সুজন বর্মণ দীপ, নরসিংদী:
নরসিংদীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ চাষে সফলতা পেয়েছে চাষিরা। গবেষণাগারে পরীক্ষার পর মাঠপর্যায়ে এ জাতের আবাদ শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় ও ফলন দীর্ঘ সময় সংগ্রহযোগ্য হওয়ায় বারি জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা।
নরসিংদীর শিবপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার খড়কমারা, দুলালপুর ও ধানুয়া গ্রামের ৭টি প্লটে বারি জাতের টমেটো আবাদ করেছে চাষিরা। প্লটগুলোতে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এবং স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো (সুরমা) আবাদ করা হয়।
খড়কমারা গ্রামের কৃষক হাজী মো. জুলহাস ৫ শতাংশ জমিতে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এবং স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো (সুরমা) চাষ করেছেন। জমিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে গাছে ঝুলছে টমেটো। গাছের সরু ডালে বেশি টমোটো ধরায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে গাছগুলোকে বেঁধে রাখা হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো সুরমা জাতের গাছ গুলোতে ফলন কম। অনেক গাছ ব্যঅক্টেরিয়াল উইল্ট আক্রমণ করেছে।
কৃষক হাজী মো. জুলহাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি টমেটো চাষ করছেন। অন্যান্য বছর ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের জন্য ফলন কম হতো। এ বছর জমিতে পৃথকভাবে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এবং স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো (সুরমা) চাষ করেছি। এদের মধ্যে স্থানীয় হাইব্রিড টমেটোতে ব্যাক্টেরিয়া উইল্ট আক্রমণ করলেও বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ ছিল মুক্ত।
ধানুয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, অন্যান্য প্রচলিত টমেটোর চেয়ে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এর ফলন অনেক বেশী। সেই সঙ্গে দেখতে সুন্দর ও দীর্ঘ সময় সংগ্রহ করতে পাওয়ায় লাভও বেশী পাওয়া গেছে।
এদিকে ফলন লাভজনক হওয়ায় বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে স্থানীয় কৃষকরা। কৃষক আওয়াল মিয়া বলেন, দেশী জাতের বেগুন করে লাভ তোলা যায়না। আবার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ফলন শেষ হয়ে যায়। তাই আগামী বছর থেকে বারী হাইব্রিড টমেটো চাষ করার ইচ্ছা আছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, শিবপুরের চাষীরা বারি হাইব্রিড টমোটো-৫ চাষে হেক্টর প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন ফলন পেয়েছে। আর বারি হাইব্রিড টমেটো ৯ পেয়েছে ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিক টন ফলন। অপরদিকে স্থানীয় হাইব্রিড সুরমা জাতের ফলন হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিক টন।
বারি হাইব্রিড টমেটো ৯ মাত্র ৪৭ থেকে ৫০ দিনে প্রথম ফুল আসে। ফল মাঝারী আকাওে গোলাকার। লাল রংয়ের। টিএসএস ৪.২০ যুক্ত পাঁচ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট মাংসল ফল যার ১০০% খাওয়ার যোগ্য। ফলের গড় ওজন ৯১ থেকে ৯৬ গ্রাম। প্রতি গাছে ৫১ থেকে ৫৪টি ফল ধরে। জাতটি উচ্চ ফলনশীল। ফল গোলাকার এবং ফলে বীজের সংখ্যা কম। এ জাতটি টমেটো হলুদ পাতা কুকড়ানো ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী।
বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ অত্যান্ত আকর্ষণীয় লাল শাসযুক্ত। পাকা ফলের সংরক্ষণ ক্ষমতা অন্যান্য টমেটোর চেয়ে বেশী। ফল বেশ বড় এবং চ্যাপ্টা-গোলাকার ধরনের। প্রতিটি ফলের ওজন ১০০ গ্রামের উপরে। ব্যাক্টেরিয়াল উইল্ট এবং ভাইরাস রোগ প্রতিরোগ জাত।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিবপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে কৃষকরা বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ চাষে সফলতা পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এ জাত দুটির টমেটো আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশে টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
নরসিংদীতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ চাষে সফলতা পেয়েছে চাষিরা। গবেষণাগারে পরীক্ষার পর মাঠপর্যায়ে এ জাতের আবাদ শুরু হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় ও ফলন দীর্ঘ সময় সংগ্রহযোগ্য হওয়ায় বারি জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে কৃষকরা।
নরসিংদীর শিবপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উদ্যোগে উপজেলার খড়কমারা, দুলালপুর ও ধানুয়া গ্রামের ৭টি প্লটে বারি জাতের টমেটো আবাদ করেছে চাষিরা। প্লটগুলোতে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এবং স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো (সুরমা) আবাদ করা হয়।
খড়কমারা গ্রামের কৃষক হাজী মো. জুলহাস ৫ শতাংশ জমিতে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এবং স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো (সুরমা) চাষ করেছেন। জমিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গাছে গাছে ঝুলছে টমেটো। গাছের সরু ডালে বেশি টমোটো ধরায় ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁশের কঞ্চি দিয়ে গাছগুলোকে বেঁধে রাখা হয়েছে। অপরদিকে স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো সুরমা জাতের গাছ গুলোতে ফলন কম। অনেক গাছ ব্যঅক্টেরিয়াল উইল্ট আক্রমণ করেছে।
কৃষক হাজী মো. জুলহাস জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি টমেটো চাষ করছেন। অন্যান্য বছর ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের জন্য ফলন কম হতো। এ বছর জমিতে পৃথকভাবে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এবং স্থানীয় হাইব্রিড টমেটো (সুরমা) চাষ করেছি। এদের মধ্যে স্থানীয় হাইব্রিড টমেটোতে ব্যাক্টেরিয়া উইল্ট আক্রমণ করলেও বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ ছিল মুক্ত।
ধানুয়া গ্রামের কৃষক শাহজাহান মিয়া বলেন, অন্যান্য প্রচলিত টমেটোর চেয়ে বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ এর ফলন অনেক বেশী। সেই সঙ্গে দেখতে সুন্দর ও দীর্ঘ সময় সংগ্রহ করতে পাওয়ায় লাভও বেশী পাওয়া গেছে।
এদিকে ফলন লাভজনক হওয়ায় বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে স্থানীয় কৃষকরা। কৃষক আওয়াল মিয়া বলেন, দেশী জাতের বেগুন করে লাভ তোলা যায়না। আবার সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ফলন শেষ হয়ে যায়। তাই আগামী বছর থেকে বারী হাইব্রিড টমেটো চাষ করার ইচ্ছা আছে।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, শিবপুরের চাষীরা বারি হাইব্রিড টমোটো-৫ চাষে হেক্টর প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মেট্রিক টন ফলন পেয়েছে। আর বারি হাইব্রিড টমেটো ৯ পেয়েছে ৭০ থেকে ৮০ মেট্রিক টন ফলন। অপরদিকে স্থানীয় হাইব্রিড সুরমা জাতের ফলন হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ মেট্রিক টন।
বারি হাইব্রিড টমেটো ৯ মাত্র ৪৭ থেকে ৫০ দিনে প্রথম ফুল আসে। ফল মাঝারী আকাওে গোলাকার। লাল রংয়ের। টিএসএস ৪.২০ যুক্ত পাঁচ প্রকোষ্ঠ বিশিষ্ট মাংসল ফল যার ১০০% খাওয়ার যোগ্য। ফলের গড় ওজন ৯১ থেকে ৯৬ গ্রাম। প্রতি গাছে ৫১ থেকে ৫৪টি ফল ধরে। জাতটি উচ্চ ফলনশীল। ফল গোলাকার এবং ফলে বীজের সংখ্যা কম। এ জাতটি টমেটো হলুদ পাতা কুকড়ানো ভাইরাস রোগ প্রতিরোধী।
বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ অত্যান্ত আকর্ষণীয় লাল শাসযুক্ত। পাকা ফলের সংরক্ষণ ক্ষমতা অন্যান্য টমেটোর চেয়ে বেশী। ফল বেশ বড় এবং চ্যাপ্টা-গোলাকার ধরনের। প্রতিটি ফলের ওজন ১০০ গ্রামের উপরে। ব্যাক্টেরিয়াল উইল্ট এবং ভাইরাস রোগ প্রতিরোগ জাত।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিবপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে কৃষকরা বারি হাইব্রিড টমেটো ৫ ও ৯ চাষে সফলতা পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে এ জাতের টমেটো চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এ জাত দুটির টমেটো আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশে টমেটোর উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।