানান উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উত্তরা ক্যাম্পাসের সামনে একাধিক তুরাগ বাস আটকে প্রতিবাদ করেন।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বলেন, শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার উদ্দেশে বাড্ডা লিং রোড থেকে তুরাগ পরিবহনের একটি বাসে উঠে ওই শিক্ষার্থী। তখন বাসে ৭/৮ জন যাত্রী ছিল। কিছুক্ষণ পর বাসের চালকের সহকারী যাত্রীদের নামিয়ে দেন। এমনকি বাস বেশিদূর যাবে না বলে আর যাত্রী তোলা হয়নি। এসময় ওই শিক্ষার্থীর কিছুটা সন্দেহ হলে তেমন বেশি পাত্তা দেননি। বাসটি আরো কিছু দূর যাবার পর বাসের সহকারী তাকে বলে, আপা আপনি পেছনে এসে বসেন। এভাবে বাসটি আরো কিছু দূর গেলে বাসের দুই সহকারী তাকে ঘিরে রাখে। তখন ওই শিক্ষার্থী তাদের বলেন আমি পেছনের সিটে গিয়ে বসবো এখানে খুব গরম লাগছে। পরে তারা তাকে পেছনের সিটে যাবার জন্য জায়গা দেয়। কিন্তু সে বাসের গেটের পাশে এসে নামতে চাইলে তার হাত শক্ত করে ধরে ফেলে চালকের সহকারীরা। এসময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাদের ধাক্কা মেরে বাস থেকে লাফ দেন। পরে অন্য একটি বাসে সে ক্যাম্পাসে গিয়ে বন্ধুদের ঘটনা জানান।জানা যায়, গত শনিবারের (২১ এপ্রিল) ওই ঘটনার সুরাহা না হওয়ায় রাতে উত্তরা পূর্ব থানায় মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা অভিযুক্ত চালক ও হেলপারকে আটক করে থানায় সোপর্দের দাবি জানায়।কিন্তু মালিকপক্ষ সময় চাইলে সেটি প্রথমে নাকচ করে শিক্ষার্থীরা। পরে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিকীর হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সোমবার বিকেল পর্যন্ত সময় দেয়। এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ অভিযুক্তদের পুলিশে সোপর্দ না করলে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তরা ইউনিভার্সিটির এক ছাত্র বলেন, বাসে যৌন হয়রানির সঙ্গে জড়িত তুরাগ পরিবহনের চালক, হেলপার ও কন্টাক্টরকে দ্রুত পুলিশের কাছে সোপর্দ করতে হবে। এ জন্য আমরা মালিকপক্ষকে সোমবার বিকাল পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। বলেছিলাম তাদের আটক না করা পর্যন্ত তুরাগ পরিবহনের কোনো বাস চলাচল করতে দেখা গেলে সেগুলো আটকে দেয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দোষীরা পলাতক। তাই যেসব বাস আটক করা হয়েছিল তা ছাড়া হয়নি।তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই মালিকপক্ষ দ্রুত বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান করুক। নয়তো সোমবার বিকেল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামবে। সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা হবে।এদিকে এ ঘটনায় মামলার পর বাসটি শনাক্ত করা গেলেও লাপাত্তা চালক, হেলপার ও কন্টাক্টর।উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ জানায়, রবিবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তুরাগ পরিবহনের প্রায় অর্ধশত বাস আটক করে চাবি নিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা। এরপর সোমবার সকাল থেকে এ পরিবহনের সব বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে রোববার বিকেলে গুলশান থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর স্বামী। মামলা নং ২৬। তবে পুলিশ সিসি টিভি ফুটেজ দেখে বাসটি সনাক্ত করলেও অভিযুক্তদের কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের ওসি নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, গুলশান থানায় ওই শিক্ষার্থীর স্বামী মামলা করেছেন। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। মালিকপক্ষ বিকেল পর্যন্ত সময় নিয়েছে। আশা করছি বিষয়টি সমাধান হবে।গুলশান থানায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক তাপস কুমার জানান, মামলায় তুরাগ পরিবহনের একটি বাসের চালক, তার সহকারী এবং ভাড়া আদায়কারী এ তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত কাউকেই শনাক্ত করা যায়নি। পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের সন্ধান মেলেনি।